আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

২০২৪ সালে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ছুটির তালিকা প্রকাশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় দেখা গেছে, শুক্রবার ছাড়া এ বছর আরও ২২ দিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ (ডিএফআইএম) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ছুটির এ তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ছুটির এ তালিকা মোতাবেক, ২০২৪ সালে উৎসব ও বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে মোট ২২ দিন সরকারি ছুটি থাকবে। এ ছাড়া ব্যাংক হলিডে উপলক্ষে ১ জুলাই এবং ৩১ ডিসেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হবে না। সব মিলিয়ে আগামী বছর আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২৪ দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে আবার ২ দিন পড়েছে সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার।

 ২০২৪ সালের ছুটির তালিকার মধ্যে রয়েছে: ২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত, ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ৫ এপ্রিল জুমাতুল বিদা, ৭ এপ্রিল শবে কদর, ১০ থেকে ১২ এপ্রিল ঈদুল ফিতর, ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ, ১ মে মহান মে দিবস, ২২ মে বুদ্ধ পূর্ণিমা (বৈশাখী পূর্ণিমা), ১৬ থেকে ১৮ জুন ঈদুল আজহা, ১ জুলাই ব্যাংক হলিডে, ১৭ জুলাই পবিত্র আশুরা, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, ২৬ আগস্ট জন্মাষ্টমী, ১৬ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), ১৩ অক্টোবর দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড় দিন) এবং ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক হলিডে।

এসব দিবস ও তারিখে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং কোনো লেনদেন হবে না।

তবে ধর্মীয় বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে আগামী বছরের ছুটির তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া হলেও চাঁদ দেখার ওপর এটি পরিবর্তন করা হতে পারে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশে কার্যরত সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

নিউজ ট্যাগ: বাংলাদেশ ব্যাংক

আরও খবর
এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ রোববার

শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩




ইসরাইল থেকে ৯ দেশের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশ্বের ৯টি দেশ ইসরাইলে নিযুক্ত নিজেদের রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অবশ্য এ তালিকায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে দুটি দেশ। দেশ দুটি হলো- চাদ ও দক্ষিণ আফ্রিকা।কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন এ খবর দিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশগুলো হলো- বাহরাইন, বলিভিয়া, চাদ, চিলি, কলাম্বিয়া, হন্ডুরাস, জর্ডান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও তুরস্ক। এর মধ্যে ইসরাইলের সঙ্গে সব রকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলিভিয়া।

এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, ইসরাইলের হামলা জোরদার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের জন্য কবরস্থানে পরিণত হচ্ছে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর দিয়েছে। 

আরও পড়ুন>> অবরোধে বেড়েছে ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি

তিনি বলেছেন, প্রতি ঘণ্টা পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানবিক অস্ত্রবিরতির প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি বাড়ছে।

এর আগে এক যৌথ বিবৃতিতে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো জানায়, গাজা এবং ইসরাইলে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাকাণ্ড ভয়াবহ। গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলা জোরদার হয়েছে। যদিও ইসরাইল দাবি করছে, হামাসের অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু কমানোর চেষ্টা করছে তারা।


আরও খবর



বিশ্বমানের চলচ্চিত্র তৈরির আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সিনেমা যাতে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি অর্জন করতে পারে সেজন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে বৈশ্বিক মান বজায় রেখে মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি বলেন, চলচ্চিত্র শিল্পী, পরিচালক এবং প্রযুক্তিবিদদের উন্নত প্রশিক্ষণ নিয়ে আরও মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণ করা উচিত যাতে আমাদের সিনেমা বিশ্ব মানের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। জাতির পিতার ছোট কন্যা এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বমানের চলচ্চিত্র যাতে নির্মাণ হয় সেই পদক্ষেপ আপনারা নেবেন, সেটাই আমি চাই। এ সময় তাঁর সরকার বিশ্বমানের আধুনিক এফডিসি কমপ্লেক্স নির্মাণ করে দিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, আমরা চাই, আমাদের চলচ্চিত্র দেশের অঙ্গন ছাড়িয়ে বিদেশেও সমাদৃত হোক। তিনি এই বিষয়টিতেও নজর দেওয়ার জন্য চলচ্চিত্র শিল্পী, কলা-কুশলী সকলের প্রতি আহ্বান জানান। কেননা মানুষের জীবনে যেহেতু স্বচ্ছলতা এসেছে এবং তারা বিনোদনের দিকেও ঝুঁকছে কাজেই তাদের জন্য বিনোদনের ক্ষেত্রটাও আপনারা তৈরী করে দিতে পারেন।

তিনি বলেন, আমাদের যারা চলচ্চিত্র অঙ্গনের ভাইবোনেরা এখানে আছেন, বিভিন্ন চলচ্চিত্র নির্মাণ করছেন তাদেরকে আমি বলবো আপনারা একটু নজর দিলে সমাজের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে যে ভাল ভাল চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যায় ইতোমধ্যেই আপনারা প্রমাণ করেছেন। ইদানিং কালে নির্মিত অনেক চলচ্চিত্রই মান সম্পন্ন এবং পারিবারিক বিনোদন ধর্মী বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন-২০২৩ তাঁর সরকার পাশ করে দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা মনে করি যে আইনের বলে চলচ্চিত্র শিল্পে মাননির্নয়ের ব্যবস্থাও সন্নিবেশিত হবে। আমরা চাই না যে আমাদের দেশে অশ্লিল চলচ্চিত্র বা পাইরেসি চলুক।

তিনি বলেন, আমাদের সকলেরই যে মেধা আছে সেই মেধা কাজে লাগিয়ে ভাল চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যায়। সে ব্যবস্থাটা যাতে হয় সেটাই আমরা চাই।

এ সময় ফিল্ম আর্কাইভ ভবন এবং ১৬ তলা আধুনিক তথ্য ভবন নির্মাণসহ সরকারের চলচ্চিত্র ও গণমাধ্যম উন্নয়নের বিভিন্ন পদক্ষেপও তুলে ধরেন এবং প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, সরকার যে ট্রেনিং ইনস্টিটিউট করে দিয়েছে সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নেওয়া যেতে পারে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বিষয়টিতে যাতে মন দেন।

তিনি শিশুতোষ চলচ্চিত্র নির্মাণ বৃদ্ধি করার ওপর গুরুত্বারোপ করে এজন্য তাঁর সরকার প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা দেবে বলে জানান।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বিজয়ী শিল্পী ও কলাকুশলীদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২২ তুলে দেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু। স্বাগত বক্তব্য রাখেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবির খন্দকার। আজীবন সম্মাননা প্রাপ্ত শিল্পি রোজিনা অনুষ্ঠানে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

এরআগে গত ৩১ অক্টোবর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ২৭টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা অনেক ত্যাগের ফসল। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই অর্জন। আমাদের অনেক শিল্পী কলা-কুশলীরাও তখন যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, একটি দেশের সমাজকে চলচ্চিত্র অনেক বেশি সচেতন করতে পারে। আনন্দ দিতে পারে আবার সংস্কারও করতে পারে। ইতিহাসকে ধরে রাখতে পারে। প্রেরণা দিতে পারে মানুষকে। জাতি গঠনে ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে পারে।

তাঁর সরকার ২০১২ সালের ৩ এপ্রিল এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাণ, বিতরণ ও প্রদর্শনসহ সংশ্লিষ্ট সকল কাজকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা দেয়, যাতে, এটা শিল্প হিসেবেই গড়ে ওঠে এবং অন্যান্য শিল্প যে সুযোগ-সুবিধা পায় এটিও সেগুলো পেতে পারে। আর জাতীয় শিল্প নীতির আওতায় চলচ্চিত্র শিল্প ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে। সরকার সময়ের সাথে তাল মেলাতে চলচ্চিত্র সংসদ নিবন্ধন আইন-২০১১ এবং জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা-২০১৭, এবং যৌথ প্রযোজনা চলচ্চিত্র নীতিমালা-২০১৭-ও প্রণয়ন করেছে।

একদা গ্রাম বাংলায় একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত সিনেমা শিল্প প্রদর্শনের হলগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি হল মালিকদের সঙ্গে এনিয়ে বৈঠক করে সিনেমা হলের উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন উল্লেখ করে বলেন, সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতায় ১ হাজার কোটি টাকার তহবিলও গঠন করে দিয়েছে। জেলা পর্যায়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণেরও পদক্ষেপ ও গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, সিনেমা শিল্প যেন মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে এবং মানুষ যাতে বিনোদনের সুযোগ পায় সেজন্য তাঁর সরকারের এই পদক্ষেপ কেননা দেশের মানুষের আয় বেড়েছে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। কাজেই এই বিনোদনের ক্ষেত্রটাও যেন আরো প্রসারিত হয় সেদিকেই তাঁর সরকার বিশেষ দৃষ্টি দিচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই এদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের গোড়াপত্তন ১৯৫৬ সালে যখন তিনি মন্ত্রী ছিলেন তখন। সেকথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পূর্ব পাকিস্তান ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (ইপিএফডিসি) বিল, যা বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালের ২৭ মার্চ অস্থায়ী আইনসভায় উত্থাপন করেছিলেন এবং একই বছরের ৩ এপ্রিল পাস হয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছর ধরে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে নির্মিত মুজিব বায়োপিক মুজিব: একটি জাতির রূপকার নির্মাণে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে তিনি ধন্যবাদ জানান। ছবিটি সারাদেশে এবং ভারতে বাংলা ও হিন্দি উভয় ভাষায় মুক্তি পেয়েছে এবং ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে।

শেখ হাসিনা এর নির্মাতা বিখ্যাত ভারতীয় পরিচালক শ্যাম বেনেগালসহ সিনেমায় সংশ্লিষ্ট অভিনয় শিল্পি-কলা কুশলীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে  আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা করেন এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে। কেননা জাতির পিতার জীবনী মানেই বাংলাদেশের ইতিহাস। কেউ বাঁশির ফুঁ দিল আর বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল এমনটা হয়নি। এর পেছনে রয়েছে ২৩ বছরের সংগ্রামের ইতিহাস।

তিনি এ সময় এই বায়োপিকসহ জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এবং পরবর্তী সময়ে জাতির পিতাকে নিয়ে নির্মিত বিভিন্ন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, প্রামাণ্য চিত্র এবং এনিমেশেন ফিল্ম বা শিল্পকর্মের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা পরে দর্শক সারিতে বসে চলচ্চিত্র শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।


আরও খবর
নবম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




সন্ত্রাস বিরোধী আইনে 'আনসার আল ইসলাম' জঙ্গি সংগঠনে সদস্যের সাজা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মো. বায়জিদ বিন মাসুদ (২৫) নামে এক যুবককে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে লক্ষ্মীপুরের আদালত। একই সাথে তার তিন হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ দিয়েছেন। রায়ের সময় দণ্ডপ্রাপ্ত বায়জিদ আদালতে উপস্থিত ছিল, তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরআগে জামিনে ছিলেন তিনি।

বায়জিদ নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন 'আনসার আল ইসলাম' এর সদস্য। সে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের গঙ্গাশিবপুর গ্রামের মাসুদ আলমের ছেলে।

আদালত ও মামলা সূত্র জানায়, বায়জিদ বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে নামে-বেনামে আইডি খুলে জঙ্গি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান করতো। সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ বিরোধী পোস্ট দিত। বিভিন্ন বক্তাদের বক্তব্যে শুনে জিহাদের পথে উদ্বৃত্ত হতো বায়জিদ। দেশের সংবিধান এবং সরকারকে স্বীকার করতো না। দেশ ও রাস্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিল সে। র‍্যাবের গোয়েন্দা সদস্যরা তার উপর নজরদারি করে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩ এর সদস্যরা ২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল দিবাগত রাতে বায়জিদকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তার মোবাইল ফোনটি জব্দ করে র‍্যাব। ফোনের মধ্যে থেকে দেশ বিরোধী ও জিহাদী কর্মকাণ্ডের তথ্য পায় র‍্যাব। পরিদন র‍্যাব-৩ এর নায়েক সুবেদার (ডিএডি) মো. মনির উদ্দিন বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় বায়জিদকে আসামী করে অজ্ঞাত আরও ৩ থেকে ৪ জনকে আসামী করে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

মামালটি তদন্ত করে বায়জিদকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেন চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিকাশ চক্রবর্তী।

আদালত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে বায়জিদের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন।

জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

ব্রিফিংয়ে প্রশ্নকারী বলেন, বাংলাদেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছেন। সরকার এক অর্থে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। বিএনপির মহাসচিব, দলটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ আট হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর বিক্ষোভ শুরুর পর অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বিরোধী দলের সদস্যদের আগুনে ফেলতে বা তাঁদের হাত পুড়িয়ে দিতে। যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকবে? একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচন আয়োজনে বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর পক্ষে কি যুক্তরাষ্ট্র থাকবে?

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এ বিষয় মনে রাখা জরুরি যে বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না। তারা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রতি পক্ষপাত দেখান না। এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ জানুয়ারির নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে যাওয়া। সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজসহ অন্য অংশীজনদের সঙ্গে যথাযথভাবে সম্পৃক্ত হওয়া। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানানো।


আরও খবর
নবম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




গরুর মাংসের কেজি ৫৯৫ টাকা, ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহজাহানপুরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫৯৫ টাকায়। সকাল থেকে বাজারের ব্যাগ হাতে অনেককেই লাইনে দাড়িয়ে মাংস কিনতে দেখা গেছে।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর শাহজাহানপুরের খলিল গোস্ত বিতানের সামনে ক্রেতারা লাইন ধরে ক্রয় করছেন মাংস।

দোকানের সামনেই গরু জবাই করে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দোকানে তোলা হচ্ছে। আর মুহূর্তের মধ্যেই আস্ত গরুর মাংস শেষ হয়ে যাচ্ছে। সরজমিন দেখা যায়, উত্তর শাহজাহানপুরের খলিল ফার্নিচার গার্ডেনের পাশের ছোট দোকান ঘিরে মানুষের উপস্থিতি।

আকলিমা নামে এক ক্রেতা বলেন, ভিড় একটু বেশি কিন্তু অরিজিনাল মাংস পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য বাজারগুলোতে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা দাম চাওয়া হয়। এখানে মাত্র ৫৯৫ টাকায় মাংস পাওয়া যাচ্ছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের জন্য এটি উপযোগী।

স্বল্প দামে মাংস কিনতে পেরে খুশি আহমান হোসেন। তিনি বলেন, ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় দাঁড়িয়ে থেকে মাংস কিনেছি। এখানে অল্প দামে ভালো মাংস পাওয়া যাচ্ছে। বাইরে দামও বেশি আবার কোন মাংস দিচ্ছে সেটিও আমরা দেখতে পাচ্ছি না। এখানে আমাদের চোখের সামনেই গরু জবাই হচ্ছে, সেই মাংসই সরাসরি কেটে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই নিশ্চিন্তে বাড়ি নিতে পারছি। আমার মনে হয় ব্যবসায়ীরা এমন উদ্যোগ গ্রহণ করলে তারাই লাভবান হবেন।

দোকানের কর্মচারী আখতার হোসেন বলেন, প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টির মতো গরু জবাই হচ্ছে। ডিসকাউন্ট দেওয়ার পর মানুষের উপস্থিতি অনেক বেশি। মাংসের সর্বনিম্ন বা সর্বোচ্চ কোনো লিমিট নেই। ১ কেজি নেওয়ার জন্য কেউ এলেও তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ১০০ থেকে ১৫০ টাকার মাংস অনেকে নিয়ে থাকেন। এই কার্যক্রমের ফলে গরিব মানুষও মাংস খেতে পারছেন। আমরাও সকাল থেকে ব্যস্ত সময় পার করছি।

তিনি বলেন, সপ্তাহব্যাপী অফারের আজ চতুর্থ দিন। স্বাভাবিক সময় ৮০০ টাকা কেজি দরে এ মাংস বিক্রি করা হয়।

খলিল গোস্ত বিতানের মালিক খলিল হোসেন বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। ব্যবসা কম করে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে এই কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। যতক্ষণ সামর্থ্য হবে ততক্ষণ আমরা এই কার্যক্রম চালিয়ে যাব।


আরও খবর
এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ রোববার

শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩