আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

৩০ মে: ইতিহাসে আজকের এই দিনে

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ ৩০ মে ২০২৩, মঙ্গলবার। ১৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ১৫০ তম (অধিবর্ষে ১৫১ তম) দিন।

এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনাবলি

১৪৫৩ - তুরস্কের কনস্টানটিনোপল জয়।

১৪৯৮ - ক্রিস্টোফার কলম্বাস তৃতীয় সমুদ্র যাত্রা শুরু করেন।

১৫৩৯ - স্বর্ণ অনুসন্ধানের জন্য হেরনান্দো দি সতো টম্পা সাগর উপকূলে উপনীত হন ৬০০ সৈন্যসহ।

১৬৩১ - ফ্রান্সের প্রথম সংবাদপত্র লা গ্যাজেট প্রকাশিত হয়।

১৮০৭ - মোস্তফা চতুর্থ কর্তৃক তুরস্কের সুলতান সেলিম তৃতীয় ক্ষমতাচ্যুত।

১৮৫৯ - ইংল্যান্ডের বিগ বেন ঘড়ি প্রথমবারের মতো বেজে উঠে।

১৮৯৯ - কলকাতার ঘরে ঘরে বৈদ্যুতিক সরবরাহ শুরু।

১৯১৩ - আলবেনিয়া নতুন রাষ্ট্রের মর্যাদা পায়।

১৯১৭ - প্রথম আলেকজান্ডার গ্রিসের রাজা হিসেবে অভিষিক্ত হন।

১৯১৮ - প্রথম মহাযুদ্ধ চলাকালে ফ্রান্সের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মারনে নদীর কাছে জার্মান ও মিত্র বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের সমাপ্তি ঘটে।

১৯৫৩ - নিউজিল্যান্ডের হিলারি ও নেপালের তেনজিংয়ের এভারেস্ট শৃঙ্গ জয়।

১৯৫৪ - শেরেবাংলা হকের নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা বাতিল। পূর্ববাংলায় গভর্নর শাসন জারি।

১৯৬৭ - নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ বিয়াফ্রা (১৯৬৭-৭০) স্বাধীনতা ঘোষণা করে, এর ফলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়।

১৯৯০ - বরিস ইয়েলৎসিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত।

১৯৯০ - কর্ণফুলী সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে চালু।

১৯৯১ - ক্রোয়েশিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা।

১৯৯৬ - বেনজামিন নেতানিয়াহু ইসলাইলের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত।

১৯৯৭ - বাংলাদেশের তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক শুক্রবার-শনিবার দুদিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করে।

১৯৯৮ - আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে এক ভূমিকম্পে ৫০০০ লোক নিহত হয়।

১৯৯৯ - নাইজেরিয়ায় সামরিক শাসনের অবসান। ওলসেগুন ওবাসাঞ্জো ১৫ বছরের মধ্যে নাইজেরিয়ার প্রথম বেসামরিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত।

জন্ম

১৬৩০ - রাজা দ্বিতীয় চার্লস।

১৯১৭ - মার্কিন রাষ্ট্রপতি জন এফ কেনেডি।

মৃত্যু

১৫৯৩ - নাট্যকার ক্রিস্টোফার মার্লো।

১৭৪৪ - ইংরেজ কবি আলেকজান্ডার পোপ।

১৭৭৮ - খ্যাতনামা ফরাসি লেখক ও দার্শনিক ভলতেয়ার।

১৭৭৮ - ফ্রান্সের বিখ্যাত দার্শনিক ও লেখক ফ্রান্সোয়া মেরি আরোয়া।

১৯৬৫ - লুই ইয়েল্ম্‌স্লেভ, ডেনীয় ভাষাবিজ্ঞানী।

১৯০৩ - সার্বিয়ার রাজা আলেকজান্ডার আর্বোনোভিচ।

১৯১২ - মার্কিন বিমান আবিষ্কারক উইলবার রাইট।

১৯৬০ - নোবেলজয়ী (১৯৫৮) রুশ কথাসাহিত্যিক বোরিস পাস্তারনাক।

১৯৬৫ - ডেনীয় ভাষাবিজ্ঞানী লুই ইয়েল্মস্লেভ।

১৯৮১ - জিয়াউর রহমান,সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান


আরও খবর
ইতিহাসে আজকের এই দিনে

শুক্রবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৪

২৫ জানুয়ারি : ইতিহাসে আজকের এই দিনে

বৃহস্পতিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৪




শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপনের এক অনন্য হাতিয়ার পানি: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ব্যক্তি হতে বৈশ্বিক পর্যায়ে শান্তি-সম্প্রীতি স্থাপনে পানি এক অনন্য হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব সংকট বাড়ছে, তার অন্যতম সুপেয় ও ব্যবহারযোগ্য পানি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভূ-উপরস্থ ও ভূ-গর্ভস্থ পানির গুণগত মান বজায় রাখা, জলাধারের পানি প্রবাহ অটুট রাখা, পানির বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবহার ও সামাজিকভাবে পানি সংরক্ষণ এবং পানির অপচয়রোধে সচেতনতার প্রসার সামগ্রিকভাবে বৈশ্বিক-আঞ্চলিক-জাতীয় উন্নয়ন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিতকরণে ভূমিকা রাখবে।’

শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজধানীর পানি ভবনের হলরুমে বিশ্ব পানি দিবস-২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন। শান্তির জন্য পানি’ প্রতিপাদ্যের আলোকে দিবসের শুরুতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি পানি ভবন হতে সার্ক ফোয়ারা প্রদক্ষিণ করে। আলোচনা শেষে একটি ভার্চুয়াল স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়নের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান’ স্লোগানের আলোকে পানি খাতে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ বাস্তবায়নের সবাইকেই সচেষ্ট হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ও মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করে যাচ্ছেন। তার হাত ধরে স্মার্ট  বাংলাদেশের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।

অনুষ্ঠানে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য করেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা। আলোচনা করেন পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার মহাপরিচালক, রেজাউল মাকছুদ জাহেদী ও সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা আবদুল্লাহ খান। দিবসের প্রতিপদ্যের ওপর আলোচনা করেন ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডাব্লিউএম) নির্বাহী পরিচালক মো. জহিরুল হক খান প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি বছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস পালন করা হয়। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওতে এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। সেখানে পানিসম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি তোলা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয় এবং এরপর থেকে এ দিবস পালনের গুরুত্ব ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে।


আরও খবর



‘কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে অন্যায় করেছি, আজ আমি অনার্স ফেল’

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার বিচারের দাবিতে উত্তাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ঠিক সে সময়ে উঠে এল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অবন্তিকার মতো শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাবের শিকার হন ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের ১৩তম আবর্তন ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

মিম জানান, দুই বছর আগে যৌন হয়রানি ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলে এখনো বিচার পাননি তিনি। উল্টো তাকে বিভিন্ন পরীক্ষায় ফেল করানো হয়েছে। এমনকি তার মা-বাবাকে অভিযোগ প্রত্যাহারের চাপ দেওয়া হয়েছে।

সাক্ষাৎকারে ওই ছাত্রী বলেন, কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে অন্যায় করেছি বলে আমার মনে হয়। কারণ, আজকে আমি ফেল। আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলে। কোনো মহিলা টিচারের অনুপস্থিতিতে আমাকে দরজা আটকে জোর জবরদস্তি করা করা হয়। আমি হয়ত তার মতো সাহসী হতে পারি নাই। তার জন্য হয়ত আমি মারা যাই নাই। কে জানে এর পর আমি বেঁচে থাকব কি না। আমাকে একঘরে করে দিয়েছে শিক্ষকেরা। আমাকে অনার্সের ভাইভায় ফেল করানো হয়েছে। প্রতিবাদের ফলাফলস্বরূপ আজকে আমি অনার্স ফেল। একজন শিক্ষক আমাকে ৪০ মার্কের ইনকোর্স পরীক্ষায় ডাবল শূন্য দিয়েছে। এটা তো খুন। এভাবে সমাজে একের পর এক মেধাবী ছাত্রছাত্রীকে খুন করে ফেলা হচ্ছে।’

‘আমি যখন অভিযোগ দায়ের করি, তখন কোনো সেল ছিল না। কোনো সেল না থাকায় আমাকে সরাসরি উপাচার্য স্যার বরাবর অভিযোগ দায়ের করতে হয়েছিল। উপাচার্য স্যার বরাবর অভিযোগ দায়ের করায় আমার ওপর অনেক ধরনের প্রেশার আসে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি তারা আমার গ্রামের বাড়িতে পর্যন্ত চলে গিয়েছিল। আমার বাবা-মা অসুস্থ, তাদের ওপর প্রেশার করেছে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য। অভিযোগ প্রত্যাহার না করায় আমাকে বিভাগের রুমে কোনো মহিলা টিচারের অনুপস্থিতিতে দরজা আটকে জোর জবরদস্তি করা হয়েছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যে সাংবাদিক সমিতি আছে সেখানে ওই টিচার ক্ষমতাবলে ভয়ভীতি দেখিয়ে বলেছে আমার প্রসঙ্গে যেন কোনো নিউজ না আসে।’

ওই ছাত্রী আরও বলেন, আমি যে এত স্বাভাবিকভাবে কথা বলার চেষ্টা করছি- আমি ভেতর থেকে এতটা স্বাভাবিক না। আমার একটা অভিযোগ দায়ের করার কারণে ওইটা যেন অপরাধ হয়ে উঠেছে। আমার ক্লাসমেটরা আমার সঙ্গে মিশতে ভয় পায়। আমি দুই বছর যাবৎ কারও সঙ্গে মিশতে পারি না। আমাকে একা করে ফেলা হয়েছে। ওই শিক্ষক ডিপার্টমেন্ট বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াই। উনাকে কোনো লিভে পাঠানো হয় নাই। আমাকে এইট সেমিস্টারে ফেল করানো হয়েছে। আমার এসাইমেন্ট টিচাররা নিতে চাই না। আমাকে সেভেন সেমিস্টারে ফেল করানো হয়েছে। আমাকে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ভাইভায় ফেল করানো হয়েছে।’

‘আমি আজীবন পড়াশোনা ব্যতীত কিছুই করিনি। আমি ননপলিটিক্যাল ছাত্রী। আমি কোনো অর্গানাইজেশনে জড়িত না। সেখান থেকে আমার জন্য সহজ ছিল না প্রতিবাদ করার। আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার কারণে আমি প্রতিবাদ করেছি। সেই  প্রতিবাদের ফলাফল স্বরূপ আজকে আমি অনার্স ফেল। প্রতিবাদ করা আমার অন্যায় ছিল। আমার বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আমি মিশতে পারি না। আমি যতই হাই ক্যালিভার আমি প্রকাশ করি- আমি  মার্কস পাই না। আমার কি তাহলে উচিত ছিল ওই শিক্ষকের কুপ্রস্তাবে রাজি হওয়া। আমি রাজি না হয়ে অনেক বড় অন্যায় করেছি। আমি মার্কসিট পুণর্মূল্যায়নের আবেদন জানালেও তা করা হয়নি। এবার চেয়ারম্যান স্যার উনার দুইটা কোর্সে আমাকে ১০০ এর মধ্যে তিন দিয়েছেন। একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি কতটুকু খারাপ মেধার অধিকারী হলে আমি তিন পাই। আমার প্রসঙ্গে আমি বুজতে পারি আমার মেরুদণ্ড কতটা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমাকে কাউন্সিলিং নিতে হয়। আমিতো স্বাভাবিক না। আমার বিভাগে এমনকি ক্যাম্পাসে অনেক আছে- এই একটা কারণে কেউ প্রকাশ করে না।’

‘আজকে যে অবন্তিকা মারা গেল, দেড় বছর আগে থেকে যুদ্ধ করে আসছে- মেয়েটা যদি বিচার পেত তাহলে কি আজ মারা যেত? এটা তো খুন। এভাবে সমাজে একের পর এক মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের খুন করে ফেলা হচ্ছে। সে বিচার পেলে আজ এই ঘটনা ঘটত না।’

অভিযুক্ত কে ছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই ছাত্রী বলেন, উনি ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্মের একজন এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার। উনি সিনেমা নির্মাণ করেন, আবার আমার বিভাগের লেকচারার ছিলেন। এখনো উনি বহল আছেন। উনি আমাকে কাজের জন্য উনার অফিস রুমে ডেকে নিয়ে হ্যারাজ করেন। এটা নিয়ে আমি অনেকদিন ভুগেছি। যখন আমার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে- আমাকে প্রতিনিয়ত ফেল করানো হচ্ছে, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলা হচ্ছে। আমার বাবাকে বলা হচ্ছে-আপনার মেয়েকে বহিষ্কার করে দেব। নতুন করে যে কিমিটি করা হয়, এখন যিনি ভিসি আছেন তিনি ওই কমিটির একজন সদস্য ছিলেন। ভিসি সাদেকা হালিম ম্যাডাম অনেক নারী বান্ধব।’

‘কিন্তু ম্যাডামের উপস্থিতি থাকা স্বত্বেও আমি এখন পর্যন্ত বিচার পেলাম না। কয়েক দফা রিপোর্ট আসা স্বত্বেও ওই আবু সাইদ ইমন যিনি শিক্ষক এবং উনাকে সাহায্যকারী আমাদের বিভাগের চেয়ারম্যান স্যার অধ্যাপক জুনাইদ হালিম এতগুলো তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসার পরও উনারা সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছন। একজন শিক্ষক কতটা বেহায়া হলে নিজের দোষ ঢাকতে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায়। সুপ্রিম কোর্ট থেকেও তারা হেরে গেছেন। তারা সিন্ডিকেটের প্রতিবেদন না মেনে সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছেন। উনি ইমপ্রেস টেলিফিল্মের একজন এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার বলে ক্ষমতা বলে কি সকাল জায়গায় পার পেয়ে যাবেন।’

অন্যরা অভিযোগ না করার বিষয়ে ওই ছাত্রী বলেন, ফেল করার ভয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আবু সাইদ ইমনের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীরা কোনো কথা বলেন। আমিতো ফেল করে গেছি। আমারতো স্টুডেন্ডশিপের কোনো ভয় নাই। আমি রাস্তা দিয়ে যখন চলাফেরা করি-তখন আততায়ীরা আমাকে ফেরে ফেলতে পারে। আমি সারাক্ষণ অনিরাপত্তায় ভুগি। আমার পরিবার অনিরাপত্তায় ভোগে। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করছে না বা প্রকাশ করছে না তারাও যে নিরাপদ না বিষয়টা তেমন না। একজন শিক্ষার্থী যখন যৌন হয়রানির অভিযোগ দেয়-তখন তার চরিত্র নিয়ে যেসব কথা বলা হয় তা প্রকাশ করা যায় না। আমার বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যখনই কেউ কথা বলেন-তখনই আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলেন।’


আরও খবর



জ্যাকলিনের অ্যাপার্টমেন্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের অ্যাপার্টমেন্টে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। ভয়াবহ সেই অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, তখন বাড়িতে ছিলেন না জ্যাকলিন। অভিনেত্রী এখন দেশের বাইরে আছেন বলে জানা গেছে।

মুম্বাইয়ের পশ্চিম বান্দ্রার পালি হিল অঞ্চলের নাওরোজ হিল সোসাইটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বুধবার (০৬ মার্চ)। বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের বাসস্থান এটি। যদিও সরাসরি জ্যাকলিনের ফ্ল্যাটে আগুন লাগেনি, লেগেছে তার নিচ তলায়। গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে জ্যাকনিল তার নতুন বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়েছেন।

মুম্বাইয়ের পালি হিলে এখন তার বাস। সেখানেই রণবীর কাপুর থেকে শুরু করে সাইফ আলি খানের বাড়ি রয়েছে। এবার সেখানেই দেখা গেল আগুন। কিছু মানুষ তা লক্ষ্য করেই খবর দেয় দমকল বাহিনীকে।

বুধবার ঘটে এই অঘটন। যদিও প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি, কীভাবে আগুন লেগেছে। ভিডিও দেখা মাত্রই সামাজিক মাধ্যমে অভিনেত্রীকে নিয়ে উদ্বেগ বাড়ে অনুরাগীদের। সকলেই তার বাড়ির ভেতরের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেন। যদিও আগুন লাগে অ্যাপার্টমেন্টের ১৪ তলায়। ঠিক তার ওপরেই জ্যাকলিনের ফ্ল্যাট। তিনি থাকেন ১৫ তলায়। দ্রুত দমকল এসে পরিস্থিতি সামল দেন।

বর্তমানে ক্যারিয়ার নিয়েই সমস্যায় রয়েছেন জ্যাকলিন। ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার মামলায় নাজেহাল অবস্থা অভিনেত্রীর। কনম্যান সুকেশের সঙ্গে তার নাম জড়াতেই তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এরপর থেকেই বলিউডের সঙ্গে বাড়ে জ্যাকলিনের দূরত্ব। হাতে নেই তেমন সিনেমা, নেই কোনও কাজের প্রস্তাব। যদিও ছোটখাটো বেশ কয়েকটি কনসার্টে তাকে যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে। তবে সুকেশের এই মামলার জাল থেকে বেরিয়ে আসতে চান অভিনেত্রী। ক্যারিয়ারে আবারও আগের মতোই কাজ করে যেতে চান।


আরও খবর



সুয়েজ খালের চেয়ে বড় খাল খনন করছে আফগানিস্তান

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

হার না মানা এক দেশ আফগানিস্তান। ধ্বংসস্তূপের ছাই থেকে যেন রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতো নবজন্ম নিচ্ছে দেশটি। করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশগুলোর অর্থনীতিও যেখানে ধুঁকছে, সেখানে মার্কিন ডলারকেও পেছনে ফেলে আফগান মুদ্রা আফগানি। সেই চমক শেষ হতে না হতেই এবার আরও এক চমক নিয়ে হাজির ইসলামিক আমিরাত। এবার সুয়েজ খালের চেয়েও বড় খাল খনন শুরু করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে তারা। এরই মধ্যে ২৮৫ কিলোমিটারের মধ্যে খনন করে ফেলেছে ১০০ কিলোমিটার।

সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বালির ওপর গর্জন করছে একঝাঁক অত্যাধুনিক খননযন্ত্র। প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষ, তিন হাজারের বেশি যন্ত্রপাতি নিয়ে চলছে কোশ টেপা খালের খননকাজ। এই খাল দিয়েই বয়ে যাবে আমু দরিয়ার পানি।

প্রকল্পটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে উত্তর আফগানিস্তানের শুষ্ক এলাকায় আমু দরিয়া নদীর ২০ শতাংশ পানি প্রবাহিত করা যায়। আফগান সরকারের আশা, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মধ্য এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘতম নদীর পানিতে সবুজ হয়ে উঠবে দেশটির সাড়ে পাঁচ লাখ হেক্টর মরুভূমি।

এই খাল জোজনন প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামের জন্য গেমচেঞ্জার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একে নিয়ে নতুনভাবে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ, এতদিন ক্রমবর্ধমান খাদ্য ঘাটতি ও টানা তিন মৌসুমের তীব্র ক্ষরায়ই দেখেছেন তারা।

আফগানিস্তানজুড়ে গড় তাপমাত্রা গেল ৭০ বছরে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। খাল খনন শেষ হলে এর মাধ্যমে মরুভূমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হবে। চাষের আওতায় আসবে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ হেক্টর জমি।

এ ছাড়া আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ এক তৃতীয়াংশ বেড়ে যাবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে সংকটের চরম সীমায় থাকা আফগানিস্তান।

২৮৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রকল্পটি বস্তবায়ন করতে আফগানদের গুণতে হবে ৯ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। অবাক করা তথ্য হলো কোনো দেশের কাছে হাত পেতে নয়, নিজেদের অর্থেই বিশাল এই প্রজেক্ট দাঁড় করাচ্ছে কাবুল। এরইমধ্যে ১০ মাসে ১০০ কিলোমিটারের বেশি খাল খনন করে ফেলেছে তারা।

তথ্য বলছেদীর্ঘদিন ধরেই এই খাল খননের স্বপ্ন দেখে আসছিলেন আফগানরা। এতদিন কোনো অগ্রগতি না হলেও দেশটির ইসলামিক সরকারের হাতে এর অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো।


আরও খবর



পাথরঘাটায় বন্য শুকরের আক্রমণে আহত ৫

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

পাথরঘাটা(বরগুনা) প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় বন্য শূকরের আক্রমণে নারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ মার্চ) পাথরঘাটা উপজেলার চরদুয়ানি ইউনিয়নের গাববাড়িয়া ও সদর ইউনিয়নের টেংরা এলাকার মোঃ বেলায়েত মীর (৫০), ইব্রাহীম মীর (৪০), মোঃ সাইফুল (৩৫), মোঃ আব্বাস (৩০), মোসা সখিনা (৫২) আহত হয়েছে।

বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে, ওই শুকরগুলো টেংরা বনাঞ্চলে বসবাস করে খাদ্য সঙ্কট হলে লোকালয়ে গিয়ে কৃষি জমিতে ফসলের ক্ষতি করে।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাশিদা তানজুম হেনা জানান, আহতদের শরীরের বিভিন্ন অংশে শুকরের দাঁত দিয়ে আঘাত করে বড় ক্ষত তৈরী করেছে। আহতদের মধ্যে মো: বেলায়েত মীরের হাতের রগ ছিড়ে ফেলায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর