আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

২৭ বছর ধরে ফাঁকা বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২৭ বছর ধরে ফাঁকা পড়ে আছে বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবন। বিরোধীদলীয় নেতাদের কেউ বাড়ি বরাদ্দ পেয়েও ওঠেননি, কেউ বা আবার বরাদ্দ চেয়েও পাননি। বাড়িটি পরিত্যক্ত পড়ে থাকলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার সরকারি বাসভবনে প্রবেশে কোনো বাধা নেই। যে কেউ যখন তখন প্রবেশ করতে পারেন। রাজধানীর মিন্টো রোডে আড়াই একর জমির ওপর বাড়িটির পেছনের অংশে বেশ কয়েকটি আধাপাকা টিনশেড ঘর। সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন দুজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও একজন পানির লাইনের মিস্ত্রী।

এ ছাড়াও সেখানে বসবাস করছেন কয়েকটি সরকারি দপ্তরের মালি, গাড়িচালক ও পাহারাদারদের পরিবার। আরও দুটি টিনশেড ঘরে ১০-১২ জন ব্যাচেলর থাকেন।

মূল ভবনটি বসবাস অনুপেযাগী। দরজা-জানালা ভাঙা। বেশিরভাগ আসবাবপত্র নষ্ট। বৃষ্টি হলে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। বাড়িটি দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই এটি একটি দেশের বিরোধী দলের নেতার সরকারি বাসভবন।

১৯৯১ সালে প্রথম বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে বাড়িটিতে ওঠেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তবে ২০০১ সালে বরাদ্দ পেয়েও তিনি ওঠেননি। আর ১৯৯৬ সালে বরাদ্দ পেয়েও ওঠেননি খালেদা জিয়া।

তবে ২০১৪ সালে রওশন এরশাদ বাড়িটি বরাদ্দ চেয়েও পাননি। ২০১৮ সালে  হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বরাদ্দ পেয়েও ওঠেননি। সবশেষ জিএম কাদের বরাদ্দ পেলেও বাড়িটিতে ওঠা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, অব্যবহৃত একটা বাড়ি আছে। আমরা গেলে হয়ত সেটা ব্যবহার করব। দেশের স্বার্থে যদি কিছু হয় আমরা সেটার চেষ্টা করব। আমরা চেষ্টা করব ওখান থেকে অফিস মেইনটেইন করার। আবাসিক ছাড়াও ওই বাড়িতে কিছু সুযোগ-সুবিধা আছে। ওই বাড়িতে আমাদের কাজের কিছু সুবিধা হবে বলে মনে করছি।

তবে গণপূর্ত বিভাগ বলছে, বাড়িটি সংস্কার করতে ঠিকাদার খোঁজা হচ্ছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুব হাসান বলেন, বাড়িটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাড়িটির সংস্কার কাজের জন্য ঠিকাদার দেখা হচ্ছে। কাজ শেষ হতে তিন থেকে চার মাস লাগতে পারে।

বাড়িটিকে ২০০৯ হেরিটেজ ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। যে কারণে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাড়িটি ভেঙ্গে নতুন করে বানানো যাচ্ছে না।


আরও খবর
আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




এবার ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগের আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্যর্থতার দায় মেনে নিয়ে এবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রধান হারজি হালেভি পদত্যাগ করতে পারেন। ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল টুয়েলভ- এর বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল), দেশটির সামরিক গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভার পদত্যাগ করেন।

গত সাত মাস ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এরপরও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী।

সেই সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে হামাসের নজিরবিহীন হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে ইসরায়েলি সামরিক ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগের বিরুদ্ধে। ইসরায়েলি নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় আড়াই'শ নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া এবং তাদের উদ্ধারে তেল আবিবের ব্যর্থতা সেনাবাহিনী ও সরকার বিরোধী ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হার্জি হালেভি কিছুদিনের মধ্যে পদত্যাগ করবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম শনিবার একথা জানিয়েছে।

ইসরায়েলের বেসরকারি সম্প্রচারকারী চ্যানেল টুয়েলভ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দেশটির সামরিক গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভার পদত্যাগের পর এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দায়ী সব কর্মকর্তাকে ঘরে ফিরে যেতে হবে, চিফ অব স্টাফ থেকে শুরু করে সবাইকে।

এর আগে, ২২ এপ্রিল ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি।


আরও খবর



আজকের রাশিফল: শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

আজ নতুন কী ঘটতে চলেছে? আজ কি আপনার জন্য ভাল কিছু অপেক্ষা করে আছে? কেমন থাকবে আপনার আর্থিক অবস্থা? নাকি খারাপ কিছুর অপেক্ষা করে আছে আপনার ভাগ্যে। বিখ্যাত জ্যোতিষীর দ্বারা বিশ্লেষণের পর আজকের দিন নিয়ে ভবিষ্যত গণনা জানুন আপনার আজকের রাশিফলে।

মেষ : বন্ধু বা আত্মীয়কে ঋণ দিতে পারেন। অন্যকে আর্থিকভাবে সহায়তা করে আপনার দিনের প্রথম ভাগটি কাটবে। কঠিন সমস্যার সমাধান পেতে পারেন। বড়দের পরামর্শ নেওয়া ভাল। স্বল্প সময়ের জন্য হলেও কারোর থেকে দূরে সরে যেতে পারেন।

বৃষ : দিনের শুরুতেই চাকরি সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান। কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের সাথে প্রতিযোগিতায় জয়লাভ। প্রেমের দিক থেকেও দিনটি ভাল। ঘরে সুখ ও শান্তির পরিবেশ। সারাদিনে মিশ্র ফললাভ।

মিথুন : আজ অন্যের অনুভূতি বুঝে কাজ করলে ভাল হবে এবং মনে সন্তোষ থাকবে। মাঝে মাঝে অন্যের মতে চললে কোন ক্ষতি নেই। অফিসে দলগত প্রচেষ্টায় কঠিন সমস্যার সমাধান।

কর্কট : আজ নিজেকে প্রমাণ করার অনেক সুযোগ থাকবে। এগুলি চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী কাজ করা আপনার দায়িত্ব। এছাড়াও যে সুযোগগুলি বার বার আসছে সেগুলো নিয়েও ভাবুন। চাকরি নিয়ে চাপ নেওয়ার দরকার নেই। বন্ধুদের সাথে দিনটি আনন্দে কাটান।

সিংহ : আজকের দিনটি পূর্ণ আনন্দে কাটবে। বিতর্কে জয়লাভ। ব্যবসার সাথে সম্পর্কিত কারও সাথে পরামর্শ করার দরকার হতে পারে। প্রতিটি নতুন কাজের আইনি সমস্যা গুলি অতিক্রম করা আপনার পক্ষে সহজ হবে।

কন্যা : আজকে আপনাকে অনেক বেশি দায়িত্ব বহন করতে হবে। বাড়ির পুরানো আটকে থাকা কাজ শেষ করার সুযোগ পাবেন। দিনের দ্বিতীয় ভাগে প্রিয়জনের সাথে ঘুরতে যাবার পরিকল্পনা করতে পারেন। ব্যবসায় কোনও ধরণের ঝুঁকি নেবেন না।

তুলা : আজ পুরানো বকেয়া মেটাতে পারেন। কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস কিনতে হতে পারে। পকেটের বিশেষ যত্ন নিন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনবেন না। ব্যবসায় বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে নেওয়া পরামর্শ কার্যকর হতে পারে।

বৃশ্চিক : সারাদিন খুব ব্যস্ত থাকবেন। দিনের প্রথমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফোন কল এবং ইমেলের উত্তর দেওয়া প্রয়োজন। কোনও পুরানো বন্ধুর সাথে হঠাৎ দেখা হতে পারে। সে যদি আপনার থেকে ধার চায় তবে সঞ্চয়ের কথা ভেবে তারপর ধার দিন।

ধনু : অফিসে নতুন দায়িত্ব পেতে পারেন। সৃজনশীল কাজেও আগ্রহ বাড়বে। সন্ধ্যায় জিনিসপত্র ক্রয়। বাড়ির প্রবীণদের সাথে তর্ক না করাই ভাল। তাদের মতামত শুনুন, পরে তা কার্যকরী হতে পারে।

মকর : আজ নতুন কোনো পরিকল্পনাকে কেন্দ্র আপনার নতুন শক্তির উন্মেষ হবে। প্রেম সম্পর্কে খুব উত্তেজিত থাকবেন। মনের কথা বলার এটি সেরা সময়। অফিসে পদোন্নতি বা বেতন বাড়ার সম্ভাবনা। আপনার প্রত্যাশার উপর নজর রাখুন।

কুম্ভ : সকালের দিকে স্বল্প ধনপ্রাপ্তি। তবে কোন কাজই ছোট বা বড় নয়। একবার কাজের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হলেই দুনিয়া আপনার হাতের মুঠোয় আসবে। আজকের সন্ধ্যা পরিবারের সাথে আনন্দে কাটবে।

মীন : আজ আপনি নিজের কাজ উপভোগ করবেন। প্রতিপক্ষের সমালোচনার দিকে মনোযোগ না দিয়ে নিজের কাজ চালিয়ে যান। সাফল্য একদিন আপনার পদতলে হবেই। আপনার সামাজিক পরিচিতি বাড়াতে সক্ষম হবেন। সাথে সম্মানও বাড়বে। আটকে থাকা কাজগুলোও যদি চেষ্টা করেন তবে সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে ছয় দিনের সরকারি সফরে স্থানীয় সময় বুধবার দুপুর ১টা ০৮ মিনিটের দিকে ব্যাংকক পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় ব্যাংককের ডন মুয়াং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই উপপ্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল তাকে স্বাগত জানান। বিমানবন্দরে তাকে স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার এবং ১৯ বার গান স্যালুট দেওয়া হয়।

থাইল্যান্ডের মিনিস্টার ইন অ্যাটেনডেন্স পুয়াংপেত চুনলাইয়েদ, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল হাই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।

১৯৭২ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর এই প্রথম বাংলাদেশ থেকে থাইল্যান্ডে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে সফর। ২৪ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত সফরকালে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন।


আরও খবর



হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে খামারের শত শত মুরগি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বছর ১৭ আগে মুরগির খামার শুরুর পর ভালোই চলছিল বরিশালের আমানতগঞ্জের সেলিনা হোসেনের। কিন্তু ব্যবসায় বিপত্তি শুরু হয় করোনা মহামারীকালে। এরপর কিছুটা ঘুরে দাঁড়ান। সম্প্রতি বয়ে চলা তাপপ্রবাহ ও তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে হিটস্ট্রোকে মারা গেছে তার প্রায় ৭০০ মুরগি। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্বামীহারা এ খামারি।

সেলিনা হোসেন বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনের উৎস আমার এ মুরগির খামার। করোনার সময় একবার বড় লোকসান হয়। অনেক মুরগি মারা গিয়েছিল তখন। অনেক কষ্টে আবার ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি। ৮০০ ব্রয়লার মুরগি তুলেছিলাম। কিন্তু এবার সব শেষ। বিদ্যুৎ যায় আসে। যে গরম পড়ছে তাতে ফ্যান চালিয়ে রাখতে হয়। টিনে পানি দিতে হয়। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে আরো বেশি স্ট্রোক বেড়েছে। ওষুধ খাইয়েছি, তবু মুরগিগুলোকে রক্ষা করা যায়নি। আবার মুরগি ওঠানোর ক্ষমতা আমার নেই।

সেলিনার মতো অন্য খামারিদের একই হাল। অতিরিক্ত গরম ও লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি খামারেই দেখা দিয়েছে মড়ক। প্রায় প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে শত শত মুরগি। অনেক খামারি লোকসান গুনে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছেন। এদিকে হিটস্ট্রোকে মুরগি মারা গেলেও প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে তাদের কাছে কেউ যাচ্ছে না বলে অভিযোগ খামারিদের।

খামারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, করোনার পর থেকে পোলট্রি খাতে দুর্ভোগ যেন কাটছেই না। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পোলট্রিখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামার গুটিয়ে নেন বেসরকারি ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের প্রায় ৪০ শতাংশ খামারি। এছাড়া খাদ্য ও মুরগির বাচ্চার অতিরিক্ত দামের পাশাপাশি এখন পোল্ট্রি খাতের অন্যতম নীরব ঘাতক হয়ে উঠছে জলবায়ু পরিবর্তন। গত কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র তাপপ্রবাহে খামারগুলোয় ব্যাপক হারে ব্রয়লার মুরগি হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে। কমে যাচ্ছে ডিম উৎপাদনও। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য খামারিরা বিদ্যুতের ওপর নির্ভরশীল থাকলেও তীব্র লোডশেডিংয়ের কারণে সেটিও ব্যাহত হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, পাঁচদিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়াচ্ছে, আবহাওয়ার পরিভাষায় যাকে বলা হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। গতকালও চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বাগেরহাট ও কুষ্টিয়ায়ও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। এ তাপপ্রবাহ আরো বেড়ে সামনে অতি তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এতে ভবিষ্যৎ নিয়ে আরো বেশি শঙ্কায় রয়েছেন পোলট্রি খামারিরা।

বরিশালে গত কয়েক দিনে ৬১৭টি খামারে প্রায় পাঁচ হাজার ব্রয়লার মুরগি মারা গেছে বলে জানিয়েছেন জেলার পোলট্রি মুরগির খামার মালিকদের সংগঠনের নেতা কালাম শিকদার। তিনি জানান, জেলায় ১ হাজার ৬০৮টি মুরগির খামার রয়েছে। এর মধ্যে ব্রয়লার মুরগির ৬১৭টি, লেয়ার ৫৩৫টি ও সোনালি মুরগির ৪৫৬টি। মাত্রাতিরিক্ত গরমের কারণে পোলট্রি খামারে দেখা দিয়েছে হিটস্ট্রোক। তাপপ্রবাহ থেকে মুরগি বাঁচাতে অনেক খামারে বৈদ্যুতিক পাখা সংযুক্ত করলেও ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সেটিও কাজে আসছে না। ফলে পোলট্রি খামারে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন খামারিরা।

তীব্র গরমে খামারে মড়ক লাগলেও কোনো তথ্য দিতে পারেনি জেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আবু সুফিয়ান বলেন, গরমের সময় খামারে বারবার পানি স্প্রে ও টিনের চালে ছালার চট ভিজিয়ে রাখার পরামর্শসহ একাধিক গাইডলাইন দেয়া হয়েছে বিভাগের প্রত্যেক মাঠ কর্মকর্তাকে। তারা খামারিদের এ বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে গরমে মুরগির মৃত্যুর বিষয়টি আমাদের অবহিত করা হয়নি এখনো।

চট্টগ্রামের খামারিরা জানিয়েছেন, ওষুধ ও পানি স্প্রের মাধ্যমে হিটস্ট্রোক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হলেও প্রতিনিয়ত ব্রয়লার মুরগি মারা যাচ্ছে। আবার লেয়ার মুরগির ডিম উৎপাদন কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ।

বৃহত্তর চট্টগ্রাম পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লিটনের খামারে দেড় কেজির বেশি মুরগি ছিল প্রায় চার হাজার। কিন্তু গত দুদিনের গরমে প্রায় এক হাজার মুরগি মারা গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ছোট মুরগি মারা যায় কম। কিন্তু এক কেজি ওজনের বেশি মুরগি প্রচুর মারা যাচ্ছে। আমার বড় মুরগির খামারে গত দুদিনে ২৫ শতাংশই মারা গেছে। আশপাশের সবার ক্ষেত্রেই এমন হচ্ছে। যত ভালো খামার ব্যবস্থাপনাই থাকুক এ গরমে মুরগি মারা যাবেই। তবে এ বছর মৃত্যুটা বেশি।

একই কথা জানান রাউজান উপজেলার অর্ণব পোলট্রি ফার্মের স্বাত্বাধিকারী দেবাশীষ ভট্টাচার্য্য। তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের তীব্র তাপপ্রবাহে আমার খামারের বেশকিছু মুরগি মারা গেছে। আরো কিছু মুরগির অবস্থা সংকটাপন্ন। লেয়ার মুরগির ডিম উৎপাদন কমে গেছে। স্যালইন, ভিটামিন সি খাওয়ানোর পাশাপাশি ঠাণ্ডা পানি দিয়ে স্প্রে করে খামারের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। অন্যদিকে গরমের কারণে ভূগর্ভস্থ পানিও তোলা যাচ্ছে না। এ কারণে পানিরও সংকট আছে। এভাবে গরম পড়তে থাকলে খামার রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব হবে না। কম দামে তখন বিক্রি করে দিতে হতে পারে।

চট্টগ্রাম প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় প্রায় চার হাজার ব্রয়লার ও পাঁচ শতাধিক লেয়ার মুরগির খামার আছে। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক মুরগি খামারের উপপরিচালক মো. আলমগীর বলেন, অনেক বেসরকারি পর্যায়ের খামারে গরমের কারণে মুরগি মারা যাওয়ার খবর শুনেছি। তবে সরকারি খামারগুলোয় এখন কোনো মুরগি মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। খামারগুলোয় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি।

যশোরে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের সর্বোচ্চ। আগের দিন ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিনের তীব্র গরমে ১০ হাজারের মতো মুরগি মারা গেছে। শহরের নাজির শংকরপুর এলাকার খামারি সানজিদা বেগম বলেন, প্রচণ্ড গরমে মুরগি মারা যাচ্ছে। আমার খামারে ৭০০ মুরগি ছিল। এখন আছে ২৫০টি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, যশোরে মুরগি খামার রয়েছে ১ হাজার ৫৩৪টি। সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তপু কুমার জানান, তার অধীনে ২৪৯টি ব্রয়লার ও ২৫টি লেয়ার মুরগির খামার রয়েছে। কয়েক দিন ধরে যশোরে প্রচণ্ড গরম পড়েছে। এতে মুরগির হিটস্ট্রোক বেড়ে গেছে। খাওয়া কমে গেছে। তবে কী পরিমাণ মুরগি মারা গেছে তার হিসাব নেই।

তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় রংপুরের খামারিরাও দুশ্চিন্তায় আছেন। লোডশেডিং তাদের আতঙ্ক আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। জেলায় লেয়ার মুরগির খামার আছে দেড় শতাধিক এবং ব্রয়লার চার শতাধিক।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গরমে সাধারণত ৩৪ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে সহনীয় ধরা হয়। এর ওপরে গেলে অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বলা হয়, যা সব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর। হিটস্ট্রোকসহ নানা অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

এ মুহূর্তে চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর তাতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ আরো বেড়েছে খামারিদের। এ গরম চলতে থাকলে মুরগির মৃত্যু আরো যে কত বাড়বে তা নিয়েই আতঙ্কিত তারা।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, কয়েক দিন ধরে তাপমাত্রা বেশি ছিল। কিছু স্থানে হালকা বৃষ্টি হলেও তাপমাত্রা কমেনি। আগামী দুদিন তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে। খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোয় বেশি গরম পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী আবহাওয়া বিরূপ আচরণ করছে। এর সঙ্গে নগরায়ন ও গাছপালা কেটে ফেলার কারণে খারাপ হচ্ছে বাংলাদেশের আবহাওয়া।

পোলট্রি বিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুরগির বাচ্চার তাপমাত্রা সহ্যক্ষমতা বেশি থাকে। তবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তা কমে আসে। এ কারণে বড় আকারের মুরগি হিটস্ট্রোকে বেশি মারা যায়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী বলেন, অতিরিক্ত গরমে তুলনামূলক ব্রয়লার মুরগি বেশি মারা যায়। কারণ তাদের সহ্যক্ষমতা কম। গরমে ব্রয়লার মুরগি খাবার কমিয়ে দেয়। সে কারণে তার খাবারে এনার্জির পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। টিনের চালে পানি বা ভেজা বস্তা দিতে হবে যেন শেড ঠাণ্ডা থাকে।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ, ভাঙল ৭৬ বছরের রেকর্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ। কখনো তীব্র আবার কখনো অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে। টানা এতদিনের তাপদাহ আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশ। এ অবস্থায় চলতি বছর দেশে গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তাপদাহ। যা এপ্রিল মাসজুড়েই অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে জানান, ১৯৪৮ সাল থেকে ইতিহাসে এবারই প্রথম দীর্ঘসময় ধরে তাপপ্রবাহ বইছে বাংলাদেশে। চলতি এপ্রিলে টানা ২৪ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী বিভাগে ১ এপ্রিল থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। এরপর ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বিভাগটির তাপমাত্রা ৩৬-৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়। পরবর্তীতে ঢাকা, খুলনা ও রংপুর বিভাগেও তাপমাত্রা বাড়ে এবং দু’দিন তা অব্যাহত থাকে।

এদিকে, গত ৮ এপ্রিল কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। তবে ৯ ও ১০ এপ্রিল সারাদেশে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে ছিল। এরপর ১১ এপ্রিল থেকে উষ্ণতা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।

টানা অন্তত দু’দিন তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকলে তা তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এদিকে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সবশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এই অবস্থায় আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

অন্যদিকে, বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলাসমূহের ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলাসহ খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং ঢাকা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদী, বগুড়া, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যা আগামী ২৪ ঘণ্টায়ও অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


আরও খবর
আজ ঢাকায় কখন বৃষ্টি হবে

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4