আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

৭২ ঘণ্টা পর ধর্ষণের মামলা না নেওয়ার কথা নেই লিখিত রায়ে

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ নভেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ নভেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার লিখিত রায়ে ধর্ষণের ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পরে মামলা না নিতে পুলিশকে নির্দেশনার কোনো উল্লেখ নেই। চার বছর আগে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় ১১ নভেম্বর রায় দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর তৎকালীন বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার।

রায়ে পাঁচ আসামির সবাইকে খালাস দেওয়া হয়। খালাস পাওয়া পাঁচজন হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ, তাঁর বন্ধু সাদমান সাকিফ, নাঈম আশরাফ, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন।

রায়ের পর কৌঁসুলিদের উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করে, রায় ঘোষণার সময় বিচারক নির্দেশনা দিয়েছেন যে ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে পুলিশ যেন মামলা না নেয়। এমন নির্দেশনার খবর প্রকাশিত হলে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মীরা। তাঁরা বলেন, এই নির্দেশনা সংবিধান ও ন্যায়নীতির পরিপন্থী।

এ নিয়ে সমালোচনার মধ্যে গত শনিবার ওই বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, বিচারকের রায়ের বিষয়বস্তু নিয়ে কথা বলতে চান না। তবে ওই বিচারকের পর্যবেক্ষণ সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক। এ কারণে তিনি গত রোববার প্রধান বিচারপতির কাছে বিচারক হিসেবে তাঁর (মোছা. কামরুন্নাহার) দায়িত্ব পালন নিয়ে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে জন্য একটা চিঠি লেখার কথা বলেন। এরপর রোববার প্রধান বিচারপতি ওই বিচারককে আদালতে না বসতে নির্দেশ দেন। পরে তাঁকে ট্রাইব্যুনাল থেকে প্রত্যাহার করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়।

ইংরেজিতে লেখা ৫৪ পৃষ্ঠার লিখিত রায়ে ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে পুলিশ যেন মামলা না নেয়, সেসংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা বা পর্যবেক্ষণ পাওয়া যায়নি। তবে লিখিত রায়ে ৭২ ঘণ্টার প্রসঙ্গ এনেছেন মোছা. কামরুন্নাহার। কিন্তু এর প্রেক্ষাপট ভিন্ন।

রায়ে বিচারক লিখেছেন, এই ট্রাইব্যুনাল বহু ধর্ষণ মামলা দেখেছেন। প্রাপ্তবয়স্ক ও যৌনজীবনে অভ্যস্ত নারী বিচারের জন্য আসেন, যেখানে কথিত অপরাধ সংঘটিত হওয়ার অনেক দিন পর তাঁদের মেডিকেল পরীক্ষা হয়েছে। অনেক দিন পর মামলা হলে যৌন সহিংসতার প্রমাণ পাওয়া যায় না। মামলা করার সময় যদি বিষয়টি দেখা হয়, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি মেডিকেল পরীক্ষা করা হয় (যেমনটি বহু মামলায় চিকিৎসকেরা মতামত দিয়েছেন) এবং ফরেনসিক পরীক্ষায় যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে ধর্ষণ মামলায় তা গুরুত্বপূর্ণ নথি বলে গণ্য হয়। তখন ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার নিশ্চিত করা যায় এবং ন্যায়বিচার সর্বোত্তমভাবে করা সম্ভব হয়।

রায়ে বিচারক লিখেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক বাদীদের যদি ঘটনার পরপর বা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডাক্তারি পরীক্ষা হতো, তাহলে ধর্ষণের চিহ্ন বাদীদের পক্ষে যেত। এমনকি তাঁরা যদি পরদিন অথবা ঘটনার পরপর মামলা করতেন, তাহলে পুলিশ যৌন সহিংসতার কারণে আঘাতের চিহ্ন তাঁদের মুখে, গালে বা শরীরের অন্য কোথাও পেত।

মামলাটি সম্পর্কে মোছা. কামরুন্নাহার লিখেছেন, ৩৮ দিন পর মামলা হওয়া ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সাফাতের সাবেক স্ত্রী ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার প্রসঙ্গও এসেছে লিখিত রায়ে। বিচারক রায়ে লিখেছেন, বাদীরা মামলা করতে যাননি; বরং পিয়াসা তাঁদের সঙ্গে করে নিয়ে যান তাঁর সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করাতে। বিষয়টি এ মামলাকে সাজানো মামলায় পরিণত করে। বাদীপক্ষ যে সাক্ষ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করেছে, তা অসংগতি ও অসামঞ্জস্যতায় পূর্ণ এবং সাক্ষ্যপ্রমাণকে বিশ্বাসযোগ্য করে না। এমন সাক্ষ্যপ্রমাণ মূল্যহীন, যা মামলাটির শিকড়ে আঘাত করেছে। সংশয় তৈরি করেছে।

বিচারক লিখেছেন, বাদীরা সংশয়ের ঊর্ধ্বে মামলাটিকে প্রতিষ্ঠায় হতাশাজনকভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।

বিচারক তাঁর রায়ে লিখেছেন, সাফাত ও নাঈম ৯(১) ধারায় অপরাধ করেছেন কি না, অন্য তিন আসামি সাদমান সাকিফ, মো. বিল্লাল হোসেন ও রহমত আলী ধর্ষণের ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন কি না, বাদীরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পারলেন কি নাএ তিন বিষয় তিনি বিবেচনা করেছেন।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাতে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ৮ জুন পুলিশ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। পাঁচ আসামিই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাঁরা আদালতকে বলেন, পুলিশ ভয় দেখিয়ে তাঁদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করেছিল।




আরও খবর



কুয়াকাটায় পিজ্জা কিনেই হেলিকপ্টারে চড়ছেন পর্যটকরা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)

Image

ভ্রমণ বিলাসীতার সখ নেই এমন মানুষের জুড়ি মেলা ভাড়। তবে আধুনিক যুগে সেলফি প্রতিযোগিতায় সখ পূরণ করেন অনেকেই। আর তাও যদি সাধ্যের মধ্যে কম খরচে একটি পিজ্জা কিংবা রামেন কিনে খেলেই বিশালাকৃতির হেলিকপ্টারে চড়ে সখের সেলফি তোলা যায় পর্যটন নগরী কুয়াকাটায়।

তাই এমন সুযোগ হাতছাড়া করছেন না আসা দর্শনার্থীরা। ফলে সাগরকন্যাখ্যাত কুয়াকাটার ডিসি পার্কে প্রতিদিন হেলিকপ্টারে চড়তে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন সেলফিবাজ সৌখিন পর্যটকরা।

বিকল্প চিন্তাধারা নিয়ে ১৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যয়ে হেলিকপ্টারের আদলে একটি স্থাপনা নির্মাণ করেন ২৬ বছর বয়সী তরুণ আল-আমিন কাজী। যা আদতে একটি ভ্রাম্যমাণ চাইনিজ রেস্টুরেন্ট। পটুয়াখালীর বড়বিঘাই এলাকার এই উদ্যোক্তা ২০২৩ সালে কৃত্রিম হেলিকপ্টারেটি নির্মাণ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে পর্যটকদের নজর কাড়ছেন।

তবে সম্প্রতি সময়ে কুয়াকাটা জেলা প্রশাসক পার্কে ভ্রাম্যমাণ এই স্থাপনাটি নিয়ে আশার পর থেকেই প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের। এই হেলিকপ্টারে চড়েই মিলছে সুস্বাদু পিজ্জা, রামেন ও পাস্তাসহ বাহারি সব চাইনিজ খাবার। তাই এই রেস্টুরেন্টে বসে খাবারের পাশাপাশি একটি সখের সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন দর্শনার্থীরা। আবার হেলিকপ্টারটির সামনে দাঁড়িয়েই কেবল সখের সেলফি তুলছেন সব বয়সী মানুষ।

ঝালকাঠি থেকে আসা পর্যটক মিন্টু গাজী বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহের পর একটু স্বস্তির বৃষ্টিতে প্রকৃতি এখন কিছুটা শীতল। তাই তিন বন্ধুকে নিয়ে কুয়াকাটায় এসেছি। কিন্তু এখানে এসে হেলিকপ্টার দেখে প্রথমে দৌড়ে কাছে যাই। পরে দেখি মধ্যে চাইনিজ রেস্টুরেন্ট।

তিনি বলেন, হঠাৎ দেখে বোঝার উপায় নেই যে এটি আসলে একটি কৃত্রিম হেলিকপ্টার।

সুরুজ-আকলিমা দম্পতি বলেন, বিচে হাটার সময় আচমকা স্থাপনাটি দেখতে পাই। পরে আমাদের দুই সন্তান এখানে ছবি তোলার জন্য খুবই উৎসাহিত ছিল। তাই মধ্যে বসে রামেন খেয়ে ছবি তুলেছি। খাবারের মানও মোটামুটি ভালো ছিল।

ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্টের পরিচালক আল-আমিন বলেন, বর্তমান বাজারে ব্যবসা করে টিকে থাকাটা মুশকিল। তাই বিকল্প চিন্তা নিয়ে আকর্ষণীয় কিছু করার কথা ভেবেই এটি নির্মাণ করি। পাশাপাশি ৯ জন বেকার যুবকের কর্মস্থান হয়েছে। তারা এখানে পর্যটকদের সেবা দিয়ে থাকেন।

তিনি বলেন, এর আগে পটুয়াখালী এবং বরগুনাতে হেলিকপ্টারটি নিয়ে গিয়েছিলাম। বর্তমানে কুয়াকাটায় পর্যটকদের সেবা এবং বিনোদন দেওয়াটাই মূললক্ষ্য।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, তরুণ উদ্যোক্তারা কুয়াকাটায় স্থাপনাটি নিয়ে আসার কথা বললে আমি তাদের অনুমতি দিয়েছি। এখন পর্যটকদের বিনোদনের জন্য একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।


আরও খবর



সারাদেশে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি অটোরিকশা চালকদের

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মে ২০24 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা মহানগরে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচলের দাবিতে সমাবেশ করেছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ। দাবি আদায় না হলে আগামী ২৭ মে সারাদেশে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

আজ সোমবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সংগঠনটির নেতারা। এর আগে মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন কয়েকশ অটোরিকশা চালক।

পাশাপাশি সমাবেশে থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান নীতিমালা চূড়ান্ত ও কার্যকর করে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের দ্রুত নিবন্ধন, লাইসেন্স প্রদান ও রুট পারমিটের দাবি জানান তারা।

আন্দোলনকারীরা বলেন, বিআরটিএর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ যানবাহন বন্ধের কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, মোটর ভেইকেল অ্যাক্ট ২০১৮ অনুযায়ী এটি অনুমোদিত না। কিন্তু এরই মধ্যে ইলেকট্রিক মোটরযান চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা পাস হয়েছে ও ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার মোটরযান নীতিমালা চূড়ান্ত হওয়ার পথে। ব্যাটারিচালিত যানবাহন এই নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত। ফলে মোটর ভেইকেল অ্যাক্ট এখানে প্রযোজ্য নয়। আর নিরাপত্তাজনিত সমস্যার কথা বলা হয়েছে। এটাও একটি মিথ্যা কথা। নিরাপত্তাজনিত কি সমস্যা হয়েছে তার কোনো বিশ্বাসযোগ্য তথ্য উপাত্ত হাজির না করে লাখ লাখ মানুষের রুটি রুজিতে হাত দেওয়ার অধিকার বিআরটএর নেই। এটি পরিবেশবান্ধব, শব্দ ও বায়ু দূষণ করে না, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী বাহন বলে এটা এখন বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাহন।

বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ইজি বাইক সংগ্রাম পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি জালাল আহমেদ, অর্থ সম্পাদক রোখশানা আফরোজ আশা, সংগঠনের আহ্বায়ক ও সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, অর্থ সম্পাদক জুলফিকার আলী, সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদ সদস্য আবু নাঈম খান বিপ্লব, রাহাত আহমেদ, এস এম কাদির, ঢাকা মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক দাউদ আলী মামুন, সদস্য সেকান্দার আলী, আবদুস সালামসহ আরও অনেকে।


আরও খবর



পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালংগী বিওপি (৬১ বিজিবি) থেকে আনুমানিক ১০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

বিএসএফের গুলিতে নিহত আবুল কালাম উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত অপির উদ্দিনের ছেলে।

বিজিবি, পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে কয়েকজন গরু পারাপারকারী রাখালসহ শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পকেট সীমান্তের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলারের ওপারে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গরু আনতে যান। এ সময় বিএসএফের ডোরাডাবরী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুরুতর আহত হলে সঙ্গীয়রা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। পরে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝালংগী ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েব সুবেদার নুরুল আমিন বলেন, বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। থানা পুলিশ পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে।’

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে কড়া প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।’

নিহতের মা মমতা বেগম বলেন, কালাম এখনও বিয়া করে নাই। এবার বিয়া করার কথা ছিল। কিন্তু কী অপরাধের জন্য বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করল? আমি এ হত্যার বিচার চাই।’

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সাইদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ লালমনিরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা করা হবে।’


আরও খবর



সিগারেট বাকি না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সিগঞ্জ সদরের মিরকাদিমে কাগজীপাড়া এলাকায় গভীর রাতে চিপস-সিগারেট বাকি না দেওয়ায় মোশারফ হোসেন (৫৫) নামের এক মুদি দোকানিকে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কাউন্সিলরের ছোট ভাই মো. রুবেলের (৩৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনার অভিযুক্ত রুবেলকে রাতেই অভিযান চালিয়ে আটক করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বাড়ির পাশে দোকান থাকায় সে প্রতিদিন রাতে দোকানেই ঘুমাতেন। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মিরকাদিম পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. সোহেলের ছোট ভাই রুবেল তাকে ডাক দিয়ে চিপস-সিগারেট বাকি চায়।

সে বাকি দেবে না বলে অস্বীকৃতি জানালে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মোশারফকে দোকান থেকে টেনে বের করে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

পরে স্থানীয়রা মোশারফকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্ডার খায়রুল হাসান জানান, চিপস সিগারেট বাকি না দেয়াকে কেন্দ্র করে মোশারফকে কুপিয়ে হত্যা করে মিরকাদিম পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সোহেল মিয়ার ছোট ভাই রুবেল মিয়া (৩৫)।

তিনি জানান, এ ঘটনায় তাকে রাতেই অভিযান চালিয়ে আটক করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে রক্তমাখা একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



সাদুল্লাপুরে ডলার প্রতারক গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় আমেরিকান ডলার সদৃশ তিনটি কাগজের নোট জব্দ করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত নান্নু মন্ডল( ৩৭) নামের এক প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে গোপন সংবাদে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভাজাকালাই বাজারে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।

গ্রেফতার প্রতারক নান্নু মন্ডল ফরিদপুর ইউনিয়নের মৃত আব্দুল জলিল মন্ডলের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডলার দেওয়ার কথা বলে সহজ-সরল মানুষের সঙ্গে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

এ তথ্য নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার নান্নু মন্ডলের বিরুদ্ধে স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট-এ মামলা দায়ের করা হয়। এ আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই এলাকার সকল ধরণের অপরাধমূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


আরও খবর