আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

৮০০ বছর পরেও খোঁজ মেলেনি চেঙ্গিসের রত্নখচিত সমাধির

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এক সময় কাস্পিয়ান সাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগর মাঝের দীর্ঘ সাম্রাজ্য ছিল তাঁর দখলে। খুন, অপহরণ, রক্তক্ষয়, প্রতিশোধ ছাড়া একটা দিনও কাটাননি। মৃত্যুর পর তাই একটু শান্তি চেয়েছিলেন মোঙ্গল সম্রাট চেঙ্গিস খান। নিজেই নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন সৈন্যদের। আদেশ পালন করেছিলেন অনুগতেরা। তাই মৃত্যুর ৮০০ বছর পরেও খোঁজ মেলেনি চেঙ্গিসের সমাধির।

মৃত্যু আসন্ন বুঝে অনুগত সেনাদের নাকি বলে গিয়েছিলেন, তাঁর সমাধিস্থল যাতে চিরকাল গোপন থাকে। কখনও কেউ যেন পৌঁছতে না পারে সেখানে। সৈন্যরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল সে নির্দেশ। মৃত্যুর পর প্রিয় সম্রাটকে কাঁধে করে নিয়ে গিয়েছিলেন অনুগত সেনারা। পথে যাঁরা তাঁদের দেখেছিলেন, তাঁদের খুন করা হয়েছিল। যাতে গোপন স্থান গোপনই থাকে।

মনে করা হয়, মোঙ্গোলিয়ার মরু অঞ্চলে সমাধিস্থ করা হয়েছিল চেঙ্গিসকে। সমাধিস্থান যাতে কেউ শনাক্ত করতে না পারে, তাই তার উপর দৌড় করানো হয়েছিল এক হাজার ঘোড়াকে।

বিদেশি গবেষক, বিজ্ঞানীরা বছরের পর বছর চেঙ্গিসের সমাধি খোঁজার চেষ্টা করেছেন। অভিযান চালিয়েছেন। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলও অভিযান চালিয়েছিল। উপগ্রহচিত্র তুলে খোঁজার চেষ্টা চালিয়েছিল তারা। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। আসলে মোঙ্গোলিয়রাই চেঙ্গিসের সমাধি কখনও খুঁজতে চাননি। চাননি, কেউ খুঁজে পাক। ১২২৭ সালে তাঁর মৃত্যুর পর থেকে অধরাই থেকেছে সেই সমাধি।

৮০০ বছর পরেও চেঙ্গিস খানের সমাধি যে খুঁজে পাওয়া যায়নি, তার নেপথ্যে সম্রাটের ইচ্ছা ছাড়াও অন্য কারণ রয়েছে। সেই কারণ হল দুর্গমতা। গ্রেট ব্রিটেনের যা আয়তন, মোঙ্গোলিয়া তার থেকে সাত গুণ বড়। অথচ ব্রিটেনে মোট যত কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে, তার মাত্র দুই শতাংশ রয়েছে এখানে। জনসংখ্যাও কম এই দেশে। সেই কারণে চেঙ্গিসের সমাধি খোঁজা যায়নি।

আর্ডেনেবাটার মনে করেন, ওই সমাধিগুলি জিয়োঙ্গনুদের। এই জিয়োঙ্গনুরা চেঙ্গিসের পূর্বসূরি। চেঙ্গিস নিজেও তাই বলতেন। বিজ্ঞানী মনে করেন, চেঙ্গিসের সমাধিও এই জিয়োঙ্গনু সম্রাটদের সমাধির মতো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মাটির ২০ মিটার গভীরে জিয়োঙ্গনু সম্রাটদের সমাধিস্থ করা হত। কাঠের কফিনে রাখা থাকত দেহ। মাটির উপরে বসানো হত চৌকো পাথর। সেই দিয়েই শনাক্ত করা হত, কার সমাধি। সেই পাথর যদি কোনও ভাবে এক বার সরে যেত, তা হলে সমাধি খুঁজে বার করা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে পড়ত। চেঙ্গিসের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছিল বলে মনে করেন গবেষকরা।

আর্ডেনেবাটারের প্রথম সমাধি উদ্ধার করতে সময় লেগেছিল ১০ বছর। যদিও তাঁর আগেই সেই সমাধিতে পৌঁছে গিয়েছিল ডাকাতেরা। লুটও চালিয়েছিল তারা। কারণ জিয়োঙ্গনুদের সমাধিতে রাখা থাকত মূল্যবান জিনিস। যেমন রোমে তৈরি কাচের জিনিস, দামি ধাতু, রত্ন।

গবেষকরা মনে করেন, চেঙ্গিসের সমাধিতেও রাখা আছে এ রকমই দামি জিনিসপত্র। যত দেশ জয় করেছিলেন চেঙ্গিস, সেই সব দেশের স্মারক রাখা রয়েছে তাঁর সমাধিতে। রয়েছেন মহামূল্যবান সামগ্রিও। সে কারণেই সেই সমাধি খোঁজার চেষ্টা করে চলেছেন গবেষকরা।

জনশ্রুতি, খেন্তি পাহাড়ের মাথায় কোনও এক জায়গায় সমাধিস্থ করা হয়েছিল চেঙ্গিসকে। রাজধানী উলানবাতার থেকে ১৬০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে রয়েছে সেই জায়গা।

ইতিহাস বলছে, যখন চেঙ্গিসের বয়স খুব কম ছিল, তখন ওই খেন্তি পাহাড়ে শত্রুদের ভয়ে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে বেঁচে ফেরেন। তার পরেই দেশজয়ের উদ্দেশ্যে বার হন। চেঙ্গিসের নাকি ইচ্ছা ছিল, মৃত্যুর পরেও সেই খেন্তি পাহাড়েই চিরশান্তিতে নিদ্রা যাবেন। তবে অনেক গবেষক মনে করেন, চেঙ্গিসের এই ইচ্ছা নেহাতই জনশ্রুতি। এর কোনও ভিত্তি নেই।

মোঙ্গোলিয়ার ইতিহাস বলে, চেঙ্গিসের সমাধির সমস্ত চিহ্ন লোপ করার জন্য তার উপর ছোটানো হয়েছিল এক হাজার ঘোড়া। কিছু গবেষক প্রশ্ন তুলেছেন, পাহাড়ের উপর এক হাজার ঘোড়া ছোটা কী ভাবে সম্ভব? তাঁদের মত, কোনও সমতল মরু এলাকাতেই সমাধিস্থ করা হয়েছিল সম্রাটকে।

এত রকম গবেষণার পরেও মোঙ্গোলিয়রা সম্রাটের সমাধি খুঁজতে কিন্তু খুব একটা আগ্রহী নন। কারণ তাঁরা চেঙ্গিসের শেষ ইচ্ছাকে ভীষণ ভাবে শ্রদ্ধা করেন। পশ্চিমের দেশগুলিতে তিনি পরাক্রমশালী সম্রাট হিসাবে পরিচিত। কিন্তু মোঙ্গোলীয়রা তাঁকে মনে রেখেছেন আরও অনেক কারণে।

চেঙ্গিসের জন্যই সিল্ক রুটে ব্যবসা, বাণিজ্যের প্রসার ঘটেছিল। কূটনীতিকরা আজ যে রক্ষাকবচ পান, এই ধারণা চালু করেছিলেন চেঙ্গিসই। ধর্মীয় স্বাধীনতার হয়ে সওয়াল করতেন তিনি।

কাস্পিয়ান সাগর থেকে প্রশান্ত সাগরের মাঝে বিশাল ভূখণ্ড ছিল চেঙ্গিসের দখলে। এই বিশাল ভূখণ্ডের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করা হবে কী ভাবে? চেঙ্গিসই ডাক ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। চেঙ্গিস প্রথম মুদ্রা হিসাবে কাগজের নোট চালু করেন।

মোঙ্গোলীয়রা দাবি করেন, চেঙ্গিস শুধু দেশ জয় করেননি, নিজের সাম্রাজ্যকে আধুনিকও করে তুলেছিলেন। এ হেন সম্রাটের শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে তাই বদ্ধপরিকর সে দেশের প্রতিটি মানুষ। মৃত্যুর ৮০০ বছর পরেও তাই খোঁজ মেলেনি চেঙ্গিসের সমাধির। আর মিলবে বলে আশা রাখেন না বহু ইতিহাসবিদ।


আরও খবর
ব্যাটারি চেক করার দিবস আজ

রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪




চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ নৌ-রুটে শিক্ষার্থীদের জন্য ফ্রি যাতায়াত সুবিধা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিউম্যান২৪’ এর উদ্যোগে বিনামূল্যে ঈদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়েছে আজ। সোমবার (৮ এপ্রিল) ঈদযাত্রা কর্মসূচির প্রথম দিনে নৌপথে বিনামূল্যে বাড়ি গেছেন দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় বছর এই কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সংগঠনটি।

কুমিরা-গুপ্তছড়া নৌ-রুটের এমভি আইভি রহমানসহ বেশ কিছু নৌযানে এসব শিক্ষার্থীদের বাড়ি পাঠানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের প্রথমে হালিশহর থেকে বাসে করে কুমিরা ঘাটে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাদের সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে পৌঁছে দেওয়া হয়।

মোহাম্মদ তারেক নামে হিউম্যান২৪ এর একজন সমন্বয়কারী জানান, নানা কারণে সন্দ্বীপ যাত্রা কিছুটা ব্যয়বহুল ও বেশ কষ্টসাধ্য। শিক্ষার্থীরা যাতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় করে বাড়ি ফিরতে পারে সেই জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে আগামী মঙ্গল ও বুধবার এই কর্মসূচি অব্যহত থাকবে । তিনি আরও জানান, ঈদের পরে তিনদিন সন্দ্বীপ থেকে শিক্ষার্থীদের চট্টগ্রামে পাঠানো হবে।

মোহাম্মদ মোক্তাদির নামক একজন শিক্ষার্থী জানান, ঈদে অনেক সময় টিকিট পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। হিউম্যান ২৪ এর এই উদ্যোগের ফলে আমাদের বাড়ি ফেরাটা অনেক সহজ হয়ে গেল।

উদ্যোক্তরা জানান, এ কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের একটি অনলাইন ফরম পূরণের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হয়। অফলাইনেও চট্টগ্রামের হালিশহরে দুটি ঠিকানায় নিবন্ধন করতে পারবে।

২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরের সময় একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে সন্দ্বীপের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে বাড়ি ফেরা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তা অর্জনের কারণে এ বছরও তা অব্যাহত রাখা হয়েছে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকা। গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলা, নির্বিচারে মানুষ হত্যা এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিয়ে চরম উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।

মঙ্গলবার জ্যামাইকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র : জ্যামাইকা অবজার্ভার এবং আলজাজিরা

জ্যামাইকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্যামাইকা। সিদ্ধান্তটি জাতিসংঘ সনদের নীতিগুলোর প্রতি জ্যামাইকার দৃঢ় প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতি প্রদানকে সমর্থন করে।

জ্যামাইকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তার দেশ সামরিক পদক্ষেপের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান’ দেখতে চায়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১৪২তম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল জ্যামাইকা।

গত মার্চের শেষ সপ্তাহে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় ইউরোপের চার দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও মাল্টার প্রধানমন্ত্রীরা জানান, তাদের দেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। তারা সে সময় বলেন, যুদ্ধকবলিত এ অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের একমাত্র উপায় এটি।


আরও খবর



ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় খন্দকার মুশতাকের স্থায়ী জামিন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদের স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।

সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন ধার্য করেন। অন্যদিকে খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদী স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

মামলার বাদী হলেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম। খন্দকার মুশতাক প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ও ফাওজিয়া রাশেদী কলেজটির অধ্যক্ষ।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুকুর রহমান ভুইয়া সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত। একই সঙ্গে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।

গত বছরে ১ আগস্ট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলার আদেশ দেন।


আরও খবর



সারাহ ইসলামের কিডনি নেওয়া সেই শামীমাও মারা গেলেন

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত বছরের জানুয়ারি মাসে সারাহ ইসলামের মরণোত্তর অঙ্গদানের মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট (ব্রেন ডেথ রোগীর অঙ্গ প্রতিস্থাপন) করা হয়। এই কার্যক্রমটি সফল প্রতিস্থাপন দাবি করা হলেও কিডনি নেওয়া দুজনেই কেউই আর বেঁচে রইলো না।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন কিডনি নেওয়া দ্বিতীয় রোগী শামীমা আক্তার (৩৪)। ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রথমজন ফুসফুসের সংক্রমণে মারা গেছেন। এবার দ্বিতীয়জনও চলে গেলেন। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টের।

শেষ ছয় মাস আমাদের আওতার বাইরে ছিল শামীমা। সম্প্রতি শামীমার ভাই জানায়, ক্রিয়েটিনিন বেড়েছে, একেবারে শুকিয়ে গেছে শামীমা। পরে তিন সপ্তাহ আবারও বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয় তাকে। শুরুর দিকে কিছুটা উন্নতি হলেও কেন শুকিয়ে যাচ্ছিল সেটি ধরতে পারছিলেন না চিকিৎসকেরা। চার দিন আগে আইসিইউতে নেওয়া হয় তাকে।

মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে এই সার্জন বলেন, তার সি ভাইরাস ও বিরল নিউমোনিয়া ধরা পড়েছিল। সে অনুযায়ী ডায়ালাইসিসও শুরু করেছিলাম আমরা। কিন্তু উন্নতি হয়নি। বাইরের হাসপাতালেও একদিন নেওয়া হয়েছিল, অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় আবারও আমাদের আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই আজ রাত ৯টার দিকে মারা যান তিনি।

কিডনি প্রতিস্থাপনের সময় নেতৃত্ব দেওয়া এই চিকিৎসক আরও বলেন, হেপাটাইটিস সি পজিটিভ হলে ব্লাড কাজ করে না। এজন্য বিশেষ করে রক্ত লাগে, সেটিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর রেসপন্স করেনি। বাড়িতে থাকার সময়ে অবস্থা খারাপ হলেও সময় মতো আমাদের জানানো হয়নি। অনেকটা অবহেলা ছিল। খারাপ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া যেত। তাহলে হয়তো এই অবস্থা দেখতে হতো না।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে মারা যান সারাহ ইসলামের আরেক কিডনিগ্রহীতা হাসিনা আক্তার। কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিশিষ্ট কিডনি রোগবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হারুন আর রশিদ সে সময় জানিয়েছিলেন, হাসিনা আক্তারের শরীরে যে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, তা ছিল দুর্বল। তাতে দুটি টিউমার ছিল। প্রতিস্থাপনের আগে টিউমার দুটি ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তবুও প্রতিস্থাপনের পর থেকে হাসিনা বারবার সংক্রমণে ভুগছিলেন। পরে কিডনি ফাউন্ডেশনে মারা যান তিনি।


আরও খবর



টিসিবি পণ্য বিক্রির জন্য স্থায়ী দোকান করা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

টিসিবি পণ্য বিক্রির জটিলতা কাটাতে স্থায়ী দোকান করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির আয়োজনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, টিসিবির পণ্যগুলো এতদিন বিভিন্ন জায়গায় টেম্পোরারিভাবে বিক্রি হতো। আমরা চেষ্টা করছি আগামী দুই এক মাসের মধ্যে টিসিবির দোকানগুলোকে একটি স্থায়ী জায়গায় নিয়ে আসার। যাতে মানুষের একটি দিন নষ্ট না হয়। তারা যাতে সেখানে যেয়ে ন্যায্যমূল্যে তাদের পণ্য নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে, সেটার একটা কার্যক্রম আমরা চলমান রেখেছি।

ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।

টিটু বলেন, টিসিবি সাধারণত একত্রে চার থেকে পাঁচটি পণ্য সরবরাহ করে। কিন্তু অনেক সময় এমন হয় যে একটি পণ্য পৌঁছাতে দেরি হলে ডিসি সাহেবরা বাকি পণ্যগুলোকেও আটকে রাখেন। সবগুলো পণ্য একত্রে দেবেন বলে। কিন্তু আমি যখন ফিক্সড দোকান করে দেব তখন যে মাল যখনই দোকানে চলে যাবে তখনই সেই মাল বিক্রি শুরু হবে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাফার স্টক না থাকায় আমাদের পণ্য কিনেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বিভাগীয় পর্যায়েও আমাদের বাফার স্টক নেই। এছাড়া আমাদের যেসব ডিলার রয়েছে তাদেরও পণ্য এক মাস সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। আমাদের পর্যাপ্ত স্টোরেজ না থাকাটাই প্রধান সমস্যা হচ্ছে।

তিনি বলেন, জরুরি ভিত্তিতে পণ্য সরবরাহ ও সেবা নিশ্চিত করতে টিসিবি শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে এটাকে একটা কাঠামোতে নিয়ে আসতে আমরা কাজ করতেছি। আমাদের নিজস্ব কোনো গুদাম ছিল না। যেকোনো পণ্যের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ রাখতে সেটার বাফার স্টক থাকা দরকার। বাফার স্টকের জন্য আমাদের গুদাম দরকার। চট্টগ্রামে আমরা ৪০ হাজার স্কয়ারফিটের একটি নতুন গুদাম করেছি। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে গুদাম করছি। আমরা চেষ্টা করব অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাফার স্টক তৈরি করতে পারি।

সারা বছর টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এক কোটি পরিবারকে টিসিবিব মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য দিয়েছি। সেটা ১২ মাসই দেওয়ার করব। এতদিন জরুরি ভিত্তিতে ট্রাক সেলের মাধ্যমে করেছি। টিসিবির পণ্য স্থায়ী দোকানে নিয়ে এসেছি।


আরও খবর