আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা কমলো

প্রকাশিত:সোমবার ০৩ মে ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ০৩ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।  এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৬৪৪ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৩৯ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮২ জনে।

সোমবার (৩ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।


আরও খবর
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস আজ

রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪




খুলনায় সালাম জুট মিলে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৬ ইউনিট

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

খুলনার রূপসার নৈহাটি ইউনিয়নের জাবুসা এলাকার সালাম জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে রূপসার জাবুসা এলাকার সালাম জুট মিলে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট কাজ করছে।

খুলনা ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা মো. আব্দুল কাদির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিকেল ৫টা ৩৮ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে আরও ৪টি ইউনিট যুক্ত হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে মোট ১৬টি ইউনিট কাজ করছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।


আরও খবর



লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, লুকাতে চাচ্ছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দখলদার ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বড় হামলার পর ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বার্তাসংস্থা ইরানিয়ান স্টুডেন্টস নিউজ এজেন্সি (আইএসএনএ) একটি কলাম প্রকাশ করেছে।

এতে তারা জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের নাভাতিম বিমান ঘাঁটি এবং হেরমন পাহাড়ের ওপর একটি সামরিক অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ইসরায়েল এই ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর চেষ্টা করছে।

বার্তাসংস্থাটি বলেছে, নাভাতিম বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে কারণ গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে যে ভয়াবহ হামলা হয়েছিল, সেটি এই ঘাঁটি থেকে চালানো হয়েছিল। অপরদিকে হেরমন পাহাড়ের ওপর থাকা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি গোয়েন্দা অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। কারণ এই স্থান থেকে সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন অবস্থানের ওপর চালানো অসংখ্য হামলা পরিচালিত হয়েছে।

বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ইরান ইসরায়েলের কোনো বেসামরিক ব্যক্তি ও অবকাঠামোর ওপর হামলার কোনো পরিকল্পনাই করেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইসরায়েলিরা তাদের জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রাতটি পার করেছে।

হামলার ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর বিষয়টি উল্লেখ করে বার্তাসংস্থাটি বলেছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। কিন্তু ইসরায়েল এসব ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর চেষ্টা করছে।

ইরানের এমন অভূতপূর্ব হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ওই সময় ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর প্রস্তাব দেন নেতানিয়াহু। কিন্তু বাইডেন এতে সমর্থন দেননি। তিনি নেতানিয়াহুকে জানান, ইসরায়েল যদি পাল্টা হামলা চালায় তাহলে এতে যুক্ত হবে না যুক্তরাষ্ট্র।

বার্তাসংস্থাটি তাদের কলামে বলেছে, ইরানে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন না দেওয়ার অর্থ হলো, ইরান তাদের তেজস্বিতা প্রমাণ করেছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে চায় না। এছাড়া ইসরায়েলে হামলা না চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাধাকে যে ইরান কোনো মূল্য দেয়নি সেটিও এই হামলার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থাটি।

এই কলামে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরানের বিমানবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আলী বাগারি জানিয়েছেন, গতকাল ইরান ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছে, সেটির চেয়ে ১০ গুণ বড় হামলা চালানো ক্ষমতা ইরানের রয়েছে। তবে তারা পূর্ণশক্তি প্রয়োগের ব্যাপারে এখনই ভাবছেন না।

নিউজ ট্যাগ: ইসরায়েল ইরান

আরও খবর
মিঠুনকে বিশ্বাসঘাতক বললেন মমতা

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




অর্থ আত্মসাৎ মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন।

পরে আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া বাকি অভিযুক্তরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস এম হুজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দফতর সম্পাদক মো. কামরুল হাসান।

মামলার বিষয়ে ড. ইউনূস জানান, অনেক দিন ধরে তার ওপর বালা-মুসিবত। দেশের ওপরও এসেছে। তিনি ও দেশের মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত। এ থেকে রেহাই না পেলে মুক্তি নাই।

শান্তিতে নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশ-বিদেশের মানুষ আমাদের বিশ্বাস করেছে। আমরা মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করি। সারা বিশ্ব বাংলাদেশ থেকে শিখতে চায়। তবে, দেশের মানুষ যেভাবে বাঁচতে চায়, সেভাবে পারছে না। মানুষ আইনের শাসন পাচ্ছে না।


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




শুরু হলো শবে কদর তালাশের দশক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান শুরুর পর ইতোমধ্যে প্রথম দুই দশক অর্থাৎ, রহমত ও মাগফিরাত শেষ হয়েছে। আজ থেকে শুরু হয়েছে নাজাতের দশক। এই নাজাতের দশকে এমন একটি রাতের কথা বলা হয়েছে, যেই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। কারণ, এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে পবিত্র কোরআন নাজিল করেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি একে (কোরআন) নাজিল করেছি কদরের রাতে। আপনি কি জানেন মহিমাময় কদর রজনী কী? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। (সুরা কদর: ১-৩)

সাধারণত কদর রজনী শেষ দশকে হওয়াই বিশুদ্ধ অভিমত। হজরত আবু সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু সায়িদকে জিজ্ঞেস করেছি, সে আমার বন্ধু ছিল। তিনি বলেন, আমরা নবী করিম (সা.) এর সঙ্গে রমজানের মধ্য ১০ দিন ইতিকাফে ছিলাম। তিনি ২০ তারিখ সকালে বের হন এবং আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ভাষণে বলেন, আমাকে কদরের রজনী দেখানো হয়েছিল, অতঃপর ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তোমরা তা শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে তালাশ করো। আমি নিজেকে মাটি ও পানিতে সিজদা করতে দেখেছি। তাই যারা রাসুলের সঙ্গে ইতিকাফে ছিল, তারা যেন ফিরে আসে। তখন আমরা ফিরে এসেছি। আমরা আকাশে কোনো মেঘ দেখিনি। হঠাৎ একরাতে মেঘ এলো, বৃষ্টি হলো, মসজিদের ছাদ ভেসে গেল। তা ছিল খেজুরগাছের ঢালের এবং নামাজ শুরু হলো, তখন আমি রাসুল (সা.) কে দেখেছি, তিনি পানি ও মাটিতে সিজদা করছেন। এমনকি তার কপালে মাটির চিহ্ন ছিল। (বুখারি, হাদিস : ২০১৬)

শবে কদর অনুসন্ধান ও আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ লাভে প্রত্যেক পাড়া-মহল্লার মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ইতোমধ্যে ইতিকাফে বসেছেন।

ইতিকাফ হচ্ছে আল্লাহতায়ালার নৈকট্য ও ক্ষমা লাভের এক অনন্য সুযোগ। রমজানের ইতিকাফ শুরু করতে হয় ২০ তারিখের সূর্যাস্তের আগ থেকে। আর তা শেষ হয় রমজান শেষ হলে। অর্থাৎ ২৯ তারিখে চাঁদ দেখা গেলে বা ৩০ তারিখ পূর্ণ হলে। সুতরাং যারা রমজানের শেষ দশকে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ, অনুকম্পা, ক্ষমা ও করুণার আশায় মসজিদে ইতিকাফ পালন করবেন, তারা আজ সন্ধ্যার মধ্যে মসজিদে যেয়ে অবস্থান নেবেন।

ইতিকাফের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লামা হাফেজ ইবনে রজব বলেছেন, ইতিকাফের উদ্দেশ্য হলো- সৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং স্রষ্টার সঙ্গে সম্পর্ক কায়েম করা। আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় যতো গভীর হবে, সম্পর্ক ও ভালোবাসা ততো নিবিড় হবে এবং তা বান্দাকে পুরোপুরি আল্লাহর কাছে নিয়ে যাবে।

শবে কদর তালাশ করতে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রমজানে ইতিকাফে বসতেন। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি কদরের রাতের সন্ধানে (রমজানের) প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। এরপর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী ১০ দিন। তারপর আমার প্রতি ওহি নাজিল করে জানানো হলো যে, তা শেষ ১০ দিনে রয়েছে। সুতরাং তোমাদের যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ করে। তারপর মানুষ (সাহাবায়ে কেরাম) তার সঙ্গে ইতেকাফে শরিক হয়। (মুসলিম শরীফ)

মুহাক্কিক ইমামগণ বলেছেন, আরবিতে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয়ে ৯টি হরফ বা বর্ণ রয়েছে; আর সুরা কদরে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয় তিনবার রয়েছে; নয়কে তিন দিয়ে গুণ করলে সাতাশ হয়, তাই (ছাব্বিশ দিবাগত) সাতাশ রমজানের রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবলভাবে বিদ্যমান রয়েছে। (তাফসিরে মাজহারি)।

শবে কদরে নির্ধারিত ফরজ ইবাদতগুলো সযত্নে পালনপূর্বক সামর্থ্যমতো সর্বাধিক নফল ইবাদতের মাধ্যমে রাত্রি জাগরণ করা সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের উদ্দেশ্যে আত্মমূল্যায়নসহ কদরের রাত জেগে ইবাদত করবে, তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩০, হাদিস : ৩৪)।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়েছেন ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

মালয়েশিয়ায় গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সেকেন্ড হোম গড়েছেন সাড়ে তিন হাজারের বেশি বাংলাদেশি। দেশটিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সেকেন্ড হোম গড়ার তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশিরা।

মালয়েশিয়ার পর্যটন, শিল্প ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী দাতুক সেরি তিয়ং কিং সিং দেশটির মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম (এমএম২এইচ) কর্মসূচির আওতায় সেকেন্ড হোম গড়া বাংলাদেশিদের এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন। দেশটির সংসদে বাংলাদেশিসহ অন্যান্য দেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ার এই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছেন তিনি।

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম মালয় মেইলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ৩ হাজার ৬০৪ জন বাংলাদেশি সেকেন্ড হোম গড়েছেন বলে জানিয়েছেন দাতুক সেরি তিয়ং কিং সিং।

সংসদে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে দাতুক সেরি তিয়ং বলেছেন, ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ৫৬ হাজার ৬৬ জন সক্রিয় ‌‌সেকেন্ড হোম’ পাসধারী রয়েছেন। তাদের মধ্যে অংশগ্রহণকারী পাসধারীর পাশাপাশি নির্ভরশীল পাসধারীও রয়েছেন।

গত ১১ মার্চ দেশটির সংসদকে তিনি জানান, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়ায় সবার শীর্ষে আছেন চীনের নাগরিকরা। দেশটিতে চীনের ২৪ হাজার ৭৬৫ জন নাগরিকের মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম পাস রয়েছে। এরপরই এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া; দেশটির এই সংখ্যা ৯ হাজার ২৬৫ জন। দক্ষিণ কোরিয়ার ৪ হাজার ৯৪০ জন, জাপানের ৪ হাজার ৭৩৩ জন, বাংলাদেশের ৩ হাজার ৬০৪ জন ও যুক্তরাজ্যের ২ হাজার ২৩৪ জন।

মালয় মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ছাড়া এই কর্মসূচিতে তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর ও ভারতের এক হাজারের বেশি করে এমএম২এইচ পাসধারী আছেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মালয়েশিয়ার সরকার সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে সংস্কার আনে। সেই সময় এই কর্মসূচিকে তিন স্তরে বিভক্ত করা হয়।

নতুন এই ব্যবস্থার আওতায় আবেদনকারীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। দেশটির সরকার তখন বলেছিল, প্রাথমিকভাবে আবেদনের পর এমএম২এইচ কর্মসূচিতে পরীক্ষামূলকভাবে এক বছর থাকতে হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য শর্তাবলি পর্যালোচনা করে কর্মসূচিতে সমন্বয় করা হবে। নতুন ব্যবস্থায় আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩০ বছর কিংবা তার বেশি নির্ধারণ করা হয়।

তিন স্তরবিশিষ্ট ব্যবস্থার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল আবেদনকারীদের আর্থিক সক্ষমতার ভিত্তিতে বিভক্ত করা। এই তিন স্তর হলো— প্লাটিনাম, গোল্ড ও সিলভার। নতুন নিয়মে প্লাটিনাম স্তরের আওতায় আবেদনকারীদের ৫০ লাখ রিঙ্গিত, গোল্ড স্তরে ২০ লাখ ও সিলভার স্তরে ৫ লাখ রিঙ্গিত স্থায়ী আমানত থাকতে হবে বলে জানানো হয়। এ ছাড়া নির্বাচিত সব স্তরের অংশগ্রহণকারীদের বছরে মোট ৬০ দিন মালয়েশিয়ায় বসবাস করতে হবে।


আরও খবর