আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

৭২ ঘণ্টা পর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ থাকার ৭২ ঘণ্টা পর উৎপাদনে ফিরেছে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কেন্দ্রটির ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে ইউনিটটি থেকে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

আজ বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কারিগরি ত্রুটির কারণে ১৫ এপ্রিল রাত থেকে কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার রাতে উৎপাদন আবার শুরু হয়েছে। বর্তমানে কেন্দ্রটির কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ থাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে ব্যাপক লোডশেডিং দেখা দেয়। ফের উৎপাদনে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।  

গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয় রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। পরে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি কয়লা সংকটে বন্ধ হয়ে যায় এ বিদ্যুৎকেন্দ্র। প্রায় ১ মাস পর ১৫ ফেব্রুয়ারি আবারও উৎপাদন শুরু হয়।

রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী কৈ-গর্দ্দাশকাঠি মৌজায় ১ হাজার ৩৪ একর জমি অধিগ্রহণ শেষে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। প্রায় নয় বছর শেষে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি।


আরও খবর



ঈদে সবার জীবনে নেমে আসুক সুখ ও শান্তি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঈদে সবার জীবনে আনাবিল সুখ-শান্তি নেমে আসুক। আগামী দিনগুলো আরও সুন্দরভাবে যাক সেটাই কামনা করি।

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) গণভবনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শেখ রেহানা ও নিজের পক্ষ থেকে তাদের সবার পরিবারকে ঈদের শুভেচ্ছা পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানান। আনন্দের এসময় নিজের পরিবারকে সময় দেওয়ার পরামর্শ দেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিতে আসেনি মানুষকে দিতে এসেছে। মানুষের জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করা আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আজকের দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বাবা, মা, ভাই-বোন সব হারিয়েছি। তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। শ্রদ্ধা জানাই ৩০ লক্ষ শহিদের প্রতি। শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় চার নেতার প্রতি।

নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আহ্বান করেছিলাম, ইফতার পার্টি না করে জনসাধারণের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করার জন্য। আপনারা আমার ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এতে প্রমাণ হয়েছে, আওয়ামী লীগ নিতে আসে না, মানুষকে দিতে আসে।

তিনি বলেন, অনেকে অহংকার করে বলেন এক হাজার লোক নিয়ে ইফতার করেছি। আসলে আওয়ামী লীগ খায় না, দেয়। আমরা সেটা প্রমাণ করেছি। আমরা ইফতার পার্টি করিনি, ইফতার মানুষের মধ্যে বিতরণ করেছি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নিজের ও তার বোন শেখ রেহানার পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান। আওয়ামী লীগকে বার বার নির্বাচিত করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, ডাক্তার দীপু মনি, নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম সহ-কেন্দ্রীয় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা, সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চাইলে চলবে রাজনীতি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) রাজনীতি করা বন্ধ হয়েছিল। তারা চাইলে আবার শুরু হবে। তবে সেই উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের থেকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার।

আজ রবিবার (৩১ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে উপাচার্যের কক্ষে এই মন্তব্য করেন তিনি।

উপাচার্য বলেন, রাজনীতি না করলে দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ আসবে না। রাজনীতি করার অধিকার সকলেরই আছে।

আন্দোলন ছেড়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাবার আহ্বানও জানান তিনি। তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সামগ্রিক বিষয়ে সিদ্ধান্তে যাবে বলেও মন্তব্য করেন উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার।

বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও ব্যক্তিদের ক্যাম্পাসে আসার প্রতিবাদে টানা বিক্ষোভ করে আসছিল বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের প্রতিবাদ জানিয়ে কর্মসূচি পালন করছে ছাত্রলীগ।

এদিকে আজ ২২ তম ব্যাচের সকল বিভাগের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর বিপরীতে দুইজন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে।

পরীক্ষায় অংশ না নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এমন প্রশ্নে উপাচার্য বলেন, তারা আসলে আলোচনা করে কী ব্যবস্থা নেয়া যায় সেটি দেখা যাবে।


আরও খবর



কর্মী হিসেবে অফিসে আপনার আচরণ কেমন হওয়া উচিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

জীবনের তাগিদে অনেকেরই চাকরি করতে হয়। এ কারণে অফিস বা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। কর্মক্ষেত্রে থাকা সব মানুষগুলো এক ধরনের হয় না। এরপরও সবার সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়। কাজের ক্ষেত্রে মতামতে অমিল, দক্ষতায় সাম না হওয়া এবং কারও বিশেষ ক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য অনেক সময় বিভেদের সৃষ্টি হয়। এই বিভেদ অনেকে প্রকাশ করেন, আবার কেউ কেউ প্রকাশ করেন না। কিন্তু বিভেদ প্রকাশ হোক বা হোক, মনে বিভেদ থাকলে এ থেকে কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়। ফলে এক বা দুজনের কারণে পুরো টিমে এর প্রভাব পড়ে। এমনকী ব্যক্তিজীবনেও এর প্রভাব পড়ে।

কর্মক্ষেত্রে সবসময় টিম বা অফিসের ইতিবাচক হয়, এমন চিন্তাভাবনা এবং এ উদ্দেশ্যে সবার সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। যেকোনো বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা করে অগ্রসর হতে হবে। কারও সঙ্গে মতামতের মিল না হলে ভেবে দেখতে হবে, দুজনের মধ্যে কার সিদ্ধান্ত অফিসের জন্য সেরা সুফল বয়ে আনবে। কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের কেমন আচরণ ও ব্যবহার হওয়া উচিতএ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ক্যারিয়ারবিষয়ক পরামর্শ প্রকাশ করা ওয়েবসাইট কেটি রবার্টস।

সততা: ব্যক্তিগত কিংবা অফিশিয়াল জীবনে সততা সবার ঊর্ধ্বে। কর্মক্ষেত্রে সবসময় খোলামেলাভাবে কাজ করতে হবে। অপ্রয়োজনীয়ভাবে গোপনীয়, বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত বা ক্লায়েন্টের তথ্য অন্য কারও সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। কেউ অসৎ আচরণ বা অন্যায় করলে সেটি সহ্য বা সমর্থন করা যাবে না। এমনটা হলে নিজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানাতে হবে।

পরস্পর সম্মান: সবসময় অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল মনোভাব বজায় রাখতে হবে, এমনকি চাপের সময়ও। নিজে কোনো কারণে কোনো কাজের জন্য চাপে বা জটিলতায় থাকা স্বাভাবিক, তাই বলে সহকর্মীদের কারো সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, আঘাত বা অসম্মান করবেন না। হোক সে আপনার সিনিয়র বা জুনিয়র। সবসময় মৌখিক এবং লিখিতভাবে উপযুক্ত ভাষা ব্যবহার করবেন। নিজের ভুল হলে বা কখনো ভুল বোঝাবুঝি হলে ক্ষমাপ্রার্থী হতে হবে এবং অন্যের ব্যক্তিগত মতামতকেও সম্মান করতে হবে।

মিটিং: কর্মক্ষেত্রে অফিসের উন্নয়ন বা নতুন কোনো পদক্ষেপের জন্য মিটিং, আলোচনা সভার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে আগে থেকেই সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এসব মিটিংয়ে সর্বদা সময়মত পৌঁছান। মিটিংয়ে আপনার কী করতে হবে, তা আগে জেনে-বুঝে নিয়ে কাজগুলো গুছিয়ে রাখুন। মিটিংয়ে থাকা সবার কথাগুলো গুরুত্বের সঙ্গে শুনুন এবং নিজের কোনো মতামত থাকলে তা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করুন।

যোগাযোগ: সহকর্মীদের সঙ্গে সর্বদা স্পষ্টভাবে কথা বলুন এবং কিছুটা সময় লাগলেও এমন ভাষায় উপস্থাপন করুন, যাতে সবাই তা বুঝতে পারে। সবার সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করুন। সহকর্মীদের সঙ্গে অফিশিয়াল ব্যতীত অন্য কোনো বিষয়ে কথা বলা উচিত নয়। অফিসের বাইরে সহকর্মীদের সঙ্গে অফিস সংক্রান্ত গসিপে জড়ানোও ঠিক নয়। সরাসরি বা মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় সর্বোচ্চ শালীনতা বজায় রাখতে হবে এবং লিখিত যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভাষা নির্বাচনে সতর্ক থাকুন।

টাইম ম্যানেজমেন্ট: অফিসে আপনার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আপনাকে দেয়া কাজটি যথাসময়ে করার চেষ্টা করুন। কখনো বিলম্ব করা ঠিক নয়। প্রয়োজনে কয়েক মিনিট আগে অফিসে পৌঁছান। কোনো কারণ দু-একদিন অফিসে পৌঁছাতে দেরি হতে পারে, তবে সেটি যেন অভ্যাসে পরিণত না হয়ে যায়। অফিসে গিয়ে কফি পান ও সহকর্মীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে সব গুছিয়ে ঠিক সময়ে অফিসের কাজ শুরু করুন। কাজের মাঝে চা বিরতি ও দুপুরের খাবার এবং বিরতির সময়সূচি মেনে চলুন। কাজ শেষ হলে যথা সময়ে চলে যান।

অফিসের লক্ষ্য: প্রতিটি অফিসেরই নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য থাকে। সেসব বাস্তবায়নে একেকজন কর্মীর ওপর একেক ধরনের দায়িত্ব দেয়া থাকে। আপনার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আপনি নিজে গুরুত্বসহকারে করার চেষ্টা করুন।

দায়িত্ববান হওয়া: নিজের কাজের জন্য নিজেকেই দায়িত্ব নিতে হবে। যেটি প্রয়োজন সেটি করুন এবং নিজের কাজ অন্যের জন্য রেখে দেবেন না। কোনো কারণে নিজের কিছু ভুল হলে বা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে না পারলে, এটি বিনয়ের সঙ্গে স্বীকার করার অভ্যাস করুন। এ নিয়ে অন্য সহকর্মী বা ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান তৈরি করুন। এতে পরবর্তীতে কাজটি শেষ করা আপনার জন্য সহজ হবে।

টিমওয়ার্ক: কর্মক্ষেত্রে সবাইকে নির্দিষ্ট টিমের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এতে প্রায়ই এমন কিছু পরিস্থিতি হয়, যে কাজগুলো আপনার পছন্দের নয়। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ বাদ রেখে সবার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দলগতভাবে কাজ করতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: কর্মক্ষেত্র

আরও খবর



বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আর কদিন পরই বাঙালিরা উদযাপন করবে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১। এ উপলক্ষে ১৩ নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৭ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নির্দেশনাগুলো হলো:

- দেশব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও আয়োজকরা সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।

- রমনার বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং, ডগস্কোয়াডসহ বিশেষ নিরাপত্তা নেয়া হবে। এসব অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি থাকবে।

- বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

- বাংলা একাডেমি ও বিসিকের একাডেমি প্রাঙ্গণে নববর্ষের মেলায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

- রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ দেশের যেকোনো স্থানের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে।

- বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বয় করে নিরাপত্তা দেবে।

- নববর্ষে কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা দেয়া হবে।

- নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরের অনুষ্ঠানে ও সারাদেশে অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিস টিম থাকবে। মেডিকেল টিমও থাকবে।

- বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ইভটিজিং, ছিনতাই/পকেটমারসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।

- বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো যাবে না।

- নববর্ষে দেশের কারাগারে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

- কোনো ধরনের ফানুস বা আতশবাজি ফুটানো যাবে না।

- বাংলা নববর্ষে মাদকের অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর



বাংলাদেশের নতুন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাকিস্তানের সাবেক লেগস্পিনার এবং বিশ্বকাপজয়ী মুশতাক আহমেদকে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নতুন স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

চলতি মাসের শেষদিকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে প্রস্তুতি ক্যাম্পে যোগ দেবেন তিনি। মুশতাকের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি হয়েছে চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ১ জুন থেকে মাঠে গড়াবে এই বিশ্বকাপ।

৫৩ বছর বয়সী মুশতাকের আগে ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ড দলের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। নিজ দেশ পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও স্পিন কোচ ছিলেন তিনি।

খেলোয়াড়ি জীবনও বেশ সমৃদ্ধ ছিল মুশতাক আহমেদের। পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে ১৫২ টেস্টে ১৮৫ এবং ১৪৪ ওয়ানডেতে নিয়েছেন ১৬১ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার নামের পাশে ১ হাজার ৪০৭ উইকেট রয়েছে। ১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন মুশতাক আহমেদ।


আরও খবর