ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি:
ঢাকার ধামরাইয়ে কোরবানির জন্য প্রস্তুত, ষাঁড় ''তুতুল বাহাদুর'' এবার ঢাকার ধামরাইয়ের সবচেয়ে বড় আকর্ষন। ২৫ মণ ওজনের এই ষাঁড়টির দাম ধরা হয়েছে দশ লাখ টাকা। তবে কিছু কম হলেও ষাঁড়টি বাড়ি থেকেই বিক্রি করতে চান গরুটির মালিক কষ্টিপুর জালসা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোফাজ্জ্বল হোসেন। তার বাড়ি উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। কালো রঙের সুঠাম দেহের ষাঁড়টি শখের বশে পালন করেন ওই স্কুল শিক্ষক।
শিক্ষক মোফাজ্জ্বল হোসেন জানান, গতবছর কুরবানির সময় কাঙ্খিত মূল্য না পাওয়ায় গরুটি বিক্রি হয়নি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার যেমন নিজস্ব বাগানের সবরি কলা, জমির ঘাস ,খড়, ধানের কুড়া ও গমের ভূষি খাইয়ে ৪৪ মাস ধরে অতি যত্নে লালন-পালন করেছেন ''তুতুল বাহাদুর ''কে। তার পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও ষাঁড়টিকে ''তুতুল বাহাদুর'' নামেই ডাকেন।
আরও বলেন, বর্তমানে ষাড়টির ওজন প্রায় ২৫ মনের কাছাকাছি হয়েছে। এরই মধ্যে ষাঁড়টি কেনার জন্য বিভিন্ন এলাকার লোকজন তার বাড়িতে আসতে শুরু করেছেন। ''তুতুল বাহাদুরের '' দাম ১০ লাখ টাকা চাইলেও আলোচনা সাপেক্ষে ষাঁড়টি তিনি বিক্রি করবেন বলেও জানান।
জানা গেছে, দেশি পদ্ধতিতে ঘাস, খড়, কুড়া-ভূসি খাইয়ে বিশালাকৃতির ষাঁড়টি লালন-পালন করা হয়েছে। প্রতিদিনই এ ষাঁড়টি দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে নানা বয়সী মানুষ শিক্ষক মোফাজ্জ্বল হোসেনের বাড়িতে ভিড় করছেন। অনেকে আবার ষাঁড়টির সঙ্গে সেলফিও তুলছেন। ফেসবুকে দেখার পর স্থানীয়সহ বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা গরুটি কেনার জন্য তার বাড়িতে এসে দামও বলেছেন। কিন্তু মোফাজ্জ্বল হোসেনের প্রত্যাশা অনুযায়ী গরুটির দাম না পাওয়ায় এখনও বিক্রি করেননি। তার আশা, ঈদ ঘনিয়ে এলেই প্রত্যাশা অনুযায়ী গরুটি বিক্রি করতে পারবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করছেন ৭ নং গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়েনে স্থানীয় মেম্বার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান মিজান।
কালো রঙের সুঠাম দেহের তুতুল বাহাদুর নামের বিশাল ষাঁড়টি প্রতিদিনই শত শত উৎসুক জনতা দেখতে ওই স্কুল শিক্ষকের বাড়ির উঠানে এসে ভীড় করছেন।