ঘরে ফিরতে চায় না ৬৪ শতাংশ পথশিশু। আর
ফিরে যাওয়ার মতো পরিবার নেই ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ পথশিশুর। সোমবার (১০ এপ্রিল) রাজধানী
ঢাকার আগারগাঁও পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে ‘পথশিশু জরিপ ২০২২’ এর প্রকাশিত
ফলাফলে এ তথ্য উঠে আসে।
ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
ড. শামসুল আলম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগেরর সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।
জরিপ ফলাফলে দেখা গছে, এই শিশুরা পারিবারিক ও সামাজিক বাধাসহ বিভিন্ন কারণে পথশিশু হতে বাধ্য হয়েছে। পরিবারে জায়গা নেই ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ শিশুর। পরিবার গ্রহণ করে না ২১ দশমিক ৩ শতাংশ শিশুকে। আর পরিবারই নেই ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ পথশিশুর। পরিবারে প্রতিকূল পরিবেশ ১২ দশমিক ৭ শতাংশ শিশুর। সামঞ্জস্যপূর্ণ পাবিবারিক পরিবেশ নেই ১১ দশমিক ৯ শতাংশ পথশিশুর। নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার ১১ দশমিক ৪ শতাংশ পথশিশু। পরিবারে কাজের চাপ রয়েছে ১১ শতাংশ পথশিশুর। আর ঘরে ফিরতে সামাজিক বাধা রয়েছে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ শিশুর। প্রায় চার ভাগের একভাগ পথশিশু ধূমপান করে এবং ১২ শতাংশ মাদকের নেশায় আসক্ত।
আরও পড়ুন: খাদ্যে ভেজালে পাঁচ বছর জেল, মজুদে যাবজ্জীবন
জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী
মন্ত্রী এম. এ. মান্নান বলেন, সব শিশুর সুস্বাস্থ্য নিয়ে বেড়ে ওঠা এবং নিরাপত্তা পাওয়ার
অধিকার রয়েছে। আমরা পথশিশুদের খাবার দিয়েছি, দোলনা দিয়েছি। কিন্তু তারা থাকতে চায় না।
সরকার পথশিশুদের পুনর্বাসনে কাজ করছে, বেসরকারি পর্যায়ে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা
করার উদ্যোগ নিতে পারে বলে উল্লেখ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান।
জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, প্রধানত ৩৭ দশমিক
৮ শতাংশ পথশিশু দারিদ্রতার কারণে বাড়ি ছেড়ে শহরে এসেছে। এছাড়া ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ বাবা-মা
শহরে আসার কারণে এবং ১২ দশমিক ১ শতাংশ কাজের সন্ধানে বাড়ি ছেড়ে শহরে এসেছে। পথশিশুদের
প্রতি ৫ জনের ২ জনই একা একা শহরে এসেছে।