আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

৬৪ জেলায় ডিসি হচ্ছেন যারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। মঙ্গলবারের (২০ আগস্ট) মধ্যে তাদের প্রত্যাহার করা হবে জানা গেছে। এরপর নতুন করে ডিসি নিয়োগ দেওয়া হবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সদ্য পদোন্নতি পাওয়া উপসচিবসহ বিসিএস ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচের কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হবে। নিয়োগের মানদণ্ড হবে মেধা, দক্ষতা ও সততা।

ডিসি নিয়োগ ইস্যুতে বিগত সরকারের আমলে বঞ্চিত পাঁচ কর্মকর্তার সহায়তা নেওয়া হবে। তারা হলেন- বিসিএস ২৪ ব্যাচের নুরজাহান খানম ও নজরুল ইসলাম, ২৫ ব্যাচের নুরুল করিম ভুইয়া ও ফরিদা খানম এবং ২৭ ব্যাচের সারোয়ার আলম।

জানা গেছে, সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকালে ডিসি হতে ইচ্ছুক প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বা কালকের মধ্যেই নতুন ডিসি নিয়োগ হবে।

সোমবার রাতে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কক্ষে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে, ৮৭৬ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এর মধ্যে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৪৯৩ উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ৩২৩ জন পৌর মেয়র রয়েছেন।

এ ছাড়াও ৯৮৮ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এতদ্বারা উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ১০২৪ এর খারা ১০ম প্রয়োগ করে নিম্নবর্ণিত সব ভাইস চেয়ারম্যান ও সব মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদকে উপজেলা পরিষদের স্বত্ব পদ থেকে অপসারণ করা হলো।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে ছাগল আর মালিকের অন্যরকম ভালোবাসা

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

তেল ব্যবসার পাশাপাশি শখের বসে তোতাপুরী জাতের ছাগল পালন করতে শুরু করেন আশরাফ আলী। ছাগলের নাম দেওয়া হয়েছে হায়দার। গেল কুরবানী ঈদে একশত কেজি ওজনের এই তোতাপুরী জাতের হায়দারকে তিন লাখ টাকা ক্রয় করতে চেয়েছিলেন গবাদীপশু ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আশরাফ আলী তাঁর শখের হায়দারকে হাত ছাড়া করেনি।

তবে আশরাফ আলীর ইচ্ছে তাঁর শখের হায়দারকে লালন-পালনে বড় করার পর জবাই করে পরিবার, এতিমখানা ও প্রতিবেশীদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার। আশরাফ আলী ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাদীর ইউনিয়নের বাসিন্দা।

হায়দারকে (ছাগল) দেখভালের জন্য একজন কর্মচারীও নিয়োগ করেছেন মালিক আশরাফ আলী। কর্মচারী সাব্বির জানায়, তোতাপুরী জাতের ছাগলকে ভালবেসে তাঁরা তাদের বিছানার পাশে রেখে ঘুমায়। বিছানায় কোন প্রসাব-পায়খানা করেন না বরং সকালে মালিকের সঙ্গে ঘুম থেকে উঠে বাইরে গিয়ে মলত্যাগ করেন। সারাদিনে সকলের সঙ্গে নানা খুনসুটিতে ব্যস্ত থাকে আশরাফ আলীর শখের হায়দার। কেউ হাত এগিয়ে দিলে হ্যান্ডশেকও করে। তবে হায়দারের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় থাকে ছোলাবুট, কলা, পেয়ারা, ধান-গমের ভুষি ও কাচাঁঘাস।

বিশাল আকৃতির তোতাপুরী জাতের এই ছাগলটিকে স্বচোখে দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেকেই। যারাই আশরাফের দোকানে তেল ক্রয় করতে আসছেন তারাই হায়দারকে কাছে টেনে আদর করছেন। আর হায়দার কোন কারণে রাগ করলে কাউকে তোয়াক্কা না করে ছুটে যান মালিকের ছেলে আসিফ রায়হানের কাছে। শখের হায়দারকে বুকে জড়িয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করেন।

আসিফ রায়হান বলেন, কুরবানি ঈদে তার সামনে অন্য গবাদিপশুকে জবাই করতে দেখায় হায়দারও মনে করেছিল তাকেও এভাবে জবাই করা হবে। তাই দুই দিন আগ থেকেই খাওয়া নেয়া সব বন্ধ করে দেয়।

আর আশরাফ আলী জানায়, শখের বসে ছাগল পালন করে সে। এর আগে আরো দুটি ছাগল বড় করার পর জবাই করে আত্বীয় স্বজন, গরীব ও এতিমখানায় মাংস বিলিয়ে দেই আর কিছু অংশ নিজের জন্য রাখে। ২৬ হাজার টাকায় কেনা ছাগলের দাম ব্যবসায়ীরা ৩ লাখ টাকা বললেও সে বিক্রি করেনি। এর আগে আরো দুইটি ছাগল বড় করে জবাই করে মাংস স্থানীয়দের মাঝে বন্টন করেন বলে জানান তিনি।

তোতাপুরী জাতের ছাগল নিয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ নাসিরুল ইসলাম বলেন, ছাগলটি সুস্থ্য রাখতে উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তর থেকে বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ ও সহযোগীতা দেওয়া হচ্ছে। এ বছর প্রাণী প্রদশনী মেলায় এই ছাগল ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




নতুন পররাষ্ট্র সচিব হচ্ছেন জসীম উদ্দিন

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তার স্থলে নতুন পররাষ্ট্র সচিব করা হচ্ছে রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিনকে। আগামীকাল সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার কথা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিলের প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে। তবে, এখনও আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। আজ রাতের মধ্যে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। কাল থেকে তার অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) শুরু হবে।

মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আজ রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের উপস্থিতিতে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মাসুদ বিন মোমেনকে বিদায় দেওয়া হয়েছে। বিদায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন মাসুদ বিন মোমেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টাও বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি কর্মকর্তাদের জানান, নতুন পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন।

সন্ধ্যায় বিদায় অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এখন থেকে নতুন পররাষ্ট্রসচিবের দায়িত্ব কে পালন করবেন? এ প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, কাল (সোমবার) প্রজ্ঞাপন হবে।

মাসুদ বিন মোমেন ১৯৮৫ ব্যাচের পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তিনি পররাষ্ট্রসচিব হিসেবে দায়িত্ব নেন। স্বাভাবিক নিয়মে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে তার অবসরোত্তর ছুটিতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই বছর তাকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা এ বছরের ৫ ডিসেম্বর।

কর্মজীবনে কূটনীতিক হিসেবে তিনি ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সাল থেকে তিনি জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি ছিলেন।

এর আগে, তিনি জাপান, ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এবং আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এদিকে, সম্প্রতি চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিনকে ঢাকায় বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামীকাল (সোমবার) তার নতুন পররাষ্ট্র সচিব হওয়ার নিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকা-বেইজিংয়ের কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফিরবেন পেশাদার কূটনীতিক জসীম উদ্দিন। ৮ সেপ্টেম্বর থেকে তার নতুন সচিব হিসেবে কাজ শুরু করার সম্ভবনা রয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, জসীম উদ্দিনের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে ২০২৬ সালের ১২ ডিসেম্বর। চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হওয়ার আগে তিনি কাতার এবং গ্রিসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। বিসিএস পররাষ্ট্র ক্যাডারের ত্রয়োদশ ব্যাচের কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন নয়াদিল্লি, টোকিও, ওয়াশিংটন ডিসি এবং ইসলামাবাদেও বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অনুবিভাগের মহাপরিচালকসহ বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কনস্যুলার পরিষেবায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনায় রাষ্ট্রদূত জসীম উদ্দিনের নেতৃত্বে এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাস ২০১৮ সালে জনপ্রশাসন পুরস্কার পায়।


আরও খবর



বস্তায় ঘুষের টাকা নিতেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, অনুসন্ধানে দুদক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আত্মগোপনে থাকা সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের কাছে অভিযোগ এসেছে, তিনি সিন্ডিকেট করে বস্তায় বস্তায় ঘুষের টাকা নিতেন। পুলিশ সুপার নিয়োগে সর্বনিম্ন ৮০ লাখ থেকে ২ কোটি এবং পুলিশ সুপার পদায়নে ১ থেকে ৩ কোটি টাকা নিতেন। নিয়োগ বাণিজ্যও করতেন বেপরোয়াভাবে। বৃহস্পতিবার কমিশন এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কামালের ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বিষয়েও তদন্ত করা হবে। দুদক সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

এজন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হচ্ছে বিশেষ অনুসন্ধান তদন্ত-৩ শাখা থেকে। টিমের অন্য সদস্যরা হলেন দুদক উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন, সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, নাছরুল্লাহ হোসাইন ও মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম।

দুদক উপপরিচালক জাকারিয়া স্বাক্ষরিত আদেশে আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্র জানায়, সাবেক ওই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ঘুষ হিসেবে বস্তা বস্তা টাকা নিতেন। পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে ওই টাকা আদায় করা হতো। এজন্য তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্য হলেন যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন।

ঘুষের টাকা আদায় বা উত্তোলনে মূল ভূমিকা পালন করতেন ড. হারুন। হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কামাল-হারুন সিন্ডিকেট। এক পর্যায়ে হারুন অবসরে গেলেও মন্ত্রণালয়ের সব ঘুষ, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি। ঝুঁকি এড়াতে টাকাগুলো দেশের বাইরে পাচার করা হয়েছে।

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, জেলায় পুলিশ সুপার নিয়োগে ৮০ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত নেওয়া হতো। এই চক্রের আশীর্বাদ ছাড়া পুলিশের কারও কোনো জেলায় বা গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন সম্ভব ছিল না। জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়নের ক্ষেত্রে ১ থেকে ৩ কোটি টাকা নিত এই সিন্ডিকেট।

২০২২ সালের ৩০ জুন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান ডিআইজি মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম। পাঁচ কোটি টাকার বিনিময়ে তাঁকে পদায়ন করা হয় বলে অভিযোগ পেয়েছে দুদক। এসব টাকা বস্তায় ভরে পৌঁছে দেওয়া হয় কামালের বাসায়। এ ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

জানা গেছে, বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) নো অবজেকশন সার্টিফিকেট বা এনওসি দিতে প্রতি সংস্থা থেকে ৮০ থেকে ১ কোটি টাকা দিতে হতো কামালকে।

২০১৮ সালে রাজধানীর উত্তরা এলাকার একটি উন্নয়ন সংস্থা এনওসি নিতে গেলে বিপত্তি শুরু হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এর আগে পুলিশের বিশেষ শাখা, জেলা প্রশাসক, এনএসআই ইতিবাচক প্রতিবেদন দাখিল করে। তার পরও অদৃশ্য কারণে ফাইলটি মাসের পর মাস আটকে রাখা হয়। বাধ্য হয়ে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচনের আগে মন্ত্রীকে ৮৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়।

দুদক সূত্র আরও জানায়, ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সে কোনো সার্কুলার হলেই সাবেক এই মন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি তালিকা পাঠানো হতো। সে মোতাবেক তাদের নিয়োগ দিতে ফায়ার সার্ভিসকে বাধ্য করা হতো। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ৫৩৫ জনকে নিয়োগ দেয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। এর মধ্যে ৪৩৬ জন পুরুষ ফায়ার ফাইটার, ১৫ জন নারী ও ৮৪ জন গাড়িচালক। নিয়োগ কার্যক্রমের শুরুতেই মন্ত্রীর দপ্তর থেকে ২৫০ জনের একটি তালিকা পাঠানো হয় ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের কাছে। সাবেক ওই মন্ত্রীর নির্দেশে সেই তালিকা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে বাধ্য হয় ফায়ার সার্ভিস। নিয়োগের জন্য জনপ্রতি ৮-১২ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



বিসিবি থেকে জালাল ইউনুসের পদত্যাগ

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জালাল ইউনুস। তিনি বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান পদের দায়িত্বেও ছিলেন।

সোমবার (১৯ আগস্ট) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে (এনএসসি) পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে তিনি পদত্যাগের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। তার পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে রাইজিংবিডি।

এনএসসি থেকে মনোনীত হয়ে জালাল বিসিবির পরিচালক পদে আসেন। এনএসসির নির্দেশেই তাকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। এনএসসি থেকে মনোনীত আরেক পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববিকেও পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর
ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শেখ হাসিনাসহ সাকিব-সুমন-ফেরদৌসের নামে হত্যা মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবার জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচিত-সমালোচিত সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এবং সাবেক সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে আদাবর থানায় মামলাটি রুজু হয়। আদাবর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই মামলার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট রুবেল আদাবরের রিংরোডে প্রতিবাদী মিছিলে অংশ নেন। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশ, প্ররোচনা, সাহায্য, সহযোগিতা ও প্রত্যক্ষ মদদে কেউ মিছিলে গুলি ছুড়ে। বুকে ও পেটে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রুবেলকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ আগস্ট মারা যান।

নিউজ ট্যাগ: হত্যা মামলা

আরও খবর