আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

৪৩ পৌরসভার আধুনিকায়নে মিলছে না কুয়েতি ফান্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

উন্নয়নের মাপকাঠিতে এখনো বেশ পিছিয়ে দেশের পৌরসভাগুলো। পর্যাপ্ত নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত অধিকাংশ পৌরবাসী। সড়ক যোগাযোগসহ জীবনমান উন্নয়নে জরুরি অনেক সেবাই অপ্রতুল। এসব বিবেচনায় বেশি পিছিয়ে থাকা পৌরসভাগুলোর উন্নয়নে প্রাথমিকভাবে ২৮১ পৌরসভা নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান করে সরকার। চলমান প্রকল্পের আওতায় আরও ৪৩টি পৌরসভা যুক্ত করা হয় কুয়েতি ফান্ডের আশ্বাসে। শেষ পর্যন্ত ১৫ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার (৫শ কোটি টাকার বেশি) না পাওয়ায় পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে সরকার। চেষ্টা চলছে ভিন্ন কোনো উপায়ে কাজটি সম্পন্ন করার। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও প্রকল্প সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল খালেক সরকার বলেন, উন্নয়নের দরকার আছে বিধায় আমরা আরও ৪৩টি পৌরসভা চলমান প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছিলাম। মৌখিকভাবে ১৫ মিলিয়ন কুয়েতি দিনারের প্রস্তাবও পেয়েছিলাম। তবে এখন ইআরডি (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ) থেকে জানতে পেরেছি এই ফান্ড পাচ্ছি না। তাহলে নতুন যুক্ত পৌরসভার কী হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ৪৩টি পৌরসভা হয়তো নতুন কোনো প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পৌরসভার অনেকগুলো প্রকল্প হচ্ছে। নতুনগুলো বাস্তবায়ন করা হবে সরকারি অর্থায়নে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার এবং কুয়েত ফান্ডের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প। এই প্রকল্পের সঙ্গেই কুয়েতের আশ্বাসে আগের ২৮১টির সঙ্গে ৪৩টি যুক্ত করা হয়েছিল। এলজিইডি সূত্র জানায়, শুরুতে প্রকল্পটির মোট ব্যয় ছিল ৮৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৪৬৭ কোটি ৪৭ লাখ এবং কুয়েতি ঋণ ৩৯৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ১০ এপ্রিল ২০১৮ সালে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। বাস্তবায়নকাল ধরা হয় জুন ২০২২ পর্যন্ত। পরবর্তীসময়ে ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট পরিকল্পনা কমিশন ব্যয় বাড়িয়ে প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর, অর্থাৎ জুন ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ায়।

বর্তমানে প্রকল্পের মোট ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ১ হাজার ৪০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৫৪৫ কোটি ২৬ লাখ এবং বৈদেশিক অর্থায়ন (ঋণ) ৮৫৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। অনুমোদিত ব্যয় থেকে ৬২ দশমিক ০২ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। জুন ২০২২ তারিখ পর্যন্ত প্রকল্পটির ক্রমপুঞ্জিত অগ্রগতি ৩৫০ কোটি ২২ লাখ, যা মোট প্রকল্প ব্যয়ের ৪০ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং ক্রমপুঞ্জিত বাস্তব অগ্রগতি ৪২ শতাংশ।

প্রকল্পের প্রথম সংশোধন প্রস্তাবের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক কাজী সাইফুল কবীর বলেন, প্রকল্পের কাজ চলমান। তবে কিছু কাজের জন্য প্রকল্পটি সংশোধন করা হবে। কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (কেএফএইডি) থেকে ১৫ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার অতিরিক্ত অর্থায়নের আশ্বাসে নতুনভাবে ৪৩টি পৌরসভা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। প্রকল্পের আওতায় কতিপয় কার্যক্রম জমির অপ্রাপ্যতার কারণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব না হওয়া, পৌরসভার চাহিদা অনুযায়ী এইচবিবি সড়ক এবং সিসি সড়ক নির্মাণ করার জন্য খাতগুলোর আন্তঃঅঙ্গ সমন্বয় করার প্রয়োজনে সংশোধন প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

কুয়েত ফান্ডের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থায়নের বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জানায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে ৪৩টি পৌরসভাকে আলোচ্য প্রকল্পে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে প্রস্তাব পাওয়া যায়। পরে কুয়েত ফান্ডকে ইআরডি থেকে চিঠি দেওয়া হয়। কুয়েত ফান্ড নতুনভাবে অন্তর্ভুক্ত ৪৩টি পৌরসভার সম্ভাব্যতা সমীক্ষার প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দেয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে জানুয়ারি ২০২২ এ কুয়েত ফান্ডকে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন পাঠানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত অতিরিক্ত অর্থায়নের বিষয়ে কুয়েত ফান্ড থেকে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।

এলজিইডি জানায়, প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনীতে সরকারি ৭৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক অর্থায়ন ৪৫৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বাড়িয়ে প্রস্তাব করা হয়েছে। জিওবি (বাংলাদেশ সরকার) অর্থ না বাড়িয়ে প্রকল্পটি সংশোধন করা যায় কি না তা বিবেচনার জন্য অর্থ বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি শুরুর পর প্রায় পাঁচ বছরে ৩৫০ কোটি ২২ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। জুন ২০২৪ এর মধ্যে প্রকল্পটির অনুমোদিত ব্যয়ের অবশিষ্ট ৫১৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকাসহ অতিরিক্ত ৫৩৬ কোটি ৪৮ লাখ অর্থাৎ মোট ১ হাজার ৫১ কোটি ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পেতে যাচ্ছে।

পৌরবাসীর জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে অবকাঠামো উন্নয়ন করতে ৬৪ জেলার ২৮১টি পৌরসভা নিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করা হয়। এতে পৌরসভাগুলোর পরিবেশ উন্নয়নসহ পৌরবাসীর জীবনযাত্রার মান বাড়বে। দেশের বড় শহরগুলোর জনসংখ্যার চাপ কমানো ও তৃণমূল পর্যায়ের পৌরসভাগুলোতে জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে স্থানীয় সরকার বিভাগ গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন নামে প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়। মাস্টারপ্ল্যানের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, ৩ হাজার ৬১৫ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ, ৪ হাজার ২০০ মিটার ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ এবং ২৮১ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করা। নতুন করে ৪৩টি প্রকল্প মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় ছিল।

নিউজ ট্যাগ: এলজিইডি

আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




‘স্মার্ট সিটি’ নির্মাণে মেয়র প্রার্থী টিটু’র ২৩ দফা ইশতেহার

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

আগামী ৯ই মার্চ ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে মেয়র প্রার্থী মোঃ ইকরামুল হক টিটু ময়মনসিংহ সিটিকে একটি আধুনিক স্মার্ট ও মডেল সিটিতে রূপান্তর করার প্রত্যয়ে ২৩ দফা ইশতেহার উপস্থাপন করেছেন। রবিবার (৩ মার্চ) সকালে নগরীর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সামনে তার নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরেন।

যানজট নিরসনের উপর গুরুত্ব দিয়ে ইশতেহারে টিটু বলেন, নগরীর প্রধান সমস্যা যানজট নিরসনে সড়ক প্রশস্তকরণ এবং বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে ওভারপাস বা ফ্লাইওভার নির্মাণ, ট্রাফিক বিভাগের জনবল বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণ প্রদান ও আধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপনে সকল বিভাগের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ, নগরীর প্রবেশদ্বারের কাছে ৩টি বাস ও ১টি ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, নগরবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে চলমান রাস্তাসমূহ পাকাকরণ প্রকল্প দ্রুত শেষ করা ও নতুন পুরাতন সকল ওয়ার্ডের সমস্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও কালভার্ট দ্রুত নির্মাণ করা হবে।

নগরীর জলবদ্ধতা নিরসনের উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, নগরীর খালসমূহ দখলমুক্ত করনের মাধ্যমে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি ও চলমান ড্রেনেজ নির্মাণ প্রকল্প দ্রুত শেষ করা হবে। বাসা-বাড়ির হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়িয়ে নাগরিক সেবার মান বৃদ্ধি ও ট্রেড লাইসেন্স ফি যুক্তিসঙ্গত ও সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং সিটি করকে আরো সহনীয় করতে নাগরিকদের মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে টিটু বলেন, পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত নগরী করার লক্ষ্যে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নির্মাণাধীন প্ল্যান দ্রুত বাস্তবায়ন ও অন্যান্য কার্যক্রম সমূহ আরও জোরদার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, পাশাপাশি নগরীর সর্বত্র দুষণরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ। এছাড়াও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়াধীন প্রস্তাবটি দ্রুত অনুমোদনের মাধ্যমে বর্জ্য মুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বিভিন্ন অপরাধ, অপতৎপরতা রোধ করতে নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে চলমান সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্প দ্রুত শেষ করা হবে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা সুষ্ঠু বন্টন নিশ্চিত করাসহ বেকারত্ব রোধে নারী-তরুণদের নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে এবং নাগরিক সেবা আরও সহজলভ্য করতে প্রস্তাবিত আধুনিক নগরভবন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন ও নাগরিক সেবা সমূহ ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনের লক্ষ্যে যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সবুজ নগরায়নের লক্ষ্যে রাস্তার দুপাশে খোলা জায়গায় পর্যাপ্ত বৃক্ষরোপণ, জলধার নির্মাণ ও সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

নগরবাসীর সু-চিকিৎসা নিশ্চিতে চারটি নাগরিক সেবাকেন্দ্রের পরিধি বৃদ্ধি ও দুটি নির্মাণাধীন হাসপাতালের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। বেকারত্ব রোধে নগরীকে শিল্প ও পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট, উৎসাহ ও সহায়তা প্রদান করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। বর্ধিত নতুন এলাকাসমূহে নগর বিন্যাসের পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমে আগামীতে নগরীকে স্বাচ্ছন্দময় করে গড়ে তোলা হবে। তারুণ্যের বিকাশে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্লাব গঠন, পর্যাপ্ত খেলার মাঠ ও উন্মুক্ত মঞ্চ তৈরি করণে সহযোগিতা প্রদান করা হবে। বিভাগীয় সাংস্কৃতিক পল্লী নির্মাণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রস্তাবিত শেখ রাসেল শিশু পার্ক প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন ও বিপিন পার্ক আধুনিকায়ন করা হবে। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কবরস্থান, শ্মশান ঘাট সমূহ আরও সুবিধা সম্বলিত উন্নত করনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যুবসমাজকে মাদক সেবন ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও স্থানীয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করা হবে।

সিটি কর্পোরেশনে বিদ্যমান পাঁচটি অনলাইন সেবাসমূহ ছাড়াও অন্যান্য সেবা ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে নাগরিকদের হাতের মুঠোয় পৌঁছে দেওয়া এবং ৩৩টি ওয়ার্ডে স্মার্ট কর্নার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এবং বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশনের সাথে নাগরিকদের সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ রফিকুজ্জামান, সহ-সভাপতি এ.বি ছিদ্দিক, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক রিপন, নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জি: নুরুল আমিন কালাম, জেলা আওয়ামীলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রব, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এড. এ বি এম  নুরুজ্জামান খোকন, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল হক রেজা, জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উত্তম চক্রবর্তী রকেট, দি ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি শংকর সাহা, প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা প্রদীপ ভৌমিক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আল আমিনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী এবং ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রিন্ট- ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।


আরও খবর



কর্মস্থলে না থাকায় চিকিৎসককে বরখাস্ত করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সময়মতো কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকায় সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ বুধবার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে যান। এ সময় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রেন্টু পুরকায়স্থ কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। এ জন্য মন্ত্রী তাৎক্ষণিক তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন।

উপজেলা হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলা হাসপাতালের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। জনবল সংকট রয়েছে। হাসপাতাল ভবনও সংস্কার প্রয়োজন। সেখানে ডাক্তারদের উপস্থিতি কম থাকায় তাদের কড়া নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে তার অফিসে না পেয়ে তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বুধবার সকালে দুই দিনের সফরে সিলেট আসেন। সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর থেকেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী সরাসরি চলে যান সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে।

এরপর তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে যান। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, উপজেলা ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে পারলে মেডিকেল কলেজগুলোতে ভিড় কমবে। আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। মেডিকেল কলেজগুলো শুধু স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের জন্য নয়, শিক্ষা নেওয়ার জায়গা। এখানে গবেষণা করতে হবে। আমাদের সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বলেন, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। কর্তব্যে অবহেলা কিংবা অনিয়ম মেনে নেওয়া হবে না

এ ছাড়াও মন্ত্রী বুধবার দুপুরে সিলেট সার্কিট হাউজে বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য), সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরে তিনি দক্ষিণ সুরমায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত জায়গা পরিদর্শন করেন।

এ সময় প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।


আরও খবর



এ বছর ফিতরার হার কত, জানা যাবে বৃহস্পতিবার

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

এ বছর রমজানে বাংলাদেশে ফিতরার হার কত হবে, তা নির্ধারণ করতে আগামীকাল বৈঠকে বসছে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটি। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা ১১টায় সাদাকাতুল ফিতরের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ হার নির্ধারণ করা হবে।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে বিশিষ্ট মুফতি ও আলেমদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্যরা থাকবেন বলে জানিয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীন। সাদাকাতুল ফিতর নির্ধারণ কমিটির সভাপতি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন।

নেছাব পরিমাণ (সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ তোলা রুপার সমপরিমাণ) মালের মালিক হলে মুসলমান নারী-পুরুষের ওপর ঈদের দিন সকালে সাদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব হয়। ঈদের নামাজে যাওয়ার আগে ফিতরা আদায় করতে হয়। ইসলামী শরীয়াহ মতে, মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী গম, আটা, খেজুর, কিশমিশ, পনির ও যবের যেকোনো একটি পণ্যের নির্দিষ্ট পরিমাণ বা এর বাজার মূল্য ফিতরা হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করেন।

গত বছর নির্ধারিত ফিতরার হার ছিল উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ১১৫ টাকা, যবের ক্ষেত্রে ৩৯৬ টাকা, কিশমিশের ক্ষেত্রে এক হাজার ৬৫০ টাকা, খেজুরের ক্ষেত্রে এক হাজার ৯৮০ টাকা ও পনিরের ক্ষেত্রে ২ হাজার ৬৪০ টাকা। অর্থাৎ গত বছর বাংলাদেশে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।


আরও খবর



বাংলাদেশকে পাহাড়সম লক্ষ্য দিলো শ্রীলঙ্কা

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

জাতীয় দলের নতুন অধিনায়ক নাজমুল শান্তর পক্ষে আসে টস। বোলিং নেন তিনি। পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেটও নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু ওপেনার কুশল মেন্ডিস এবং মিডলে সাদেরা সামারাবিক্রমা ও আশালঙ্কার ব্যাটে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা।

নতুন বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারেই উইকেট নেন শরিফুল। আভিস্কা ফার্নান্দোকে ফেরান তিনি। পঞ্চম ওভারে কামিন্দু মেন্ডিসকে (১৯ রান) আউট করেন তাসকিন আহমেদ। শ্রীলঙ্কার রান তখন ৩৭। সেখান থেকে ৯৬ রানের জুটি দেন কুশল মেন্ডিস ও সামারাবিক্রমা।

কুশল মেন্ডিস খেলেন ৩৬ বলে ৫৯ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কার শট আসে। এছাড়া সামারাবিক্রমা ৪৮ বলে ৬১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। সবচেয়ে বড় ঝড়টা দেখান অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া আশালঙ্কা। তিনি ২১ বলে ছয়টি ছক্কার শটে ৪৪ রান করেন।

বাংলাদেশ দলের বোলাররা ছিলেন খরুচে। প্রথম ২ ওভার ভালো বোলিং করলেও শরিফুল শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ৪৭ রান দেন। প্রথম দুই ওভারে ৯ রান দেওয়া মুস্তাফিজ বোলিং কোটা পূরণ করেন ৪২ রান দিয়ে। তাসকিন তার ৪ ওভারে ৪০ রান খেয়েছেন। স্পিনার রিশাদ হোসেন ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। শেখ মাহেদি ৩ ওভারে দেন ৩০ রান।


আরও খবর



ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আজ রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা শুরু হয়েছে। আজ বিক্রি করা হবে আগামী ৩ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নেয়া কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি। আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট ভোগান্তিবিহীন কিনতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। দুইটি শিফটে এই টিকিট বিক্রি করা হবে। সকাল ৮টায় বিক্রি হবে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট এবং দুপুর ২টায় বিক্রি শুরু হবে পূর্বাঞ্চলের ট্রেনগুলোর টিকিট।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে (২৪ মার্চ) থেকে; ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৫ মার্চ; ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ মার্চ; ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ; ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশনের কাউন্টারে পাওয়া যাবে।


আরও খবর