সীমান্ত বন্ধ হলেও গত ৯ দিনে আটকা পড়া
একাহাজার ৫৮০ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরেছে এবং ভারতে ফিরে গেছে ১৪৭ জন। এই সময়ে ভারতে
চিকিৎসা নিতে যাওয়া ১৮ জন বাংলাদেশি করোনা পজিটিভ হয়ে দেশে ফিরেছেন। বুধবার (৫ মে)
সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব।
তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার ভারতের করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ রোধে ২৬ এপ্রিল
থেকে দুই সপ্তাহের জন্য ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এতে করে ভারতে আটকা পড়ে কয়েক হাজার বাংলাদেশি
পাসপোর্ট যাত্রী। সেসব আটকা পড়া পাসপোর্ট যাত্রীদের নিজ দেশে ফিরতে হলে কলকাতায় নিযুক্ত
বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন থেকে এনওসি নিয়ে ও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরটিপিসিআর ল্যাবের করোনা
টেস্টের সনদ নিয়ে দেশে ফেরার নির্দেশনা দেন বাংলাদেশ সরকার। সেই মোতাবেক গত ৯ দিনে
একহাজার ৫৮০ জন বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রী দেশে ফিরেছেন এবং বাংলাদেশে আটকা পড়া ১৪৭
জন ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী দেশে ফিরে গেছেন।
তিনি আরও জানান, বেনাপোল ও যশোরের আবাসিক
হোটেলের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে জায়গা না থাকায় এখন থেকে খুলনার প্রাতিষ্ঠানিক
কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। যেসব যাত্রী করোনায় আক্রান্ত বা উপসর্গ নিয়ে দেশে ফিরছেন
তাদের যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে করোনা ইউনিটে পাঠানো হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ভারতের
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ রোধে ২৬ এপ্রিল থেকে দুই সপ্তাহের জন্য ভারত ভ্রমণে
নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য
বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবু তাহের জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে বাংলাদেশ সরকার
২৬ এপ্রিল থেকে ১৪ দিন ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে যারা ভারতে আটকা পড়েছে
শুধু তারাই কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশি উপ-হাইকমিশন থেকে এনওসি নিয়ে দেশে ফিরছেন। এছাড়া
সেসব পাসপোর্ট যাত্রীরা দেশে ফিরছেন তাদের বাধ্যতামূলক বেনাপোলের সব আবাসিক হোটেল,
ঝিকরগাছার গাজিরদরগা এতিমখানায়, যশোরের বিভিন্ন হোটেল এবং খুলনার বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক
কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে।