আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

২৩ বছরের সর্বনিম্নে শ্রীলংকার চা রফতানি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ মে ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শ্রীলংকার অন্যতম প্রধান রফতানি পণ্য চা। অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে থাকা দেশটির চা রফতানি গত ২৩ বছরের সর্বনিম্নে নেমেছে। প্রধানত সার আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতকে এর পেছনে দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি দেশটির সরকারি এক প্রতিবেদনে এমন মন্দা পরিস্থিতির চিত্র উঠে এসেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে দ্বীপরাষ্ট্রটি সব মিলিয়ে প্রায় ১৩০ কোটি ডলারের চা রফতানি করেছে। ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর দেশটির চা রফতানি খাত এবারই প্রথম এমন মন্দা পরিস্থিতির মধ্যে পড়ল।

গত বছর শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে সার আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এর বিপরীতে অর্গানিক উপায়ে চাসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য উৎপাদনে জোর দেয়া হয়। সার আমদানি বন্ধের পেছনে প্রধান কারণ ছিল বৈদেশিক মুদ্রা সঞ্চয় করার মাধ্যমে ঋণের বোঝা লাঘব করা। কিন্তু সরকারের এ সিদ্ধান্ত দেশটির জন্য ভালো ফল বয়ে আনেনি। বিশেষ করে চা খাত সরকারের এমন অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্তের বলি হয়। গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চা উৎপাদন এক বছরের ব্যবধানে ১৮ শতাংশ কমে যায়।

শ্রীলংকার শুল্ক বিভাগের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) দেশটির চা রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমে ৬ কোটি ৩৭ লাখ কেজিতে নেমেছে। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে রফতানির পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ৯৮ লাখ কেজি। শুধু তাই নয়, ১৯৯৯ সালের প্রথম প্রান্তিকের পর এটি ছিল সর্বনিম্ন রফতানির রেকর্ড। ওই সময় দেশটি ৬ কোটি ৩ লাখ কেজি চা রফতানি করেছিল। রফতানির পাশাপাশি রফতানি আয়ও কমেছে। জানুয়ারি-মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে শ্রীলংকা চা রফতানি করে ২৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার আয় করে। অথচ গত বছরের একই সময় আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

চা ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান এশিয়া সিয়াকা রফতানি ও আয় কমে যাওয়ার পেছনে কৃষি রাসায়নিক আমদানি বন্ধ করে দেয়াকেই দায়ী করেছে। দেশটির সরকার শতভাগ অর্গানিক কৃষি উৎপাদনের লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

তথ্য বলছে, সার আমদানি বন্ধ ঘোষণার পর থেকেই চা শিল্পসহ কৃষি খাতে এর নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট হয়ে উঠতে শুরু করে। ফলে গত বছরের অক্টোবরে দেশটির সরকার নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিতে বাধ্য হয়। কিন্তু ডলারের মজুদ কমে তলানিতে নেমে আসায় সার আমদানি বাড়াতে ব্যর্থ হয় দেশটি। ফলে নিষেধাজ্ঞা উঠলেও সার সংকট থেকে মুক্তি মেলেনি।

চা শিল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের কারণে শ্রীলংকার প্রায় ১০ শতাংশ চা রফতানি ব্যাহত হয়েছে। যুদ্ধে লিপ্ত দেশ দুটি শ্রীলংকার সুগন্ধিযুক্ত ব্ল্যাক টির প্রধান ক্রেতা। ২ কোটি ২০ লাখ জনসংখ্যার দেশটি পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে খাদ্য, জ্বালানি ও ওষুধের মতো জরুরি পণ্য আমদানিতেও হিমশিম খাচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: শ্রীলংকা

আরও খবর



ফের দেশজুড়ে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হিট অ্যালার্টের (তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা) মেয়াদ আরও ৩ দিন বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

মো. আজিজুর রহমান বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে, এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগ পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



চট্টগ্রামে তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামাল হোসেন সিকদার এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবুল কাশেম প্রকাশ ওরফে জামাই কাশেম ও মো. ইউসুফ ওরফে বাইট্যা কাশেম।

২০ বছর আগে নগরের বালুছড়া এলাকায় সম্পত্তির জন্য আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা করেন দণ্ডিতরা। রায়ের বিষয়টি বৃহস্পতিবার বিকালে দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী আল আমিন।

জানা গেছে, ২০০৪ সালের ৩০ জুন আসামিরা বালুছড়ার বাসায় গিয়ে আপন তিন ভাইবোন সাইফুল ইসলাম, আলমগীর ও মিনু বেগমকে গুলি করে হত্যা করে দণ্ডিতরা। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি এম এ ফয়েজ বলেন, এই মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আবুল কাশেম ও  মো. ইউসুফকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে তাদের দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একই মামলার অপর দুই আসামি গিট্টু নাসির ও ফয়েজ মুন্না র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।


আরও খবর



যশোরে গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
যশোর প্রতিনিধি

Image

যশোরে ধান কেটে বাড়ি আসার পর আহসান হাবিব (৩৭) নামে একজন শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুবরণকারী শিক্ষক যশোর সদরের আমদাবাদ হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক।

স্থানীরা বলছেন, হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন। সংশ্লিষ্ট ডাক্তার বলছেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া তাঁর মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম বলেন, আহসান হাবিব সকালে মাঠে ধান কেটে বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসেই সকাল পৌনে ৯টার দিকে হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা এবং শরীর জ্বলে যাচ্ছে বলে কাতরাতে থাকেন। এরপর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। আমাদের ধারণা, প্রচণ্ড তাপের কারণে হিট স্ট্রোকে তিনি মারা গেছেন। আসরের নামাজের জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হবে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আল হাসান জানান, হাসপাতালে আসার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা সম্ভব নয়।

এদিকে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিক্ষক আহসান হাবিব মাদকাসক্তও ছিলেন। নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। ফলে তাপপ্রবাহে মাঠে কাজ করার প্রভাবে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।


আরও খবর



বৃষ্টির আশায় নাটোরে ব্যাঙের বিয়ে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

ব্যাঙের বিয়ে! তা-ও মহা ধুমধাম করে। বিয়ের জন্য ছায়ামণ্ডপ, পুষ্পমাল্য, গায়েহলুদ, আশীর্বাদ, ধান-দূর্বা, ভোজন সব ধরনের ব্যবস্থাই ছিল। শুধু তা-ই নয়, বিয়েতে নিমন্ত্রিত ব্যক্তিরাও ব্যাঙ দম্পতিকে দিয়েছেন অর্থসহ বিভিন্ন ধরনের উপহারসামগ্রী। নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত নাগশোষা গ্রামে এ আয়োজন করা হয়।

সারাদেশে চলছে তীব্র দাবদাহ। নেই বৃষ্টির দেখা। অধিকাংশ এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। ফলে তীব্র তাপদহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রকৃতি যেন পানির জন্য আহাকার। তাই বৃষ্টির আশায়লালপুরে বাড়ি বাড়ি চালডাল তুলে ধুমধাম করে ব্যাঙের বিয়ে দিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে বছর তাদের এলাকা অনাবৃষ্টির কবলে পড়ে, সেই বছরই তারা বৃষ্টির জন্য ব্যাঙের এই ধরনের বিয়ের আয়োজন করে থাকেন। স্থানীয়ভাবে এটিকে ব্যাঙ্গা-ব্যাঙ্গির বিয়ে বলা হয়। বংশ পরম্পরায় তারা এই রীতি পালন করে আসছেন। তাদের বিশ্বাস, ব্যাঙের বিয়ে দিলে বৃষ্টি হয়।

আয়োজকরা জানান, তীব্র গরমে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। টিউবওয়েলে তেমন পানি উঠছে না। জমিতে চাষাবাদের জন্য নেই পানি পাওয়া। ইতোমধ্যে আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। এ কারণে যাতে বৃষ্টি হয়, সে জন্য ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত কুমার ও রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, সনাতন রীতি অনুযায়ী অনেক বছর ধরে এই প্রথা চালু আছে। অনাবৃষ্টি হওয়ায় এই গ্রামের সবাই মিলে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের কাছে এক প্রকার বিশ্বাস ব্যাঙের বিয়ে দিলেই বৃষ্টি হবে। সেই আশাতেই ব্যাঙের বিয়ে দিয়ে ভগবানের কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করা হয়েছে।

এদিকে লালপুর উপজেলা জনপ্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রবিন হোসেন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পানির লেয়ার পরীক্ষা করে দেখা গেছে গড়ে ৩২ ফিট নিচে নেমে গেছে। যা সাধারণত ২০/২২ ফিট থাকে। কোথাও যেন সুপেয় পানি সংকট না থাকে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রীতম কুমার হোড় বলেন, চলতি মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো বৃষ্টির দেখা মেলেনি। বৃষ্টির অভাবে রবি শস্য এবং আম, লিচুর গুটি ঝরে যাচ্ছে। খরা মোকাবেলায় কৃষি বিভাগ থেকে ঘন ঘন সেচ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদেও ।


আরও খবর



গাজার ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কারে লাগতে পারে ১৪ বছর: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ধ্বংস হয়ে যাওয়া গাজার ধ্বংসস্তূপ অপসারণে লাগবে অন্তত ১৪ বছর বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার একথা জানান। জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে পেহর লোধাম্মার বলেছেন, যুদ্ধের ফলে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ ব্যাপক ঘনবসতিপূর্ণ ওই অঞ্চলে পড়ে আছে।

তিনি বলেন, গাজায় পাওয়া অবিস্ফোরিত গোলাবারুদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা প্রায় অসম্ভব। তারপরও ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসাবশেষসহ পুরো ধ্বংসস্তূপ নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে পরিষ্কার করতে ১৪ বছরের মতো সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেছেন, ‌‌আমরা জানি, সাধারণত স্থল বাহিনীর ছোড়া গোলাবারুদের অন্তত ১০ শতাংশ অবিস্ফোরিত ও বিকল অবস্থায় থেকে যায়। আমরা ১০০টি ট্রাক ব্যবহার করে ১৪ বছর ধরে পরিষ্কার কাজ চালানোর কথা বলছি।

হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার জবাবে গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন; যাদের মধ্যে অন্তত দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।

ধ্বংসস্তূপে দাড়িয়ে গাজার বেশিরভাগ বেসামরিক মানুষ এখন গৃহহীন, ক্ষুধার্ত এবং রোগাক্রান্ত। সূত্র: রয়টার্স


আরও খবর