আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

৫০ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু নেই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২০ মে ২০22 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২০ মে ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১২৭ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫০ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৮ জনে।

শুক্রবার (২০ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২২১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫৭৫ জন।

সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৭৯টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ছয় হাজার ৩১৫টি এবং মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ছয় হাজার ৩১৩টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ ৭৫ হাজার ১৩টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৯ শতাংশ।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চার জন আইসোলেশনে এসেছেন এবং আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন চার লাখ ৪৩ হাজার ৭৯০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন চার লাখ ১৪ হাজার ২৫৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৯ হাজার ৫৩১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।


আরও খবর



হলমার্কের তানভীর-জেসমিনসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডের পাশাপাশি তানভীর মাহমুদ ও জেসমিন ইসলামকে ৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতারণার আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২৫ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহম্মেদ, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, প্যারাগণ গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি আব্দুল মালেক এবং টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান। যাবজ্জীবন দণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রতারণার আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

অপরদিকে সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ সাত কর্মকর্তা প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সাবেক জিএম ননী গোপাল নাথ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জিএম মীর মহিদুর রহমান, ডিএমডি মাইনুল হক, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, এজিএম কামরুল হাসান খান ও সোনালী ব্যাংক ধানমণ্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা মেরীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর প্রতারণার আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকারকে এক ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

গত ২৮ জানুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেছিলেন। তবে ওইদিন রায় থেকে মামলাটি উত্তোলন করে আরও দুই জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। পরে গত ১২ মার্চ আদালত দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস নামে ভুয়া কোম্পানির হিসাবে সুতা রপ্তানির নামে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সুতা রপ্তানি করা হয় বলে নথিপত্রে দেখানো হয়। ওই হিসাবে পুরো অর্থ জমা করা হলে তা থেকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা হলমার্কের আরেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়, যা পরে তানভীর ও তার স্ত্রী তুলে নেন।

২০১২ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার এবং পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাৎ মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান মামলার তদন্তকাজ শেষ করেন বলে জানা গেছে।

২০১৬ সালের ২৭ মার্চ তৎকালীন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ বদলির আদেশ দেন।


আরও খবর



ভারত থেকে আমাদের দেশেও অনেক রোগী আসছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

দেশ থেকে শুধু যে রোগী বাইরে যাচ্ছে এমন নয়, ভারত থেকে আমাদের দেশেও অনেক রোগী আসছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

এ সময় তিনি দেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসাসেবার মান বিশ্বের কোনো দেশের চিকিৎসকদের তুলনায় কম নয় বলেও মন্তব্য করেন। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, হাঙ্গেরি থেকে চিকিৎসক এনে আমরা জোড়া শিশুর অপারেশন করেছি। সে সময় আমি দেখেছি বাচ্চাদের যখন এনেস্থিসিয়া দেওয়া হয়, তখন হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা দিতে পারেননি, পেরেছেন দেশের চিকিৎসকরাই।

শনিবার (৯ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমডি-এমএস ফেইজে ভর্তিকৃত রেসিডেন্টদের ইনডাকশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. সামন্ত লাল বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা যে মেধাবী, তার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। ভুটান থেকে রোগী এসে আমাদের এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। দেশ থেকে শুধু যে রোগী বাইরে যাচ্ছে এমন নয়, ভারত থেকে আমাদের দেশেও অনেক রোগী আসছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এখানে বসে আছেন, সবিনয়ে তাদের কাছে একটা কথা বলবো। আসুন আমরা চিকিৎসকদের মান-সম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যাই যেন দেশের  মানুষ চিকিৎসকদের দেখলেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে যায়। তার জন্য প্রধান কাজ হলো ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শোনা, তাদের সময় দেওয়া এবং ধৈর্য ধরে তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া।

মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকরাই হলো দেশের ভবিষ্যতের আসল কাণ্ডারি। ডাক্তার-রোগীর সম্পর্ক অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। শুধু ডাক্তারের উপরই নির্ভর করে না। হাসপাতালে ভালো চিকিৎসাসেবা দিতে গেলে হাসপাতাল পরিচালক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সবার উপরই নির্ভর করে। সবার সমন্বিত প্রয়াসেই চিকিৎসাসেবার সুনাম বৃদ্ধি করে।

তিনি বলেন, আমরা সময়মতো হাসপাতালে যাবো। মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেবো। আমাদের দেশের মানুষ, যারা হাসপাতালে আসে, তারা কিন্তু খুব বেশি কিছু চায় না। শুধু একটু গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা, সুন্দর করে একটু কুশলাদি বিনিময় করলেই কিন্তু তারা খুশি হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোগীরা সাধারণত রোগ থেকে মুক্তি পেতে অসহায়ের মতো চিকিৎসকের উপর নির্ভর করে। অনেক ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসককে পিতা-মাতা-ভাই-বোনের স্থান দখল করতে হয়। চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীদের সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারেন। এতে করে রোগীর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবার পাশাপাশি ভালো চিকিৎসাসেবা প্রদান করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের বিশাল একটা জনসংখ্যা অল্পশিক্ষিত বা অশিক্ষিত। যখনই কেউ রোগে আক্রান্ত হয়, সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকের উচিত তাদের সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতার কথা রোগীকে জানানো এবং সে অনুযায়ী রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



জ্বালানি খাতে আরও চীনা বিনিয়োগ চান প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী ৫ বছরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন। এতে বন্ধুরাষ্ট্র চীন আরও বৃহৎ পর্যায়ে পাশে থাকতে পারে।

সোমবার (৪ মার্চ) বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সংবাদমাধ্যমে পাঠান এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সহযোগিতা উত্তরোত্তর বাড়ছে। সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে একসঙ্গে বসা জরুরি ছিল। আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশ আরও সমৃদ্ধ, শক্তিশালী ও উন্নত হবে।

এ সময় চীনের অর্থায়নে নেওয়া প্রকল্প, লিথিয়াম ব্যাটারি ফ্যাক্টরি স্থাপন, সেমি কন্ডাক্টর ফ্যাক্টরি স্থাপন, ইলেকট্রিক ভেহিক্যাল, ব্যাটারি স্টোরেজ সিস্টেম, স্মার্ট মিটার, সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প, বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, গ্যাস উত্তোলন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু চীন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রসারে চীনের প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।


আরও খবর



দুই বাংলাদেশি পেলেন প্রিন্সেস ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রয়াত প্রিন্সেস অফ ওয়েলস ডায়ানার স্মরণে এ বছরের দ্য লিগ্যাসি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বিশ্বজুড়ে ২০ জন ব্যতিক্রমী তরুণ-তরুণী। এ বছর ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের ২৫তম বার্ষিকী। মূলত প্রশংসনীয় সামাজিক কর্ম বা মানবিক কাজের জন্য এ পুরষ্কার দেওয়া হয়।

দ্য ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, নাইজেরিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, রোমানিয়া, জ্যামাইকা, কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ ও অস্ট্রেলিয়া থেকে তরুণ-তরুণীরা এ বছর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তারা সমাজে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রিন্সেস ডায়ানাকে কেবল 'ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব' হিসাবে জানেন।

ডায়না অ্যাওয়ার্ডের প্রধান নির্বাহী ড. টেসি ওজো সিবিই বলেন, বিশ্বকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা রয়েছে তরুণদের। সাহস, নিঃস্বার্থতা এবং দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে তারা প্রচণ্ড প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়ে পরিবর্তন আনছেন। আজ এবং আগামী বছরগুলোতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তরুণদের সহানুভূতি ও দৃঢ়তার গুরুত্ব অপরিসীম।

একটি স্বাধীন বিচারক প্যানেল ২০ জনকে অ্যাওয়ার্ড প্রদানের জন্য বেছে নিয়েছে। ব্যতিক্রমী ব্যক্তিদের একটি দল থেকে মাত্র ২০ জনকে বেছে নেওয়ার কঠিন কাজটি ছিল।

বাংলাদেশি যে ২ জন পেলেন ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড:

নাফিরা নাঈম আহমদ বয়স ২০। ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে বেড়ে ওঠা নাফিরা বাংলাদেশে সামাজিক ট্যাবু ও বৈষম্য দূর করতে বদ্ধপরিকর। তিনি 'এমপ্লিটিউড' নামে একটি অলাভজনক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এটি বাংলাদেশের তরুণদের নেতৃত্বে একটি অলাভজনক সংস্থা।

সংস্থাটি টেকসই সমাধান প্রদানের মাধ্যমে বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করে। নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেও নাফিরা সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি প্রান্তিক মানুষদের সাহায্য করার জন্য ৩০টির বেশি দাতব্য ইভেন্টের নেতৃত্ব দিয়েছেন, যার মধ্যে একটি শিল্প প্রদর্শনী রয়েছে এতিমদের জন্য।

শামীম আহমেদ মৃধা বয়স ২৬। ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, শামীম ইকো-নেটওয়ার্ক গ্লোবালের প্রতিষ্ঠাতা। একাধিক দেশের বৃহত্তম যুব গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে একটি, যার লক্ষ্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি এবং সচেতনতা প্রচারের মাধ্যমে যথাযথ জলবায়ু শিক্ষা নিশ্চিত করা। প্রকল্পটি অনলাইন এবং অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই ৫০ হাজারের বেশি তরুণকে জলবায়ু শিক্ষা প্রদান করেছে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী স্মরণে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০,০০০ গাছ লাগানোর লক্ষ্য নিয়েছে।

ওকালতির পাশাপাশি শামীম মানুষকে জলবায়ু বিপর্যয় মোকাবেলায় সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা করেন। ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার ঝুঁকির কারণে তিনি একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, যা ৩৫০টি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ পরিবারকে উপকৃত করেছিল।


আরও খবর



আজকের বাংলাদেশকে কেউ অবহেলা করতে পারে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করতে পারে না। আজ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আমরা সেভাবেই সামনের দিকে এগিয়ে যাবো- এটাই আমাদের লক্ষ্য।

শনিবার (০২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের তৃতীয় কোর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী যোগ্য হয়ে উঠুক, সেটিই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য।

বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় দেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জনগণ বারবার ভোট দিয়ে আমাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে বলেই আজকে দেশকে আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে।

সরকারপ্রধান বলেন, দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে সেনাবাহিনী অবদান রেখে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী যেখানে যাচ্ছে, সেখানেই আস্থা ও বিশ্বাস গড়ে তুলছে। শুধু দেশে নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও তারা অবদান রেখে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার সেনাবাহিনীকে আধুনিক, স্মার্ট ও যোগ্য বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে।


আরও খবর