আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

২০২৩ সালে বিশ্বে ৯৯ সাংবাদিক নিহত, ৭৭ জন গাজায়: সিপিজে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

২০২৩ সালে নিহত ৯৯ সাংবাদিকের মধ্যে ৭৭ জন ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে মারা গেছেন। এক দশকের মধ্যে মিডিয়ার জন্য গত এক বছর ছিল সবচেয়ে ভয়ানক বছর। কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্ণালিস্টস বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছে।

সিপিজে বলেছে, সোমালিয়া এবং ফিলিপাইনে প্রাণহানি স্থিতিশীল থাকলেও বিশ্বব্যাপী সাংবাদিকদের হত্যার ঘটনা বছরের পর বছর কমে যেত যদি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে ৭৭ সাংবাদিকের মৃত্যু না হতো। ২০১৫ সালের পর থেকে এটা সর্বোচ্চ এবং ২০২২ সালের পরিসংখ্যানে প্রায় ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সিপিজে বলেছে ডিসেম্বর ২০২৩ সালের এক রিপোর্টে দেখা গেছে, একটি দেশে সারা বছরে যত বেশি সাংবাদিক মারা গেছে, ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের প্রথম তিন মাসে তার চেয়ে বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষে নিহত ৭৭ সাংবাদিকের মধ্যে ফিলিস্তিনেরই ৭২ জন। তিনজন লেবানিজ ও দুইজন ইসরায়েলিও রয়েছেন। সিপিজে প্রধান নির্বাহী জোডি গিন্সবার্গ বলেছেন, গাজার সাংবাদিকরা যুদ্ধের সামনের সারিতে ছিলেন।

এই যুদ্ধে ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের যে বিশাল ক্ষতি হয়েছে তা শুধু ফিলিস্তিনি অঞ্চলে নয়, এই অঞ্চলে এবং তার বাইরেও সাংবাদিকতার জন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে। নিহত প্রতিটি সাংবাদিক বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের বোঝার জন্য আরও একটি দূর্ভাগ্য।

৭ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা সংস্থা বলেছে, গাজা সংঘাতে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ৮৫ জনে দাঁড়িয়েছে। 

আরও পড়ুন>> ইমরান খানের স্ত্রীকে অ্যাসিড খাওয়ানোর অভিযোগ

সিপিজে এর আগে ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক সাংবাদিকদের ওপর নিপীড়ন বলে সমালোচনা করেছে এবং গাজা সংঘাতে নিহত এক ডজন সাংবাদিককে ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলি সেনারা টার্গেট করেছে কিনা তা তদন্ত করছে। যা ছিল একটি যুদ্ধাপরাধ

ইসরায়েলি সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে এএফপি-এর তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামাস হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা চালালে প্রায় ১,১৬০ জন নিহত হয়। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। সবচেয়ে ভয়াবহ হামলায় হামাস যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে এবং তাদের মধ্যে প্রায় ২৯ জনকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হামাস নিয়ন্ত্রিত ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক সামরিক অভিযানে অন্তত ২৮,৫৭৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।


আরও খবর



দুবাই বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছালো এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

জিম্মিদশা থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছেছে। জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী বৈশ্বিক সংস্থা মেরিন ট্রফিক এ তথ্য জানিয়েছে।

মেরিন ট্রফিক ডটকম সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাতে এমভি আবদুল্লাহ ওমান সাগর পাড়ি দিয়ে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে। অবস্থান ও গতিবেগ অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় রোববার (২১ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছায়।

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুজন ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সোমালিয় দস্যুরা গত ১২ মার্চ বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে জাহাজটি জিম্মি করা হয়। এর ৩২ দিন পর গত ১৪ এপ্রিল জাহাজটি মুক্ত করে দেয় জলদস্যুরা। এরপরই সেটি সোমালিয়া উপকূল থেকে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। জাহাজটি ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা পরিবহন করছে।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে চট্টগ্রামভিত্তিক কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ নামের জাহাজটি জিম্মি করা হয়েছিল। এতে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হন জাহাজের ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু।


আরও খবর



মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস, তীব্র তাপদাহে আরও পাঁচ মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহে জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। তাপপ্রবাহ সঙ্গী করে গতকাল বৃহস্পতিবার চলতি মৌসুমের আরও একটি উষ্ণ দিন পার করল ৪৫ জেলার মানুষ। এ অবস্থায় গতকাল থেকে সারাদেশে চলছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তিন দিনের হিট অ্যালার্ট। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বাড়বে। আগামী তিন দিনে তাপমাত্রা খুব একটা বাড়বে না, গরমও খুব একটা কমবে না। তবে এবারের তাপপ্রবাহের পর একটু একটু করে বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলে আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা। আগামী মাসের শুরুতে বৃষ্টি হলেও তাতে তাপমাত্রা কতটা কমে, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। এ অবস্থায় গরম থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির প্রার্থনা করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নামাজ আদায় করা হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত ৩০ বছরের মধ্যে এবারের এপ্রিল উষ্ণতম।

এই বর্ষাপূর্ব মৌসুমে দেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। খুলনায় গতকাল ২৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।

উষ্ণতম এপ্রিল

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই এপ্রিলে ঢাকার তাপমাত্রা গত ৩০ বছরের একই সময়ের গড়ের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস। তবে স্বাধীনতার পর এবারের এপ্রিলই সবচেয়ে উষ্ণ যাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়েও চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রার গরম অনুভূত হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট তারিখে একটি স্থানের গড় তাপমাত্রা ৩০ বছরের তাপমাত্রার গড় করে গণনা করা হয়।

ঢাকা শহরে গতকাল গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে রেকর্ড হয়েছে ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গড় তাপমাত্রা হলো ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল নিনোর প্রভাবে এ তাপপ্রবাহ সৃষ্টি হয়েছে, যা বর্তমানে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রভাব ফেলছে এবং এটি এ মাসের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনায় তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছে এবং সেই সঙ্গে তাপদাহের স্থায়িত্বকালও বেড়েছে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটি প্রতীয়মান হচ্ছে, ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন ও হার বেশি পেতে যাচ্ছি।

এপ্রিল উষ্ণতম মাস হওয়ায় বরাবরই এ সময়ে দেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে উল্লেখ করে অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, এটি অস্বাভাবিক নয়। এবার টানা দুই সপ্তাহ তাপপ্রবাহ থাকায় ও বৃষ্টিহীন পরিস্থিতি বিরাজ করায় গরমের অনুভূতি বেড়েছে। জলীয় বাষ্পের পরিমাণটা বেশি, যে কারণে অস্বস্তি বেশি হচ্ছে। স্বাভাবিক যা থাকার কথা, তার চেয়ে ৪ থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা উঠছে বিভিন্ন এলাকায়।

গরমে আরও ৫ মৃত্যু

সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য বলছে, গত বুধবার রাত থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে গরমের কারণে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে নিজ কক্ষে দায়িত্ব পালনকালে প্রচণ্ড গরমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিঙ্ক লিমিটেডের ট্রাফিক পরিদর্শক রুহুল আমিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকদের ধারণা, অতিরিক্ত গরমে হার্ট অ্যাটাকে রুহুল আমিন মারা গেছেন।

এর আগে বুধবার রাতে পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে মারা যান রতন কর্মকার (৫৮) নামে এক স্বর্ণকার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে, হিট স্ট্রোকে রতন কর্মকার মারা গেছেন।

একই রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গরমে মারা গেছে ঋতু সুলতানা নামের এক শিক্ষার্থী। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে রোদের মধ্যে ঋতু মায়ের সঙ্গে ধান শুকানোর কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাত আড়াইটার দিকে ঋতু প্রচণ্ড অস্বস্তি বোধ করলে তার বাবা স্থানীয় একজন গ্রাম্য চিকিৎসককে নিয়ে আসেন। এর আগেই ঋতু মারা যায়।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বুধবার রাতে তীব্র গরমে নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে মারা যান ফাতেমা বেগম (৫৭)। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ফাতেমা দীর্ঘদিন ধরে হাইপার টেনশনের রোগী। চিকিৎসকদের ধারণা, হিট স্ট্রোকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকার পিলখানার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রব স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী জেবীন (১৬) প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

বৃষ্টি হবে কবে

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ২৯ এপ্রিলের দিকে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে এখন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, তাতে আগামী মাসের শুরুতে মোটামুটি ভালোই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এবার বৃষ্টি শুরু হতে পারে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল দিয়ে। ফলে গরম খুব একটা কমবে না। তবে তাপমাত্রা আর বাড়বে না, এটি বলা যায়।


আরও খবর
ফের বাড়ছে হিট অ্যালার্টের মেয়াদ

শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪




নকলা ইউএনও'র বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী তথ্য সরবারাহের সহযোগিতা না করে তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করায় শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন-এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তথ্য কমিশন।

এই সিদ্ধান্ত তথ্য কমিশন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। সুপারিশ বাস্তবায়নের দায়িত্ব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের।

এর আগে, তথ্য চাইতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড পাওয়া দেশ রূপান্তরের শেরপুরের নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে অসহযোগিতার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তথ্য কমিশনের তলবে আজ মঙ্গলবার সকালে হাজির হন নকলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া উম্মুল বানিন।

আজ সকাল সোয়া ১০টায় তিনি তথ্য কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হন। বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশনের কার্যালয়ে ব্যাখ্যা দেন তিনি। ব্যাখ্যা দেওয়া শেষে বেলা পৌনে ১টার সময় বেরিয়ে আসেন তিনি। এ সময় সাংবাদিকরা তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান এবং তার হাতে থাকা ফাইল দিয়ে মুখ আড়াল করে দ্রুত হেঁটে বাইরে অপেক্ষারত সিএনজিতে গিয়ে ওঠেন।

সিএনজিতে উঠে ইউএনও বানিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, যা বলার আমি তথ্য কমিশনকে বলেছি। আমি কোনো ক্ষমতার অপব্যবহার করিনি। তিনি (রানা) অপরাধ করেছিলেন বলে তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ফাইল ধরে টানাটানি ও একজন নারীকে উত্ত্যক্ত করেছিলেন তিনি।

এসময় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, সন্তান সাথে থাকা অবস্থায় অন্য কোনো নারীর সঙ্গে অসম্মানজনক আচরণ করা যায় কি-না। এমন প্রশ্নের উত্তরে চুপ হয়ে যান ইউএনও সাদিয়া উম্মুল বানিন।


আরও খবর



পানি উন্নয়ন বোর্ডে যোগ দিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা, নকশা ও গবেষণা) পদে যোগদান করেছেন প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম। এর আগে তিনি প্রধান প্রকৌশলী (পুর) হিসেবে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, বাপাউবো রাজশাহীতে কর্মরত ছিলেন।

তিনি ১৯৮৯ সালে তৎকালীন বিআইটি বর্তমানে (রুয়েট), রাজশাহী থেকে বিএসসি ইন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে সহকারী প্রকৌশলী (পুর) পদে যোগদান করেন।

পরবর্তী সময়ে তিনি উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলী পদে বোর্ডের বিভিন্ন দপ্তরে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।


আরও খবর



ঢাবির কোয়ার্টার থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহবাগ থানার ফুলার রোডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক কোয়ার্টারে আদ্রিতা বিনতে মোশারফ (২১) নামে এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তিনি ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

রোববার (৩১ মার্চ) ভোরে দক্ষিণ ফুলার রোডের ১৯ নম্বর ভবনের তৃতীয় তলায় এই ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৭টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাজিরুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ভোরে ফুলার রোডের আবাসিক কোয়ার্টারের ওই বাসায় গিয়ে দেখি বিছানায় শায়িত অবস্থায় রয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। তখন তার পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষের চিকিৎসক জানান তিনি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও জানান, কি কারণে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়ে পরিবার তেমন কিছুই জানাতে পারেনি। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

তার বাড়ি কুমিল্লার লাকসাম থানার মজলিশপুর গ্রামে। আদ্রিতার বাবা অধ্যাপক ড. মোশারফ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষক। বাবা মায়ের সঙ্গেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে থাকতেন তিনি।


আরও খবর