বাংলাদেশকে দারুণ
শুরু এনে দেন অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ফিন
অ্যালেন দুজনকেই ফেরান তিনি। কিন্তু, নাসুম ছাড়া বাকিদের বোলিং ছিল লাগামছাড়া। সঙ্গে
বাজে ফিল্ডিং তো ছিলই। এই সুযোগে বড় পুঁজি পেয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে
বাংলাদেশকে ২১১ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে স্বাগতিকেরা।
আজ রোববার তিন
ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ২১০ রান সংগ্রহ করে
নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বাধিক ৯২ রান করেন ডেভন কনওয়ে।
নিউজিল্যান্ডের
হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন অভিষিক্ত নাসুম।
নাসুমকে দিয়ে
বোলিং ওপেন করায় বাংলাদেশ। নাসুমের করা প্রথম চার বলে কোনো রান নিতে পারেননি মার্টিন
গাপটিল। পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে প্রান্ত বদল করেন। শেষ বলে উইকেটে আসা অভিষিক্ত অ্যালেনকে
নিজের প্রথম শিকার বানান নাসুম।
নাসুমের স্টাম্প
বরাবর করা বলে বোল্ড হন অ্যালেন। অভিষেকে তিক্ততার স্বাদ পেলেন অ্যালেন। এরপর গাপটিলকেও
ফিরিয়ে দেন নাসুম। পাওয়ার প্লে শেষে আবার বোলিংয়ে এসে গাপটিলকে বিদায় করে দিলেন নাসুম।
সাজঘরে ফেরার আগে ২৭ বলে ৩৫ রান করেন যান গাপটিল।
এমন ভালো শুরুর
পর শুধু হতাশা দেখেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে অভিষিক্ত উইল ইয়ংয়ের সঙ্গে শক্ত জুটি
বাঁধেন ডেভন কনওয়ে। ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ান
কনওয়ে। মাঠের চারপাশে খেলেন দারুণ সব শট।
এর মাঝে নাসুমের
শেষ স্পেলে আউট হতে পারতেন কনওয়ে। নাসুমের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানা ঘেঁষে
ক্যাচ তুলে দেন কনওয়ে। সেখানে ছিলেন আরেক অভিষিক্ত শরিফুল ইসলাম। তিনি ক্যাচ ধরেন ঠিকই।
কিন্তু সীমানা দড়িতে পা স্পর্শ হয়ে যায় শরিফুলের। আউটের বদলে হয়ে যায় ছক্কা, তাতে কনওয়েও
পেয়ে যান হাফসেঞ্চুরি। ৩৭ বলে নিজের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন কনওয়ে।
কনওয়ের পর হাফসেঞ্চুরি
করেন ইয়াং। অভিষেক ম্যাচে মাত্র ২৮ বলে ৫০ স্পর্শ করেন এই ক্রিকেটার। হাফসেঞ্চুরির
পর ৫৩ রানের মাথায় তাঁকে সাজঘরে পাঠান মেহেদি হাসান। এরপর শেষের দিকে ফিলিপসকে নিয়ে
নির্ধারিত ওভারে কিউইদের বড় সংগ্রহ এনে দেন কনওয়ে। ম্যাচ শেষে ৯২ রানে অপরাজিত ছিলেন
তিনি। তাঁর ইনিংসে ৫২ বলে ছিল ১১টি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা। ১০ বলে ২৪ রানে অপরাজিত
ছিলেন ফিলিপস।
বল হাতে চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন নাসুম। সমান চার ওভারে ৩৭ রান দিয়ে একটি শিকার করেন মেহেদি হাসান। নাসুমের মতো অভিষেক ম্যাচ ভালো কাটেনি শরিফুল ইসলামের। সবচেয়ে খরুচে বোলিং করেছেন তিনি। ১২.৪০ ইকোনোমিতে চার ওভারে ৫০ রান দিয়েছেন তিনি।