আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

২০০১-০৬ সালে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০০১-০৬ সালে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় গুলশানে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্কে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জঙ্গি সংগঠন জেএমবি কর্তৃক দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলার ঘটনার ১৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পরে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। অপারেশন ক্লিনহার্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগের ২০ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। একটির জন্য মামলা করা যায়নি। কারণ এটার জন্য আলাদা ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে।

আরও পড়ুন>> সংবিধানের বাইরে কিছু করার নেই ইসির: আলমগীর

আইনমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সব দলের কাছে আমার নিবেদন থাকবে, জাতীয় সংসদেও আমরা এ কথাটি বলবো, অপারেশন ক্লিনহার্টের সময় যেসব পরিবারের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে তাদের মানবাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। অপরাধী হয়ে থাকলে তারও কিন্তু আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আছে। যত দাগি আসামি হোক না কেন তার পক্ষে যদি কেউ না-ও দাঁড়ায়, সরকারের দায়িত্ব পড়ে তার পক্ষে উকিল দাঁড় করিয়ে তাকে ডিফেন্স দেওয়ার।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতার সূচনা হয়েছিল আসলে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মধ্য দিয়ে। কারণ একটি বড় অংশ পরাজিত হয়েছিল। তারা চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ যেন আবারো সেই ধর্মান্ধতার দিকে ফিরে যায়।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের যারা কুশীলব, যারা সম্পৃক্ত ছিলেন, তারা পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশকে আবারো ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশে পরিণত করা হবে পাকিস্তানের মতো, বলেন তিনি।

নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী জানিয়ে শাহরিয়ার আরও বলেন, যারা বলছেন যে তারা দেখছেন, তারা সবাইকে দেখছেন। আমরা শুনেছি, বিএনপি যে কর্মসূচি দিচ্ছে তাদের নেতাকর্মীদের এটা পছন্দ না। তারা লাঠি নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন জনসভায় উপস্থিত হতে শুরু করেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাবধান বাণী উচ্চারণ করতে চাই, কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এই শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশে আমরা হতে দিতে পারি না। হতে দেবো না। সে বিষয়টিও আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রগুলো ভালো মতো জানেন, তারা দেখছেন। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদের সার্বক্ষণিক ওয়াকিবহাল রেখেছি।


আরও খবর



দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র হতে অতিতীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। এরই মধ্যে দেশের সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিও হতে পারে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা থেকে পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে ১ নম্বরসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে গতকাল শনিবার দেওয়া আগামী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং টাঙ্গাইল, বগুড়া, বাগেরহাট, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাগুলোর ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

এ ছাড়াও মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

অপরদিকে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় একইরকম থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

রবিবার সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

পরের দিন সোমবার সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



মার্কিন রণতরীতে হুথি বিদ্রোহীদের হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দুটি মার্কিন ডেস্ট্রোয়ার (রণতরী) এবং আরও দুটি জাহাজে হামলার দাবি করেছে ইমেয়েনে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। সোমবার (২৯ এপ্রিল) লোহিত সাগর এবং ভারত মহাসাগরে এসব হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছেন হুথির মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারিয়া।

তিনি জানান, তারা যে দুটি জাহাজে হামলা করেছেন, সেগুলো হল- সাইক্ল্যাডেস এবং এমএসসি ওরিয়ন।

ভারত মহাসাগরে এমএসসি ওরিয়ন কন্টেইনারটির ওপর ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। পর্তুগালের পতাকাবাহী এই জাহাজটি পুর্তগাল ও ওমানের মধ্যে চলাচল করছিল। এর মালিক জোডিয়াক ম্যারিটাইম। এর আংশিক অংশীদার ইসরায়েলি ব্যবসায়ী ফায়াল ওফার। এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি কোম্পানিটি।

ব্রিটিশ ম্যারিটাইম সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান আমব্রে সোমবার জানায়, মাল্টার পতাকাধারী কন্টেইনার সাইক্ল্যাডেস-এর ওপর হামলা চালানোর কারণ হল ইসরায়েলের সাথে এর বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকা। এটি জিবুতি থেকে সৌদি আরবের জেদ্দা যাচ্ছিল।


আরও খবর



ঈদের আগের‌ দিন ফাঁকা বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌ক

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প‌রিবা‌রের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভা‌গি কর‌তে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন মানুষজন। ত‌বে আজ মহাসড়‌কে নেই তেমন কোনো প‌রিবহন। দু্ই-তিন প‌রিবহ‌ন দেখা গে‌লেও ঈদের আগের দিন মহাসড়ক ফাঁকা র‌য়ে‌ছে। ফ‌লে কোনো ভোগা‌ন্তি ছাড়াই স্ব‌স্তি নি‌য়ে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন ঘরমুখো মানুষজন। আজ বুধবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে এমন চিত্র দেখা‌ গে‌ছে।

দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্ত্বর এলাকায় তেমন কোনো প‌রিবহন উত্তরবঙ্গের দি‌কে যে‌তে দেখা যায়‌নি। দুই-‌তিনটা ক‌রে প‌রিবহন গ‌তি‌ নি‌য়ে চলাচল কর‌ছে। এছাড়াও মহাসড়‌কে তেমন কোনো যাত্রীও নেই। ত‌বে কিছু মানুষজন বাস না পে‌য়ে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রা‌ক ও পিকআপে যা‌চ্ছেন।

জানা যায়, চির‌চেনা এই মহাসড়‌কে প্রতিবছরই ঈদের আগের রা‌তেও ব‌্যাপক মানু‌ষের স্রোত থাকে। ফ‌লে প‌রিবহ‌নের চাপ ছিল মহাসড়‌কে। এতে আইনশৃঙ্খলা বা‌হিনীর সদস‌্যদের মহাসড়‌কের প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক কর‌তে হিমশিম খেত। জেলা পুলিশের নানা পদক্ষেপের কারণে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন মানুষজন।

ত‌বে গতকাল মঙ্গলবার চরম ভোগা‌ন্তি‌তে পড়‌তে হ‌য়ে‌ছিল উত্তরব‌ঙ্গের ঘরমুখো মানু‌ষদের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মহাসড়‌কেই প্রচণ্ড রো‌দের ম‌ধ্যে যানজ‌টের কব‌লে প‌ড়ে‌ছিল। প‌রে বঙ্গবন্ধু সেতু‌র প‌শ্চিম টোলপ্লাজা বন্ধ রে‌খে সেতু‌তে একমুখী ক‌রে উত্তরব‌ঙ্গের দি‌কে প‌রিবহনগু‌লো ছে‌ড়ে দেওয়ায় টাঙ্গাইলের মহাসড়‌কে প‌রিবহ‌নের চাপ ক‌মে‌ছিল। মঙ্গলবার সকাল থে‌কে বিকেল পর্যন্ত পরপর দুইবার দুই ঘণ্টা ক‌রে প‌শ্চিম টোলপ্লাজায় ঢাকাগামী লেন বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।

মহাসড়কে দায়িত্বরত এক পু‌লিশ সদস্য জা‌নান, বুধবা‌রে ঈদ হ‌বে এই টা‌র্গেটে এবং সব প্রতিষ্ঠান আগেই ছু‌টি হ‌য়ে যাওয়ায় মানুষ আগে থে‌কেই বা‌ড়ি‌তে যাওয়া শুরু ক‌রে‌ছিল। ত‌বে মঙ্গলবার গা‌র্মেন্টসের লোকজনসহ অন‌্যান‌্যরা একসঙ্গে রওনা হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বে‌ড়ে‌ছিল। ত‌বে আজ‌কে তেমন মানুষ বা‌ড়ি যাওয়ার নেই। যারা যাওয়ার তারা চ‌লে গে‌ছেন। ফ‌লে মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। একদম ফাঁকা মহাসড়ক।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ জানান, মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। পরিবহনগু‌লো স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তেই চলাচল কর‌ছে। উত্তরবঙ্গগামী মানুষজন স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন। 


আরও খবর



২৫ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে নতুন ঘোষণা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপদাহে দেশের ২৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ‘আবহাওয়া পূর্বাভাস’র ভিত্তিতে খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের সকল জেলার, ঢাকা বিভাগের ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলার, চট্টগ্রাম বিভাগের চাঁদপুর জেলার এবং রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার সকল মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামীকাল শনিবার, ৪ মে ২০২৪ তারিখ বন্ধ থাকবে।

এর আগে, গত ২০ এপ্রিলে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ২৮ এপ্রিল খুলে দেয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে পরের দিন সোমবার হাইকোর্ট দেশের সব প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস বন্ধের নির্দেশ দেন।

হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা আলাদা নোটিশ জারি করে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে সিদ্ধান্ত রয়েছে মাধ্যমিকে পাঠদান চলবে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবারেও। সে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরুর কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় রোববার (৫ মে) থেকেই ক্লাস শুরু করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলএক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোয় প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট সকাল পৌনে ১০টা থেকে থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। তাপ প্রবাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি (প্রাত্যহিক সমাবেশ) বন্ধ থাকবে।

এছাড়াও, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর হতে প্রেরিত রুটিন বিবেচনায় নিয়ে উপজেলা ভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।


আরও খবর



দেশের মানুষ আজ ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ আজ তাদের ন্যূনতম অধিকার থেকেও বঞ্চিত। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য এভাবেই আন্দোলন-সংগ্রাম চলবে।

বুধবার (১ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদল আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, এটা শুধু বিএনপির সংগ্রাম নয়, এটা দেশের মানুষের অস্তিত্বের সংগ্রাম। অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। আরও ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটা সময়ে মে দিবস পালন করছি, যখন দেশটা দৈত্য-দানবের কবলে পড়ে সমস্ত কিছু তছনছ হয়েছে। আমাদের অগণিত নেতাকর্মী সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন, তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

মির্জা ফখরুল সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মে দিবসে দেশের সকল মানুষের কাছে আমরা আহ্বান জানাতে চাই, এখন আর চুপ করে বসে থাকলে চলবে না। আমাদের জেগে উঠতে হবে। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আপনার অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন ও সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়েই জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে আনব। এই হোক আজকের মে দিবসে আমাদের অঙ্গীকার।

সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর