আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

৭৮ পাউন্ডের কেক কেটে রাষ্ট্রপতির জন্মদিন পালন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কিশোরগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হলো রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ৭৮তম জন্মদিন। আর দাদার জন্মদিনে অংশ নিতে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন চলচ্চিত্র অভিনেতা সায়মন সাদিক।

শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে কিশোরগঞ্জ শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ সংলগ্ন নরসুন্দা মুক্তমঞ্চে ৭৮ পাউন্ড ওজনের কেক কেটে পালন করা হয় হাওরের কৃতি সন্তান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের জন্মদিন। মুক্তমঞ্চ ও এর আশপাশে দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতির জন্মদিনের আনুষ্ঠানিকতা দেখতে ছুটে আসেন কয়েক হাজার মানুষ।

রাষ্ট্রপতির জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ছাড়াও আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিকেলে নরসুন্দা নদীর ওপর নৌকার আদলে নির্মিত মঞ্চে অতিথিদের নিয়ে কেক কাটা হয়।

জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জন্মদিন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক।

পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ, জেলা পরিষদের চেয়ারমান অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. পারভেজ মিয়া, রাষ্ট্রপতির ছোট ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন, চিত্রনায়ক সায়মন সাদিকসহ শহরের বিশিষ্ট নাগরিকেরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ১৯৪৪ সালের পহেলা জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।


আরও খবর



চট্টগ্রামে তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামাল হোসেন সিকদার এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবুল কাশেম প্রকাশ ওরফে জামাই কাশেম ও মো. ইউসুফ ওরফে বাইট্যা কাশেম।

২০ বছর আগে নগরের বালুছড়া এলাকায় সম্পত্তির জন্য আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা করেন দণ্ডিতরা। রায়ের বিষয়টি বৃহস্পতিবার বিকালে দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী আল আমিন।

জানা গেছে, ২০০৪ সালের ৩০ জুন আসামিরা বালুছড়ার বাসায় গিয়ে আপন তিন ভাইবোন সাইফুল ইসলাম, আলমগীর ও মিনু বেগমকে গুলি করে হত্যা করে দণ্ডিতরা। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি এম এ ফয়েজ বলেন, এই মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আবুল কাশেম ও  মো. ইউসুফকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে তাদের দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একই মামলার অপর দুই আসামি গিট্টু নাসির ও ফয়েজ মুন্না র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।


আরও খবর



ঈদে আনফিট গাড়ি নামালে কঠোর ব্যবস্থা: বিআরটিএ চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, ঈদে আনফিট গাড়ি নামার সুযোগ নেই, কেউ যদি বের করে, সেটি জানালে তাৎক্ষণিকভাবে লোকাল প্রশাসনের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আজ শনিবার গাবতলী বাস টার্মিনালের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে বিআরটিএ চেয়ারম্যান একথা বলেন।

নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ঈদের সময় কিছু আনফিট গাড়ি রাস্তায় নেমে আসে, এমন একটি কমন অভিযোগ থাকে প্রতিবছরই। এবার কোনোভাবেই যাতে আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামতে না পারে, এজন্য আমরা বিআরটিসির ৫৫০টি বাস রিজার্ভেশনে রেখেছি। এছাড়া গার্মেন্টস মালিকদের রিকুইজিশন দিতে বলেছি, যাতে আনফিট গাড়ি না নিয়ে বিআরটিসির বাস নিতে পারে। সুতরাং এখানে আনফিট গাড়ি রাস্তায় নামার সুযোগ নেই। এছাড়া যেসব জায়গা থেকে আনফিট গাড়ি বের হওয়ার চেষ্টা করে সেগুলো বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে আমরা নজরদারিতে রেখেছি।

তিনি আরও বলেন, টার্মিনালগুলো পরিদর্শন করেছি। গাবতলী বাস টার্মিনালে আমাদের মোবাইল কোর্ট, ভিজিলেন্স টিম, মনিটরিং টিম কাজ করছে। বিভিন্ন টিকেট কাউন্টার ঘুরে দেখলাম, বেশিরভাগ জায়গায় ভাড়া কম নেওয়া হচ্ছে। দুই-এক জায়গায় রুট ভুল লিখেছে। তাই ওই দুইটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করতে বলেছি। এখানে যাত্রীরও তেমন ভিড় নেই, পাশাপাশি অতিরিক্ত ভাড়াও অভিযোগ দেখছি না।

বিআরটিএ এর পক্ষ থেকে প্রতিটি কাউন্টারে ভাড়ার তালিকা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এটা আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট, ভিজিলেন্স টিম সদস্য দেখছেন। মালিক সমিতির নেতারাও এই ব্যাপারে সিরিয়াস, যাতে তাদের বদনাম না হয়।


আরও খবর



দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হলো দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায়  লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঐতিহাসিক এ ঈদের জামাতে অংশ নিতে সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার মুসল্লিরা আসেন। জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম শামসুল হক কাসেমি।

বৃহৎ এ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও তৎপর ছিলেন।

নামাজে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম ও প্রধান বিচারপতি (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল আলম দুলাল, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বস্তরের জনগণ।

রংপুর জেলা থেকে ঈদের জামাতে আসা অলিউল ইসলাম ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনে ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

জেলার খানসামা  উপজেলা থেকে নামাজ পড়তে আসা ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমি এর আগেও ঐতিহ্যবাহী এই ময়দানে নামাজ পড়েছি। সবাই মিলে একসঙ্গে লাখ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করলাম। সবাই মিলে নামাজ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।

নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠের সমন্বয়ক, পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। এর আয়তন প্রায় ২২ একর। এবার দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে এ মাঠের সুন্দর মিনারটি নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সুন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ঈদগাহ মাঠের এ সমন্বয়ক।

ঈদের নামাজের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল  আলম দুলাল, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমে, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।

জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, এর মধ্যের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

উল্লেখ্য, আগে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এখন দিনাজপুরের ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবান থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৮ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করেছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার  দিকে সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। বান্দরবান রিজিয়নের অন্তর্গত ১৬ ই বেঙ্গলের দোপানিছড়াপাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

জানা যায়, টহল দল কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে এলাকাটি ঘেরাও করে। এ সময় আট জনকে আটকের পাশাপাশি নয়টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, দুইটি মোবাইল ফোন এবং দুইটি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়।

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে হামলা, টাকা লুটের ঘটনায় নতুন করে আলোচনায় আসে কেএনএ। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ যৌথ বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে।


আরও খবর



ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার ২২ গ্রাম লণ্ডভণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুনুর রশীদ, ফরিদপুর

Image

ঘূর্ণিঝড়ে আলফাডাঙ্গার দুইটি ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০-২২টি গ্রাম বিধ্বস্ত হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া ও বানা ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। এতে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে পড়ে। অনেক জায়গায় সড়কের ওপরে গাছ পড়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেছে। সেই সঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে তার ছিঁড়ে অন্ধকারে ঢেকে যায় ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম।

বানা ইউনিয়নের শিরগ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য খোকন শেখ বলেন, বানা ইউনিয়নের শিরগ্রাম, গড়ানিয়া, পাকুড়িয়া, টাবনী, টোনাপাড়া, শিয়ালদি চরপাড়া, জয়দেবপুর, আউশির হাট, কঠুরাকান্দি, মাজপাড়া, আড়পাড়াসহ কমপক্ষে ১৪টি গ্রামে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।

ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে কাঁচা-আধাপাকা ঘরবাড়ি, গাছপালা, পেঁয়াজ, রসুন, মসুরি, ধনিয়া, ধান, গমসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ঝড়ে আমার ঘরবাড়ি, ফসলি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া যুগীবরাট, ভাটপাড়া, চাদড়া, পাচুড়িয়া, দেউলি, চরনারানদিয়া, ধুলজুড়ি, চরভাটপাড়াসহ ১০ গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পাচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমার পাচুড়িয়া ইউনিয়ন ও পাশের বানা ইউনিয়নে ঝড়ে বেশ কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো যাবে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে, কয়েকটি খুঁটি ভেঙে আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎসংযোগ চালু করতে কাজ চলমান রয়েছে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, বুধবার রাত ১টার পর ঘূর্ণিঝড়ে দুই ইউনিয়নের কমপক্ষে ২২টি গ্রামের শতাধিক কাঁচাপাকা বাড়িঘর ও কয়েকশ গাছপালা উপড়ে পড়ে। বিস্তীর্ণ জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে। অনেকেই ঘরবাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করা হয়েছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করতে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সাহায্য-সহযোগিতা করা হবে।


আরও খবর