আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

আজ ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস। ৭১ সালের এই দিনে হানাদার মুক্ত হয় এ জেলা। ১৫ এপ্রিল ৭১ আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র সজ্জিত হয়ে পাকবাহিনী ঠাকুরগাঁওয়ে প্রবেশ করলে তাদের দখলে চলে যায় এ জনপদটি। তারা ১০টি ট্রাক ও ৮টি জিপে করে মুহুর্মুহু শেল বর্ষণ করতে করতে ঠাকুরগাঁওয়ে ঢুকে পড়ে। শুরু হয় হত্যা, নির্যাতন, লুটপাট আর বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা।

 

হানাদার বাহিনী ও তার দোসররা সবচেয়ে বড় গণহত্যাকাণ্ড চালায় সদর উপজেলার জাঠিভাঙ্গা গ্রামে। সেখানে স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকবাহিনী আশপাশের ৪/৫টি গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার নিরীহ গ্রামবাসীকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ধরে নিয়ে আসে। সেখানে তাদের একত্র করে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে তাদের লাশ মাটিতে চাপা দেয়। এর মধ্যে অনেকেই জীবিত ছিলেন। পাক সেনারা চলে যাওয়ার পর জীবিত চারজন মাটি ঠেলে উঠে আসেন। শুকানপুকুর এলাকায় কয়েক হাজার অবাঙালি ও অস্থানীয় লোক ভারত অভিমুখে যাওয়ার সময় পাথরাজ নদী এলাকায় তাদের আটক করে স্বর্ণালংকার লুটপাট চালিয়ে হত্যার পর তাদের লাশ নদীতে গণকবর দেওয়া হয়।

 

ঠাকুরগাঁও চিনিকলের দুই কর্মচারী ও কৃষি ব্যাংকের একজন গার্ডকে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয় সুগার মিল এলাকায়। রামনাথ এলাকায়ও চালানো হয় গণহত্যা। এরপর পীরগঞ্জ থানার আওয়ামী লীগ নেতা ডা. সুজাউদ্দীন, বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, আতাউর রহমান, আব্দুল জব্বার ও মোজাফ্ফর আলীসহ সাতজন রাজনৈতিক নেতাকে ধরে এনে পীরগঞ্জ-ঠাকুরগাঁও পাকা সড়কের তেঁতুলতলা নামক আখফার্মে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। বিভিন্ন সময়ে এ থানার প্রায় তিন হাজার নিরীহ মানুষকে স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় ক্যাম্পে ধরে এনে তাদের হত্যা করে জগথা রাইস্ মিল ও সরকারি কলেজের পার্শ্বে মাটিচাপা দেওয়া হয়। ভোমরাদহ ইউনিয়নের দেশিয়াপাড়া নামক স্থানে স্থানীয় শতাধিক হিন্দু ও মুসলিম পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুদের ধরে এনে গণহত্যা চালানো হয়। পরে তাদের লাশ একই গর্তে মাটি চাপা দেওয়া হয়।

 

জেলার রানিশংকৈল থানা ক্যাম্পের শত্রুবাহিনী স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় পাঁচ হাজার লোককে ধরে এনে খুনিয়াদিঘি নামক পুকুর পাড়ে সারিবদ্ধ করে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে তাদের লাশ পুকুরের পানিতে ভাসিয়ে দেয়। গুলি করার আগে তাদের পুকুরপাড়ের একটি শিমূল গাছের সঙ্গে হাতেপায়ে লোহার পেরেক গেঁথে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন খবর জানতে বর্বর নির্যাতন চালায়। এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিদের কাছে সেদিনের কথা শুনে এখনও মানুষের গা শিউরে ওঠে। তখন থেকেই ওই পুকুরটি খুনিয়াদিঘি নামে পরিচিত।

 

এদিকে বালিয়াডাঙ্গী থানার মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক আলহাজ্ব দবিরুল ইসলামের পিতা আকবর আলীকে বাড়ি থেকে ধরে এনে গুলি করে হত্যা করে লাশ তিরনই নদীতে ফেলে দেয়। ঝিকরগাছা গ্রামের ২৫ নিরীহ লোককে বাড়ি থেকে ডেকে এনে বালিয়াডাঙ্গী ক্যাম্পে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। হরিপুর থানার শাইফুদ্দীন, মহিরউদ্দীন, নুরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মজিবর রহমান ও তার ভাই এবং হরিপুর মসজিদের ইমামসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তিকে হরিপুর পাকবাহিনীর ক্যাম্পে ধরে আনা হয়। কিন্তু সেখান থেকে কেউ আর ফিরে আসেননি।

 

হরিপুরের ঝিগড়া গ্রাম, কুসলডাঙ্গীর বহু মানুষকে একসঙ্গে ডেকে বেয়নেট দিয়ে খুটিয়ে হত্যা করে মাটি চাপা দেওয়া হয়। কামারপুকুর নামক এলাকায় প্রায় অর্ধশত হিন্দু-মুসলিমকে একসঙ্গে গণকবর দেওয়া হয় বলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানিয়েছেন। ২৯ নভেম্বর এ মহকুমার পঞ্চগড় থানা প্রথম শত্রুমুক্ত হয়। পঞ্চগড় হাতছাড়া হওয়ার পর পাকবাহিনীর মনোবল ভেঙে গেলে তারা পিছু হটে ময়দানদিঘি, বোদা, ভুলণ্ডী হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে ঘাঁটি স্থাপন করে। ভারতীয় মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ আক্রমণ চলতে থাকে সেখানে।

 

পাক সেনারা ৩০ নভেম্বর ভুলণ্ডী ব্রিজ উড়িয়ে দেয়। তারা সালন্দর এলাকার সর্বত্র বিশেষ করে আখ ক্ষেতে মাইন পেতে রাখে। মিত্রবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে ব্রিজ মেরামত করে ট্যাঙ্ক পারাপারের ব্যবস্থা করে। ১ ডিসেম্বর ব্রিজ পাড় হলেও মিত্রবাহিনী যত্রযত্র মাইনের কারণে ঠাকুরগাঁও শহরে ঢুকতে বিলম্ব হয়। ওই সময় শত্রুদের মাইনে দুটি ট্যাংক ধ্বংস হয়। পরে কমান্ডার মাহাবুব আলমের নেতৃত্বে মাইন অপসারণ করে মিত্রবাহিনী ঠাকুরগাঁও শহরের দিকে অগ্রসর হয়। ২ ডিসেম্বর প্রচণ্ড গোলাগুলির পর শত্রুবাহিনী ঠাকুরগাঁও থেকে পিছনে হটে যায়। ৩ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী বিজয়ের বেশে ঠাকুরগাঁও প্রবেশ করে।

 

জেলার বিভিন্ন থানা ও গ্রামের বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক স্থানে গণহত্যা চালায় পাকবাহিনী ও তার দোসররা। স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদদের মধ্যে পীরগঞ্জের অধ্যাপক গোলাম মোস্তাফার স্মরণে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করলেও তার সমাধিস্থল সংরক্ষণে কোনো সরকারি উদ্যোগ নেয়া হয়নি। পারিবারিকভাবে ইট দিয়ে সেখানে সমাধিস্থল চিহ্নিত করে রাখা হলেও সেটি অবহেলা আর অযত্নে পড়ে আছে। দখল হয়ে যাচ্ছে জমি।

 

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আকবর হোসেন জানান, যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক। সেই সময়ে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করেছে ভুল্লী এলাকার চৌধুরী পরিবারের কেউ কেউ এখনো বেঁচে আছে। তাদের বিচারের কাঠগড়ায় তুলে বিচার করে জাতিকে কলংক মুক্ত করা হোক। পাশপাশি জেলা ভিত্তিক ইতিহাস লিপিবদ্ধ করলে পরবর্তীতে বিকৃত হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও জেলা হতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল প্রায় এক হাজার ৬শ জন। তার মধ্যে ২শত জন শহীদ হন মুক্তিযুদ্ধে। ঠাকুরগাঁওয়ে গণকবরের সংখ্যা আনুমানিক ১৫টি। এখনো গণকবরের গণনা চলছে। ঠাকুরগাঁওয়ের বদ্ধভূমিগুলো আজও চিহ্নিতকরণ করা হয়নি। যে গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলো অবহেলা আর অযত্নে পড়ে আছে। এগুলো সংস্কার, সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান জেলার স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।


আরও খবর



১৬ বছর পর নিলামে সোনা বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

প্রায় ১৬ বছর পর নিলামে সোনা বিক্রি করল বাংলাদেশ ব্যাংক। বিভিন্ন মানের ২৫ কেজি ৩১২ গ্রাম সোনা ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) সব প্রক্রিয়া শেষ করে ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ভেনাস জুয়েলার্সের কাছে এসব সোনা হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে এই সোনা বিক্রির জন্য ২০২২ সালের নভেম্বরে নিলাম ডেকেও উপযুক্ত দরদাতা না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর বিক্রি করতে পারেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, শুল্ক গোয়েন্দার জব্দ করা সোনা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রির বিপরীতে পাওয়া ১৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা কাস্টমসের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় নিলামের মাধ্যমে এ সোনা বিক্রি করা হয়েছে।

জানা গেছে, স্থায়ী খাতে নেওয়া সোনার প্রায় দুই হাজার ৪২৯ কেজি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কিনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ করেছে। এ ছাড়া এখন পর্যন্ত মালিককে ফেরত বা নিলামে বিক্রি করা হয়েছে এক হাজার ৮৭ কেজি ৪০০ গ্রাম।

সর্বশেষ ২০০৮ সালের জুলাই মাসে প্রায় ২২ কেজি সোনা নিলামে বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ২০২২ সালের নভেম্বরে স্থায়ী খাতের আরও ২৫ কেজি ৩১২ গ্রাম সোনা বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে ওই বছরের নভেম্বরে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ নিলামে অংশ নিলেও অপেক্ষাকৃত কম দর প্রস্তাব করে। যে কারণে সে সময় বিক্রি না করে আবার নিলামের উদ্যোগ নেওয়া হয় গত বছরের মে মাসে। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষে গত অক্টোবরে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাত্র ৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাবিত দর মূল্যায়ন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান যে দামের প্রস্তাব করেছে, তাতে ২৫ কেজি সোনার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি টাকার কিছু বেশি। কিন্তু এই দাম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজেকশন রেটের চেয়ে কম হওয়ায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি নিলাম কমিটি। এরপর বিষয়টি নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট টিমের সভায় বিস্তারিত আলোচনা হলেও বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়নি।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) প্রদত্ত রেটের (বাজার রেট) চেয়ে অন্তত ১০ থেকে ২০ শতাংশ কম ধরে সোনা বিক্রির প্রজেকশন রেট ঠিক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদি নিলামে ওই রেটের সমান বা বেশি পাওয়া যায়, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সংক্রান্ত কমিটি সোনা বিক্রি করে দেয়।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর
জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




তীব্র গরমে ঢাবিতে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

চলমান তাপপ্রবাহের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চলবে।

আজ রবিবার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আদিষ্ট হয়ে জানাচ্ছি যে, সারাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপদাহ (হিট ওয়েভ)-এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রচলিত ১০% অনলাইন ক্লাসের পরিবর্তে শতভাগ অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং পরীক্ষাসমূহ চলমান থাকবে।

এতে আরও বলা হয়, এক্ষেত্রে কোনো শিক্ষার্থী হল অথবা বাসার বাইরে আসতে চাইলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নিম্নোক্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সাথে চলাফেরার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।

সাদা বা হালকা রঙের ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত স্থানে থাকা, বাইরে যেতে হলে মাথার জন্য চওড়া কিনারাযুক্ত টুপি, ক্যাপ বা ছাতা ব্যবহার করা, বিশুদ্ধ পানি পান করা; প্রয়োজনে লবণযুক্ত তরল যেমন- খাবার স্যালাইন ইত্যাদি পান করা, তাপমাত্রা বৃদ্ধিকারী পানীয় যেমন- চা ও কফি পান থেকে বিরত থাকা।


আরও খবর
ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




পবিত্র লাইলাতুল কদর শনিবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে সারাদেশে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর পালিত হবে। এদিন মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এ রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এ রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্যদিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন।

পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এছাড়া পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে আগামী রোববার সরকারি ছুটি থাকবে।

নিউজ ট্যাগ: লাইলাতুল কদর

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




চকরিয়ায় মহাসড়কে গণডাকাতি, গুলি বিনিময়, পুলিশসহ গুলিবিদ্ধ ২

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রিদুয়ানুল হক, চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার)

Image

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ব্যারিকেড দিয়ে গণপরিবহনে ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোররাত ৪টায় মহাসড়কের বরইতলী আলমনগর রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসা ড্রামট্রাকের মালিক ডাকাতের গুলিতে আহত হন। পরে পুলিশ-ডাকাত গুলিবিনিময় হলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতদের ফেলে যাওয়া একটি কাটা বন্দুক উদ্ধার করে পুলিশ। পিটুনিতে আহত হয় প্রবাসীসহ পাঁচজন।

ডাকাতির খবর পেয়ে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ডিউটিরত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করে বলে জানা যায়। এসময় হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত এএসআই সোলায়মান খাঁন ও স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন ড্রামট্রাকের মালিক আব্দুল খালেক পুতু (৩০), ডাকাতের পিটুনিতে আহত হয়- প্রবাসী রফিক উদ্দিন বাবুল, তার স্ত্রী মোশারফা বেগম, শাশুড়ি শাহেনা বেগম, শ্যালক জুলফিকার আলি ভুট্টো ও অটোচালক এহসান।

প্রবাসী পরিবার ও সিএনজির যাত্রী জুলফিকার আলী অভিযোগ করে বলেন, ডাকাতের কবল থেকে উদ্ধার করার জন্য চিৎকার দিলে ৩০০ গজ অদুরে থাকা হাইওয়ে থানার পুলিশ এগিয়ে আসেনি।

ডাকাতির শিকার ভুট্টো আরও বলেন, দীর্ঘ এক ঘণ্টার পর চকরিয়া থানাধীন হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আইসি জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাস্থলে আসে। হারবাং আইসি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, মহাসড়কের ডাকাতি রোধে হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্ব রয়েছে। তারা দায়িত্ব পালন না করে অন্য কাজে ব্যস্ত তাকে, অন্য কি কাজ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই জানে আমাকে কে প্রশ্ন করছেন। কিন্তু ডাকাতি সময় কিছু অদূরে হাইওয়ে থানার পুলিশ থাকলেও তারা এগিয়ে আসেনি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ডাকতের কবল থেকে প্রাবাসী পরিবার ও যাত্রীবাহী বাস উদ্ধার করে।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গত ১৫ বছরের মহাসড়কে এমন ডাকাতি ঘটনা ঘটেনি।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী নাদিম কাছে মহাসড়কের ডাকাতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার জানার পর সাথে সাথে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করি। ডাকাতের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর