আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে জ্বালানি তেল

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

বিশ্ব বাজারে সবশেষ ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে জ্বালানি তেলের দাম। মূলত, লিবিয়ার পরিস্থিতির উন্নতির প্রত্যাশা ও বৈশ্বিক চাহিদা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেওয়ায় তেলের বাজারে এই দরপতন চোখে পড়ছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে দেখা যায়, বিশ্ব বাজারে নভেম্বরের জন্য ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩৭ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ কমে ৭৩ দশমিক ৩৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। এর আগের সেশনে দাম কমেছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ।

তাছাড়া অক্টোবরের জন্য ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ৪১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমে ৬৯ দশমিক ৯৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে। আগের দিন এ বেঞ্চমার্কের তেলের দাম কমে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ।

ফলে উভয় বেঞ্চমার্কের দামই গত ডিসেম্বরের পর কমে সর্বনিম্ন হয়েছে। মূলত লিবিয়ায় রাজনৈতিক সংকটের সমাধান হচ্ছে এমন প্রত্যাশায় তেলের এই দরপতন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ দেশটিতে রাজিনৈতিক অস্থিরতার কারণে উৎপাদন কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বল অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের কারণেও জ্বালানি তেলের চাহিদা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। এতে চাপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বৈশ্বিক বাজারে।


আরও খবর



আলটিমেটাম দিয়ে শাহবাগ ছেড়েছে রিকশাচালকরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শাহবাগ ছেড়েছেন আন্দোলনরত রিকশাচালকরা। এ সময় তারা অটোরিকশা বন্ধে ৫ দিনের আলটিমেটাম দেন। এই সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশা মালিক ঐক্যজোট ৭ দফা দাবিতে এবং জাতীয় রিকশা ও ভ্যান চালক সংগঠন ১০ দফা দাবিতে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শাহবাগ অবরোধ করেন। এতে শাহবাগ মোড় ও আশপাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে রিকশাচালকরা শাহবাগ ছাড়লে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

ঢাকা সিটি করপোরেশন রিকশা মালিক ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক মো. মমিন আলী বলেন, আমরা আমাদের সাত দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছি। তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে গিয়েছেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন, সভাপতি জহুরুল ইসলাম মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কুমার ভৌমিক, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াসিন।

তিনি বলেন, আমরা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছি। দাবি মানা না হলে আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। আমরা রিকশার বৈধ মালিক। আমরা এক লাখ ৪৩ হাজার লাইসেন্সধারী বৈধ রিকশার মালিক। আমরা সরকারকে ট্যাক্স দেই। তবে দাবিদাওয়া নিয়ে এখনো কোনো আশ্বাস পাননি বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমাদের আগামীতে কোনো কর্মসূচি নেই তবে দাবি না মানলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে।

ঐক্যজোটের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) থেকে রিকশা মালিকানার নতুন লাইসেন্স প্রদান ও পুরোনো লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে; সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ও বৈধ লাইসেন্সধারী রিকশা পেশাজীবীদের স্বার্থে ঢাকা উত্তর/দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে চালক লাইসেন্স প্রদান করতে হবে। অসুস্থ চালকদের ফ্রি ফ্রাইডে মেডিকেল চিকিৎসা প্রদান করতে হবে; ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স প্রাপ্ত রিকশা পেশাজীবীদের ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করতে হবে।

এ ছাড়াও রিকশা বাঙালি মুলুকের প্রাচীন বাহন হিসেবে (নৌকা, পালকি, ঘোড়াগাড়ি) এর মতো রিকশাকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ন্যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও জাতীয় জাদুঘরে স্থান দিতে হবে; দুর্নীতিবাজদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের পরিবারকে দিতে হবে এবং আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে; উত্তর সিটি করপোরেশনে গুলশান, বারিধারা ও বসুন্ধরাসহ যেসব এলাকায় বিশেষ পোশাকে রিকশা বাহিনী গড়ে তুলেছে তা বন্ধ করতে হবে।

কয়েকজন রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে তাদের আয় কমে গেছে বলে সড়কে এসে প্রতিবাদ করছেন তারা। ধানমন্ডি এলাকা থেকে আসা রিকশাচালক উজ্জ্বল বলেন, তারা বেশ কয়েকজন রিকশাচালক একসঙ্গে এসেছেন এখানে প্রতিবাদ জানাতে।

তিনি বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশাওয়ালারা আসায় আমাদের রিকশায় কেউ উঠতে চায় না। তাদের কারণে রাস্তায় অনেক সমস্যাও হয়। আমরা চাই তারা গলিতে রিকশা চালাক, কিন্তু মেইন রোডে না।

আরেক রিকশাচালক আলমগীর বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে তারা যাত্রী পান না। তাদের কারণে আমাদের প্রতিদিন রিকশার জন্য যে ভাড়া দিতে হয় সেটাও উঠছে না। কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি ব্যাটারিচালিত রিকশা গলিতে চলুক কিন্তু মেইন রোডে না।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে আট দফা দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিক্ষোভ সমাবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের বিচার নিশ্চিত, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ণ, মন্ত্রণালয় গঠন, দেবোত্তর সম্পত্তি প্রনয়ন আইন বাস্তবায়ন, সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা বন্ধ, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার, বিচার ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণসহ আট দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের আটগ্যালারী এলাকার অপরাজেয় ৭১ চত্বরে সমবেত হয় হাজারো হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। এ কর্মসূচির আয়োজন করে ঠাকুরগাঁও সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন।

সমাবেশে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেওয়া হয়। স্লোগানের মধ্যে ছিল, কথায় কথায় বাংলা ছাড়, বাংলা কী কারও বাপ-দাদার, কুরুক্ষেত্রের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার, জেগেছে রে জেগেছে, সনাতনীরা জেগেছে, আমার দেশ তোমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ, আমার মাটি আমার মা, ছেড়ে কোথাও যাব না, স্বাধীন দেশে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই ও বিচার চাই বিচার চাই, হামলাকারীর বিচার চাই।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আজ আমরা কয়েক দিন ধরে দিন-রাত পাহারা দিয়ে যাচ্ছি। নিজেদের জানমাল আর সম্ভ্রম রক্ষায় আমরা কাজ করছি। কিন্তু এখন শুধু আত্মরক্ষা করলেই হবেনা, সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ চলবে। আমরা আর পালিয়ে থাকতে চাই না। এই মাটি আমাদেরও। এটা আমাদের পিতৃপুরুষের সম্পত্তি। আমরা আর নিজ গৃহে পরবাসী থাকতে চাই না। আমরা কোথাও যেতে চাই না।

তারা আরও বলেন, যেভাবে হিন্দুদের ওপর হামলা হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে, মন্দির ভাঙচুর করা হচ্ছে, তা দেখে আমরা স্তম্ভিত। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। আমরা এ দেশের নাগরিক। আমাদেরও নিরাপদে বাঁচার অধিকার আছে।

বক্তারা সারাদেশে সনাতন সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলা হয়েছে, তার সুষ্ঠু বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ প্রদান ও দেশে সম্প্রীতির সঙ্গে যাতে বসবাস করতে পারেন- সে ব্যাপারে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।

নিউজ ট্যাগ: ঠাকুরগাঁও

আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




পশ্চিমবঙ্গে রেল অবরোধ, বিজেপি-তৃণমূল সমর্থকদের সংঘর্ষ

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রকাশ করছে বিজেপির। ১২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচিতে সকাল থেকেই রাজ্যে কার্যত রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সঙ্গে সংঘাত ও গুলির ঘটনাও ঘটেছে।

বুধবার পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় রেল অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। যার ফলে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। লক্ষ্মীকান্তপুর সেকশনে অনেক জায়গায় রেলের ওভারহেড তারে কলাপাতা ফেলে দেয়া হয়। ফলে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। শিয়ালদহ থেকে নামখানা, লক্ষ্মীকান্তপুর, কাকদ্বীপে ট্রেন চলাচল অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল।

হুগলি স্টেশনে বিজেপি সমর্থকরা রেললাইনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এর ফলে বেশ কিছুক্ষণ রেল চলাচল বন্ধ থাকে। সকাল ছয়টা থেকে বনগাঁয় বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়ার নেতৃত্বে রেল অবরোধ শুরু হয়। মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি স্টেশনেও রেললাইন অবরোধ করেছে বিজেপি। কৃষ্ণনগরেও বিজেপি কর্মীরা রেল অবরোধ করে। সোনারপুরে রেল অবরোধকে কেন্দ্র করে বিজেপি কর্মী ও পুলিশের মধ্যে হাতাহাতি হয়। কর্মীরা লাইনে শুয়ে পড়ে। পুলিশ তাদের জোর করে তুলতে চায়।

দুর্গাপুরের বেনাচিতিতে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বিজেপি বিধায়ক সেখানে পথে নেমে বিক্ষভে অংশ নেন।

এ সময় তৃণমূল কংগ্রেস অবরোধ বিরোধী মিছিল শুরু করে। দুই দলের মিছিল মুখোমুখি হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়য়। এতে বিধায়কসহ একাধিক বিজেপি কর্মী আহত হন।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




ভিয়েতনামে সুপার টাইফুনের আঘাত, নিহত বেড়ে ৫৯

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভিয়েতনামে সুপার টাইফুন ইয়াগির আঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও কয়েকশ মানুষ। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলে শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। বলা হচ্ছে, চলতি বছর আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এটি। খবর বিবিসির।

শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বিভিন্ন স্থানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দেশটির কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভূমিধসে অন্তত ৪৪ জন নিহত হয়েছে। ভিয়েতনামে আঘাত হানার আগে চীন এবং ফিলিপাইনে তাণ্ডব চালিয়েছে এই ঘূর্ণিঝড়।

শনিবার ভিয়েতনামে আঘাত হানে সুপার টাইফুন ইয়াগি। ঝড়টি এখন পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বন্যা এবং ভূমিধসের বিষয়ে সতর্ক করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সময় রোববার হোয়া বিনহ প্রদেশে একটি বাড়ির ওপর পাহাড় ধসে পড়ার ঘটনায় একই পরিবারের চার সদস্য নিহত হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ভিএনইএক্সপ্রেস জানায়, ইয়াগির প্রভাবে কয়েক ঘণ্টা টানা বৃষ্টিপাতের পর মধ্যরাতের দিকে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।

ঘূর্ণিঝড়ের সময় একটি বাড়ি ধসে পড়েছে। দুর্ঘটনা থেকে ৫১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছেন। তবে তার স্ত্রী, মেয়ে এবং দুই নাতি নিহত হয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে চীনের হাইনানে ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া নিয়ে আঘাত হানে টাইফুন ইয়াগি। এতে অন্তত দুজন নিহত এবং আরও ৯২ জন আহত হয়েছে।

এদিকে রোববার দুপুরের দিকে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলীয় লাও সেই প্রদেশের সা পা এলাকায় ভূমিধসের ঘটনায় ১৭ জন চাপা পড়ে। এর মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি নয়জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৬৮ বছর বয়সী এক নারী, এক বছর বয়সী এক শিশু এবং এক নবজাতক রয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

ইয়াগির প্রভাবে ঘন্টায় ২৩০ কিলোমিটারের (১৪৩ মাইল) বেশি বেগে ঝোড়ো বাতাস বয়ে গেছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়েছে এবং দ্বীপটির সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, উত্তরাঞ্চলীয় কুয়াং নিহ প্রদেশে চারজন এবং হ্যানয়ের কাছাকাছি হাই ডুয়োং শহরে আরও একজন নিহত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তুয়ান চাউ দ্বীপের হাই আউ বোট লকে কমপক্ষে ২৩টি নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ডুবে গেছে। ভিয়েতনামে আঘাত হানার আগে চীন এবং ফিলিপাইনে টাইফুন ইয়াগির আঘাতে কমপক্ষে ২৪ জন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়।

ভিয়েতনামের উপকূলীয় শহরগুলো থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। লোকজনকে এই সময়ে বাড়িতেই অবস্থান করার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। হ্যানয়সহ উত্তরাঞ্চলের ১২টি প্রদেশে সব স্কুল সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।


আরও খবর
উত্তর প্রদেশে মাথাবিহীন নারীর লাশ উদ্ধার

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলা সেই আ.লীগ নেতা গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ আগস্ট) ভোরে বরগুনা পৌর শহরের আমতলাপাড় এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দেশ ত্যাগ করার পর শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনে কথা বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং ষড়যন্ত্র চেষ্টার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মো. জাহাঙ্গীর কবির বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি। বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঢাকা থেকে পুলিশের একটি টিম এসে মো. জাহাঙ্গীর কবিরকে গ্রেফতার করেছে।

এর আগে গত ১২ আগস্ট রাতে জাহাঙ্গীর কবিরকে ফোন দেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জাহাঙ্গীরকে দলীয় বেশকিছু নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি ১৫ আগস্ট শোক দিবসকে যথাযথ মর্যাদায় সঙ্গে পালন করার নির্দেশনা দেন। এ সময় শেখ হাসিনাকে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আস্থা রাখতে অনুরোধ করেন জাহাঙ্গীর কবির। এমনকি তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সব কর্মসূচি নিয়ে মাঠে থাকার কথা জানান। দেশ ছেড়ে শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর জাহাঙ্গীর কবিরকে ফোন দেয়ায় হঠাৎ করে আলোচনায় আসেন জাহাঙ্গীর কবির।

উল্লেখ্য, গত ১০ আগস্ট বরগুনা জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এতে কয়েকশ নেতাকর্মী অংশ নেন। এ সময় তারা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় জানান। প্রায় একই দাবিতে বিক্ষোভ হয় গোপালগঞ্জেও।


আরও খবর
সিলেটে ব্যবসায়ী-সিএনজি চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪