আজঃ শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

৮ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী পেলেন ‘দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল’

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ মে ২০২১ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবনদানকারী ৪৪টি দেশের ১২৯ শান্তিরক্ষীকে দ্যাগ হ্যামারশোল্ড মেডেল প্রদান করেছে জাতিসংঘ। এদের মধ্যে আট বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী রয়েছেন। একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সংখ্যক এই সম্মাননা পেল।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসে জাতিসংঘ সদর দফতরে এক অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়। ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ওই সব দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিদের হাতে মেডেল তুলে দেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

বাংলাদেশের পক্ষে এই মেডেল গ্রহণ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এসব মেডেল নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।

জীবনদানকারী আট বাংলাদেশি হলেন :

মালিতে নিয়োজিত মিনুস্মা মিশনের ওয়ারেন্ট অফিসার আবদুল মো. হালিম, কঙ্গোতে নিয়োজিত মনুস্কো মিশনের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. সাইফুল ইমাম ভূঁইয়া, সার্জেন্ট মো. জিয়াউর রহমান, সার্জেন্ট এমডি মোবারক হোসেন ও ল্যান্স কর্পোরাল মো. সাইফুল ইসলাম।

এছাড়া সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকে নিয়োজিত মিনুস্কা মিশনের ল্যান্স কর্পোরাল মো. আবদুল্লাহ আল মামুন ও সার্জেন্ট মো. ইব্রাহীম এবং দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত আনমিস মিশনের ওয়াসারম্যান নুরুল আমিন।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ তার অনেক বীর সেনানীকে হারিয়েছে। কিন্তু এই ত্যাগ জাতিসংঘে দায়িত্ব পালনের কোনো আহ্বানে সাড়া দিতে কখনই আমাদের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। শান্তির লক্ষ্যে নিজেদের উৎসর্গ করার দৃঢ় সঙ্কল্পকে আরও জোরদার করেছে।

আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হলো স্থায়ী শান্তির পথে : শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য যুব-শক্তিকে বৃদ্ধি করা

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সাত দশকে জাতিসংঘের পতাকাতলে কর্তব্যরত অবস্থায় জীবনদানকারী সামরিক ও বেসামরিক শান্তিরক্ষীগণের আত্মার স্মরণে জাতিসংঘ সদর দফতরের উত্তর লনে অবস্থিত শান্তিরক্ষী মেমোরিয়াল সাইট-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশ বর্তমানে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। জাতিসংঘের ৯টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের প্রায় ৭ হাজার শান্তিরক্ষী কর্মরত রয়েছেন। এ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে কর্তব্যরত অবস্থায় বাংলাদেশের ১৫৯ জন শান্তিরক্ষী মৃত্যুবরণ করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: জাতিসংঘ

আরও খবর



আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিট খারিজ

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর)  বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটের পক্ষে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া শুনানি করেন।

ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে গত ২৭ আগস্ট আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

এর আগে গত ১৯ আগস্ট ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়।

মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া রিটটি করেন। এই রিটে যেসব প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনার নামে রয়েছে সেগুলোর নাম পরিবর্তনও চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া রিটে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর চাওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বিদেশে পাচার করা ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনতে এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের বদলি চাওয়া হয়েছে।

রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া বলেন, রিটের বিষয়গুলোতে রুল ও আদেশ চাওয়া হয়েছে।


আরও খবর



থাইল্যান্ডে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, সবার নিহতের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কাছে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে ৯ আরোহী ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুর্ঘটনার পর সারা রাত অভিযান চালিয়েও কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, আরোহী সবাই নিহত হয়েছেন।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানটির দুর্ঘটনাস্থল ম্যানগ্রোভ গাছের ঘন বনে আচ্ছাদিত। কাদা মাটি পেরিয়ে উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে সক্ষম হন। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছে।

চাচোয়েংসাও প্রাদেশিক কার্যালয় জানিয়েছে, ছোট বিমানটি দুপুর ২টা ৪৬ মিনিটে ব্যাংককের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়। দেশের পূর্বে ট্রাট বিমানবন্দরের দিকে সেটি যাচ্ছিল। ১০ মিনিটের মতো উড়ার পর রাডারের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে উদ্ধারকর্মীরা বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান। বিমানটিতে থাকা চারজন থাইল্যান্ডের এবং বাকিরা চীনের নাগরিক। উদ্ধারকর্মীরা কারও মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারেনি।

চাচোয়েংসাও-এর ব্যাংপাকং জেলার বাসিন্দারা বিমানটিকে আকাশ থেকে পড়তে দেখেন। তারা ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। বিমান কিছু ধ্বংসাবশেষ ছুটে এসে আশেপাশের বাড়িগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।

এক বাসিন্দা বলেন, আমি আমার বাসার সামনে বসে ছিলাম। বিকট ইঞ্জিনের শব্দে বিমানটি আমার বাড়ির ওপর দিয়ে উড়ে গেল। এর মাত্র কয়েক সেকেন্ড পরে এটি এখানেই বিধ্বস্ত হয়।

এদিকে দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে এখনও এর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হয়নি।

নিউজ ট্যাগ: বিমান বিধ্বস্ত

আরও খবর
মিয়ানমারে ভয়াবহ বন্যায় ৩৩ জনের মৃত্যু

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

জিতলে ওভারটাইমে কর বাদ দেবেন ট্রাম্প

শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ডিসেম্বরের মধ্যে এডিবি থেকে মিলবে ৪০০ মিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বাজেট সহায়তার অংশ হিসেবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে এডিবি ও জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা-জাইকার প্রতিনিধি দল এবং ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারের (ভারপ্রাপ্ত) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফান্ড দেওয়ার বিষয়ে তিন তিনজনই (এডিবি-জাইকার প্রতিনিধি ও অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার) ইতিবাচক। এডিবির বাজেট সাপোর্ট আসবে। ডিসেম্বরের মধ্যে এডিবি ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেবে। আইএমএফ ৪.৭ বিলিয়ন ডলার দেবে। আমরা আরও ৩ বিলিয়ন ডলার চেয়েছি।

তিনি বলেন, জাইকা আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। আমাদের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টে তাদের অর্থায়ন রয়েছে। ভৌত অবকাঠামো ঋণগুলো আমরা কন্টিনিউ করতে বলেছি, সেটা ওরা কন্টিনিউ করবে। এছাড়া আরও দুটি বিষয়ে কথা বলেছি। এর মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং টেকনিক্যাল বিষয় রয়েছে।

বৈদেশিক ঋণের ফ্লো কমে গেছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বৈদেশিক ঋণের ফ্লো ঠিক ছিল। ফ্লো একেবারে কম আসেনি। কিন্তু এগুলোর ব্যবহার নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ যারা এসেছিলেন তারা তিনজনই আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। আমরা সবার সঙ্গে আলাপ করেছি, এতদিন তাদের যে চলমান সহায়তাগুলো ছিল সেটা আরও জোরদার করতে বলেছি। অস্ট্রেলিয়াও আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। কারণ তারা যেসব সহায়তা করে সেটা সরাসরি প্রভাব ফেলে। ইউরোপ, কানাডা ও ইউকে ছাড়া অস্ট্রেলিয়া অনেক বড় দেশ। তারা যে সহযোগিতা করে সেটা তহবিল হিসেবে করে। তারা আঞ্চলিক বাণিজ্য বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আমরা বলেছি বাংলাদেশের আঞ্চলিক বাণিজ্য খুব সীমিত দেশের সঙ্গে। অস্ট্রেলিয়া যদি এখানে আসে আমরা আসিয়ানের অন্তর্ভুক্ত হতে পারবো।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক বাণিজ্য বেশি প্রয়োজন। সেখানে আমাদের সীমিত। তাই অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ আছে। তারা এনার্জি, অ্যাগ্রিকালচার খাতে বিনিয়োগ করতে চায়।

উপদেষ্টা বলেন, সার্বিকভাবে তিনটা উন্নয়ন সহযোগী দেশের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে। তারা আমাদের সঙ্গে আরও বেশি এনগেজ থাকবে।


আরও খবর
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস

শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ফরিদপুরে সংঘর্ষ: হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত চান শামা ওবায়েদ

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গেলো ২১ আগস্ট ফরিদপুরে সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে নিজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির পদ স্থগিত নেতা শামা ওবায়েদ। হত্যাকাণ্ডের নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে যেকোনো পরিস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথা বলেন তিনি।

রোববার বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানের গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন শামা ওবায়েদ।

শামার বিবৃতিতে বলা হয়, দলের পক্ষ থেকে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব মেনে চলছি। আমি শামা ওবায়েদ, স্বাধীনতার ঘোষক, সেক্টর কমান্ডার রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে আমার অবস্থান তুলে ধরছি।

প্রথমত, আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিএনপির সাবেক মহাসচিব প্রয়াত কেএম ওবায়দুর রহমানের জন্মস্থান এবং আমার শেষ ঠিকানা ফরিদপুরের নগরকান্দায় ২১ আগস্ট ঘটে যাওয়া সংঘর্ষে একজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণের দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিক নির্দেশনায় সাংগঠনিকভাবে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত তাকে আমি পূর্ণাঙ্গ সমর্থন জানাই। ২৪ আগস্ট আমাকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষ এবং পরবর্তী মামলার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই আমি।

দ্বিতীয়ত, গেলো ১৮ বছর আওয়ামী লীগের সময় গুম, খুন, জেল, জুলুমসহ সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। এমন ধ্বংসযজ্ঞ থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির আন্দোলন এখনও চলমান। গেলো জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণহত্যাকে উপেক্ষা করে ছাত্রজনতা ও গণতন্ত্রকামী সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সমর্থন ও সক্রিয় অংশগ্রহণে প্রবল প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যায়। যার মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা লাভ করে। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। দেশ পুনর্গঠন ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে তাতে দেশি-বিদেশি সবার সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত আছে।

রক্তের বিনিময়ে যে অর্জন তা এখনও শুকায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আমার জন্মস্থান তথা আমার শেষ ঠিকানা ফরিদপুরের নগরকান্দা সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে বিএনপি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এখনও অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানোই এখন আমার এলাকার মানুষের প্রত্যাশা।

এখানে কোনো রাজনৈতিক বিভাজন, নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা, মনোনয়ন বিজয় তোরণ নির্মাণ বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক আধিপত্য বিস্তারে শোডাউন কাম্য নয়।

গেলো ২১ আগস্ট ফরিদপুরে সংঘর্ষের ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দলের পক্ষ থেকে আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব আমি পালন করে যাচ্ছি। ২১ আগস্টের সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনা আমি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেককেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ও নামসহ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে সংঘর্ষকারীদের পরিচয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনসহ ফ্যাসিস্ট হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্য।

তৃতীয়ত, দেশে বিদেশে অবস্থানরত আমার শুভানুধ্যায়ীদের নানা ধরনের উৎকণ্ঠা, উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে আমার নিজের অবস্থান তুলে ধরলাম। সবাইকে দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলার অনুরোধ করছি।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ১/১১ এর অবৈধ সরকারের নির্যাতনের শিকার গুরুতর আহত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের, মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, নির্বাহী কমিটির সদস্য, দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সংগ্রামরত সব পেশাজীবী সংগঠনসহ দেশে-বিদেশে অবস্থানরত সর্বোপরি বিএনপির সঙ্গে আমার সম্পর্ক রক্তের।

যেকোনো পরিস্থিতিতে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে দল নির্ধারিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে আমি সচেষ্ট থাকবো।

নিউজ ট্যাগ: শামা ওবায়েদ

আরও খবর



তাকসিম খানকে নিয়ে যা বললেন প্রবাসী শুভ কামাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ওয়াসার তাকসিম খান যখন থাকবেন না তখন বুঝবেন কি হারাইলেন! উনি ছিলেন আন্তর্জাতিক মানের ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট। তার আগে এবং পরের ওয়াসার সূচক গুলা পারলে একবার দেখে নিয়েন এনুয়াল রিপোর্টগুলা থেকে। হয়তো এক সময় এসব নিয়ে গবেষণা করবেন আপনারা যখন তিনি থাকবেন না।

তিনি স্ট্রাকচারাল চেঞ্জ করেছিলেন। ওয়াসা এখন অপারেট করে যেকোন প্রাইভেট কোম্পানির মত, তিনি সিইও। পৃথিবীর এত বড় মাপের সংস্থার সবচেয়ে কম পয়সা পাওয়া সিইও। এই সংস্থা পৃথিবীর সবচেয়ে জনঘনত্বপূর্ণ সিটিকে পানি দেয় নিরলস। তার চেহারা দেখেই ফান্ড দিতো নানা আন্তর্জাতিক সংস্থা, তার প্রেজেন্টেশন আর কাজের বর্ণনা শুনে।

এইযে মিডিয়া তার মেয়াদবৃদ্ধির সময়ে তার পেছনে লেগে যেত, কেন জানেন? তিনি সিস্টেম লস কমিয়েছিলেন, মানুষ ধান্ধা করতে পারতো না আগের মত। একবার এনুয়াল রিপোর্ট গুলা বের করে দেইখেন ১৫ বছর আগে অনেক কম গ্রাহক নিয়ে সিস্টেম লস কত ছিলো, আর এখন কত। প্রত্যেকটা সূচকে এই লোক এগিয়ে রেখেছেন ওয়াসাকে, তাই এইসব পড়েই নানা সংস্থা ওয়াসাকে ফান্ডিং করতো তার চেহারা দেখে।

পারলে তার কোন একটা আন্তর্জাতিক প্রেজেন্টেশন এর ভিডিও দেইখেন। আমারে সরকারি একজন কর্মকর্তা দেখাইয়েন তার মতো গাটস নিয়ে কনফিডেন্টলি প্রেজেন্ট করতে পারে।

এখন এই প্রতিষ্ঠানে আসবে কোন আমলা। যে আমলারা কেরু কোম্পানি ছাড়া সরকারি কোন প্রতিষ্ঠানকেই স্বাধীনতার পর থেকে প্রফিটেবল বানাইতে পারেনাই। বিমান থেকে শুরু করে ইউ নেইম ইট, সব সরকারি কোম্পানি শুধু ভর্তুকির উপরেই বেঁচে থাকে ধুঁকে ধুঁকে।

আমলারা দাবি করেন তারা ম্যানেজার, তারা সব সামলাইতে পারেন। বাংলাদেশী সরকারি কোম্পানীগুলার রেকর্ড সেই কথা বলেনা। আবার এর প্রমাণ আন্তর্জাতিক কোম্পানীতেও দেখা যায়। আগে বোয়িং এর সিইও হইতো ইঞ্জিনিয়াররা, এখন ম্যানেজারদের হাতে তথা বিবিএ এমবিএ এর হাতে যাওয়ার পর বোয়িং এর কি অবস্থা হইছে দেখেন! তাকসিম খান ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার থেকে হওয়া ম্যানেজার।

তার মত স্কিলওয়ালা একজন বিদেশী সিইওকে কনসালটেন্ট হিসাবে আনতে ওয়াসার দিতে হবে মাসে মিনিমাম ২৫ লাখ টাকা, আপনারা ৬ লাখ দিতেই কান্নাকাটি করেছিলেন। আমি সামান্য ৫ বছরের অভিজ্ঞতা ওয়ালা আইটি কনসালটেন্ট, আমিই পাই ট্যাক্স দেয়ার আগে মাসে প্রায় ১০০০০ ডলার। কত সস্তায় লোকটাকে পাইছিলেন আপনারা বুঝলেন না। সামনে বুঝবেন! এই লোক যদি দুর্নীতি করতো তবে সে নিজের বেতন বাড়াইতে বলতো না। আর হ্যাঁ, তার আমেরিকায় ১৪ টা বাড়িও নাই!

এইযে রেকর্ড রাখলাম। বেঁচে থাকলে ২০২৪ সালের ওয়াসার এনুয়াল রিপোর্টের সাথে ২০৩০ সালের এনুয়াল রিপোর্টের তুলনা করে দেখাবো। গুডলাক!!!

নিউজ ট্যাগ: ওয়াসার তাকসিম

আরও খবর