আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

৭ মার্চেই কার্যত স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু: রেজাউল করিম

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
এবছর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পঞ্চাশতম বছরে আমরা পদার্পণ করেছি। এ ভাষণ ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে তালিকাভুক্ত করে সংরক্ষণ করেছে। জাতিসংঘের সকল দাপ্তরিক ভাষায় অনূদিত হয়ে সকলের কাছে

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চেই বঙ্গবন্ধু লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে কার্যত স্বাধীনতার ঘোষণা এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার দ্ব্যর্থহীন সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন। যদিও ২৬ মার্চে পরিপূর্ণভাবে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে জাতিকে প্রস্তুত হতে বলেছিলেন। তিনি ভাষণে বলিছেলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। একটি জাতির অতীত ইতিহাস, বর্তমান প্রেক্ষাপট আর ভবিষ্যত পরিকল্পনা এত চমৎকারভাবে বিশ্বের কোন জাতীয়তাবাদী নেতা তাঁর স্বাধীনতা সংগ্রামকে ঘিরে এভাবে করতে পারেন নি, যেটা বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে করে দেখিয়েছেন। এজন্য বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের বিস্ময়।

রবিবার (০৭ মার্চ) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে পিরোজপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় রাজধানীর সচিবালয়ের নিজ দপ্তর থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেবেকা খান, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলাদার, পিরোজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গৌতম নারায়ণ রায় চৌধুরী, পিরোজপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ খান টিটু, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান শামীম, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আব্দুল্লাহ প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, এবছর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পঞ্চাশতম বছরে আমরা পদার্পণ করেছি। এ ভাষণ ইউনেস্কো বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে তালিকাভুক্ত করে সংরক্ষণ করেছে। জাতিসংঘের সকল দাপ্তরিক ভাষায় অনূদিত হয়ে সকলের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এ ভাষণ আজ শুধু বাঙালির মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ পৃথিবীর বিস্ময়কর ও কল্পনাতীত এমন একটি সৃষ্টি যে সৃষ্টির ভেতর অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিক-নির্দশনা নিহিত ছিলো। তাই এটি ইতিহাসের মহাকাব্য। এটি একটি দর্শন। যে কারণে এ ভাষণ বারবার গবেষণার দাবী রাখে।

বাংলাদেশের আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা কোন ক্ষেত্রেই আমরা পিছিয়ে নেই উল্লেখ করে শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, সম্প্রতি কমনওয়েলথ বিশ্বের যে তিনজন নারী নেতাকে করোনা পরিস্থতি মোকাবেলায় সাহসী সাফল্যের জন্য স্বীকৃতি দিয়েছে তার অন্যতম বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ বিশ্বখ্যাত নেতৃত্বের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিবেচনা করে। বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বিশ্বের অন্যতম সৎ ও পরিশ্রমী প্রধানমন্ত্রী বলছে। বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথেই শেখ হাসিনা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। একারণে আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বিস্ময়। বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে বলা হয় উন্নয়নের জাদুকর। 

জাতীয় ঐক্যের প্রশ্নে দল-মত নির্বিশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি শ্রদ্ধা রাখার জন্য এসময় সকলকে আহ্বান জানান মন্ত্রী। বিভ্রান্ত না হয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীলদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত না করারও অনুরোধ জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: শ ম রেজাউল করিম

আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে ভাসতে থাকা ১২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

ইঞ্জিন বিকল হয়ে ৪ দিন ধরে সাগরে ভাসতে থাকা ১২ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। শনিবার (২৩ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৪টার সময় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করে জেলেরা সহায়তা চাইলে রাতে কোস্টগার্ড জেলেদের উদ্ধার করে।

কোস্টগার্ড জানায়, পাথরঘাটা থেকে হানিফ মুন্সি নামক একটি ফিশিং বোট গত ১৫ মার্চ মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে যাত্রা করে। এরপরে গত ১৯ মার্চ বোটের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসতে থাকে। পরবর্তীতে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়া বোটের মাঝি মাসুম মৌলভি এর মোবাইল নাম্বার ট্রাকিং করে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে কোস্ট গার্ড। এরপর আজ রাতে ওইসব জেলেদের জীবিত উদ্ধার করে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের দুবলা ও কচিখালী যৌথ অভিযানিক দল।

উদ্ধার হওয়া জেলেদের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকায় বলে জানায় কোস্ট গার্ড।


আরও খবর



ঈদ উপলক্ষ্যে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু কাল

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উপলক্ষ্যে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে রবিবার (২৪ মার্চ) থেকে। মূলত আগামী ১০ এপ্রিলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ধরেই ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলেক্ষ্য নেয়া কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, কাল সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হবে। এবার ঢাকা থেকে বর্হিগামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি।

আরও জানা যায়, আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট ভোগান্তিবিহীন কিনতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৪ মার্চ; ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৫ মার্চ; ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ মার্চ; ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ; ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশনের কাউন্টারে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



মস্কোর কনসার্টে হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর কাছে একটি কনসার্ট হলে সন্ত্রাসী হামলায় ১৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএসকে)। এবার তাদের ছবি প্রকাশ করেছে জঙ্গি সংগঠনটি।

শনিবার হামলাকারীদের চার সদস্যের ছবি প্রকাশ করেছে তারা। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

ছবি প্রকাশ করে আইএস বলেছে, কনসার্ট হলে হামলা চালিয়েছে এই চারজন।

ছবিটি ইসলামিক স্টেট সংশ্লিষ্ট সংবাদ সংস্থা আমাক-এর টেলিগ্রাম চ্যানেলে শেয়ার করা হয়েছে। আমাক এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত দেশগুলোর সঙ্গে ইসলামিক স্টেটের তুমুল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এই হামলা করা হয়েছে।

এদিকে ইসলামিক স্টেট হামলার দায় স্বীকার করলেও এর সঙ্গে ইউক্রেনের যোগসূত্র খুঁজছে রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, হামলাকারী চার ব্যক্তি ইউক্রেনের দিকে পালিয়ে যাচ্ছিল। তারা সীমান্ত অতিক্রম করার আশা করছিল।

পুতিন এই হামলাকারীদের শত্রু এবং তাদের কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছেন, যেসব রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে পরাজিত করতে চায়, সেই রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে কাজ করতে রাশিয়া প্রস্তুত।

রুশ ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি) বরাত দিয়ে রবিবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, এই হামলায় চার সন্দেহভাজন বন্দুকধারীসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের ইউক্রেনে যোগাযোগ ছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের মস্কোতে স্থানান্তর করা হচ্ছে।

তবে ইউক্রেন এই হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

এর আগে, শুক্রবার রাতে মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে। তখন সেখানে একটি কনসার্ট চলছিল। বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ভয়াবহ এই হামলায় এখন পর্যন্ত ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দেড় শতাধিক।


আরও খবর



রমনায় বোমা হামলা: ২৩ বছরেও শেষ হয়নি মামলার বিচার

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রমনা বটমূলে পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার মামলা ঝুলে আছে ২৩ বছর ধরে। সাক্ষী হাজির না হওয়ায় বিচারিক আদালতের গণ্ডি পেরোতে পারেনি মামলাটি। এছাড়া হত্যা মামলাটি বিচারিক আদালতে নিষ্পত্তি হলেও, হাইকোর্টে এসে আটকে গেছে। জানা গেছে, ১০ বছরে অন্তত কয়েকশো বার পিছিয়েছে শুনানি।

রাজধানীর রমনা বটমূলে ২০০১ সালে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলা চালায় জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি)। বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন অনেকে। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।

দুই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ একসঙ্গে শুরু হলেও ২৩ বছরেও বিচারিক আদালতের গণ্ডি পার হতে পারেনি বিস্ফোরক মামলাটি। কারণ হিসেবে সাক্ষী হাজির না হওয়া, প্রতি বছর এই একই যুক্তি দিয়ে আসছেন রাষ্ট্রপক্ষ।

বিচারিক আদালত হত্যা মামলায় যে রায় দিয়েছে, মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন ও আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য সে মামলা হাইকোর্টে ঝুলে আছে। আর বিস্ফোরক আইনের মামলাটি এখনো ঢাকা মহানগর ১৫ নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে রায়ের অপেক্ষায়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, সাক্ষীদের হাজির করতে না পারায় বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম শেষ করা যায়নি। আর হাইকোর্টে হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি ঈদের ছুটির পরপরই শুরু করা যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

২০০১ সালে হামলার পর পরই ওই দিনই নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। দুই মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ১৪ জঙ্গিকে আসামি করা হয়।

ঘটনার প্রায় আট বছর পর দুই মামলায় ১৪ জনকে আসামি করে ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

হত্যা মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার দায়রা জজ রুহুল আমিন প্রধান আসামি মুফতি হান্নানসহ আটজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। এরপর খালাস চেয়ে উচ্চ আদালত হাইকোর্টে আপিল করেন আসামিরা। অন্যদিকে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য নিয়ম অনুযায়ী মামলাটি হাইকোর্টে যায়।

এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা থেমে আছে। হত্যা মামলাটি অবশ্য বিচারের প্রথম ধাপ পেরিয়েছে ১০ বছর আগে। এরপর হাইকোর্টে এসে আটকে গেছে। ফলে গত ১০ বছরেও আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের অনুমোদন মেলেনি। বিভিন্ন সময়ে আদালতে উঠলেও অন্তত কয়েকশো বার পিছিয়েছে শুনানি।

এ মামলার দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে বিএনপি সরকারের সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনসহ চার আসামি এখনো পলাতক। তবে হুজি নেতা মুফতি হান্নানের ফাঁসি অন্য এক মামলায় কার্যকর করা হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির বলেন, হত্যা মামলাটির আপিল শুনানির জন্য হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে এসেছিল। রাষ্ট্রপক্ষ সময় আবেদন করেছে, তাই সময় শুরু হয়নি।

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তিনটি কোর্টে মামলার শুনানি শুরু হয়েছিল। এমনকি আংশিক শুনানিও হয়েছিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বারবার সময় চাওয়া হয়। ২০১৪ সালের ডেথ রেফারেন্স এটি। যার শুনানি শুরুই হয়নি।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন গত ৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, রমনার বটমূলের হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মামলাটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে রয়েছে। আগামী মাসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ মামলার আপিল শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ওই বেঞ্চের একজন বিচারক আগে আইনজীবী হিসেবে এ মামলার কাজে ছিলেন। তাই তিনি শুনানি করতে পারেননি। এ কারণে হয়ত কিছুটা সময় লেগেছে। তবে এবার শুনানি হবে। আমরা প্রস্তুত আছি- বলেন রাষ্ট্রের প্রধান এ আইন কর্মকর্তা।

অন্যদিকে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন।

সাবেক ব্রিটিশ হাই কমিশনার আনোয়ার চৌধুরী হত্যা মামলার রায় অনুযায়ী ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রাতে মুফতি হান্নানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ফলে রমনা বটমূলের বিস্ফোরক আইনের মামলা থেকে তার নাম বাদ যায়।

এ মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মাওলানা তাজউদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি শফিকুর রহমান, মাওলানা আবু বকর, হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা আকবর হোসাইন, মাওলানা শাহাদাৎ উল্লাহ জুয়েল, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ও মাওলানা শওকত ওসমান। তাদের মধ্যে তাজউদ্দিন, আবদুল হাই ও জাহাঙ্গীর পলাতক রয়েছেন।

২০২২ সালের ২১ মার্চ বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৮৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৫৪ জনের সাক্ষ্য শোনেন আদালত। ওই বছরের ৩ এপ্রিল আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন সাত আসামি। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাননি।

ওইদিন যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ওই বছরের ১১ অগাস্ট দিন ধার্য করেন বিচারক। কিন্তু তার আগেই ২৮ জুলাই ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল মামলাটি মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ফেরত পাঠায়।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুলাহ আবু বলেন, সাক্ষীরা একবার সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। কিন্তু পরে ওই সাক্ষীদের সহজে পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন হয়ে গেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিচারকাজ শেষ হওয়া উচিত।

প্রায় দুই যুগ ধরে চলা এই হামলার বিচার শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ জানান শিল্পীরা। সঙ্গীতশিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, আমাদের দেশের কিছু লোক আছেন, যারা বাঙালি সংস্কৃতিকে বাঁকা চোখে দেখেন। তবে এ ঘটনার একটি পূর্ণাঙ্গ রায় যেন পাই, সে প্রত্যাশা করি।


আরও খবর



অর্জিত হচ্ছে না রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রাজস্ব ঘাটতি ১৮ হাজার ২২১ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮০৮ কোটি টাকার বিপরীতে রাজস্ব পাওয়া গেছে ২ লাখ ২৬ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। যদিও গেল বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এনবিআরের সাময়িক হিসাব অনুসারে, ৮ মাসে আয়কর আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৯ হাজার ১৫৫ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৭২ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। পাশাপাশি মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা। বিপরীতে আয় হয়েছে ৮৮ হাজার ৭০১ কোটি টাকা। এছাড়া শুল্ক আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৩ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৬৫ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।

চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হতে পারে বলে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। গত ১৬ মার্চ জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ এর প্রস্তাবনা উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এমন একটা সময় বাজেট প্রণয়ন হতে যাচ্ছে যখন সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকের তারল্য সংকট, বাজেট বাস্তবায়নে নিম্ন ও শ্লথ গতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নগামী এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স নিচের দিকে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা যেটা আমরা দেখতে চাই বিশেষ করে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও নিম্ন মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সূচক যেখানে থাকার কথা সেটা নেই। বরং চরমভাবে চাপের মুখে পড়েছে। এর কারণ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দুটোই।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মূল বাজেটই হবে কীভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায়। ওই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা যায়, সেটা বড় বিষয়। যেমন: গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্তি মাত্র ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আমরা যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই, তাহলে বাকি ৬ মাসে রাজস্ব আহরণে ৫৪ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। যা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। বিগত দিনের ধারা লক্ষ্য করলে দেখা যায় রাজস্ব ঘটতি আগের মতোই চলমান থাকবে। যার পরিমাণ ৮২ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মনে করছি।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি ছিল। যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি শহর ও গ্রামে দুটোই জায়গায় বেশি ছিল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ খুব বেশি প্রভাবে ফেলতে পারিনি।

গত ৬ মাসের রাজস্ব আহরণের চিত্র বিশ্লেষণ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পর্যবেক্ষণ বলছে, চলতি অর্থবছরে সরকার বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। সিপিডি মনে করে, অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে।


আরও খবর
লম্বা ছুটির পর আজ ব্যাংক খোলা

সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪