আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

৭৫ বছরে যেভাবে পঙ্গু হয়েছে পাকিস্তানের রাজনীতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পঁচাত্তর বছর আগে উপমহাদেশের মুসলমানদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল পাকিস্তান। নিরন্তর রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি আদায় করেছিলেন পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। তিনি হয়তো পাকিস্তানকে এমন একটি সাংবিধানিক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন যেখানে জাতি, ধর্ম বা ধর্মের ভিত্তিতে কেউ বৈষম্য করবে না। তবে প্রতিষ্ঠার পর গত ৭৫ বছরে বিভিন্ন সময়ে অনেকবারই রাজনৈতিক পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি।

ধারণা করা হয়, হিন্দু আধিপত্যের ভয় এবং অভিজাতদের হাতে সাধারণ জনগণের নিপীড়নের আশঙ্কাই ছিল পাকিস্তান সৃষ্টির পেছনে অন্যতম কারণ। আইনজীবী, শিক্ষক, ছাত্র, ক্ষুদ্র জমির মালিক ও কৃষকরা স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছিল শ্রমিক শ্রেণীর জনগণের সম্মিলিত চেতনার একটি কাজ যারা নিজেদের মৌলিক অধিকারকে সমুন্নত রাখতে স্বাধীন রাষ্ট্র চেয়েছিলেন। এছাড়া সম্মানজনক জীবিকা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধির নিশ্চয়তা দিতে পারে এমন একটি দেশ চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু এই স্বপ্ন কি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়েছে? ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন সফল হলেও প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যুতে প্রথম দিকেই পাকিস্তানের রাজনৈতিক যাত্রা গুরুতর ধাক্কার সম্মুখীন হয়। তবে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই ১৯৫১ সালের অক্টোবরে আরেকটি বিপর্যয়ের মুখে পড়ে পাকিস্তান। সেসময় পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে প্রকাশ্য দিবালোকে রাওয়ালপিন্ডিতে হত্যা করা হয়। লিয়াকত আলী খানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে কার্যত পাকিস্তানের গণতন্ত্রের পতন শুরু হয়। আর সেই ধারা দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে আজও অব্যাহত আছে। লিয়াকত আলী খানের মৃত্যুর পর একপর্যায়ে গভর্নর জেনারেলের আদেশের মাধ্যমে খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রিসভাকে অপসারণ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক সরকার কখনোই দেশটিতে অগ্রাধিকার ছিল না।

এরপর ১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারি করা হয়। এটি পাকিস্তানের সামরিক কর্তৃপক্ষের হাতে দেশের সম্পদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয়। আইয়ুব খান এবং পরবর্তীতে তার উত্তরসূরি ইয়াহিয়া খান তাদের ব্যক্তিগত সম্পদের মতোই পাকিস্তানকে শাসন করেন। আইয়ুবের শাসন এবং ইয়াহিয়ার পৃষ্ঠপোষকতার রাজনীতি পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে পঙ্গু করে দিয়েছিল। সেসময়ই পাকিস্তানের পূর্বের গণতান্ত্রিক সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে মেনে নিতে অস্বীকার করে পশ্চিম পাকিস্তানের অভিজাতরা। আর এরপরই অধিকার আদায় ও বঞ্চনা-শোষণ থেকে মুক্তি পেতে দেশের পশ্চিম অংশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামে পূর্ব পাকিস্তান। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলায় মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। এর ফলে পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। দীর্ঘ ৯ মাসের বীরত্বগাথা যুদ্ধের পর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। ভেঙে যায় পাকিস্তান।

তবে বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে জাতীয়তাবাদী দলগুলোর সঙ্গে জুলফিকার আলী ভুট্টোর আচরণ ছিল শোচনীয়। তার সরকার মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে খারাপ নজির স্থাপন করে এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করে দেয়। আর এর ফলে ভুট্টো বিরোধী আন্দোলনের একপর্যায়ে আরেকটি সামরিক আইন জারি হয় পাকিস্তানে। ক্ষমতা গ্রহণের পর জিয়া উল হকের সামরিক আইন পাকিস্তানে সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে। তিনি সংবিধান বাতিল করেন এবং রাজনীতিবিদ, অধিকারকর্মী, আইনজীবী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের সদস্য এবং সাধারণ নাগরিকদেরও কারারুদ্ধ করেন। জিয়া প্রায় এগারো বছর ধরে পাকিস্তানে শাসন করেছিলেন। এসময় নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রয়োগ করে, সংবিধানের প্রতি অবজ্ঞা দেখিয়ে এবং গণতন্ত্রের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে পাকিস্তানকে শাসন করেন তিনি। আর এই ধরনের শাসনের উত্তরাধিকার হিসেবে পাকিস্তানে সৃষ্টি হয় ধর্মীয় উগ্রবাদ, সমাজের নানামুখী মেরুকরণ, মাদক এবং কালাশনিকভ সংস্কৃতি।

মূলত প্রেসিডেন্টের সাথে মতবিরোধের কারণেই প্রথমে বেনজির ভুট্টো এবং পরে নওয়াজ শরীফ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। প্রায় এক দশক ধরে এই দুই নেতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী-মন্ত্রীত্ব আবর্তিত হতে থাকে। আর এই যুগের অবসান ঘটে আরেকটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। আর সেটি হয়েছিল জেনারেল পারভেজ মোশাররফের হাত ধরে। মোশাররফ একটি আলোকিত এবং প্রগতিশীল পাকিস্তানের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেশ শাসন শুরু করেছিলেন। কিন্তু তার শেষ হয়েছিল অন্যান্য সামরিক শাসকদের মতোই। তিনি পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন; যার জন্য দেশটি প্রায় ১২ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এছাড়া সেসময় পাকিস্তানে প্রায় ৭৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারান। পারভেজ মোশাররফের বেলুচিস্তান অভিযান প্রদেশটিতে গভীর বিভাজন তৈরি করে। তবে নিজের শাসনের শেষ বছরগুলোতে মোশাররফ ক্ষমতার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন। ফলে পাকিস্তানে তিনি সাধারণ নির্বাচন ঘোষণা করেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও নওয়াজ শরিফকে ফিরে আসার অনুমতি দেন। এছাড়া পিএমএল-এন সরকারের শাসন এবং বৈধতাকে দুর্বল ও চ্যালেঞ্জ করার জন্য তেহরিক-ই-লাব্বাইক এবং পাকিস্তান আওয়ামী তেহরিকের (পিএটি) মতো গোষ্ঠীগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছিল।

শেষ পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে অযোগ্য ঘোষণা করেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ইমরান খানের পিটিআই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। তবে ইমরানের দলের এই জয়ের পেছনে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর হাত ছিল বলে অভিযোগ করেন বিরোধীরা। আবার তাদের (সামরিক বাহিনী) ইন্ধনেই জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানের সরকারের পতন ঘটে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক পঙ্গুত্বের এই জঘন্য কাহিনীর বহু ভিন্ন দিক বা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রাজনীতিতে সামরিক বাহিনীর ব্যাপক সম্পৃক্ততা রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পঙ্গু করে দিয়েছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কারচুপি এবং প্রকৃত রাজনৈতিক কণ্ঠের দমন রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি করেছে। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এতোটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে সেখানে সহজেই কারসাজি করা যায়। এটি দেশের পুরো ব্যবস্থাপনায় উদাসীনতা এবং অবিশ্বাস সৃষ্টি করে। যাদের ক্ষমতা ও যোগাযোগ আছে তারা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই ক্ষমতায় আরোহণের পথ পেয়ে যান।

আরেকটি বিষয় যা রাজনৈতিক দলগুলোকে দুর্বল করে তোলে তা হলো- দলগুলোর মধ্যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অনুপস্থিতি। নিয়মিত আন্তঃদলীয় নির্বাচন হয় না এবং বেশিরভাগ দল ব্যক্তিগত বা পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের মতো কাজ করে। উন্নত দেশগুলোর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে রাজনৈতিক দলগুলো। তবে পাকিস্তানে রাজনৈতিক দলগুলো প্রকৃত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারেনি এবং পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই রয়ে গেছে। বংশীয় রাজনীতি গণতন্ত্র ও সাংবিধানিকতার চেতনাকে হত্যা করেছে। এই কারণেই যখন কোনো স্বৈরশাসক রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়ন বা আঘাত হানে তখন জনগণ সেটির প্রতিরোধ করে না। তারা নিজেকে প্রান্তিক বলে মনে করে এবং নেতাদের বিপদে রক্ষা করার জন্য রাস্তায় নামতে প্রস্তুত থাকে না।

ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানজুড়ে বড় বড় শহরগুলোর পাশাপাশি মফস্বল এলাকাতেও একের পর এক সমাবেশ করে চলেছেন সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার। এসব সমাবেশে পিটিআই নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো এবং সেখানে তিনি বরাবরই আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছেন। ইমরান খানকে অপসারণের পর পাকিস্তানের শহরাঞ্চলে বড় ধরনের প্রতিবাদ বিক্ষোভও শুরু হয়। পিটিআই এই জনপ্রিয়তাকে একটি টেকসই রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তর করতে পারে কিনা তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। ধর্ম-রাজনীতির মিশ্রণে সৃষ্ট যেকোনো গণতন্ত্র, সংবিধান ও সংসদের ধারণা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে। ধর্মীয় রাজনৈতিক দলগুলোর মূলধারায় আসা পাকিস্তানের জনসাধারণকে বিভক্ত করেছে এবং গণতন্ত্রের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে। তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তানের মতো দলের সাম্প্রতিক উত্থান এবং তাদের তৃণমূল সমর্থন দেশটির মূলধারার রাজনৈতিক দল, নীতিনির্ধারক এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি সতর্কবার্তা।

এছাড়া পাকিস্তান আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতারও সম্মুখীন হয়েছে। ভুল সময়ে ভুল দেশে ইমরান খানের উপস্থিতি ভুল ধারণা দিচ্ছে। এর ওপর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের পর এর পেছনে বিদেশি হাত রয়েছে বলে ইমরান খানের দেওয়া বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রকে (পাকিস্তান থেকে) বিচ্ছিন্ন করেছে। এছাড়া আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান গোষ্ঠীকে নিঃশর্তভাবে সমর্থন পাকিস্তানের জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ নীতি হতে পারে। তবে এই সকল সমস্যা সমাধানের জন্য পাকিস্তানে একটি স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ প্রয়োজন। রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উন্মুক্ত করে এটি অর্জন করা যেতে পারে।

একইসঙ্গে পাকিস্তান এগিয়ে যেতে চাইলে দেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রীকে পার্লামেন্টের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। বিচার বিভাগের উচিত সংবিধান মেরামত বা সংস্কার না করে ন্যায়বিচার প্রদান এবং ব্যাখ্যা করা। আইন প্রণয়নের দায়িত্ব পার্লামেন্টের। নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীদের ফাঁসির মঞ্চে বা কারাগারে পাঠানো কেবলমাত্র রাজনৈতিক পঙ্গুত্ব এবং সামরিক বাহিনীর বদনাম নিয়ে আসবে। জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার মাধ্যমে অর্থনীতি রক্ষা করা সম্ভব। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য রাজনৈতিক সম্প্রীতি প্রয়োজন এবং এটি পাকিস্তানের ৭৫ বছরের ইতিহাসে নিদারুণভাবে অনুপস্থিত।

নিউজ ট্যাগ: পাকিস্তানি

আরও খবর



কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করলে খাদ্যের অভাব হবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কৃষির উন্নয়নে সমবায় পদ্ধতি চালু করতে পারলে জীবনেও খাদ্যের অভাব হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার সকালে কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় যারা নুন-ভাতের কথা বা ডাল ভাতের কথা চিন্তাও করতে পারত না, এখন তারা মাছ-মাংস ডিমের কথাও চিন্তা করে। যারা সমালোচনা করছেন তাদের এই বিষয়টিও মাথায় রাখা উচিত।

শেখ হাসিনা বলেন, এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। নিজেদের খাদ্য নিজেরাই উৎপাদন করব। উদ্বৃত্ত থাকলে অন্যকে সাহায্য করব।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন বীজ উৎপাদন বিএডিসিসহ নানা গবেষণা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেই কৃষি গবেষণায় জোর দেয়। বীজ, মাছ, ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন বাড়িয়ে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করছে।

সরকারপ্রধান বলেন, সরকার বছরে ২৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। খাদ্য সংরক্ষণ, খাদ্য ব্যবস্থাপনায় কৃষকদের জন্য নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। গবেষণার প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি কৃষকদের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার ফলেই এদেশের কৃষি সমৃদ্ধ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি কখনোই চায়নি এদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক, তারা চেয়েছে অন্য দেশ থেকে ভিক্ষা করে দেশ চালাতে। সারাদেশে আটক নেতা কর্মীর সংখ্যা নিয়ে বিএনপির যে দাবি করছে তাতে কারাগারে আটক সব অপরাধীই যেন বিএনপির নেতাকর্মী।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম সামান্য বেড়েছে। এর আগে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে তেলের দাম কিছুটা বাড়লেও পরে আবার কিছুটা কমেও যায়।

শুক্রবার সকালের দিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩৪ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ বেড়ে ৮৯ দশমিক ৩৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৩৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ বেড়ে ৮৩ দশমিক ৯০ ডলার হয়েছে। খবর রয়টার্সর।

এদিকে, তেলের এ মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পূর্বাভাসের চেয়ে মার্কিন অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির ট্রেজারি সেক্রেটারি।

ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন রয়টার্সকে বলেন, মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শক্তিশালী অবস্থানের রয়েছে।

এর আগে, ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে তেলের দাম বেড়েছিল। কিন্তু দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাত না বাড়ায় তেলের দাম কিছুটা কমে যায়। যদিও এখন আবার তা বাড়তে শুরু করেছে।

শেষ প্রান্তিকে এক দশমিক ছয় শতাংশ মার্কিন জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে বলে বাণিজ্য বিভাগের এক প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি অনেক ভালো করছে।


আরও খবর



ঢাকার মঞ্চ মাতালেন আতিফ আসলাম

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশের দর্শক মাতাতে তৃতীয়বারের মতো ঢাকায় আসলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম।

রাজধানীর বসুন্ধরা ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে মঞ্চে উঠেন তিনি। ভক্তদের গেয়ে শোনান তেরা হোনে লাগা হু, দুরিআদাতের মতো তার জনপ্রিয় কিছু গান।

কনসার্টটি আয়োজন করেছে ব্লুজ কমিউনিকেশন। এর আগে ২৮ মার্চ আতিফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে ঢাকায় আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেন এ গায়ক নিজেই।

ওই দিন বিকেলে ফেসবুকে ১২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন আতিফ। যেখানে তার ছবি, মিউজিকের সঙ্গে লেখা ছিল- বাংলাদেশ, চলো একসঙ্গে সংগীত উপভোগ করি।

২০১৩ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন আতিফ আসলাম। পরে ২০১৬ সালে এটিএন এন্টারটেইনমেন্টের আমন্ত্রণে দ্বিতীয়বার ঢাকায় আসেন।

পাকিস্তানের পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে জন্ম নেয়া উপমহাদেশের তুমুল জনপ্রিয় গায়ক আতিফ আসলাম ক্যারিয়ার শুরু করেন ২০০৩ সালে, জাল ব্যান্ডের মাধ্যমে। মূলত উর্দু ভাষায় গাইলেও তিনি হিন্দি, পাঞ্জাবি, বাংলা, পশতুসহ অনেক ভাষায় নিজের দক্ষতা প্রকাশ করেছেন। জেহের সিনেমার ওহ লামহে ওহ বাতে গান দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।

এরপর একে একে উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় গান। তারমধ্যে উল্লেখ্য পেহলি নাজার ম্যায়, বাখুদা তুমহি হো, তু জানে না, দুরি, ম্যায় রং শরবতো কা, দিল দিয়া গাল্লা সহ প্রায় শতাধিক গান।


আরও খবর



পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

পাবনার সুজানগর উপজেলা নির্বাচনী প্রচারণায় হট্টগোল নিয়ে পুলিশের সঙ্গে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বাদশা (২৫) নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে উপজেলার ভায়না কালির মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব (প্রতীক মোটরসাইকেল), অন্যজন হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন (প্রতীক আনারস)।

বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহীনুজ্জামান শাহীনের সমর্থকরা ভায়না কালির মোড়ে নির্বাচনি প্রচারণায় যায়। সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল ওহাবের সমর্থক ও ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের ভাতিজা আব্দুল আওয়ালকে কথা কাটাকাটির জেরে কিল-ঘুষি মারে। তখন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনকে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর তারা আবার লোকজন নিয়ে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিনের বাড়ি ঘেরাও করে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

খবর পেয়ে সেখানে হাজির হয় পুলিশ। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শাহীন চেয়ারম্যানের লোকজনের কথা কাটাকাটি থেকে ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি হয়। পরে উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এ সময় বাদশা নামের এক যুবক পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। অন্যরা ঘটনাস্থল থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে আহত বাদশাকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বাদশা চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের সমর্থক বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে হট্টগোল নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন ভায়না ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘেরাও করলে পুলিশ সেখানে যায়। কিন্তু পুলিশের ওপর চড়াও হওয়াটা দুঃখজনক। পুলিশ আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ও উচ্ছৃঙ্খল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওহাব অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনের লোকজন সারা উপজেলায় আমার লোকজনের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্চে। আজকের ঘটনা তারই অংশ। তারা পুলিশকেও মানছে না।

এ বিষয়ে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, আমার এক সমর্থককে মারধর করে ভায়না ইউপি চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন। এ নিয়ে আমার লোকজন জড়ো হলে আমিন চেয়ারম্যানের লোকজন গুলি করে। পুলিশ গুলি করেনি। এ ঘটনায় তার সমর্থক কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড বসছে শনিবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা হবে। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৭টায় এ সভা হওয়ার কথা রয়েছে।

শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট সায়েম খান সভার বিষয়টি বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনা।

সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

গত ১৬ মার্চ জাতীয় সংসদের ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ফলে আসনটি শূন্য হয়। শূন্য আসনে আগামী ৫ জুন ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।


আরও খবর
আরও ৬১ নেতাকে শোকজ বিএনপির

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4