বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়
দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক
(ডিসি) সম্মেলন। রবিবার (০৩ মার্চ) সকাল ১০টার পর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের
শাপলা হলে এ সম্মেলনের উদ্বোধন শুরু হয়। সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে সম্মেলনে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। এ সময় জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ
হোসেনও বক্তব্য রাখবেন।
সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, প্রধানমন্ত্রীর
উপদেষ্টারা, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সিনিয়র সচিব ও সচিবরা, বিভাগীয় কমিশনাররা,
জেলা প্রশাসকরা এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত হন।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসক সম্মেলন, যা সচরাচর
‘ডিসি সম্মেলন’ নামেই বহুল পরিচিত।
বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ প্রেক্ষাপটে নতুন সরকারের লক্ষ্য ও করণীয় সম্পর্কে ধারণা দিতেই
এ সম্মেলন চলবে ৬ মার্চ (বুধবার) পর্যন্ত।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জেলা ও মাঠ প্রশাসন
অনুবিভাগ সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের মতো এবারও জেলা প্রশাসক সম্মেলনের মূল অনুষ্ঠান
কার্য-অধিবেশনগুলো অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, সম্মেলনে উদ্বোধন
অনুষ্ঠান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুক্ত আলোচনাসহ তিন বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গেও মতবিনিময়
করে থাকেন ডিসিরা। এ ছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ডিসিদের কার্য-অধিবেশন
রয়েছে। স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং একটি সমাপনী অনুষ্ঠানও
হয়ে থাকে।
এবারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে ৫৬টি
মন্ত্রণালয়, বিভাগ, কার্যালয় ও সংস্থা সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে প্রায় ৩৫০টি প্রস্তাব
এসেছে। গত বছর এই প্রস্তাবের সংখ্যা ছিল ২৪৫টি।
এর মধ্যে জনসেবা বৃদ্ধি, জনদুর্ভোগ হ্রাস
করা, রাস্তাঘাট ও ব্রিজ নির্মাণ, পর্যটনের বিকাশ, আইন-কানুন বা বিধিমালা সংশোধন, জনস্বার্থ
সংরক্ষণের বিষয়গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হয়েছে। বেশিসংখ্যক প্রস্তাব ২২টি এসেছে
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে।