আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

৬৭৪ কোটি পেলে নেইমারকে বেচে দেবে পিএসজি

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

নেইমারকে বেচে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে পিএসজি। ক্লাবটির টার্গেট এখন ইংল্যান্ড। যেখানে চেলসি ছাড়াও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, নিউক্যাসলকে প্রস্তাব দিয়েছে। আর ফরাসি একাধিক দৈনিকের খবর, এরই মধ্যে নেইমারের প্রাইস ট্যাগও বেঁধে দিয়েছে তারা। যার অঙ্কটা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬৭৪ কোটিরও বেশি।

এর আগে ২০১৭ সালে বার্সা থেকে নেইমারকে আনতে ২২২ মিলিয়ন ইউরো খরচা করেছিল পিএসজি। সেই হিসাবে এই অর্থ কিছুই না। তবে অর্থের হিসাবটা না কষে সোজা অন্য কোনো ক্লাবে তাঁকে বেচে দিতেই চাইছে লিগ ওয়ানের জায়ান্টরা।

নেইমারের সঙ্গে রসায়নটা মিলছে না কিলিয়ান এমবাপ্পের। বিশ্বকাপের আগেই দু'জনের মধ্যে রশি টানাটানি চলেছিল। বিশ্বকাপের পর সেটা আরও বেড়ে যায়। এর পর তো কিলিয়ান চোটে পড়লে সব দায় পড়ে নেইমারের কাঁধে। লিগে মোনাকোর বিপক্ষে মেসি এবং কিলিয়ান খেলেননি। ওই ম্যাচে আক্রমণের মূল দায়িত্বে ছিলেন নেইমার। কিন্তু ম্যাচটা হেরে যাওয়ায় মেজাজ হারিয়ে বসেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। সতীর্থদের ওপর চটে যাওয়ার পাশাপাশি দলের স্পোটিং ডিরেক্টর মারিও ক্যাম্পোসকেও শাসিয়েছেন। যেটা মোটেও ভালোভাবে নেননি পিএসজির ঊর্ধ্বতন কর্তারা। এর পরই তাঁকে বেচে দিতে আরও বেশি দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন।

প্রথমে তাঁরা চেলসির সঙ্গে কথা বলেন। ফরাসি দৈনিক এল ইকুয়েপে জানিয়েছে, প্যারিসে ব্লুজদের অন্যতম মালিক বোহেলির সঙ্গে গোপন মিটিংও করেন পিএসজির মালিক খেলাইফি, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও কানাঘুষা হয়।

গতকাল এক প্রতিবেদনে মার্কা বলেছে, নেইমারকে বেচতে প্রিমিয়ার লিগের আরও কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গে প্রাথমিক কথা বলেছে পিএসজি। তাঁর ফি হিসাবে ৬০ মিলিয়ন ইউরো চাইছে ক্লাবটি। যদিও চুক্তি অনুযায়ী ২০২৫ সালের ৩০ জুন অবধি নেইমার পিএসজির খেলোয়াড়। এখন তার আগে দলটি চাইলে নামমাত্র মূল্যে কিংবা ধারেও অন্য কোনো ক্লাবে তাঁকে পাঠিয়ে দিতে পারবে।

নিউজ ট্যাগ: নেইমার পিএসজি

আরও খবর



বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক শেখ এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আহাদ শিমুল, ইন্দুরকানী (পিরোজপুর)

Image

ইন্দুরকানী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক শেখ এর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়। 

রবিবার(৭ এপ্রিল) আসরের নামাজের পরে ইন্দুরকানী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় মিলনায়তনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অংশগ্রহণ করেন। 

মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বরগুনার উত্তর খাজুরা এছাহাকিয়া আলিম মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাওলানা মোস্তাইজ বিল্লাহ। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবার এবং দেশের শান্তি, মঙ্গল কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

দোয়া অনুষ্ঠানের পূর্বে বক্তব্য রাখেন ইন্দুরকানী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিলরুবা মিলন নাহার, ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবের সভাপতি এইচ এম ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক খান মোঃ মনিরুজ্জামান, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আবুল খায়ের মিলন, পত্তাশী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান, বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম, জান্নাতি আক্তার, চাড়াখালী আশ্রয়ণ সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সোহাগ কাজী প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহাদুল ইসলাম শিমুল। মোনাজাত শেষে সবাই ইফতারে অংশগ্রহণ করেন। 


আরও খবর



সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু পার হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে ৪৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। তবে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে একটি শিশু। খবর বিবিসির।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পর ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অবশ্য বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় আট বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে একমাত্র জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব লিম্পোপো প্রদেশে। জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঘটনাস্থলটি। দুর্ঘটনার শিকার সবাই ছিলেন তীর্থযাত্রী এবং তারা বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোন থেকে মোরিয়া শহরে ইস্টার সার্ভিসে যাচ্ছিলেন।

জানা গেছে, বাসটি পথিমধ্যে জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) উত্তরে মোকোপানে এবং মার্কেনের মধ্যে অবস্থিত মামামতলাকালা পর্বত গিরিপথের একটি সেতু পার হওয়ার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ অবস্থায় সেতুর ব্যারিয়ারে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী বাসটি। খাদে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনও ধরে যায় বাসটিতে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন দেশটির পরিবহন মন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা। একই সঙ্গে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পূর্ণ তদন্ত করবে।

এ সময় ইস্টার উইকএন্ড উপলক্ষে রাস্তায় মানুষের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্বশীলভাবে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন মন্ত্রী।


আরও খবর



শেরপুরে ৬টি গ্রামে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সাথে মিল রেখে শেরপুরের ৬টি গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) এইসব গ্রামে আগাম ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

গ্রামগুলো হলো শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর চরখারচর ও দক্ষিণ চরখারচর, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয়আনি পাড়া, নকলা উপজেলার চরকৈয়া এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও চতল। তবে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকেও মুসল্লীরা ওইসব গ্রামে ঈদের নামাজ আদায় করতে যান। প্রতি বছর সদর উপজেলার বামনেচর গ্রামে আগাম ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হলেও এবার সেখানকার বেশ কিছু মুসল্লী নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া এলাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন বলে জানা গেছে।

বুধবার সকাল ৭টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রত্যেকটি জামায়াতে দুইশ থেকে আড়াই'শ জন মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন। এসব জামায়াতে পুরুষ মুসুল্লীদের পাশাপাশি নারী মুসল্লীরাও পর্দার ভিতরে নামাজে অংশ নেন।

জানা গেছে, বিগত কয়েক বছর ধরে শেরপুরের এসব এলাকায় সৌদির সাথে মিল রেখে একদিন আগেই পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করে থাকে। মুসুল্লীদের সংখ্যাও ধীর গতিতে বেড়ে চলছে বলে জানান এলাকাবাসী।


আরও খবর



লম্বা ছুটির পর আজ ব্যাংক খোলা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ মিলিয়ে পাঁচ দিনের ছুটি কাটিয়ে আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে খুলছে ব্যাংক, বিমা, পুঁজিবাজার ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। সেইসঙ্গে খুলবে অফিস-আদালতও।

এদিন থেকে আবার স্বাভাবিক নিয়মে ব্যাংকিং ও পুঁজিবাজারের লেনদেন শুরু হবে। ব্যাংক সকাল ১০টায় খুলবে, লেনদেন চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, সোমবার থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে বেলা ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর ১০ মিনিট হবে পোস্ট ক্লোজিং। অফিস সময় হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

গত বৃহস্পতিবার দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। ঈদ উপলক্ষে বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবার সরকারি ছুটি ছিল। ঈদের পর ১৩ এপ্রিল শনিবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। আর রবিবার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ছুটি। এভাবে ১০ থেকে ১৪ এপ্রিল টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল। তবে অনলাইনে ব্যাংকিং কার্যক্রম, এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন, সিআরএমে টাকা জমা ইত্যাদি সেবা অব্যাহত ছিল।

ছুটি শেষে আজ চাকরিতে যোগ দেবেন কর্মজীবী মানুষ। অনেকেই ঈদের আগে সোমবার ও মঙ্গলবার বাড়তি ছুটি নিয়ে টানা ১০ দিন ছুটি ভোগ করেছেন। কারণ, এর আগে রবিবার শবে কদরের এবং শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি ছিল।


আরও খবর



জাতির জনকের সমাধিতে বিএসএমএমইউ’র নবনিযুক্ত ভিসির শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)র নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রখ্যাত চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

পরে জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রধানমন্ত্রীর বোন শেখ রেহানার দীর্ঘায়ু কামনা এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক। এরপর তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদি পৈতৃক বাড়ি ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত স্থান সমূহ পরিদর্শন করেন।

পরে সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহীদ সকল সদস্যের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং উপাচার্য হিসেবে তাঁকে নিয়োগ দেয়ায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম মেডিক্যাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়কে সমগ্র বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে ও দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণে সর্বশক্তি নিয়োগ কথা উল্লেখ করে চিকিৎসাসেবা, গবেষণা ও শিক্ষায় বিশ্বমান নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেন। এসময় তিনি সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে চিকিৎসাসেবায় স্টেট অব আর্ট খ্যাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গরূপে দ্রুত চালুর ঘোষণা দেন।

এ সময় সম্মানিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ডা. এস এম মোস্তফা জামান, চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোঃ শওকত কবীর, লিভার রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, সাবেক রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, অধ্যাপক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরু, অধ্যাপক ডা. এইচএম জহিরুল হক সাচ্চু, অধ্যাপক ডা. একেএম সালেক, অধ্যাপক ডা. সুভাষ কান্তি দে, অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু, অধ্যাপক ডা. তোহিদ মো. সাইফুল হোসেন দিপু, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ রেজাউর রহমান, স্বাচিপ নেতা সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কেএম তারিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজাউল আমিন, অতিরক্তি রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সালাহ উদ্দিন সিদ্দিক, সহকারী অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন সুমন, অতিরিক্ত পরিচালক ডা. পবিত্র কুমার দেবনাথ, ডা. আশরাফুজ্জামান সজীব, ডা. জাহান শামস নিটোল, ডা. সমরেশ চন্দ্র সাহা, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহবুব আলী খান, টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান বিশ্বাস, পুলিশ সুপার আলবেলী অফিফা, উপাচার্যের জ্যেষ্ঠ সন্তান আসিফ মোহাম্মদ নূর, কন্যা জারা দীন নূর,  একান্ত সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম পলাশ, জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার, আইন কর্মকর্তা এ্যাডভোকেট তানিয়া আক্তার প্রমুখসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, কর্মচারীবৃন্দ, স্বাচিপ এর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের চিকিৎসকবৃন্দ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের পরিবারের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)র নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সে পৌঁছানোর পর তাঁকে স্বাগত গোপালগঞ্জ জেলার স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, পেশাজীবী সংগঠনসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ স্বাগত জানান।

উল্লেখ্য, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক এর পিতা হলেন মরহুম মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এবং মাতা মরহুমা আফজালুন্নেছা। ব্যক্তি জীবনে তিনি ৫ সন্তানের পিতা। তাঁর সন্তানদের মধ্যে রয়েছেন-পুত্র দীন মোহাম্মদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসিফ মোহাম্মদ নূর, ফার ইস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক রিসাত মোহাম্মদ নূর, মেডিকেল স্টুডেন্ট জাদিত মোহাম্মদ নূর, মেডিকেল স্টুডেন্ট তৌসিফ মোহাম্মদ নূর এবং একমাত্র কন্যা স্টুডেন্ট জারা দীন নূর। তাঁর সহধির্মিনী হলেন মিসেস রোজিনা হক। তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী মধ্যপাড়া ও মিরাপাড়া গ্রামে।

 তিনি ১৯৫৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বরে জন্মগ্রহণ করেন। শিক্ষা জীবনে এমবিবিএস, এফসিপিএস (চক্ষু), রয়েল আলেকজান্দ্রা হাসপাতাল, পেইজলী, ইউকে থেকে চক্ষু বিষয়ে উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, নেপাল ইত্যাদি দেশে আন্তর্জাতিক সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। কর্মজীবনে তিনি ১৯৮১ সালে চকুরীতে যোগদান করেন। এ সময় তিনি অধ্যাপক (চক্ষু), স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা, অধ্যাপক (চক্ষু), ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পরিচালক ও অধ্যাপক, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা, লাইন ডাইরেক্টর, ন্যাশনাল আই কেয়ার (জাতীয় অন্ধ নিবারণ কর্মসূচী), মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে সফলতার সাথে শিক্ষকতাসহ দায়িত্ব পালন করেছেন।


আরও খবর