আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

৫ দিন ধরে উৎপাদন নেই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

কয়লা সংকটে গত পাঁচ দিন ধরে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে বাগেরহাটের রামপালে অবস্থিত কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটির। গত ২৩ এপ্রিল রাত থেকে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে কয়লা সংকটের কারণে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক হলে উৎপাদনে ফেরে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। পরে গত ১৫ এপ্রিল রাত থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবারও বন্ধ হয় এই মেগা প্রকল্পের উৎপাদন। তিন দিন বন্ধ থাকার পর ১৮ এপ্রিল সচল হয় কেন্দ্রটি।

আরও পড়ুন: ভোলায় ইলিশা-১ নামের আরেকটি কূপে গ্যাসের সন্ধান

গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের আওতায় ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রাখতে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ৮০ লাখ টন কয়লা ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়। এখন পর্যন্ত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে দুই লাখ ৬৭ হাজার ৭৫২ টন কয়লা আমদানি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, কয়লা সংকটের কারণে ২৩ এপ্রিল রাত থেকে কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কয়লা আনার জন্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করছি আগামী ৩ মের দিকে আবারও বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করতে পারব কেন্দ্রটিতে।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলেছে, দীর্ঘদিন অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার ব্যাপারে কড়া অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সে তালিকায় কয়লাও পড়ে। এমন অবস্থায় কবে নাগাদ কয়লা আমদানি স্বাভাবিক হবে এবং এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি স্বাভাবিক উৎপাদনে ফিরবে তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে ১৭ জানুয়ারি কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলার নির্দেশনা দেয়।=


আরও খবর



এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লেন লিটন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাকিস্তানের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন লিটন দাস। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে প্রবেশ করেন তিনি। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৯টা ১৫ মিনিটের ফ্লাইটে উড়াল দিয়েছেন এই ওপেনার। কাতার হয়ে পাকিস্তান পৌঁছাবেন লিটন।

আগামীকালই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি। তবে তার ম্যাচ খেলা নিয়ে এখনও শঙ্কা আছে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) নিয়ম অনুযায়ী, টুর্নামেন্ট শুরুর পর নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়া স্কোয়াডে পরিবর্তন আনতে পারবে না কোনো দল।

তবে চোট কিংবা নির্দিষ্ট কোনো কারণে স্কোয়াডের কোনো সদস্য ছিটকে গেলে তার পরিবর্তে অন্য একজনকে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। যে সুবিধা নিয়ে লিটনের পরিবর্তে এনামুল হক বিজয়কে স্কোয়াডে অন্তর্ভুক্ত করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

তাই লিটনকে এখন স্কোয়াডে নিতে হলে অন্য কোনো ক্রিকেটারকে বাদ দিতে হবে। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়া কাউকে স্কোয়াড থেকে বাদ দিতে পারবে না। বাংলাদেশের ১৭ সদস্যের স্কোয়াডে যেহেতু কোনো চোট নেই, তাই লিটনের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে শঙ্কা থাকছেই।

এর আগে জ্বরের কারণে দলের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা যেতে পারেননি লিটন। এরপর দিন দুয়েক তার জন্য অপেক্ষা করে বিসিবি। কিন্তু তারপরও লিটনের আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় তার বদলি হিসেবে বিজয়কে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় লঙ্কাতে।


আরও খবর



বরগুনায় বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, প্রতিরোধে মাঠে নেমেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বরগুনায় বেড়েছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজন মারাও গিয়েছে এবং আতঙ্কে আছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু ডেঙ্গু আতঙ্কের কোন বিষয় নয়, সচেতনতা ও প্রতিরোধে এর প্রতিকার সম্ভব। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও সচেতনতায় নানা কর্মসূচি হাতে নিয়ে মাঠে নেমেছে বরগুনা জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগ।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরগুনা পৌর শহরের আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনা বৃদ্ধির জন্য সপ্তাহব্যাপী ক্যাম্পেইন, ফগিং ও মশক নিরোধ কিটনাশাক প্রয়োগ কার্যক্রমের সূচনা করেছে সংগঠনটি।

এডিস মশার বিস্তার রোধে ফগিং মেশিনে কীটনাশক প্রয়োগ ছাড়াও এসময় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লিফলেট বিতরণ করা হয়। এসময় বরগুনা পৌরসভার কাউন্সিলর মীর আরাফাত জামান তুষারসহ সংগঠনের জেলা, উপজেলা ও পৌর শাখার নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

বরগুনা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইমুল ইসলাম রাব্বি বলেন, বরগুনায় ইতিমধ্যে প্রায় পঁচিশ শত লোক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। পাঁচজন মৃত্যু বরনও করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ একটি রাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে আমাদের দায়িত্বের জায়গা থেকে আমরা ডেঙ্গু সচেতনতা বৃদ্ধিতে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচী নিয়েছি।

বরগুনা জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. মুরাদ হোসাইন বলেন, বরগুনায় ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় বরগুনা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এই কার্যক্রম গ্রহন করেছে। আমরা পর্যায়ক্রমে বরগুনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও কীটনাশক প্রয়োগ করবো।


আরও খবর



বর্তমান ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

Image

আমরা সবাই স্বীকার করি বাংলাদেশ ৫২ বছরে নানা রকম বাধা-বিপত্তি, চড়াই-উতরাই পেরিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নের মোটামুটি একটা সন্তোষজনক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নটা বিশেষ করে প্রবৃদ্ধি, গ্রোথ, সেটাই বেশি প্রতীয়মান এখন। বাকি যে সার্বিক উন্নয়ন, সে সম্পর্কে এখনও অনেক প্রশ্ন আছে। এখন যদি আমরা দেখি আমাদের যে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সেটা একটা ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে চলে আসছে।

এটা এমন নয় যে এক বা দুই দশকের মধ্যে এগুলো অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। গত পাঁচ দশকে কখনও কম অর্জন, কখনও বেশি অর্জন এভাবে আমরা এই পর্যায়ে পৌঁছেছি। এখন আমাদের মূল চ্যালেঞ্জটা হলো আমাদের দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সামনের দিকে নিয়ে যাওয়া। আমরা স্থায়ী, টেকসই উন্নয়নের ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছি, এখনও সেটা কিন্তু বলা যাবে না।

আমাদের যে লক্ষ্যগুলো সামনে আছে, তার একটা হলো উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে যাওয়া, আরেকটা হলো উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাওয়া। এখন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে আমাদের সামনে নানা রকম সমস্যা এসে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু তারপরও আমরা পাঁচ দশক বা অর্ধশতাব্দী পার করে এসেছি। রাজনৈতিক একটা অবস্থা দেশে বিরাজ করছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সামনে যেসব সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো আরও বিচক্ষণতার সঙ্গে, শক্তভাবে সেগুলোর সমাধান করতে হবে। তার মানে এই নয়, সামনে যে নির্বাচন আছে, তার আগে সব কিছু করা যাবে। অথবা নির্বাচনের পর যে সরকার আসুক না কেন, তারা দ্রুত সব করে ফেলবে, সেটাও নয়। এখন থেকেই যদি আমাদের প্রস্তুতি না থাকে, তাহলে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা সহজ হবে না। প্রস্তুতি মানে মানসিক প্রস্তুতি এবং আমরা যে ক্রান্তিলগ্নে পৌঁছেছি, সেটা থেকে বেরিয়ে আসার কার্যাবলী ঠিক করার মাধ্যমে।

মনে রাখা ভালো, যেকোনো দেশেই রাজনীতি বা রাজনৈতিক যে নেতৃত্ব থাকে, তারা কিন্তু শুধু মূল ভূমিকা পালন করে। অর্থনৈতিক উন্নতি, সামাজিক উন্নয়ন কোনোটাই কিন্তু সুষ্ঠু এবং ইতিবাচক রাজনৈতিক পরিবেশ না থাকলে হয় না। আমরা বিশেষ করে গণতন্ত্র বলি বা গণতন্ত্রের একেবারে খাঁটি-নিখাদ রূপ না হয়ে যদি মিশ্র গণতন্ত্র বলি, সেটাও কিন্তু রাজনীতির ওপর নির্ভর করে। এটাই এখন বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় একটা চ্যালেঞ্জ।

কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি, যে অর্জনটুকু আমরা করেছি, সেটা ধরে রাখতে গেলে চ্যালেঞ্জ আছে, সমস্যা আছে। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ অনেক সমস্যা এখন প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার সঙ্গে বাইরের সমস্যাগুলো তো আছেই। যেমন কভিড, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এগুলো কিন্তু আমাদের ভেতরের সমস্যাগুলো আরো জটিল করে ফেলেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমার বড় একটা প্রশ্ন, আমরা কি এই কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত? নির্বাচনের পরে সেই কঠিন পরীক্ষাটা উত্তীর্ণ হয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে পারব কি না? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের বর্তমান অবস্থাটা বিবেচনা করতে হবে। বর্তমানে আমরা কী অবস্থায় আছি। আমাদের দুর্বলতাগুলো কী?

প্রথমত, আমরা জানি যে আমাদের সমস্যা অনেক। মূল্যস্ফীতি, টাকার মূল্যমান কমে যাওয়া, ফরেন রিজার্ভ কমে যাওয়া, ব্যাংকিং, আর্থিক খাতে নানা রকম সমস্যা, হুন্ডি, মুদ্রাপাচার, দুর্নীতি এগুলো তো আছেই। তারপর এখন আমাদের মূল সমস্যা হলো কর্মসংস্থানের অপ্রতুলতা। সঙ্গে সঙ্গে মানুষের আয়ের সংস্থানও সংকুচিত হয়ে আসছে। তারপর সবচেয়ে বড় একটা ব্যাপার আমরা লক্ষ করছি, দিন দিন কিন্তু আর্থিক বৈষম্য বেড়েই চলছে।

আর্থিক বৈষম্য মানে আয়ের বৈষম্য ও সম্পদের বৈষম্য। এই যে আর্থিক বৈষম্য ও সম্পদের বৈষম্য সাধারণ মানুষের বা যেকোনো মানুষের জীবনের ওপর সামাজিক প্রভাব ফেলছে। নেতিবাচক প্রভাবই কিন্তু ফেলছে। কারণ আয়ের সংস্থান যদি না থাকে এবং আয়ের বৈষম্য থাকে, তাহলে যতই সার্বিকভাবে সামষ্টিক উন্নতি হোক, বিষয়টার ফল কিন্তু সাধারণ মানুষ ভোগ করতে পারে না। পারছে না। এটা এখন বাংলাদেশের বাস্তবিক অবস্থা।

এখন জানতে হবে এর কারণ কী? পাঁচটা কারণ বলতে পারি। একটা হলো আমাদের নীতির দুর্বলতা। যথাসময়ে যথাযথ নীতি প্রণয়নে আমাদের দুর্বলতা আছে। নানা রকম দুর্নীতি আছে। আমাদের নীতির যে দুর্বলতা, সেটার একটা ফল হলো আমাদের এই অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা।

দ্বিতীয়ত, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও আমলাতান্ত্রিক প্রভাব। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কিন্তু অর্থনৈতিক বিবেচনায় চলবে। যেমন ব্যাংক চলবে আর্থিক নিয়মের মধ্যে। সেগুলো ঠিক হয়ে ওঠে না। কারণ এখানে নানা রকম রাজনৈতিক প্রভাব ও আমলাতান্ত্রিক প্রভাব। আবার আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি না।

তৃতীয়ত, প্রতিষ্ঠান। যেমন ব্যাংক একটা প্রতিষ্ঠান। বাজার একটা প্রতিষ্ঠান। তারপর পুঁজিবাজার একটা প্রতিষ্ঠান। এ রকম সরকারি ক্ষেত্রে হোক, বেসরকারি ক্ষেত্রে হোক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন দুর্বল। তাদের দক্ষতা কম। সেখানে দুর্নীতি, নানা রকম অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা চলছে।

চতুর্থত, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা; যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক, সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, বিটিআরসি এই যে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাগুলো আছে, মনে হয় না তারা খুব দক্ষভাবে, শক্ত অবস্থা নিয়ে এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে। এখানে কিন্তু নানা রকম প্রভাব আছে। এবং এখানে যেসব কর্মকর্তা আছেন, তারা কিন্তু রাজনীতি ও আমলাতান্ত্রিক প্রভাবমুক্ত নন।

সব শেষে আমরা দেখতে পারি, সব জায়গায় সুশাসন অর্থাৎ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাব। এটা সরকারি ক্ষেত্রে হোক সরকারি নানা রকম কর্মকাণ্ড, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বলি, প্রশাসন বলি এবং সরকারি অন্যান্য ব্যাপারে বলি, সেখানে কিন্তু স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির যথেষ্ট অভাব আছে।

অপরদিকে প্রাইভেট সেক্টরেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কিন্তু খুব ভালোভাবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি করছে না। সেটার প্রতিফলন আমরা দেখি, যখন আমাদের বাজার অনিয়ন্ত্রিত। মূল্যস্ফীতি ঘটছে। লোকজনের আয়ের সংস্থান কমে যাচ্ছে দিন দিন। লোকজনের যে নানা রকম সমস্যা, সেগুলোর কিন্তু সমাধান হচ্ছে না। এমন নয় যে সমস্যাগুলোর সমাধানের পথ কেউ জানে না। এখানে সদিচ্ছা, সচেতনতা ও সততার অভাব রয়েছে।

সম্প্রতি ডেঙ্গুর ভয়াবহতা একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ। নীতিনির্ধারকরা কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের কথাবার্তাই সর্বস্ব, কাজে তেমন নেই। অনেক সময় বলা হচ্ছে, মানুষ কেন সচেতন হয় না। তবেই ডেঙ্গু কমবে। মানুষ সচেতন হবে, মানুষকে সচেতন করার জন্য তো সহায়ক জিনিস লাগবে। সরকার কিসের জন্য আছে? তারা বলে, মানুষ সচেতন হোন, সব ঠিক হয়ে যাবে। এগুলো অনেকটা ছেলে-ভোলানো কথাবার্তার মতো। এটা কিন্তু অভূতপূর্ব ব্যাপার বাংলাদেশে কিন্তু এর আগে এ রকম ঘটনা খুব দেখেছি। পাঁচটা কারণ আগে উল্লেখ করা হলো, সেগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে আমাদের।

শ্রীলঙ্কায় বড় একটা রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থা আমরা দেখেছি। দেশটা অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যায়। তারা ঋণ শোধ করতে পারছিল না। মূল্যস্ফীতি ৬০ শতাংশ হয়ে যায়। কর্মসংস্থান ছিল না। এক-দেড় বছরের মধ্যে তারা ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি অনেক কমে গেছে। কর্মসংস্থান বেড়েছে। ট্যুরিজম আবার আগের মতো উঠে দাঁড়িয়েছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে। সব সমস্যা একবারে সমাধান হয়ে যায়নি। তবে অনেক ইতিবাচক ধারায় এসেছে। এখানে প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা অনেক বেশি। শ্রীলঙ্কার একটা স্ট্রং পয়েন্ট হলো, প্রতিষ্ঠানগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শক্তিশালী এবং লোকজনও কিন্তু সচেতন। অন্যান্য দেশের তুলনায় শিক্ষিতের হারও অনেক বেশি। তাদের মানবসম্পদকে ব্যবহার করে, প্রতিষ্ঠানগুলোর সুষ্ঠু ব্যবহার করে তারা ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আর্থিক খাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে করণীয় কাজগুলো, সেখানে কিন্তু কোনও হস্তক্ষেপ করা হয়নি। কোনও রকম রাজনৈতিক অস্থিরতার মুখে পড়েনি। তারা ঋণের সুদের হার বাড়িয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে কন্ট্রোল করেছে। ব্যাংকগুলোকে ঠিকমতো পুঁজি গঠন করার জন্য যে নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলো পরিপালন করা হয়েছে। এ জন্যই তারা সামনের দিকে এগিয়ে গেছে।

অপরদিকে আমরা যদি তুলনা করি, আমাদের কিন্তু যথেষ্ট ঘাটতি রয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠান বলি, মানবসম্পদের ব্যাপারে বলি, এখানে কিছুটা পার্থক্য রয়ে গেছে। বলব না যে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের চেয়ে ভালো। বাংলাদেশ এখনও ভালো অবস্থানে আছে। শ্রীলঙ্কাকে অনুকরণ করতে বলছি না। তবে তাদের থেকে আমরা শিক্ষণীয় জিনিস গ্রহণ করতে পারি। তারা কিভাবে কঠিন সময়গুলো পার করে ভালো অবস্থানে নিজেদের নিয়ে গেছে, সেটা গ্রহণ করতে পারি। এমন নয় যে বাংলাদেশে এটা আমরা জানি না। আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করলাম এই জন্য যে আমাদের কী করা প্রয়োজন, সেটাই আমাদের সবচেয়ে বেশি করে জানতে হবে।

প্রথমত, আমাদের সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনতে হবে। দ্বিতীয়ত, দুর্নীতি, সরকারি সম্পদের অপচয়, অর্থের অপচয় রোধ করতে হবে। তৃতীয়ত, নিয়ম-নীতি যেগুলো আছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম হোক বা অন্যান্য সংস্থার নিয়ম হোক, সেগুলো খুব যত্নের সঙ্গে পরিপালন করতে হবে। চতুর্থত, আমাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা সুদের হার এখনও বাজারমুখী করা হয়নি। এক্সচেঞ্জ রেট, যেটা আমাদের টাকার মূল্যমান এখনও আমরা ভালো করতে পারিনি। বিভিন্ন অ্যাকশন নেওয়ার পরও আমরা খুব উন্নতির চিহ্ন দেখতে পাচ্ছি না।

তারপর আরেকটা ব্যাপার হলো, ব্যাংকিং সেক্টরেও রিফর্ম করা দরকার। খেলাপি ঋণ রোধ করতে হবে। তারপর আমাদের প্রাইভেট সেক্টর, বিশেষ করে বড় বড় শিল্প দরকার আছে, কিন্তু আমাদের ছোট-মাঝারি কুটির শিল্প এগুলোকে আরও উৎসাহ দিতে হবে। যতই আমরা মুখে কথা বলি, এসএমই সেক্টর খুব ভালো, ঋণ পাচ্ছে, আসলে তো ঋণ তাদের কাছে তেমন যাচ্ছে না। সহায়তা খুব যে যাচ্ছে, তা তো মনে হয় না। আমাদের কর্মসংস্থান এবং উৎপাদনশীল খাত হচ্ছে ছোট-মাঝারি শিল্প ও বাণিজ্য খাত। এগুলো পণ্য উৎপাদন করে। সেবা উৎপাদন করে। এগুলো যদি বাড়ানো যেত, তাহলে মুদ্রাস্ফীতি অনেক কমে যেত। সেদিকে তেমন খেয়াল নেই।

এখন এফডিআই আসবে কী করে? বাংলাদেশের অবস্থা যে স্থিতিশীল নয়, রাজনৈতিক অবস্থা কিছুটা টালমাটাল, এটা তো লোকজন জানে। নির্বাচনের পরও যদি এই অবস্থা থাকে, তাহলে এফডিআই আসা, বাইরে থেকে বিনিয়োগ আসা কঠিন হবে। এটা না এলে কিন্তু আমাদের রিজার্ভ বাড়বে না। তখন আমাদের টাকার মূল্যও যে বাড়াতে পারব, সেটাও মনে হয় না। আমাদের যারা নীতিনির্ধারক, এমনকি বাস্তবায়নকারী আমলারা মানুষ যে একটা মতামত দেয়, সেটার কিন্তু কোনও কিছুই তারা আমলে নিতে চান না।

লোকজন যখন বলছে, বিশেষজ্ঞরা যখন কোনও কিছু বলছে, সেটা শোনা দরকার। এটা কিন্তু অন্য কোনও দেশে হয় না। বিভিন্ন দেশে থিংকট্যাংক আছে। মুক্তবুদ্ধির চিন্তা যারা করে, তাদের কথা শোনা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে সেটা খুব কমই। যারা ক্ষমতার বলয়ে থাকে, যাদের আর্থিক ক্ষমতা আছে, তাদের ধারণা তারাই সব জানে। তারাই সব করতে পারে। জনগণকে সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে তাদের তেমন কোনও আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না, বিশেষ করে নীতিনির্ধারক ও আমলাদের মধ্যে। এটাই আমাদের একটা বড় সমস্যা। এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আমরা স্থায়ী টেকসই উন্নয়নের দিকে যেতে পারব না।

লেখক: সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক; অধ্যাপক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়


আরও খবর
প্রধানমন্ত্রীর সফলতা ও জাতীয় উন্নয়ন

মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩




কানাডায় শিখ নেতা হত্যায় ভারতকে দুষলেন জাস্টিন ট্রুডো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের বিরুদ্ধে এবার শিখ সম্প্রদায়ের এক নেতাকে হত্যার বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। দেশটির স্থানীয় সময় সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) হাউস অব কমন্সে তিনি বলেন, ভারতীয় সরকারের প্রতিনিধিরা চলতি বছরের জুনে ব্রিটিশ কলম্বিয়া অঙ্গরাজ্যে এ ঘটনা ঘটায়। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসের।

ট্রুডো বলেন, হরদীপ সিং নিজ্জার নামে ওই শিখ নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ভারতের জড়িত থাকার বিষয়টি চলতি মাসের শুরুতে জি-২০ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বলেছি। কানাডীয় সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযোগ আনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কানাডায় কোনো নাগরিককে হত্যার পেছনে ভারতের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ হয়েছে। এটি (কানাডার) সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। এ বিষয়ে ভারতকে চাপ দেওয়া অব্যাহত আছে।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় বংশোদ্ভুত অনেক কানাডীয় এ হত্যাকাণ্ডে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনায় তারা তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। 

আরও পড়ুন>> কিম জং উনের পর রাশিয়া সফরে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

এ ঘটনায় ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে বলেও জানান কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জলি। ওই কূটনীতিককে ভারতীয় গোয়েন্দা শাখা -এর প্রধান বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব শিখ সংস্থার এক বিবৃতিতে হত্যার হুমকিকে কেন্দ্র করে নিজ্জার প্রাণশঙ্কা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গায় নিরাপদ খাদ্য ও নৈতিকতা বিষয়ক আলোচনা সভা

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণে ভোক্তা অধিকার, নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থা ও কৃষি বিপণনে শুদ্ধাচার ও নৈতিকতা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের জগলু। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। সভাটি ব্যবস্থাপনা করেন, জেলা প্রশাসন চুয়াডাঙ্গা আর সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করেন চুয়াডাঙ্গা দোকার মালিক সমিতি, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও জেলা তথ্য অফিস চুয়াডাঙ্গা।

সভার শুরুতে আলোচনা করা হয় নিত্যপণ্যসহ সবধরনের বাজারদর ও বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনায় উঠে আসে বাজারের কোনো পন্যের তালিকায় মূল্য লেখা থাকে না। দিন দিন বাজার অস্বাভাবিক কেন হয় তা নিয়েও আলোচনা করেন। বাজার তদারকি ও বাজার মনিটরিং কিভাবে আরো জোরদার করা যায় সেই লক্ষে কাজ করা হবে। এতে বাজারের পণ্যের দাম ঠিক রাখতে হলে যা করণীয় তা করতে হবে বলে আলোচনা করা হয়।

এসময় সভার প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সব মানুষই ভোক্তা। যিনি বিক্রেতা তিনিও কখনো কখনো ক্রেতা। আমাদের নৈতিকতা ঠিক থাকলে ভোক্তা হিসেবে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা নিরাপদ খাদ্য পাবো। আর বাজারের নৈতিকতা ঠিক রেখে ব্যবস করতে হবে। অসাধু ভাবে ব্যবসা করা যাবে না। বাজার সবসময় পরিস্কার রাখতে হবে। বাজারের বর্জ মাতাভাঙ্গা নদীতে ফেলা যাবে না। ব্যবসায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চাই তাহলে ব্যবসার মর্যাদা থাকবে। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( প্রশাসন) রিয়াজুল ইসলাম, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, বাজার কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, ভোক্তা অধিকর সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সজল আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার, প্রচার সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি, প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারের ব্যবসায়ীগণ।


আরও খবর