আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

৩ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে নভেম্বরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০১ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আসা নিয়ে অস্থিরতা চলছে। যার প্রভাব পড়েছে রিজার্ভে। এর মধ্যে আশার কথা হলো অক্টোবর মাস থেকে নভেম্বর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে কিছুটা বেশি। সদ্যবিদায়ী নভেম্বর মাসে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে) ১৭ হাজার ৬৩ কোটি টাকার বেশি।

এর আগের মাস অর্থাৎ অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। এতে দেখা যায়, নভেম্বরে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার বেশি এসেছে। এছাড়া ২০২১ সালের নভেম্বরের দিকে তাকালে দেখা যায়, তখন ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। সে হিসাবে চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ৪ কোটি ডলার বেশি এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) টানা ২ বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে। এরপর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে রেমিট্যান্স আসা আরও কমে। তখন দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরে আসে রেমিট্যান্স। তবে সবশেষ নভেম্বরে রেমিট্যান্স বেশি আসাকে ইতিবাচক বলছেন ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা।

তাদের মতে, রেমিট্যান্স বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগ কাজে আসছে। আবার কোনো প্রবাসী নতুন করে দেশের বাইরে যেতে চাইলেও তাকে সরকারি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট (হিসাব) খুলতে হবে। এটা না খুললে তাকে ক্লিয়ারেন্স দেবে না এমন উদ্যোগ নিয়েছে বিএমইটি। সব মিলিয়ে আগামীতে আরও বেশি ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসবে এমনটাই বলছেন তারা।

এদিকে নভেম্বরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১২৮ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৫২ লাখ ডলার এবং বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ২১ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।

বরাবরের মতো নভেম্বরে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এ ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ডলার। আর রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৫৭ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। এছাড়া ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, সোনালী ব্যাংকে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ডলার এবং আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

এদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এরপর আগস্টে এসেছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছিল ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার।

এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ (২১ দশমিক ৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এটি তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ কম। তার আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ (২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।

*  নভেম্বরে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ ডলার এসেছে

*  যা অক্টোবরের চেয়ে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার বেশি

*  গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪ কোটি ডলার বেশি


আরও খবর



সমালোচনার পর ফায়ার সার্ভিস বললো, ‘এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিতে হয়নি’

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারের আগুন নেভাতে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে কোনো টোল দিতে হয়নি বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। টোল দেওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও এটিকে গুজব বলেছে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া ঘটনার দিন টোল সংক্রান্ত কোনো বিলম্ব হয়নি বলেও জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা জোন-৩ এর উপ-সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। আমাদের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যেতে কোনো ধরনের টোল দিতে হয়নি। এছাড়া টোল দেওয়া সংক্রান্ত কোনো ধরনের বিলম্বও আমাদের হয়নি।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওইদিন প্রাইভেটকারে লাগা আগুন নেভানোর কাজে অংশগ্রহণ করা ফায়ার সার্ভিসের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগুনের সংবাদ পাওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশন থেকে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যেই ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ঘটনাস্থলে যেতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে কোনো ধরনের টোল দিতে হয়নি। টোল দেওয়ার যে খবরটি ছড়িয়েছে সেটি সম্পূর্ণ গুজব। এছাড়া টোল সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো ধরনের বিলম্ব হয়নি ফায়ার সার্ভিসের। প্রাইভেটকারটি তেলে চালিত বলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং পুড়ে যায়।

টোল দেওয়ার সংবাদের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, ওইদিনের ঘটনায় আগুন নির্বাপণে অংশ নেওয়া ফায়ার কর্মীদের সঙ্গে আমরা কথা বলে জেনেছি, তাদের কোন ধরনের টোল দিতে হয়নি। টোল দেওয়ার সংবাদটি মিথ্যা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় হঠাৎ আগুন ধরে যায় একটি প্রাইভেটকারে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নির্বাপণ করলেও ততক্ষণে প্রাইভেটকারটি পুড়ে যায়। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ওইদিন আগুন নেভাতে যাওয়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে টোল দিতে হয়েছে। টোল দিতে গিয়ে দেরি হওয়ায় ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে দেরিতে পৌঁছে, এ কারণে যে প্রাইভেটকারে আগুন লাগে সেটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও খবর ছড়ায় যে, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাছে তখন কোনো টাকা ছিল না, তারা পরে বিকাশে টাকা এনে টোল দেয়। এতে করে অনেক সময়ক্ষেপণ হয় তাদের।

যদিও ফায়ার সার্ভিসের দাবি এসব তথ্য ভুয়া। তাদের কোনো টোল দিতে হয়নি এবং টোল সংক্রান্ত কোনো সময়ক্ষেপণ হয়নি তাদের।


আরও খবর



হামলায় জড়িত সবাইকে শাস্তি দেওয়া হবে: পুতিন

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মস্কোয় একটি কনসার্ট হলে প্রাণঘাতী হামলার পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই হামলাকে 'বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা' বলে অভিহিত করে একদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

শনিবার (২৩ মার্চ) টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, আমি আজ রক্তাক্ত। বর্বরোচিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি যার শিকার কয়েক ডজন নিরপরাধ মানুষ। শান্তিপূর্ণ মানুষ ছিল সবাই। আমি ২৪ মার্চকে জাতীয় শোকের দিন হিসেবে ঘোষণা করছি।

পুতিন বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের যে চারজন অপরাধী মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছিল, তাদের সবাইকে আটক করা হয়েছে। তারা ইউক্রেনের দিকে যাচ্ছিল। যারা সন্ত্রাসীদের পেছনে ছিল এবং যারা হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে, তাদের সবাইকে আমরা চিহ্নিত করে শাস্তি দেবো।

এদিকে, মস্কোতে কনসার্ট হলে হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫ জনে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়ার তদন্ত কমিটি এ তথ্য জানিয়েছে।

বার্তা আদান-প্রদান অ্যাপ টেলিগ্রামের এক পোস্টে কমিটি জানায়, জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা কনসার্ট ভেন্যুতে ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করার সময় সেখানে আরও কিছু লাশ খুঁজে পাওয়া যায়।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। রুশ সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামলাকারীরা গুলির পাশাপাশি বিস্ফোরকও ব্যবহার করেছে। এতে ক্রোকাস সিটি হলে আগুন ধরে যায়। ধসে পড়েছে হলের ছাদ।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ মার্চ রাশিয়ায় মার্কিন দূতাবাস একটি নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে। সতর্কবার্তায় বলা হয়, মস্কোয় বড় জমায়েতে উগ্রপন্থীদের হামলার পরিকল্পনার খবর জানা গেছে। এ সতর্কবার্তায় বড় জমায়েতের মধ্যে কনসার্টের কথাও বলা হয়েছিল। সতর্কবার্তায় মস্কোয় অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার জন্য বড় জমায়েত এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।


আরও খবর



ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা শুরু হয়েছে। আজ বিক্রি করা হবে আগামী ৩ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নেয়া কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি। আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট ভোগান্তিবিহীন কিনতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। দুইটি শিফটে এই টিকিট বিক্রি করা হবে। সকাল ৮টায় বিক্রি হবে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট এবং দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে (২৪ মার্চ) থেকে; ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৫ মার্চ; ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ মার্চ; ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ; ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশনের কাউন্টারে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



রমজানের পর শসার কেজি আড়াই টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুরে শসার দামে ধস নেমেছে। দিনাজপুরের খানসামায় চলতি মৌসুমে শসার ফলন ভালো হলেও হঠাৎ দাম কমাতে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। যেই শসা কিছু দিন আগেও পাইকাররা ক্ষেত থেকে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন এখন তারা ২ টাকা কেজি দরেও কিনতে রাজি হচ্ছেন না।

এ ছাড়াও কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। খানসামা বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে আড়াই টাকায়। দাম কমে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা। অন্যদিকে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষজন।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে কম বেশি শসার সরবরাহ রয়েছে। তবে ক্রেতা না থাকায় প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে দুই টাকা পঞ্চাশ পয়সা কেজি দরে। রমজান মাসেও এই শসার কেজি ছিল ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে। তখন অনেক ক্রেতাই কিনতে পারেনি। এখন দাম কমে যাওয়ায় অনেকেই কিনছেন।

উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়নগড় গ্রামে কথা হয় শসা চাষি মো. রশিদুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ বছর তিনি এক একর জমিতে শসার আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা। এখন যে দাম, তাতে শ্রমিকদের মজুরি খরচই উঠছে না।

বাজারে সবজি কিনতে আসা আ. সুবহান বলেন, দাম এখন হাতের নাগালেই আছে। রমজান মাসের তুলনায় অনেক দাম কম। সবজির দাম কম থাকলেও বাকি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেক চড়া।

খানসামা বাজারের বিক্রেতা শাহীন বলেন, রমজান মাসে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি ছিল। এখন সরবরাহ অনেক বেশি তাই দাম কম। তবে দাম কম হলেও বাজারে শসার ক্রেতা কম। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দামও অনেক কম। ক্রেতারা সাধ্যমতো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

নিউজ ট্যাগ: শসা

আরও খবর



কলকাতায় নির্মাণাধীন ভবন ধস, মৃত বেড়ে ৭

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের কলকাতার গার্ডেনরিচ এলাকায় নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ জনে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন আটকে আছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।

গার্ডেনরিচের এ ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ৫ লাখ রুপির পাশাপাশি আহতদের ১ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার।

এ ঘটনায় শোক জানিয়ে নিজের এক্স হ্যান্ডলে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, গার্ডেনরিচে নির্মাণাধীন বহুতল ভবন ভেঙে পড়ে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, আমি তাতে শোকাহত। আমাদের মেয়র, দমকলমন্ত্রী, পুলিশ কমিশনারের সেক্রেটারিয়েট, সিভিক পুলিশ, দমকল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দল সারারাত ধরে ঘটনাস্থলে রয়েছেন। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, এ দুর্ঘটনায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, ১৫ জনের বেশি আহত এবং ইতোমধ্যে ৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

রোববার (১৭ মার্চ) রাত ১২টার কিছু আগে এ ঘটনা ঘটে। বলা হচ্ছে, ভেঙে পড়া নির্মাণাধীন ভবনটি বেআইনি ছিল। বহুতল ভবনটি এর সামনের টালি ও ঝুপড়ি ঘরের ওপর ভেঙে পড়ে। বেআইনি নির্মাণকেই আপাতত ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়েছে।

জানা গেছে, ঘটনার সময় সেখানকার প্রায় সবাই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। হঠাৎ বিকট আওয়াজ শুনে সবাই বেরিয়ে আসেন। এসেই তারা দেখতে পান চারদিক ধুলোয় ভর্তি। কংক্রিটের বহুতল ভেঙে পড়েছে দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।

নিউজ ট্যাগ: ভারত ভবন ধস

আরও খবর