আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

২১ অক্টোবর: ইতিহাসের এই দিনে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ অক্টোবর 20২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ অক্টোবর 20২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
জেনে নিন ইতিহাসের আজকের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী, জাতীয় দিবস সমূহ এবং এই দিনে কোন কোন বিশিষ্টজন জন্মগ্রহণ ও মৃত্যু বরণ করেছেন

২১ অক্টোবর গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ২৯৪তম (অধিবর্ষে ২৯৫তম) দিন। বছর শেষ হতে আরো ৭১ দিন বাকি রয়েছে। জেনে নিন ইতিহাসের আজকের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী, জাতীয় দিবস সমূহ এবং এই দিনে কোন কোন বিশিষ্টজন জন্মগ্রহণ ও মৃত্যু বরণ করেছেন।

 

ঘটনাবলি

    ১২৯৬ - আলাউদ্দিন খিলজি দিল্লির সিংহাসনে আরোহণ করেন।

    ১৮০৫ - ট্রাফলগারের যুদ্ধ শুরু হয়েছিলো। জিব্রাল্টার প্রণালীর কাছে এই যু্দ্ধে ব্রিটেনের নৌ সেনারা লড়েছিলো ফ্রান্স এবং স্পেনের যৌথ নৌ বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধে এডমিরাল লর্ড হোরেশিও নেলসনের নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ বাহিনী জয়লাভ করে এবং এই বিজয়কে উনিশ শতকে ব্রিটেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিজয় বলে মনে করা হয়।

    ১৮৫৭ - ব্রিটিশ সরকার কলকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজ স্থাপনের প্রস্তাব গ্রহণ করে।

    ১৯৪৩ - সুভাষচন্দ্র বসু সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ সরকার প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেন।

    ১৯৫০ - চীনা সেনারা তিব্বত দখল করে।

    ১৯৫৫- পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের চতুর্থ কাউন্সিলে দলের নাম থেকে 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দেয়া হয়।

    ১৯৬৯ - উইলি ব্রান্ট পশ্চিম জার্মানির চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন।

    ১৯৮০ - খুলনা কারাগারে পুলিশি অভিযান: ৩৫ জন বন্দি নিহত, ২৪ জন জিম্মি উদ্ধার করা হয়।

    ১৯৮৪ - বাংলাদেশে এসিড নিক্ষেপের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নির্ধারণ করা হয়।

    ১৯৯১ - সোভিয়েট ইউনিয়নের নতুন গঠিত সর্বোচ্চ সোভিয়েটের (সংসদের) প্রথম অধিবেশন ক্রেমলিন ভবনে উদ্বোধন হয়।

    ১৯৯৩ - সাইপ্রাসের রাজধানী নিকোসিয়ায় ৫০ জাতি কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের ৫ দিনব্যাপী (২১-২৫ অক্টোবর) দ্বিবার্ষিক সম্মেলন শুরু।

    ২০০১ - এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার ( এপেকের ) নেতাদের নবম অনানুষ্ঠানিক সম্মেলন চীনের শাংহাইয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রদর্শনী ভবনে অনুষ্ঠিত হয়, চীনের প্রেসিডেন্ট চিয়াং চেমিন সম্মেলন পরিচালনা করেন ।

 

জন্ম

    ১৫৮১ - দমেনিকো জাম্পিয়েরি, গুরুত্বপূর্ণ ইতালীয় বারোক চিত্রশিল্পী ছিলেন।

    ১৭৬০ - জাপানের চিত্রশিল্পী কাতুশিকো জোকুসাই।

    ১৭৭২ - স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজ, ইংরেজ কবি, দার্শনিক এবং সমালোচক।

    ১৮৩৩ - আলফ্রেদ নোবেল, একজন সুয়েডীয় রসায়নবিদ, প্রকৌশলী, উদ্ভাবক এবং অস্ত্র নির্মাতা।

    ১৮৪৯ - রাজকৃষ্ণ রায় বিশিষ্ট নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক।

    ১৮৫১ - জর্জ ইউলিট, বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।

    ১৮৬৮ - সামরিক ট্যাংকের উদ্ভাবক আর্নেস্ট ডানলপ সুইনটন।

    ১৮৯৫ - এডনা পারভায়েন্স, মার্কিন নির্বাক চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।

    ১৯০০ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী লীলা নাগ।

    ১৯২৮ - শঙ্করীপ্রসাদ বসু খ্যাতকীর্তি গবেষক ও ছাত্রপ্রিয় অধ্যাপক।

    ১৯২৯ - উরসুলা কে. লে গুইন, আমেরিকান লেখক এবং সমালোচক।

    ১৯৩১ - শাম্মী কাপুর, ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্প জগতের নায়ক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক ছিলেন।

    ১৯৩১ - জিম পার্কস, সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা।

    ১৯৩৩ - ফ্রান্সিস্কো হেন্তো, একজন প্রাক্তন স্পেনীয় ফুটবল খেলোয়াড়।

    ১৯৪০ - জিওফ্রে বয়কট, বিখ্যাত ও সাবেক ইংরেজ ক্রিকেট তারকা।

    ১৯৪২ - ক্রিস্টোফার আলবার্ট সিমস, একজন আমেরিকান অর্থনীতিবিদ।

    ১৯৪৩ - তারিক আলি, পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রকার।

    ১৯৪৯ - বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, ইসরাইলের নবম প্রধানমন্ত্রী।

    ১৯৫৬ - ক্যারি ফিশার, আমেরিকান অভিনেত্রী এবং চিত্রনাট্যকার।

    ১৯৫৭ - ভোল্‌ফগাং কেটার্লে, একজন জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী।

    ১৯৫৮ - আন্দ্রেঁ গেইম, একজন ইহূদী রাশিয়ান বংশোদ্ভূত ডাচ পদার্থবিজ্ঞানী।

    ১৯৬৭ - পল ইন্স, ইংল্যান্ড জাতীয় দলের নেতৃত্ব দেয়া প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়।

    ১৯৭১ - ড্যামিয়েন মার্টিন, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার।

    ১৯৮০ - কিম কার্দাশিয়ান, মার্কিন রিয়েলিটি টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, অভিনেত্রী, সমাজকর্মী, ব্যবসায়ী মহিলা এবং মডেল।

    ১৯৮১ - নেমানজা ভিডিচ, সার্বীয় ফুটবল খেলোয়াড়।

 

মৃত্যু

    ১৯০৪ - ইসাবেল এর্বার্হাডথ, একজন জ্ঞানান্বেষী নারী এবং লেখক।

    ১৯৩১ - অস্ট্রেলীয় নাট্যকার ও ঔপন্যাসিক আর্টুর শনিটসল।

    ১৯৬৬ - সুধীশ ঘটক, বাঙালি চিত্র পরিচালক ও ক্যামেরাম্যান।

    ১৯৭৫ - ইংরেজ ঐতিহাসিক আর্নল্ড টয়েনবি।

    ১৯৭৬ - ফজিলতুন্নেসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলমান ছাত্রী ও ঢাকা ইডেন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষা।

    ১৯৭৮ - আন্নাসেস মিকোয়াইন, সোভিয়েত ইউনিয়ন সোভিয়েত আর্মেনিয়ান বিপ্লবী, ওল্ড ব্লেশেভিক এবং লেনিন, স্টালিন, খ্রুষ্যাভ এবং ব্রেজেনভ।

    ১৯৮৪ - ফ্রঁসোয়া ত্রুফো, ফরাসি চলচ্চিত্র সমালোচক, পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার ও অভিনেতা।

    ১৯৮৬ - লিওনেল মারফি, একজন অস্ট্রেলীয় রাজনীতিবিদ এবং বিচারক ছিলেন।

    ১৯৯০ - ড্যানি চামাউন, একজন বিশিষ্ট লেবানিয় রাজনীতিবিদ। )

    ১৯৯০ - প্রভাতরঞ্জন সরকার, ভারতীয় দার্শনিক, যোগী, গ্রন্থকার, সামাজিক বিপ্লবী, কবি, সঙ্গীতকার, ভাষাবিদ, প্রত্নতত্ত্ববিদ, ঐতিহাসিক এবং বিজ্ঞানী                ছিলেন।

    ১৯৯৮ - ধীরেন্দ্র নাথ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রখ্যাত মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ও কলকাতার পাভলভ ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা।

    ২০১২ - যশ চোপড়া, ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক।

 

ছুটি ও অন্যান্য

    পুলিশ শহীদ স্মৃতি দিবস (ভারত)


আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

২৫ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪




ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে নেই যানজট

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

এবারের ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে যানজট ছাড়াই চলাচল করছেন যাত্রী ও চালকেরা। ঈদের ক‌য়েক‌দিন আগেও যেই মহাসড়কে চরম ভোগান্তি নিয়ে চলাচল কর‌তে হ‌তো সেই পথ দিয়ে নির্বিঘ্নে গাড়ি চলছে।

ঢাকা থে‌কে ছে‌ড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী প‌রিবহনগু‌লো বি‌রতিহীনভা‌বে চলাচল কর‌ছে। ফ‌লে কোনো ভোগা‌ন্তি বা যানজট ছাড়াই অনায়া‌সে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হচ্ছে মানুষ। একইভা‌বে উত্তরবঙ্গ থে‌কে ছে‌ড়ে আসা ঢাকাগামী প‌রিবহনগু‌লোও স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তে চলাচল কর‌ছে। জেলা প্রশাসন ও পু‌লিশ প্রশাস‌নের সম‌ন্বিত উদ্যো‌গের কার‌ণে এবার স্বস্তি নিয়ে বা‌ড়ি ফির‌ছে সবাই।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল‌ থে‌কে মহাসড়‌কের কোথাও কোনো প‌রিবহ‌নের ধীরগ‌তি বা চাপ দেখা যায়‌নি। ত‌বে গভীররা‌তে প‌রিবহ‌নের চাপ ছিল। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কি‌লো‌মিটারের দুই লে‌নের সড়‌ক নি‌য়ে সবার দু‌শ্চিন্তা থাক‌লেও এতে যান চলাচ‌লে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়‌নি। ওই সড়ক দিয়ে শুধুমাত্র ঢাকা থে‌কে ছেড়ে আসা প‌রিবহনগু‌লো উত্তরব‌ঙ্গের দি‌কে চলাচল কর‌ছে। তবে উত্তরবঙ্গ থে‌কে ছে‌ড়ে আসা ঢাকাগামী প‌রিবহনগু‌লো এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতুর ১৩ কি‌লো‌মিটার সড়‌কে প্রবেশ কর‌তে দেওয়া হয়‌নি। ঢাকাগামী ওই সব প‌রিবহনগু‌লো ভুঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চ‌লিক বিকল্প সড়ক ব্যবহার ক‌রে ঢাকার দি‌কে চলাচল কর‌ছে। এতে য‌দিও প‌রিবহনগু‌লো‌র বাড়‌তি ১৫ কি‌লো‌মিটার সড়ক ঘু‌রে যে‌তে হ‌চ্ছে।

এদি‌কে গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু‌তে টোল আদায় বে‌ড়ে‌ছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় সেতু‌তে ২৯ হাজার ৭৮০‌টি প‌রিবহ‌নের থেকে ২ কো‌টি ৫০ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা টোল আদায় হ‌য়ে‌ছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছে বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পা‌ভেল।

যাত্রীরা বলেন, টাঙ্গাইল অং‌শের মহাসড়‌কে কোথাও কোনো যানজট পাইনি। চির‌চেনা মহাসড়ক এবার ঈদযাত্রায় স্বস্তি দি‌য়েছে। ত‌বে আরও দুইদিন বা‌কি র‌য়ে‌ছে ঈদের। এখনও প্রচুর মানুষ আস‌ছে। মহাসড়‌কের যে অবস্থা তা‌তে যানজট হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম।

বগুড়াগামী এসআই প‌রিবহ‌নের চালক ইয়াকুব আলী বলেন, ঈদের আগে এই সময় মহাসড়‌কে ব্যাপক যানজট থাক‌তো। কিন্তু সড়ক উন্নয়ন আর প্রশাস‌নের হস্ত‌ক্ষে‌পে এবার যানজটমুক্ত। কোথাও কোনো সমস্যা হ‌চ্ছে না। স্বাভাবিক গ‌তি‌তেই গাড়ি চালা‌চ্ছি।

দিনাজপুরগামী হা‌নিফ প‌রিবহ‌নের সুপারভাইজার মোবারক বলেন, যাওয়া এবং আসা‌তে কোথায় কোনো যানজট পাইনি। এলেঙ্গা হ‌তে কিছু অংশ এবং সেতুর আগে কিছু অংশ বাড়‌তি লেন করায় মহাসড়‌কে যানজট হয়‌নি। ত‌বে সেতু‌র টোল প্লাজায় একটু ধীরগ‌তি তৈ‌রি হ‌লেও সেতু পার হ‌তে তেমন সময় লা‌গে‌নি।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ বলেন, এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত কোথাও কোনো পরিবহ‌নের চাপ নেই। স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তেই প‌রিবহনগু‌লো চলাচল কর‌ছে মহাসড়‌কে। প‌রিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখ‌তে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দা‌য়িত্ব পালন কর‌ছে।


আরও খবর



কর্মী হিসেবে অফিসে আপনার আচরণ কেমন হওয়া উচিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

জীবনের তাগিদে অনেকেরই চাকরি করতে হয়। এ কারণে অফিস বা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। কর্মক্ষেত্রে থাকা সব মানুষগুলো এক ধরনের হয় না। এরপরও সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়। কাজের ক্ষেত্রে মতামতে অমিল, দক্ষতায় সাম না হওয়া এবং কারও বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য অনেক সময় বিভেদের সৃষ্টি হয়। এই বিভেদ অনেকে প্রকাশ করেন, আবার কেউ কেউ প্রকাশ করেন না। কিন্তু বিভেদ প্রকাশ হোক বা হোক, মনে বিভেদ থাকলে এ থেকে কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়। ফলে এক বা দুজনের কারণে পুরো টিমে এর প্রভাব পড়ে। এমনকী ব্যক্তিজীবনেও এর প্রভাব পড়ে।

কর্মক্ষেত্রে সবসময় টিম বা অফিসের ইতিবাচক হয়, এমন চিন্তাভাবনা এবং এ উদ্দেশ্যে সবার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। যেকোনো বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করে অগ্রসর হতে হবে। কারও সঙ্গে মতামতের মিল না হলে ভেবে দেখতে হবে, দুজনের মধ্যে কার সিদ্ধান্ত অফিসের জন্য সেরা সুফল বয়ে আনবে। কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের কেমন আচরণ ও ব্যবহার হওয়া উচিতএ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্যারিয়ারবিষয়ক পরামর্শ প্রকাশ করা ওয়েবসাইট কেটি রবার্টস।

সততা: ব্যক্তিগত কিংবা অফিশিয়াল জীবনে সততা সবার ঊর্ধ্বে। কর্মক্ষেত্রে সবসময় খোলামেলাভাবে কাজ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে গোপনীয়, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত বা ক্লায়েন্টের তথ্য অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। কেউ অসৎ আচরণ বা অন্যায় করলে সেটি সহ্য বা সমর্থন করা যাবে না। এমনটা হলে নিজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে হবে।

পরস্পর সম্মান: সবসময় অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব বজায় রাখতে হবে, এমনকি চাপের সময়ও। নিজে কোনো কারণে কোনো কাজের জন্য চাপে বা জটিলতায় থাকা স্বাভাবিক, তাই বলে সহকর্মীদের কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, আঘাত বা অসম্মান করবেন না। হোক সে আপনার সিনিয়র বা জুনিয়র। সবসময় মৌখিক এবং লিখিতভাবে উপযুক্ত ভাষা ব্যবহার করবেন। নিজের ভুল হলে বা কখনো ভুল বোঝাবুঝি হলে ক্ষমাপ্রার্থী হতে হবে এবং অন্যের ব্যক্তিগত মতামতকেও সম্মান করতে হবে।

মিটিং: কর্মক্ষেত্রে অফিসের উন্নয়ন বা নতুন কোনো পদক্ষেপের জন্য মিটিং, আলোচনা সভার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে আগে থেকেই সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এসব মিটিংয়ে সর্বদা সময়মত পৌঁছান। মিটিংয়ে আপনার কী করতে হবে, তা আগে জেনে-বুঝে নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে রাখুন। মিটিংয়ে থাকা সবার কথাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে শুনুন এবং নিজের কোনো মতামত থাকলে তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন।

যোগাযোগ: সহকর্মীদের সঙ্গে সর্বদা স্পষ্টভাবে কথা বলুন এবং কিছুটা সময় লাগলেও এমন ভাষায় উপস্থাপন করুন, যাতে সবাই তা বুঝতে পারে। সবার সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করুন। সহকর্মীদের সঙ্গে অফিশিয়াল ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলা উচিত নয়। অফিসের বাইরে সহকর্মীদের সঙ্গে অফিস সংক্রান্ত গসিপে জড়ানোও ঠিক নয়। সরাসরি বা মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সর্বোচ্চ শালীনতা বজায় রাখতে হবে এবং লিখিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষা নির্বাচনে সতর্ক থাকুন।

টাইম ম্যানেজমেন্ট: অফিসে আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আপনাকে দেয়া কাজটি যথাসময়ে করার চেষ্টা করুন। কখনো বিলম্ব করা ঠিক নয়। প্রয়োজনে কয়েক মিনিট আগে অফিসে পৌঁছান। কোনো কারণ দু-একদিন অফিসে পৌঁছাতে দেরি হতে পারে, তবে সেটি যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়ে যায়। অফিসে গিয়ে কফি পান ও সহকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সব গুছিয়ে ঠিক সময়ে অফিসের কাজ শুরু করুন। কাজের মাঝে চা বিরতি ও দুপুরের খাবার এবং বিরতির সময়সূচি মেনে চলুন। কাজ শেষ হলে যথা সময়ে চলে যান।

অফিসের লক্ষ্য: প্রতিটি অফিসেরই নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য থাকে। সেসব বাস্তবায়নে একেকজন কর্মীর ওপর একেক ধরনের দায়িত্ব দেয়া থাকে। আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আপনি নিজে গুরুত্বসহকারে করার চেষ্টা করুন।

দায়িত্ববান হওয়া: নিজের কাজের জন্য নিজেকেই দায়িত্ব নিতে হবে। যেটি প্রয়োজন সেটি করুন এবং নিজের কাজ অন্যের জন্য রেখে দেবেন না। কোনো কারণে নিজের কিছু ভুল হলে বা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারলে, এটি বিনয়ের সঙ্গে স্বীকার করার অভ্যাস করুন। এ নিয়ে অন্য সহকর্মী বা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান তৈরি করুন। এতে পরবর্তীতে কাজটি শেষ করা আপনার জন্য সহজ হবে।

টিমওয়ার্ক: কর্মক্ষেত্রে সবাইকে নির্দিষ্ট টিমের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এতে প্রায়ই এমন কিছু পরিস্থিতি হয়, যে কাজগুলো আপনার পছন্দের নয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ বাদ রেখে সবার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দলগতভাবে কাজ করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: কর্মক্ষেত্র

আরও খবর



যৌন নিপীড়ন: জবি শিক্ষক সাহেদ বহিষ্কার, চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে অসহযোগিতা করায় ওই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যহতি দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।

উপাচার্য বলেন, যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের দেওয়া রিপোর্টে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী ছাত্রীর দায়ের করা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি এখানে উপাচার্য হয়ে আসার পর আরেকটি তদন্ত বোর্ড গঠন করে দিয়েছি। আশা করি খুব শিগগিরই সেই রিপোর্ট আমরা হাতে পাব।

তিনি আরও বলেন, আইন বিভাগের ছাত্রী অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সাময়িক বহিষ্কার আদেশ নিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সে বিষয়েও সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্যদের জানানো হয়েছে।


আরও খবর



ঈদের আগে এলো না জিম্মি নাবিকদের মুক্তির প্রহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের দিনও কাটাতে হবে জাহাজেই জিম্মি অবস্থায়। বিষণ্নতা, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা তাই আরও জেঁকে বসেছে জিম্মি নাবিক ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। উল্লেখ্য ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের ঈদের আগেও মুক্তি মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে জিম্মি পরিবারের সদস্যরা কাঁদছেন স্বজনদের ঈদের আগেও ফিরে না পেয়ে। আর জিম্মিরা মন খারাপ করে আছেন এক মাসেও মুক্তি না পেয়ে।

জিম্মি নাবিক ও স্বজনদের মন খারাপ করা ঈদের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, এমনটি চায়নি এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ। নাবিকদের জিম্মিদশা শুরুর ৯ দিন পর জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করার পর থেকেই মালিকপক্ষ ঈদের আগেই এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষ করার আশা নিয়ে তৎপর হয়েছিল। বিভিন্ন সময় জাহাজ মালিকপক্ষ এবং সরকারপক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবারও চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পুনরায় বলেন, এম ভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে আলোচনার বেশ অগগ্রতি হয়েছে।

রাষ্ট্র এবং জাহাজ মালিকপক্ষ আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানালেও তা কতদূর হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই জানানো হচ্ছে না। জাহাজ মালিকপক্ষ জানাচ্ছে, মুক্তিপণের টাকা দিয়ে নাবিক ও জাহাজ মুক্তি করতে হবে। কিন্তু মুক্তিপণ কত? কোথায়, কীভাবে তা দিতে হবে? এ ধরনের প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর মিলছে না। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। ফলে একধরনের তথ্য ঘাটতির মধ্যে রয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের পারিবারিক সদস্যরা

তবে ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজ মুক্ত হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হচ্ছে না। এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে ঈদের পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তি পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে। সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কোম্পানি।

এখন আলোচনা কত দূর গিয়ে আটকে গেছে? যার কারণে ঈদের আগেই মুক্তি মিলছে না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনা আটকে নেই। থেমে যায়নি। চলছে। বেশ অগ্রগতিও ঘটেছে। কিন্তু এখানে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হচ্ছে। তাই সময় লাগছে। তিনি বলেন, জাহাজে নাবিকরা ভালো আছে। কিছুটা পানির সংকট থাকলেও তা ক্যাপ্টেন রেশনিং পদ্ধতিতে ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন। নাবিকদের সঙ্গে পরিবার ও জাহাজ মালিকপক্ষের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।

সাধারণ সময়ে নাবিকরা জাহাজ নিয়ে ঈদের সময়ে গভীর সমুদ্রে থাকলে ঈদের নামাজ কীভাবে পড়েন? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে কর্মরত ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ বলেন, গভীর সমুদ্রে নামাজ কসর পড়লে হয়। নাবিকরা সেভাবেই পড়েন। তবে ঈদের সময়ে সাধারণত নিজেদের মধ্যে একজন খুতবা পড়েন এবং জামায়াতে নামাজ আদায় করেন। জাহাজের সহকর্মীরা কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। আর সুযোগ থাকলে পার্টির আয়োজন হয়। জিম্মি জাহাজে বন্দি নাবিকদের ঈদ কেমন হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলদস্যুরা সদয় হয়ে যদি তাদের ঈদের নামাজ পড়তে দেয়, তাহলে তো ভালো কথা। তবে জিম্মি অবস্থায় জাহাজে তো পার্টি করার সুযোগ নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে না। নিজেরা কোলাকুলি করে আনন্দ ভাগাভাগি হয়তো করতে পারবেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাদের মুক্তিই আমাদের কাছে প্রধান বিষয়।

জিম্মি নাবিকদের একজনের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, এখন দুই-তিন দিন পরপরই নাবিকরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। তারা ভালো আছেন। জলদস্যুরা সশস্ত্র পাহারা দিচ্ছে। নাবিকরা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত কয়েক দিনের মধ্যে জাহাজটির নোঙর আর তোলা হয়নি। একই স্থানে আছে। তিনি বলেন, নাবিকরা বুঝতে পারছেন, মালিকপক্ষ জলদস্যুদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অর্থ লেনদেন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি মিলবে না সেটাও তারা বোঝেন। তাই মানসিকভাবে শক্ত থেকে জিম্মিজীবন শেষ করার প্রহর গুনছেন তারা।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




লিটন-জয়-দিপুর ডাক, ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টেস্ট সিরিজে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপাকে বাংলাদেশ দল। দুই ম্যাচের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে টাইগাররা।

শ্রীলংকার বিপক্ষে ৫১১ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৩৭ রানে প্রথম সারির ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ দল।

সাজঘরে ফিরেছেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, আরেক ওপেনার জাকির হাসান, তরুণ ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন ও উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস।

৮.৪ ওভারে ৩৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে গর্তে পড়ে যাওয়া দলকে টেনে তোলার চেষ্টা সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ ও বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের। রোববার তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৪৭ রান।

সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরি হাঁকান শ্রীলংকার দুই তারকা ব্যাটসম্যান ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। প্রথম ইনিংসে তাদের ১০২ ও ১২০ রানের ওপর ভর করে ২৮০ রান করে শ্রীলংকা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ১৮৮ রানেই অলআউট হয় বাংলাদেশ।

৯২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ফের জোড়া সেঞ্চুরি তুলে নেন কামিন্দু মেন্ডিস ও অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪১৮ রান করে শ্রীলংকা।

প্রথম ইনিংসে ১০২ রান করা কামিন্দু মেন্ডিস দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ১৬টি চার আর ৬টি ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ১৬৪ রান করেন। ৯টি চার আর ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০৮ রান করেন প্রথম ইনিংসে ১০২ রান করা অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

এই দুই তারকা ব্যাটসম্যানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে ৫১১ রানের টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে শ্রীলংকা।


আরও খবর