স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০০১-০৬ সালে
সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.
শাহরিয়ার আলম। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় গুলশানে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি
পার্কে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট জঙ্গি সংগঠন জেএমবি
কর্তৃক দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলার ঘটনার ১৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক
লীগ এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬
সালে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের পরে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন
হয়েছে। অপারেশন ক্লিনহার্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগের ২০ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে হত্যা
করা হয়েছে। একটির জন্য মামলা করা যায়নি। কারণ এটার জন্য আলাদা ইনডেমনিটি দেওয়া হয়েছিল
সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে।’
আরও পড়ুন>> সংবিধানের বাইরে কিছু করার নেই ইসির: আলমগীর
আইনমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি
বলেন, ‘বাংলাদেশের সব
দলের কাছে আমার নিবেদন থাকবে, জাতীয় সংসদেও আমরা এ কথাটি বলবো, অপারেশন ক্লিনহার্টের
সময় যেসব পরিবারের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে তাদের মানবাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। অপরাধী
হয়ে থাকলে তারও কিন্তু আইনের আশ্রয় নেওয়ার সুযোগ আছে। যত দাগি আসামি হোক না কেন তার
পক্ষে যদি কেউ না-ও দাঁড়ায়, সরকারের দায়িত্ব পড়ে তার পক্ষে উকিল দাঁড় করিয়ে তাকে ডিফেন্স
দেওয়ার।’
তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতার
সূচনা হয়েছিল আসলে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মধ্য দিয়ে। কারণ একটি বড় অংশ পরাজিত
হয়েছিল। তারা চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ যেন আবারো সেই ধর্মান্ধতার দিকে ফিরে যায়।’
‘১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টের যারা কুশীলব, যারা
সম্পৃক্ত ছিলেন, তারা পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্রকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশকে
আবারো ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশে পরিণত করা হবে পাকিস্তানের মতো,’ বলেন তিনি।
নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী জানিয়ে শাহরিয়ার
আরও বলেন, ‘যারা বলছেন যে তারা দেখছেন, তারা সবাইকে দেখছেন। আমরা
শুনেছি, বিএনপি যে কর্মসূচি দিচ্ছে তাদের নেতাকর্মীদের এটা পছন্দ না। তারা লাঠি নিয়ে
ইতোমধ্যে বিভিন্ন জনসভায় উপস্থিত হতে শুরু করেছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাবধান বাণী
উচ্চারণ করতে চাই, কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এই শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশে আমরা হতে দিতে
পারি না। হতে দেবো না। সে বিষয়টিও আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রগুলো ভালো মতো জানেন, তারা দেখছেন।
আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদের সার্বক্ষণিক ওয়াকিবহাল রেখেছি।’