আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

২৮ ফেব্রুয়ারি: ইতিহাসে আজকের এই দিনে

প্রকাশিত:সোমবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ইংরেজি। রোজ সোমবার। বাংলা তারিখ হচ্ছে- ১৫ ফাল্গুন, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ। ইংরেজি তারিখ হচ্ছে- ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ইং। আরবি তারিখ হচ্ছে- ২৬ রজব, ১৪৪৩ হিজরি।

২৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ৫৯ তম দিন। বছর শেষ হতে আরো ৩০৬ দিন ( অধিবর্ষে ৩০৭ দিন ) বাকি রয়েছে।

ইতিহাসের প্রতিটি দিনেই ঘটে কিছু না কিছু যুগান্তকারী ঘটনা। তাই প্রতিটি দিনই এক একটি ইতিহাস।

পৃথিবীকে আলোকিত করেছেন অনেক জ্ঞানী-গুণীজন। একের পর এক রচনা করেছেন এবং করছেন ইতিহাসের পাতা। উন্মোচিত হয়েছে জগতের নতুন নতুন দিগন্ত। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সেই ইতিহাস চিন্তা, চেতনা ও প্রেরণার উৎস। যারা জন্মেছিলেন কিংবা চলে গেছেন আজকের এই দিনে।

আবার বহু ঘটনাই রয়েছে ফেলে আসা সময়ের পথে। যেসব ঘটনা এনেছিল প্রশান্তি কিংবা রচনা করেছে অনাকাঙ্ক্ষিত দুঃস্বপ্নে নীলকাব্য। যা ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনেই।

মানব জীবনের প্রতিদিনকার বেশ কিছু বাস্তবতা কিংবা ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। ইতিহাস জাতীয় জীবনে সবসময় গুরুত্ব বহন করে।

সময়ের হিসেবে অতি অল্প সময়। আবার একটি ঘটনার জন্য যথেষ্ট সময়। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছে অনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা।

চলুন তাহলে, জেনে নেই ইতিহাসে আজকের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা,

ইতিহাসে আজকের ঘটনাবলী:

১০৬৬ ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে চালু হয়।

১৫২২ ডেনমাকের্র রাজা দ্বিতীয় ক্রিস্টিয়ানের বিরুদ্ধে সুইডেনের জনগণের গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়।

১৫৬৮ সম্রাট আকবরের কাছে রানা উদয় সিং আসমর্পণ করেন।

১৭০৮ নিউইয়র্কে ক্রীতদাসদের বিদ্রোহে ১১ জন নিহত হয়।

১৭২৮ লন্ডনে জর্জ এফ হ্যান্ডেলের অপেরা প্রদর্শনী হয়।

১৮১৩ তৎকালীন ইউরোপের দুই বড় শক্তি প্রুশিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক এবং সামরিক জোট গঠিত হয়।

১৮২০ চতুর্থ জর্জ ইংল্যান্ডের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।

১৮২৭ আমেরিকায় প্রথম বাণিজ্যিক রেলপথ চালু হয়।

১৮৭৭ তুরস্ক ও সার্বিয়ার মধ্যে শান্তি চুক্তি হয়।

১৮৮৩ ভারতে প্রথম টেলিগ্রাফ চালু হয়।

১৯১৯ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আফগানিস্তানের অভ্যুদয় ঘটে।

১৯২২ মিশর স্বাধীনতা লাভ করে।

১৯২৪ মার্কিন বাহিনী হুন্ডুরাসে অবতরণ করে।

১৯৪৮ ব্রিটিশ সৈন্যদের শেষ দল ভারত ত্যাগ করে।

১৯৫১ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

১৯৭৪ বাংলাদেশে আদমশুমারীর কাজ সম্পন্ন হয়।

১৯৭৯ ইরানের ইসলামী বিপ্লবের রূপকার মরহুম ইমাম খোমেনী (রঃ) ধর্মীয় শহর কোমে ফিরে আসেন।

১৯৮২ ঢাকার জাতীয় সংসদ ভবনের উদ্বোধন হয়।

১৯৮৪ বাংলাদেশে স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের ট্রাকের তলায় পিষ্ট হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সেলিম ও দেলোয়ার শহীদ হন।

১৯৮৮ ইরাকের আগ্রাসী সাদ্দামের সেনারা ইরানের মুজাহিদদের হাতে বিভিন্ন রণাঙ্গনে উপর্যুপরি পরাজয়ে দিশেহারা হয়ে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন শহরের আবাসিক এলাকায় চতুর্থ পর্যায়ে ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করে।

১৯৯১ তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট সিনিয়র জর্জ বুশ ইরাকের বিরুদ্ধে ৪০ দিনের যুদ্ধের পর যুদ্ধ-বিরতি ঘোষণা করেন।

২০১৩ দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় প্রদান করে আন্তর্জাতিক আপরাধ ট্রাইবুনাল।

২০১৩ দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় এর প্রতিবাদে ৬০ জনের ও বেশী ধর্মপ্রাণ মুসলমান পুলিশের গুলিতে নিহত হন এবং অসংখ্য লোক আহত হন।

ইতিহাসে আজকে যাদের জন্ম:

১১৫৫ জন্মগ্রহণ করেছিলেন হেনরি ইয়াং কিং, তিনি ছিলেন ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় হেনরির ছেলে।

১২৬১ জন্মগ্রহণ করেন মার্গারেট, তিনি ছিলেন নরওয়ের রানি।

১৫৩৩ জন্মগ্রহণ করেছিলেন মিশেল একেম দ্য মন্‌টেইন, তিনি ছিলেন ফরাসি দার্শনিক ও লেখক।

১৮৪৪ জন্মগ্রহণ করেছিলেন গিরিশচন্দ্র ঘোষ, তিনি ছিলেন বিখ্যাত বাঙ্গালি নাট্যব্যক্তিত্ব।

১৮৯৬ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ফিলিপ শওাল্টের শওালটের হেনচ্‌, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান ডাক্তার।

১৯০১ জন্মগ্রহণ করেছিলেন লিনাস পাউলিং, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান রসায়নবিদ ও সমাজ কর্মী।

১৯১৫ জন্মগ্রহণ করেছিলেন পিটার মিডাওয়ার, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্রাজিলিয়ান বংশোদ্ভূত ইংরেজ জীববিজ্ঞানী।

১৯৩০ জন্মগ্রহণ করেছিলেন লিয়ন ন্যাথান কুপার, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান পদার্থবিদ ও শিক্ষাবিদ।

১৯৩১ জন্মগ্রহণ করেছিলেন এ বি এম মূসা, তিনি ছিলেন একাধারে একজন সাংবাদিক, সম্পাদক ও কলামিস্ট।

১৯৩৬ জন্মগ্রহণ করেন সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, তিনি ছিলেন রম্যরচনার জন্য খ্যাত জনপ্রিয় বাঙালি ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও প্রাবন্ধিক।

১৯৩৯ জন্মগ্রহণ করেছিলেন ড্যানিয়েল চি ৎসুই, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী চীনা বংশোদ্ভূত মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী।

১৯৪৮ জন্মগ্রহণ করেছিলেন স্টিভেন চু, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান পদার্থবিদ।

১৯৫০ জন্মগ্রহণ করেছিলেন পপ সম্রাট আজম খান, তিনি ছিলেন জনপ্রিয় বাংলাদেশী পপ গায়ক।

১৯৫৩ জন্মগ্রহণ করেছিলেন পল রবিন ক্রুগম্যান, তিনি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান অর্থনীতিবিদ।

১৯৭৯ জন্মগ্রহণ করেছিলে সেবাস্টিয়ান বউরডাইস, তিনি ফরাসি রেস কার চালক।

১৯৮৫ জন্মগ্রহণ করেছিলে টিম ব্রেসনান, তিনি ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার।

ইতিহাসে আজকে যাদের মৃত্যু:

১৩২৬ মৃত্যুবরণ করেন ১ম লিওপন্ড, তিনি ছিলেন অস্ট্রিয়ার ডিউক।

১৭১২ মৃত্যুবরণ করেন প্রথম বাহাদুর শাহ।

১৮৬৯ মৃত্যুবরণ করেন আফন্সে দ্য লামারটিনে, তিনি ছিলেন ফরাসি লেখক ও কবি।

১৮৯০ মৃত্যুবরণ করেন আলেকজান্ডার বরোদিন, তিনি ছিলেন রাশিয়ার জগদ্বিখ্যাত সুরকার।

১৯১৬ মৃত্যুবরণ করেন হেনরি জেমস, তিনি ছিলেন মার্কিন কথাসাহিত্যিক।

১৯২৫ মৃত্যুবরণ করেন ফ্রেডরিক এবার্ট, তিনি ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ ও ১ম রাষ্ট্রপতি।

১৯৩৬ মৃত্যুবরণ করেন চার্লস জুলেস হেনরি নিকোলে, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ফরাসি জীববিজ্ঞানী।

১৯৬৩ মৃত্যুবরণ করেন রাজেন্দ্র প্রসাদ, তিনি ছিলেন ভারতীয় আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও ১ম রাষ্ট্রপতি।

১৯৭০ মৃত্যুবরণ করেন শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি ছিলেন বাঙ্গালি অধ্যাপক ও বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য গবেষক।

১৯৮৬ মৃত্যুবরণ করেন ভেন ওলফ জোয়াচিম পালমে, তিনি ছিলেন সুইডিশ রাজনীতিবিদ ও ২৬ তম প্রধানমন্ত্রী।

২০০৬ মৃত্যুবরণ করেন ওয়েন চেম্বারলেইন, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান পদার্থবিদ।

২০১১ মৃত্যুবরণ করেন অ্যানি গিরারডট, তিনি ছিলেন ফরাসি অভিনেত্রী।

২০১৩ মৃত্যুবরণ করেন ডোনাল্ড আর্থার গ্লেজার, তিনি ছিলেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকান পদার্থবিদ ও স্নায়ু-জীববিজ্ঞানী।

২০১৫ মৃত্যুবরণ করেন ইয়াসার কামাল, তিনি ছিলেন তুর্কি সাংবাদিক ও লেখক।

২০১৯ মৃত্যুবরণ করেন শাহ আলমগীর, তিনি ছিলেন বাংলাদেশি সাংবাদিক ও পিআইবির মহাপরিচালক।

ইতিহাসে আজকে দিবস সমূহ ও অন্যান্য:

আজ জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস (বাংলাদেশ)।


আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

২৫ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪




ফের ‘অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে উঠেছে ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণের কবলে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে বাতাসের কিছুটা উন্নতি হয়। কিন্তু শহরটিতে দুয়েকদিন বৃষ্টি বিদায় নিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে ঢাকার বাতাস আবারও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫২ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৮ নম্বরে উঠে এসেছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

 তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৪৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতের শহর দিল্লির স্কোর ১৯৫। আর ১৮৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর, ১৬৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার স্কোর ১৬৮।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



ওবায়দুল কাদেরের মস্তিষ্ক অলস-হৃদয় দুর্বল: রিজভী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল বলে তিনি বেশি অবান্তর কথা বলেন, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব বিএনপির কাছে তালিকা চেয়ে চিৎকার করছেন। ওবায়দুল কাদের সাহেব কিসের তালিকা চাইছেন? এর আগেও তালিকা দেওয়া হয়েছিল। আর তালিকা-তো আপনাদের কাছেই রয়েছে। আইন-আদালত, থানা-পুলিশ আপনাদের কব্জায়। ওবায়দুল কাদের সাহেবের স্নায়ু শিথিল, মস্তিষ্ক অলস ও হৃদয় দুর্বল হওয়ার কারণে বেশি বেশি অবান্তর কথা বলেন। শেখ হাসিনার বিনাভোটের সরকার অসংখ্য মানুষকে গুম, খুন, অপহরণ করেছে। জাতিসংঘ গুমের একটি তালিকা দিয়েছিল। আজ পর্যন্ত বিনাভোটের সরকার এর কোনো জবাব দিতে পারেনি।

বুধবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, এম ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের আজ ১২ বছর পূর্ণ হলো। তাকে ফিরে পাওয়ার অধীর অপেক্ষায় আজও প্রহর গুনছেন তার স্ত্রী-সন্তানসহ দেশের অগণিত নেতাকর্মী। সমাজে মানুষের মধ্যে ভয়, আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতার বোধ সৃষ্টির জন্যই গুমকে কৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী। মূল লক্ষ্য বিরোধী কণ্ঠকে নির্মূল করা, দীর্ঘ মেয়াদে ফ্যাসিবাদী শাসনকে নিষ্কণ্টক করা। এ সরকারের গোটা আমলটায় অপহরণ, গুম, খুন, ক্রসফায়ার এবং বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, এম ইলিয়াস আলীসহ সরকারের গুমের শিকার সবাইকে অক্ষত অবস্থায় যার যার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিন। অন্যথায় একদিন প্রতিটি গুম-খুনের দায়ে বিচারের জন্য তৈরি থাকুন।


আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজও অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানে কিছুটা উন্নতি হয়। গত কয়েক দিন ধরেই গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে রাজধানীর বাতাসে নেই কোনো সুখবর।

রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। ১২৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছে ঢাকা।

তবে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৫১ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের শহর দিল্লি। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহরের স্কোর ২৩১। আর ১৯০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর, ১৭২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার মেদান শহরের স্কোর ১৬৩।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।


আরও খবর



ঢাকাসহ ৪ বিভাগে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগের ওপর দিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বইছে। এসব এলাকায় আগামী দুই-তিন দিন তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে। তাই এসব এলাকায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে সংস্থাটি।

বুধবার (৩ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সতকর্বাতা জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চলমান তাপপ্রবাহ আজ (৩ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং আরো বিস্তার লাভ করতে পারে।

জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, তাপমাত্রা যদি ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলে। ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর অতি তীব্র হয় ৪২ ডিগ্রি বা এর বেশি হলে।

বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ঈশ্বরদী ও চুয়াডাঙ্গায় ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় রেকর্ড করা হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


আরও খবর



হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের মাঝে হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা জাতের হীরা-৬ ধান। অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় চাষীরা রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন হীরা-৬ জাতের হাইব্রিড ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী মিশন পাড়ার অনুষ্ঠিত হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রীম সীড কোম্পানীর আয়োজনে হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসে স্থানীয় কৃষক আব্দুল আজিজ মৃধার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানীর জোনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনিতা মজুমদার। কোম্পানীর রিজিওনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ আসাদুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় পরিবেশক দুলাল রায়, কৃষক শওকত আকন প্রমুখ।

কৃষক শওকত আকন জানিয়েছেন, তিনি তার ৬০ শতক জমিতে হীরা-৬ জাতের বোরো ধান চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আগামীতেও তিনি এ জাতের ধান চাষ করবেন।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে যেসব হাইব্রিড ধান চাষ হয় হীরা-৬ ধান তার মধ্যে অন্যতম। উচ্চ ফলনশীল হওয়ার কারণে এই ধান তাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

মাঠ দিবসের আলোচনার শুরুতে অতিথিরা কৃষকদের সাথে নিয়ে হীরা-৬ ধানসহ অন্যান্য জাতের চাষ করা কয়েকটি বোরো ক্ষেত পরিদর্শন করে ধানের চারা সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে গণনা করে হীরা-৬ ধানের প্রতিটি শীষে গড়ে ৩০৬ থেকে ৩১০টি ধান পাওয়া গেছে। অন্যান্য জাতের ধানে সর্বোচ্চ ২০০টি ধান পাওয়া যায়।

এরপর অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মশিউর রহমান বলেন, হীরা-৬ বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা হাইব্রিড ধান। এই জাতের ধানে অন্য যেকোন হাইব্রিড ধানের তুলনায় বেশি ফলন হয়। রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন ১৪৫ দিনের জীবন কাল হীরা-৬ ধানের জাতে প্রতি শতকে এক মনের অধিক ধান পাচ্ছেন কৃষক। পাশাপাশি এ ধানের খোসা অত্যন্ত পাতলা হওয়ায় প্রতি ১০০ মন ধানে ৭৩ মনের অধিক চাল পাওয়া যায়। এছাড়াও এ ধানের চাউলের ভাত অন্যান্য জাতের মতো আঠালো হয়না।

সভায় উপস্থিত প্রায় দুই শতাধিক কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বোরো চাষের শুরুতে আগে ভাবতে হবে কোন ধানের বীজ বপন করে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। কারণ এটা শুধু বীজ নয়; একটি পরিবারের স্বপ্ন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে যে কয়টি কোম্পানি হাইব্রিড ধানের আমদানির অনুমতি পেয়েছে তাদের মধ্যে একটি সুপ্রীম সিড। কোম্পানিটি বাংলাদেশে প্রথম চীন থেকে বাংলাদেশে হীরা ধানের বীজ এনে বাজারজাত করেন। এরপর তারা নিজস্ব উৎপাদনে যায়। বর্তমানে ৯০ শতাংশ বীজ নিজেরাই উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, হাইব্রিড ধান সাধারণত ৭০-৭৫ শতাংশ পাকলেই কাটতে হয়। কারণ ধান বেশি পাকার ফলে ক্ষেতেই ঝড়ে যায়। তখন হাইব্রিড ধানের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণা হয়। যে কারণে কৃষকদের সচেতনতার জন্যই মূলত হীরা-৬ ধানের মেগা মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।


আরও খবর
দাম কমলো সোনার

মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪