ভারতের প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ৫৪টি নদী দুই দেশের মানুষের জীবিকার
সঙ্গে যুক্ত। মঙ্গলবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের পর এমন মন্তব্য
করেন তিনি।
নরেন্দ্র মোদি
বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সীমান্ত দিয়ে ৫৪টি নদী প্রবাহিত হয়। এসব নদী উভয়
দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে যুক্ত। আজ আমরা কুশিয়ারা নদীর পানিবণ্টন সংক্রান্ত
একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী
বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে। ঢাকা এই অঞ্চলে
দিল্লির সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার এবং আমাদের শক্তিশালী সাংস্কৃতিক সম্পর্ক রয়েছে।
গত কয়েক বছরে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা এবং আমি বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা করেছি।
আমাদের কোভিড মহামারি, সাম্প্রতিক বৈশ্বিক ঘটনাপ্রবাহ থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং আমাদের
অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন,
‘ভারত
ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্রুত বাড়ছে। আমরা আইটি, মহাকাশ এবং পারমাণবিক খাতে সহযোগিতা
বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিয়েও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে
আলোচনা চলছে।’
এদিন বাংলাদেশ
ও ভারতের মধ্যে মোট সাতটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দিল্লির
হায়দ্রাবাদ হাউজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির
মধ্যে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর এসব চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
নিরাপত্তা সহযোগিতা,
বিনিয়োগ, বর্ধিত বাণিজ্য সম্পর্ক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, অভিন্ন নদীর পানি
বণ্টন, রোহিঙ্গা সমস্যা, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, মাদক চোরাচালান
এবং মানবপাচার প্রতিরোধে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো দুই প্রধানমন্ত্রীর
আলোচনার এজেন্ডার মধ্যে শীর্ষে ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ১১টা
৪০ মিনিটে দিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছান। ৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার
কথা রয়েছে।