আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

২৬ জেলায় ১০ দিনের বাড়তি সতর্কতা জারি

প্রকাশিত:বুধবার ২০ অক্টোবর ২০21 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ অক্টোবর ২০21 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পুলিশ সদরদপ্তর থেকে দেশের ২৬ জেলায় বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যা আজ বুধবার (২০ অক্টোবর) থেকে ১০ দিন বহাল থাকবে বলে জানা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সদস্যদের বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কুমিল্লায় মন্দিরে পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনার সূত্র ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে যে সহিংসতা হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য নানা ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) পুলিশ সদরদপ্তরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং ঈদে মিল্লাদুন্নবী, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের লক্ষ্মী পূজা ও বৌদ্ধদের প্রবারণা পূর্ণিমাকে সামনে রেখে এই বাড়তি সতর্কতার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশের কর্মকর্তারা।

বাড়তি সতর্কতার মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে ধাপে ধাপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি কমিয়ে আনা হবে বলে জানা গেছে। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক মনে না হলে সতর্কতার সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে।

সতর্কতা জারি করা জেলায়গুলোর থানা এলাকায় টহল, গোয়েন্দা নজরদারি, সাইবার মনিটরিং বাড়ানোর পাশাপাশি বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে প্রতিটি ইউনিয়ন, গ্রামে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে কথা বলা হয়েছে। এই কাজে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, ইমাম ও ধর্মীয় নেতাদের সম্পৃক্ত করার পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

যে ২৬ জেলায় বাড়তি সতর্কতা

দেশের যে ২৬ জেলায় বড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- রংপুর বিভাগের ৭টি জেলা। সেগুলো হলো- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম ও নীলফামারী।

রাজশাহী বিভাগের রয়েছে- চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও পাবনা।

খুলনা বিভাগের জেলা রয়েছে ৫টি। সেগুলো হলো- বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, মাগুরা, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ।

যে জেলা থেকে ঝামেলার শুরু, সেই কুমিল্লা ছাড়াও চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছে- চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী ও কক্সবাজার।

ঢাকা বিভাগে- শরীয়তপুর, মাদারীপুর, নরসিংদী ও মুন্সিগঞ্জকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

সিলেট বিভাগের ৪ জেলার মধ্যে- সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার পুলিশকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ কেন্দ্রিক অপ্রীতিকর ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭১টি মামলা হয়েছে। আরও কিছু মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সারা দেশে ইতোমধ্যে ৪৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন পাওয়ার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন জেলায় মন্দির ও বাড়িঘর ভাঙচুর এবং হামলার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় ৭১টি মামলায় আসামির সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার।

গতকাল মঙ্গলবার র‍্যাব সদরদপ্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, অন্যান্য বছর দেশের কোনো পূজামণ্ডপে অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি। কিন্তু এবার দেখছি এমন কিছু ঘটনা ঘটে গেলো, আসলে এসব ঘটানো হয়েছে। কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরে কিছু উগ্র মানুষ হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি উপাসনালয়ে ভাঙচুরের চেষ্টা করেছে। সেখানে পুলিশকে পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হয়েছে। সেখানে ৪ জন মারা গেছেন। আজ (মঙ্গলবার) আরেকজন মেডিকেলে মারা গেছেন।


আরও খবর



দীর্ঘ ছুটিতে ঈদযাত্রা, বাস ট্রেন লঞ্চে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অফিস ছুটি হয়নি এখনো। পরিবার নিয়ে যেতে হবে গ্রামে। ঈদের ছুটি শুরু হলে একসঙ্গে সবাই বাড়ির পথ ধরবে। এতে বাড়বে চাপ। এজন্য পরিবার-পরিজনকে আগেভাগেই বাড়িতে পাঠাতে শুরু করেছেন অনেকে। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন।

শনিবারও রাজধানী ছাড়বেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ। ঈদের লম্বা ছুটি ঘিরে মানুষ শহর ছাড়তে শুরু করায় সড়ক, নৌ ও ট্রেনে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। যাত্রী বেড়েছে আকাশপথেও।  তবে এখনো ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়নি। যারা ঢাকা ছাড়ছেন তাদের ১৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শুক্রবার মসজিদে মসজিদে এসব নির্দেশনা জানানো হয়েছে।

ডিএমপির উপকমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এর পাশাপাশি ছুটির সময়ে রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছি। এজন্য ১৩ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো মসজিদে খতিবরা এবং কোথাও পুলিশ সদস্যরা এই নির্দেশনা প্রচার করেছে। আমরা চাই মানুষ যেন নিরাপদে গ্রামে গিয়ে নিশ্চিন্ত মনে আবার শহরে ফিরতে পারে।

ঈদে বাসযাত্রা : ফজরের নামাজের পর থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রীর প্রচুর ভিড় দেখা যায়। ঈদযাত্রায় পরিপূর্ণ যাত্রী নিয়েই বাসগুলো একের পর এক স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রীরা যাত্রাবাড়ী মোড়, শনির আখড়া, রায়েরবাগ ও সাইনবোর্ড বাস কাউন্টারগুলোতে ভিড় করছেন। বাস সংকটে যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এতে প্রচণ্ড গরমে নারী ও শিশুরা ভোগান্তিতে পড়ে।

ঢাকা-চাঁদপুর রুটের পদ্মা পরিবহণের সুপারভাইজার মকবুল হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই যাত্রীর চাপ বাড়তে থাকে। শনিবার সাহরির পর তা আরও বেড়েছে।

ঢাকা-সিলেট রুটের মিতালী পরিবহণের যাত্রী আবুল কালাম বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিনশ টাকা বাড়তি দিয়ে টিকিট কাটতে হয়েছে। খুলনাগামী যাত্রী মৌসুমী বলেন, আমার স্বামী চাকরি করেন। তাকে ঢাকায় রেখেই ছেলেমেয়ে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। পরে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। সে কারণে আমরা আগেভাগে চলে যাচ্ছি।

ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে সড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি।

গাবতলী বাস টার্মিনাল : গাবতলী বাস টার্মিনালের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। সেখানে শুক্রবার যাত্রীর তেমন একটা চাপ ছিল না। বেশিরভাগ কাউন্টার ছিল ফাঁকা। ঢাকা-বরিশাল রুটের দর্শনা পরিবহণের কাউন্টার ম্যানেজার আল আমিন বলেন, গাবতলীতে রানিং (এসেই টিকিট কাটবেন এমন) কোনো যাত্রী নেই। যারা অগ্রিম টিকিট কেটে রেখেছেন তারাই শুধু আসছেন।

সদরঘাট নৌটার্মিনাল : সদরঘাট টার্মিনালে লঞ্চযাত্রী ছিল অন্য সময়ের চেয়ে বেশি। তবে খুব বেশি চাপ ছিল না। ফলে নৌপথের যাত্রায় এখনো অনেকটা স্বস্তি রয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে বিআইডব্লিউটিএ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। সদরঘাট নৌথানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, বুড়িগঙ্গা নদী ও টার্মিনালে নৌপুলিশের একাধিক টিম টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতি ভালো রয়েছে।

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার যাত্রী আমিনুল ইসলাম। তিনি ঢাকায় অর্থঋণ আদালতের পেশকার। পরিবার নিয়ে থাকেন পুরান ঢাকায়। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি বেশি থাকায় আগেভাগেই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আসতে যাচ্ছি।

ট্রেনযাত্রা : এদিকে ঘরমুখো মানুষের ট্রেনযাত্রা ছিল স্বস্তির। ঢাকা রেলওয়ে বিভাগীয় বাণিজ্য কর্মকর্তা শাহ আলম কিরণ শিশির বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে। বিনা টিকিটে ভ্রমণ রোধেও কাজ করছি। আমরা অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ সিটবিহীন টিকিট বিক্রি করছি।


আরও খবর



বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া, ৪ মে থেকে কার্যকর

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামী ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া। আগে যাত্রীদের ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব গেলে ভাড়ার ক্ষেত্রে ছাড় (রেয়াত) প্রত্যাহার করায় এ ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আগামী ৪ মে থেকে রেয়াত প্রত্যাহার করায় ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে।

ট্রেনের ভাড়া কেমন বাড়ছে এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে।

এদিকে রেলসূত্র জানিয়েছে, ১০১ থেকে ১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে একজন যাত্রীর রেয়াত কর ২০ শতাংশ, ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটার এর ওপরে ৩০ শতাংশ।

রেলসূত্র জানিয়েছে, মে মাসের ৪ তারিখে হতে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করে তাহলে তাকে ভাড়া বেশি দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের এই প্রস্তাবনা পাস করেছেন। যা এই মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

বাংলাদেশ রেলওয়ে এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে,  এতদ্দ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি প্রদান করা হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত’ রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়েতে যাত্রীবাহী ট্রেনসমূহে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধুমাত্র বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে সব প্রকার যাত্রীবাহী ট্রেনে বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি আগামী ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে।

এর আগে গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার শাহাদাৎ আলী রেলের ভাড়া বাড়ছে বলে জানিয়েছিলেন। সেসময় ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির গুঞ্জন উঠার পরে রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, রেলের ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই।

২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

আর রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াত সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম।


আরও খবর



তরমুজের পর ফেসবুকে চলছে গরুর মাংস বয়কটের ডাক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফেসবুকে চলছে গরুর মাংস বয়কটের হিড়িক। মূলত বাজারে গরুর মাংসের অতিরিক্ত দামের কারণে অনেকে এটিকে বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। এতে দাম কমবে বলে ধারণা তাদের। বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপে এ বয়কটের স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকেই।

এর আগে রমজানের শুরুতে রাজধানীতে তরমুজের কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়। তখন থেকে এর প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুকে এ পণ্য কিছুদিনের জন্য বয়কটের ঘোষণা দিয়ে অনেকে পোস্ট দেন। তবে রোজার মধ্যেই তরমুজ নেমে এসেছে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে। এটিকে প্রতিবাদ বা বয়কটের ফল হিসেবে দেখছেন নেটিজেনরা।

তরমুজ বয়কটের দাম নিয়ে কারসাজি বন্ধ হওয়ার পর এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছে সাধারণ মানুষ। রোজার শুরু থেকেই গরুর মাংসের দাম বেড়েই চলেছে। গত ১৫ মার্চ গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা বেঁধে দেয় সরকার। তবে শুক্রবারও বাজারে গরুর মাংস বিক্রি ৭৮০-৮০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়ে অনেকের স্ট্যাটাসই ভাইরাল হয়েছে। এদের মধ্যে একজন লিখেছেন, তরমুজের ভাব বেড়েছিল আমাদের আমজনতার বয়কটে তার দাম এখন হাতের নাগালে। এভাবে গরুর মাংসও খাওয়া বাদ দিন, বয়কট করুন ১ বা ২ বা ৩ মাস। দেখবেন, সেটাও হাতের নাগালে চলে আসবে। ক্রেতা না কিনলে দাম বাড়িয়ে কয়দিন কাটা গরুর মাংস রাখবে ফ্রিজে! কম দামে ক্রেতা না কিনলে কত দিন চড়া দাম হাকাবে! ক্রেতাই যদি না থাকে কিসের সিন্ডিকেট! আমরা সব চাইলেই পারি! লাগবে শুধু একতা! চলেন, তরমুজের পরে এবারে গরুর মাংসের দাম কমাই।

অন্য একজন একটি গ্রুপে লিখেছেন, আমি গরুর মাংস কিনলাম। বললো যে, দেশের মানুষ ভাত পায় না, গরুর মাংস কেনে। গরুর মাংসের ম্যালা দাম, আসুন গরুর মাংস বয়কট করি।

ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া অন্য একটি স্ট্যাটাসে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়ে বলা হয়েছে, আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় দেশবাসী আপনারা তরমুজকে বয়কট করেছেন, এখন বর্তমানে তরমুজের দাম ১০০ টাকা কেজির পরিবর্তে ৩০ টাকা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, এবার আপনাদের পালা, গরুর মাংস কে বয়কট করুন, দেখবেন ৮০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে চলে এসেছে গরুর মাংস। ধন্যবাদ।


আরও খবর
হঠাৎ উধাও হয়ে গেল ফেসবুক!

মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪




ইরানে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এবার ইরানের ভূখণ্ডে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুটি মার্কিন সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

এই ঘটনার পর বেশ কয়েকটি শহরে বিমান চলাচল বাতিল করার কথা জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

এর আগে, গত শনিবার ইসরায়েলে হামলা চালানোর পর থেকেই উচ্চ সতর্কতায় ছিলো ইরান।

ইরানের ইসফাহান শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে এই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

ফার্স নিউজ স্থানীয় বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণের খবর দিলেও কোনো বিস্তারিত তথ্য দেয়নি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ইরানি প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করার খবর দিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা।


আরও খবর



চাকরি হারাচ্ছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক, বেতন ফেরত দিতে হবে সুদসহ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের ২৫ হাজার শিক্ষক চাকরি হারাচ্ছেন। কলকাতা হাইকোর্টের এক আদেশ অনুযায়ী ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষককে চাকরি ছাড়তে হবে। একইসঙ্গে এই সময়ে তারা যে বেতন তুলেছেন তা ১২ শতাংশ সুদসহ ফেরত দিতে হবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকারের জন্য এই আদেশ বড় এক ধাক্কাই। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি দেবাংশু বাসাক ও মো. শাব্বার রশিদির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ জানান, স্কুলশিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া অবৈধ ছিল। তারা খালি ওএমআর শিট জমা দিয়ে শিক্ষক হয়েছেন।

নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুরও আদেশ দেওয়া হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ছাটাইকৃত শিক্ষকদের বেতন ফেরত দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। বেতন সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের। ২০১৬ সালে নিয়োগ পাওয়া শুধুমাত্র একজন শিক্ষককে চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে। সোমা দাস নামে ওই শিক্ষিকার ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে।

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এই বেঞ্চ গঠিত হয়েছে। বেঞ্চটি সিবিআইকে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আরও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী তিন মাসের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।


আরও খবর