প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে আবারও টিকা ক্যাম্পেইন শুরু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর
ডা. শামসুল হক।
তিনি জানান, টিকা ক্যাম্পেইনে একদিনেই
৮০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া হবে। এ কর্মসূচি নিয়ে দুপুরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী
জাহিদ মালেক বিস্তারিত ব্রিফ করবেন। সেখানে তিনি বিস্তারিত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরবেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর)
এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এ মাসেই (সেপ্টেম্বর) আবারও বড় পরিসরে
সারাদেশে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন করা হবে। ক্যাম্পেইনের আওতায় এক কোটিরও বেশি মানুষকে
টিকা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে বর্তমান টিকাদান কর্মসূচিও চলমান থাকবে।
এবিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক
অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, গণহারে শুরু হতে যাওয়া এই টিকা কর্মসূচিকে আমরা
গণটিকা বলছি না। তবে ব্যাপক আকারে আমরা এই টিকা দেব। টিকা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ১ কোটিসহ
প্রতি মাসে নিয়মিত প্রায় ২ কোটি টিকা দেওয়া হবে।
কোন টিকা দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
সারাদেশে এবারও সিনোফার্মের টিকাই দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে আগে সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতে
মডার্নার টিকা দেওয়া হলেও এবার সেগুলোতে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হবে।
টিকার মজুদ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক
আরও বলেন, আমাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা মজুদ আছে এবং আমরা সামনের দিনগুলোতে প্রয়োজনীয়
টিকা পাওয়ার উৎস নিশ্চিত করেছি।
স্পট রেজিস্ট্রেশনে ষাটোর্ধ্বদের টিকা
প্রয়োগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সপ্তাহের নির্দিষ্ট একদিন নিবন্ধিত বা অনিবন্ধিত ৬০
বছরের বেশি বয়সীদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে স্পট রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার
ব্যবস্থা করা হবে।
খুরশীদ আলম বলেন, আমরা দেখতে পেয়েছি ষাটোর্ধ্ব জনসংখ্যা গোষ্ঠী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমিত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। এটা মাথায় রেখেই আমরা নতুন টিকাদান পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা টিকা দেওয়ার সময় মাথায় রাখব যারা বয়স্ক তারা যেন অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই টিকা পান।