আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

৪৫তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা শুরু আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ জানুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আজ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সারা দেশে একযোগে ৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। পরীক্ষা চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। আট বিভাগের ১৪টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা হবে।

এর আগে পরীক্ষা গ্রহণের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছিল গত বছরের ২৭ নভেম্বর। গত ৯ জানুয়ারিতে পিএসসির এক বিজ্ঞপ্তিতে ৪৫তম বিসিএস পরীক্ষা ২০২২-এর লিখিত পরীক্ষার এ পুনর্নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের আটটি বিভাগে পরীক্ষার কেন্দ্র থাকবে। ২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। নির্ধারিত দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। বিষয়ভিত্তিক পরীক্ষার জন্য ৫০ থেকে ২০০ নম্বরের ওপর ১ থেকে ৪ ঘণ্টাব্যাপী পরীক্ষা গ্রহণ কার্যক্রম চলবে।

এর আগে গত বছর ১৯ মে এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে ৬ জুন প্রকাশিত ফলাফলে ১২ হাজার ৭৮৯ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ বিসিএস থেকে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পদে তিন হাজার ৩৩১ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হবে।


আরও খবর



সৌদির সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। এই ঈদ উদযাপনে শরিক হয়েছেন ইসলাম ধর্মের হানাফি মাজহাবের অনুসারীরা। তারা বলছেন, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে চাঁদের অবস্থান জেনে এবং সৌদি আরবসহ বেশ কয়েকটি দেশে চাঁদ দেখার খবর পেয়ে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন তারা। সে অনুযায়ী, আজ ঈদ উদযাপনের খবর পাওয়া গেছে চট্টগ্রাম, চাঁদপুর, দিনাজপুর, ঝিনাইদহ, পটুয়াখালী, মুন্সীগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, সাতক্ষীরা শেরপুর, বরিশাল, মৌলভীবাজার, পিরোজপুর, জামালপুর, বরগুনাসহ অনেক জেলার বিভিন্ন জায়গায়।

চাঁদপুর : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার অর্ধশত গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এ জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা জাকারিয়া চৌধুরী। অন্যদিকে সাদ্রা হামিদিয়া ফাজিল মাদরাসা মাঠে সকাল সাড়ে ৯টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এতে ইমামতি করবেন মাওলানা আরিফুল্লাহ চৌধুরী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার আরও কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা এ ধর্মীয় উৎসবে সামিল হোন।

চাঁদপুরে হাজীগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরীফের পীরজাদা পীর ড. বাকীবিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী জানান, এ দেশে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও দুই ঈদ পালনের প্রবর্তক মরহুম মাওলানা ইসহাক (রহ.)। ১৯২৮ সাল রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। তারপর থেকে সেই ধারা দেশের বিভিন্ন দরবার শরীফের পীরের অনুসারি এবং সচেতন মুসল্লিরা পালন করছেন।

নোয়াখালী : সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলার চার গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ঈদ উদযাপন করেন। প্রায় ১০০ বছর ধরে বাংলাদেশের একদিন আগেই তারাবির নামাজ পড়ে রোজা শুরু করেন তারা। এ বছরও এসব গ্রামের মানুষ একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বলে জানিয়েছেন।

বুধবার (১০ এপ্রিল) দুই উপজেলার ৯টি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন তারা।

গ্রামগুলো হলো-নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিণারায়নপুর গ্রাম, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম।

চট্টগ্রাম : সৌদি আরবের আকাশে দেখা গেছে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ৩০ রোজা পালন শেষে আগামীকাল বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন করবে।

জানা গেছে, সাতকানিয়ার মির্জারখীল, এওচিয়ার গাটিয়া ডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়াসহ তৈলারদ্বীপের ৬০ গ্রামের বাসিন্দারা মঙ্গলবার রাতে তারাবির নামাজ আদায় করেননি। বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদ উদযাপন করবেন তারা।

দিনাজপুর : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুর সদরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার কিছু স্থানে বুধবার (১০ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

দিনাজপুরসহ চিরিরবন্দর, কাহারোল, বিরামপুর, বীরগঞ্জসহ জেলার আরও কিছু এলাকায় আজ ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হচ্ছে।

জামালপুর : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (১০ এপ্রিল) জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার অন্তত ১৫টি গ্রামের মানুষ ঈদ উদ্‌যাপন করছেন।

সরিষাবাড়ী উপজেলার বলারদিয়ার, মূলবাড়ি, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বালিয়া, বনগ্রাম, হোসনাবাদ, বাউসী, পুঠিয়ারপাড়, বগারপাড়, পাটাবুগা ও দক্ষিণ বলারদিয়ার গ্রামের ৫ শতাধিক নারী-পুরুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন।

ঝিনাইদহ : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতেও বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিরত উদ্‌যাপন করছেন কয়েকটি গ্রামের মুসল্লিরা। এ ছাড়া উপজেলার পায়রাডাঙ্গা, ভালকি ও নিত্যানন্দপুরেও ঈদের ছোট ছোট জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পটুয়াখালী : পটুয়াখালী বদরপুর দরবার শরীফসহ জেলার ২৭ গ্রামে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হচ্ছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) সদর উপজেলার বদরপুর দরগাহ শরীফ জামে মসজিদে সকাল ৯টায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলার বদরপুর ছাড়াও জেলার কলাপাড়া, বাউফল, গলাচিপা, দশমিনা ও দুমকি উপজেলার অন্তত ২৭ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জ : মুন্সীগঞ্জের নয় গ্রামে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। গ্রামগুলো হচ্ছে- সদর উপজেলার আনন্দপুর, শিলই, নায়েবকান্দি, আধারা, মিজিকান্দি, কালিরচর, বাংলাবাজার, বাঘাইকান্দির ও কংসপুরা একাংশ।

লালমনিরহাট : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি গ্রামে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন পাঁচ শতাধিক মুসল্লি।

কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী ও রাজিবপুর উপজেলায় তিনটি ইউনিয়নের কয়েকশ মানুষ বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। এ ছাড়া রাজিবপুর উপজেলার মোহনগঞ্জ এবং কোদালকাটি ইউনিয়নে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সাতক্ষীরা : সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (১০ এপ্রিল) সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সদর উপজেলার বাউকোলা, ভাড়ুখালী, আখড়াখোলা, তলুইগাছা, তালা উপজেলার ইসলামকাটি, কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া, পাইকগাছা, খলিলনগর এলাকার অনেকেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

এ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আরও খবর



ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহ-তারাকান্দা সড়কের কোদালধর বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তারাকান্দা থানার ওসি ওয়াজেদ আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তারাকান্দায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে অন্তত ১০-১২ জনকে আনা হয়েছে। এদের মাঝে ছয়জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



তীব্র তাপদাহ: আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বেশকিছু জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সোমবার (২২ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ সোমবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

এর আগে আবহাওয়া অফিস গত ৩ এপ্রিল হিট অ্যালার্ট জারি করেছিল। বাংলাদেশে গত কয়েক বছরের তুলনায় দীর্ঘায়িত তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা থাকায় এই হিট অ্যালার্ট আরও বাড়ানো হয়েছে।

আজ সোমবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

পাবনা ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাজশাহী, টাঙ্গাইল, যশোর ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। শ্রীমঙ্গল ও চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা অঞ্চলভেদে সামান্য হ্রাস-বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।


আরও খবর



সদকাতুল ফিতর কখন কার ওপর ওয়াজিব

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

পবিত্র রমজানের ইবাদতের মধ্যে সদকাতুল ফিতর আদায় করা অন্যতম একটি ইবাদত। রমজানের সিয়াম সাধনা শেষে আসে পবিত্র ঈদুল ফিতর। ঈদের আনন্দ ধনী-গরিব সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এবং এ আনন্দে যেন মুসলিম জাতির প্রতিটি সদস্য শরিক হতে পারে এ জন্য ওয়াজিব করা হয়েছে সদকাতুল ফিতর। রমজানের রোজার ত্রুটি-বিচ্যুতি পরিপূর্ণতার জন্যই আবশ্যক করা হয়েছে এটি।

ইমাম ওয়াকি ইবনুল জাররাহ বলেন, রমজান মাসের জাকাতুল ফিতর নামাজের সিজদায়ে সাহুর সমতুল্য। অর্থাৎ নামাজে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে যেমন সিজদায়ে সাহু দিলে এটা পূর্ণ হয়ে যায় তেমনি রোজার মধ্যে ত্রুটি-বিচ্যুতি হলে সাদকাতুল ফিতর দিয়ে এর প্রতিকার হয়। তাছাড়া ধনী-গরিব উভয়ে যেন অন্তত ঈদের দিন উত্তম পোশাক ও উন্নতমানের খাবার খেতে পারে এ জন্যই ফিতরার ব্যবস্থা।

ফিতরার নিসাব

যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ও ঋণ  ছাড়া সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা কিংবা এর সমমূল্য কোন সম্পদ বা টাকা থাকে, তাহলে তার ওপর সদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব।

সদকাতুল ফিতর উত্তম হলো ঈদের নামাজের আগে আদায় করে দেয়া। কেননা রাসুল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন।

জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর দিতে হবে। একজন দরিদ্র মানুষকে একাধিক ফিতর দেওয়া যেমন জায়েজ, তেমনি একটি ফিতরা বণ্টন করে একাধিক মানুষকে দেয়াও জায়েজ।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন-রাসুলুল্লাহ (সা.) সদকাতুল ফিতর আদায় করাকে আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি :  ১৫১২)।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজা পালনকারীর জন্য সদকাতুল ফিতর আদায় অপরিহার্য করে দিয়েছেন, যা রোজা পালনকারীর অনর্থক, অশ্লীল কথা ও কাজ পরিশুদ্ধকারী এবং অভাবী মানুষের জন্য আহারের ব্যবস্থা। যে ব্যক্তি ঈদের সালাতের আগে এটা আদায় করবে, তা সদকাতুল ফিতর হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে। আর যে ঈদের সালাতের পর আদায় করবে তা অপরাপর (নফল) সদকা হিসেবে গৃহীত হবে। (আবু দাউদ : ১৬০৯)।

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য, যব, বা খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির বা কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করতাম ৷ (বোখারি : ১৫০৬)।

হাদিস শরিফে এ পাঁচটি দ্রব্যের যে কোনো একটি দ্বারা সদকায়ে ফিতর আদায়ের সুযোগ দেয়া হয়েছে ৷ যেন প্রত্যেকে নিজ নিজ সামর্থ্যানুযায়ী আদায় করতে পারে তবে সবার জন্য সবচেয়ে কম দামের দ্রব্য দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করা অনুচিত; বরং যে ব্যক্তি খেজুর, কিশমিশ দিয়ে সদকায়ে ফিতর আদায় করার সামর্থ রাখে, সে তা দিয়েই আদায় করবে ৷

সদকায়ে ফিতর যাদের উপর ওয়াজিব

ঈদের দিন সুবহে সাদেকের সময় যার কাছে যাকাত ওয়াজিব হওয়া পরিমাণ অর্থাৎ অত্যাবশ্যকীয় আসবাব সামগ্রী ব্যবহার্য দ্রব্যাদি, বাসগৃহ ইত্যাদি বাদ দিয়ে সাড়ে ৫২ তোলা রূপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ অথবা সমমূল্য পরিমান সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর সদকায়ে ফিতর আদায় করা ওয়াজিব।

ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় এ পরিমাণ মালের মালিক থাকলে, তার উপর সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হবে। যে শিশু-সন্তানটি ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের পূর্বে ভূমিষ্ট হবে, তার ফিতরাও আদায় করতে হবে।

অর্থাৎ পরিবারের যতজন সদস্য ততটি ফিতরা হিসেবে) সকলের ফিতরা আদায় করতে হবে। প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী তার নিজের পক্ষ থেকে এবং নাবালেগ সন্তানের পক্ষ থেকে সদাকাতুল ফিতর আদায় করবেন।

সদকাতুল ফিতরের পরিমাণ

ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) সদকাতুল ফিতর আবশ্যক করেছেন। এর পরিমাণ হলো, এক সা যব বা এক সা খেজুর। ছোট-বড়, স্বাধীন-পরাধীন সবার ওপরই এটা আবশ্যক। (বোখারি  : ১৫১২)।

ইবনে আব্বাস (রা.) একবার রমজানের শেষ দিকে বসরায় খুতবা প্রদান করেন। সেখানে তিনি বলেন, তোমাদের রোজার সদকা আদায় করো। লোকেরা যেন ব্যাপারটা বুঝতে পারে নি।

তখন ইবনে আব্বাস (রা.) বললেন, এখানে মদিনার কে আছে দাঁড়াও। তোমাদের ভাইদেরকে বলো, তারা তো জানে না। বলো যে, রাসূল (সা.) এই সদকা আবশ্যক করেছেন। এক সা খেজুর বা যব অথবা আধা সা গম প্রত্যেক স্বাধীন-দাস, পুরুষ-নারী, ছোট-বড় সবার ওপর ওয়াজিব।  (আবু দাউদ: ১৬২২)।

যারা জাকাত গ্রহণের উপযুক্ত এমন অভাবী লোকদের সদকাতুল ফিতর প্রদান করতে হবে। জাকাতের জন্য সম্পদের বর্ষপূর্তি শর্ত হলেও ফিতরায় এ শর্ত নেই। নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নিজের পক্ষ থেকে, নিজের প্রাপ্ত এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের পক্ষ থেকে এবং নিজের সেবক-সেবিকাদের পক্ষ থেকে ফিতরা আদায় করতে হবে। সন্তান বা অধীনস্থরা অমুসলিম হলেও তাদের ফিতরা আদায় করা আবশ্যক।

গম বা আটা, যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনির- এ পাঁচটি জিনিস বা তার মূল্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা যায়। সামর্থ্যানুসারে সবার উচিত উৎকৃষ্ট জিনিস সদকা করা। রাসূল (সা.)-এর সময়ে সামর্থ্যানুযায়ী সবাই উত্তম পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করতেন।

সর্বোত্তম দান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন, দাতার কাছে যা সর্বোৎকৃষ্ট এবং যার মূল্যমান সবচেয়ে বেশি। (বোখারি : ১৯৭৪)।

এ বছরের সদকাতুল ফিতরের নির্ধারিত পরিমাণ‌

ইসলামী ফাউন্ডেশনের বাংলাদেশ' এর অনুকরণে নিম্নে এবছরের (১৪৪৫ হিজরী/২০২৪ইং) এর সদকাতুল ফিতরের বাজার মূল্য তুলে ধরা হলো:

১. উন্নতমানের আটা বা গমের ক্ষেত্রে ফিতরা এক কেজি ৬৫০ গ্রাম (অর্ধ সা) বা এর বাজার মূল্য ১১৫ টাকা।

২. যবের ক্ষেত্রে (এক সা) ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ৪০০ টাকা ফিতরা দিতে হবে।

৩. খেজুরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ৪৭৫ টাকা

৪. কিসমিসের ক্ষেত্রে  ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম কিসমিস বা এর বাজার মূল্য দুই হাজার ১৪৫ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে।

৫. পনিরের ক্ষেত্রে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা এর বাজার মূল্য ২ হাজার ৯৭০ টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করতে হবে।

ফিতরা আদায়ের ক্ষেত্রে আমরা অদ্ভুত মানসিকতার পরিচয় দেই। আমাদের দেশে সাধারণত সর্বনিম্ন পরিমাণ অর্ধ সা গম এর মূল্য হিসেবে জনপ্রতি ১০০ টাকা হিসেবে সবাই আদায় করতে চান।

কোটিপতি হতে মধ্যবর্তী সবাই সর্বনিম্ন টাকা দিয়েই দায়মুক্ত হতে চান। সবচেয়ে কম মূল্যের গমের হিসাবে সবাই সাদকা করার প্রবণতা খুব বেশি। বিষয়টি রাসূল (সা.)-এর শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।  বরং এটা তো সর্বনিম্ন সম্পদের মালিকের জন্য চলে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা যাদেরকে তাওফিক দিয়েছেন, তাদের অন্যান্য দ্রব্য দিয়ে সর্বোচ্চ সদকায়ে ফিতর আদায় করা উচিত। তাই সামর্থ্যানুযায়ী বেশি মূল্যের পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায়ের চেষ্টা করতে হবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




বাংলা নববর্ষ উদযাপন : হামলা-নাশকতা ঠেকাতে প্রস্তুত র‍্যাব

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলা নববর্ষ উদযাপন ঘিরে কোনো হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন।

তিনি বলেন, যে কোনো নাশকতা বা হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে র‍্যাবের স্পেশাল কমান্ডো টিম। এছাড়া সাদা পোশাকে টহল ও নজরদারির মাধ্যমে নাশকতামূলক যে কোনো কার্যক্রমসহ প্রতিরোধ করা হবে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজধানীর রমনা বটমূলের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, সবাই যেন উৎসব সুষ্ঠুভাবে উদযাপন করতে পারেন সে জন্য র‍্যাবসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাজধানীসহ সারাদেশে সর্বদা সজাগ রয়েছে।

র‍্যাব বলেন, পহেলা বৈশাখ কেন্দ্র করে প্রত্যেক বছরের ন্যায় এবারও র‍্যাব সারাদেশ ব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষে না হওয়া পর্যন্ত র‍্যাবের ব্যাটালিয়নগুলো নিজ নিজ এলাকায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও টহল জোরদার করেছে। নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর টিএসসি শাহবাগ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, হাতিরঝিল, রমনা বটমূল, পূর্বাচল ৩০০ ফিটসহ যেসব এলাকায় মানুষ যাবে সেখানে পেট্রলসহ সুইপিং করা হবে। আমাদের গোয়েন্দা টিম সার্বিক নজরদাবি অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, ভার্চুয়াল জগতে যে কোনো ধরনের গুজব বা উসকামূলক তথ্য ছড়িয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য র‍্যাব সাইবার জগতে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানস্থলে ইভটিজিং বা উত্যক্ত করার ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্টসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কেউ উত্যক্তের শিকার হলে র‍্যাব সদস্যদের জানাবেন। আমরা যথাযথ আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থাগ্রহণ করবো। র‍্যাব সদর দপ্তর থেকে কঠোরভাবে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: বাংলা নববর্ষ

আরও খবর