আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

৯০ দিনের মধ্যে করোনার উৎস জানাতে নির্দেশ বাইডেনের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ মে ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামী ৯০ দিনের মধ‌্যে করোনাভাইরাসের প্রকৃত উৎপত্তিস্থল জানাতে গোয়েন্দাদের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ মে) তিনি গোয়েন্দাদের বলেছেন, চিনের গবেষণাগার না পশুবাজার থেকে করোনার উৎস- এ বিষয়ে তদন্ত শেষ করে তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে। প্রয়োজনে দ্বিগুণ পরিশ্রম করতে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে। এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৭ কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ৩৫ লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। তবে বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি।

নিউজ ট্যাগ: জো বাইডেন

আরও খবর



নাবিকরা ভালো আছেন, আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সর্বমুখী প্রচেষ্টা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং নাবিকরা ভালো আছে। তাদের খাবার-দাবারেরও কোনো অসুবিধা নেই। তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি, সহসা তাদের মুক্ত করা সম্ভব হবে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেন ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সেই জাহাজের আশপাশে বিদেশি জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের ওপর নানামুখি চাপও রয়েছে। আমরা আশা করছি, সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে। সেইজন্য দিনক্ষণ বলা সম্ভবপর নয়। তবে, এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। জাহাজে যারা চাকরি করে ঈদের আগে-পরে হিসেব করে তাদের কোনো ছুটি হয় না। তারা যায় ছয়মাস কিংবা একবছরের জন্য। এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হতো তারা ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার কথা ছিল না।


আরও খবর



বিএনপি রাজনৈতিক অস্তিত্বের ভয়ে আবোল-তাবোল বলছে: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

বিএনপি রাজনৈতিক অস্তিত্বের ভয়ে আবোল-তাবোল বলছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক দল যখন অস্তিত্বের ভয়ে থাকে, তখনই তারা আবোল-তাবোল বলে। বিএনপিও আবোল-তাবোল বলছে, তা আমলে নেওয়ার কিছু নেই।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদের সামনে ভারতের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পরে তিনি উপজেলা অডিটোরিয়ামে ৮০ জন নারী উদ্যোক্তার মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

এতে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভু্ঁইয়া জীবন ও কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার মুক্তারসহ অনেকে।


আরও খবর



সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে যেসব ‘ভুল ধারণা’ পরিবর্তন জরুরি

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ ঘটবে আজ। বিরল এ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে  যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আজ যেভাবে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০৪৪ সালের মধ্যে এমনটি আর দেখা যাবে না। সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে ফেলবে চাঁদ। স্থানীয় সময় ১১টা ৭ মিনিটে মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে দেখা যাবে প্রথম সূর্যগ্রহণ। এরপর চাঁদের ছায়া আস্তে আস্তে সরে যাওয়ার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে দৃশ্যমান হবে সূর্যগ্রহণ।

মহাজাগতিক এ ঘটনা ঘিরে যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গাতেই নানারকম ধারণা চালু রয়েছে। ঢাকা বিশ্যবিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসান বলছেন, এসব ধারণার প্রায় সবগুলোই সম্পূর্ণ ভুল এবং এসবের কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে এরকম কয়েকটি ভুল ধারণা তুলে ধরা হলো এই প্রতিবেদনে:

রান্না করা, খাবার খাওয়া : এরকম একটি কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় কোনো ধরণের খাবার বা পানীয় গ্রহণ করলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অনেক জায়গায় এরকমও ধারণা রয়েছে যে সূর্যগ্রহণের সময় রান্না করা হলে সেটিও অমঙ্গলজনক। কিন্তু এরকম ধারণার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বিজ্ঞানীরা কখনোই পাননি।

গর্ভবতী নারীদের বাইরে বের হওয়া : প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, সূর্যগ্রহণের সময় গর্ভবতী নারীরা ঘরের বাইরে বের হলে গর্ভের সন্তানের শরীরে বিশেষ ধরণের জন্মদাগ থাকতে পারে। এমনকি সন্তানের হৃৎপিণ্ডে ছিদ্র থাকা বা বিকলঙ্গতা নিয়েও সন্তান জন্ম নিতে পারে। তাই, 'সংস্কার' আছে, সূর্যগ্রহণের সময়ে গর্ভবতী নারীদের ঘরের বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না। এই ধারণাও বৈজ্ঞানিকভাবে ভিত্তিহীন হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে অনেক আগেই।

ভ্রমণ না করা : সূর্যগ্রহণ চলাকালীন ভ্রমণ করলে তা অমঙ্গলজনক - এমন একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে অনেক মানুষের মধ্যেই। আরেকটি ধারণা রয়েছে যে, সূর্যগ্রহণের সময় ভ্রমণ করলে গ্রহণের সময় সূর্য থেকে নিঃসৃত ক্ষতিকর রশ্মি গায়ে লেগে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসান বলেন, গ্রহণের সময় সূর্য থেকে আলাদা কোনো ক্ষতিকর রশ্মি নিঃসরণ হয় না, কাজেই আলাদাভাবে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

গ্রহণের পর গোসল করা : সূর্যগ্রহণের ফলে তথাকথিত যেসব ক্ষতিকর রশ্মি শরীরের সংষ্পর্শে আসে, সেসব রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করতে গ্রহণের শেষে গোসল করার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে কিছু ক্ষেত্রে। এই ধারণাটিও সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক নওরীন আহসান।

তিনি বলেন, সাধারণ অবস্থায় সূর্যের রশ্মি গায়ে লাগলে যতটা ক্ষতি হোতো, সূর্যগ্রহণের সময় তার চেয়ে বেশি ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। কাজেই সূর্যগ্রহণের সময় যে আলাদাভাবে অতিরিক্ত ক্ষতি হবে, এই ধারণার কোনো ভিত্তি নেই।

বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে সূর্যগ্রহণ দেখা : সূর্যগ্রহণ দেখার ক্ষেত্রে চোখের সুরক্ষার জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করার উপদেশ দেয়া হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বিষয়ক সংস্থা নাসা খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখা থেকে বিরত থাকতে উপদেশ দিয়েছে। সামান্য সময়ের জন্যও খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখলে চোখের ক্ষতি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে তারা।

তবে পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নওরীন আহসানের মতে, শুধু সূর্যগ্রহণের দিনই যে সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো উচিত নয় - এমনটা নয়। তিনি বলেন, সূর্যগ্রহণের দিন মানুষ সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকায়, কারণ সেদিন সূর্যের প্রখরতা অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক কম থাকে। তাই মানুষের অনেকক্ষণ যাবৎ তাকিয়ে থাকার সম্ভাবনা ও সুযোগ থাকে - যেটি ক্ষতির কারণ হতে পারে।

অধ্যাপক নওরীন আহসান আরও বলেন, যে কোনো সাধারণ দিনে মানুষ সূর্যের দিকে কিছুক্ষণ তাকালেও চোখের ক্ষতি হবে। পার্থক্যটা হলো, সাধারণ দিনে মানুষ তাকায় না, সূর্যগ্রহণের সময় মানুষ তাকায়, তাই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়।

নিউজ ট্যাগ: সূর্যগ্রহণ

আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে ৬ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ মার্চ মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। এর আগের মাস অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারিতে এ তালিকায় দেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও এক ধাপ পিছিয়ে ১০৭তম থেকে ১০৮-এ নেমে গেছে বাংলাদেশ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতি কেমন, তা তুলে ধরে প্রতি মাসে স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওকলা। প্রতিষ্ঠানটির সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ওকলার তথ্যানুযায়ী মার্চ মাসে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে গড় ডাউনলোড স্পিড ছিল ২৪ দশমিক ৫৯ এমবিপিএস। আর আপলোড স্পিড ছিল ১১ দশমিক ৫৩ এমবিপিএস। এ সময়ে দেশে মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ২৫ মিলি সেকেন্ড।

মোবাইল ইন্টারনেটের মানের সূচকে গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে অবনতি হয়েছে চলতি বছরের মার্চে। এ মাসে অবস্থান ঠেকেছে ১১২-তে। এর আগে গত বছরের অর্থাৎ, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ১১১তম অবস্থানে নেমে যায় বাংলাদেশ। এর পরের মাসেই অবস্থান উন্নতি হয়। ৬ ধাপ এগিয়ে নভেম্বর ১০৫তম স্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ।

ডিসেম্বরে আরও ৪ ধাপ এগিয়ে ১০১তম অবস্থানে উঠে এলেও চলতি বছরের প্রথম মাস অর্থাৎ, জানুয়ারিতে ফের ১০৮তম অবস্থানে নেমে যায়। এরপর ফেব্রুয়ারিতে ১০৬তম অবস্থানে উঠে আবারও মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে পেছনের দিকে হাঁটছে বাংলাদেশ।

একই সময়ে ব্রডব্যান্ড সেগমেন্টে মেডিয়ান ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৪ দশমিক ২৫ এমবিপিএস। আপলোড গতি ছিল ৪৩ দশমিক ৬১ এমবিপিএস। আর মেডিয়ান ল্যাটেনসি ছিল ৫ মিলিসেকেন্ড।

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে যেমন উত্থান-পতন হয়েছে, সেই তুলনায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতির র‌্যাংকিংয়ে কিছুটা স্থিতিশীল বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ১০৮তম, নভেম্বর ১০৭তম, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ১০৮তম, ফেব্রুয়ারিতে ১০৭তম অবস্থান ছিল বাংলাদেশের।

আশপাশের দেশগুলোর অবস্থান কেমন?

ওকলার ইনডেক্স অনুযায়ী প্রতিবেশী দেশ ভারত মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে। বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে দেশটির অবস্থান ১৬তম। ডাউনলোড স্পিড ১০৫ দশমিক ৮৫। আর আপলোড স্পিড ৯ দশমিক শূন্য ৮।

পাকিস্তান অবশ্য মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ পিছিয়ে। দেশটির অবস্থান ১২৭তম। আর গড় ডাউনলোড স্পিড ১৮ দশমিক ১৮ এমবিপিএস। আপলোড স্পিড ৮ দশমিক ৭২ এমবিপিএস।

ইনডেক্সে ভালো অবস্থানে রয়েছে সার্কভুক্ত দেশ মালদ্বীপ। মোবাইল ইন্টারনেটের বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে দেশটির অবস্থান ৩২তম। মালদ্বীপে মোবাইল ইন্টারনেটের গড় গতি ৮৫ দশমিক ৯৪ এমবিপিএস। আপলোড স্পিড ২০ দশমিক ৪৭ এমবিপিএস।

মোবাইল ইন্টারনেটের গতির সূচকে অবনতি নিয়ে গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ নিয়ে তারা হুট করেই মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অন্যদিকে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে কিছু কাজ করলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি আরও বাড়িয়ে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক।

তিনি বলেন, গতি বাড়ানো বলেন আর র‌্যাংকিংয়ে উন্নতির কথা বলেন, এটা এগিয়ে নিতে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নিয়ে কিছু কাজ করতে হবে। শহরভিত্তিক ব্যান্ডউইথগুলো থেকে কিন্তু আমরা গ্রাহকের চাহিদামতো এমবিপিএস গতি দিতে পারছি। কেউ যদি ১০ এমবিপিএসের জায়গায় ২০ এমবিপিএসও চান, তবুও দেওয়া সম্ভব। সামান্য দাম বাড়িয়ে এটা দেওয়া সম্ভব হয়। এটা ঢাকার বাইরের গ্রাহকদের দিতে গেলে খরচটা বেড়ে যায়। সেটা নিয়ে এখন কাজ করা উচিত।

ঢাকাকেন্দ্রিক ক্যাশ সার্ভিস সেন্টার থাকাটাও গতি বাড়ানোর পথে বাধা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, আমাদের ক্যাশ সার্ভিসটা ঢাকাকেন্দ্রিক। বিটিআরসির নিরাপত্তা পলিসির কারণে এটা বিকেন্দ্রীকরণ করা সম্ভব হয়নি। ক্যাশ সার্ভিসটা ঢাকার বাইরেও বড় শহরগুলোতে বসানো গেলে এবং সব আইএসপির কাছে এটা রাখা গেলে গতি আরও বাড়ানো যেতো। তারপরও আমরা সাধ্যের মধ্যে গ্রাহককে ভালো গতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়া চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বিটিআরসির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স বিভাগের পরিচালক মো. গোলাম রাজ্জাক বলেন, ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। সরকারের দায়িত্বশীলদের নির্দেশনায় কাজ করছি। ওকলার ইনডেক্স আমরা দেখে থাকি। সেখানে অনেক বিষয় বা ইনডিকেটর থাকে। সম্প্রতি ইনডেক্স খেয়াল করা হয়নি। সেটা দেখার আগে আমরা কতটা এগিয়েছে বা পিছিয়েছে, তা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে পুলিশি তদন্ত চায় মানবাধিকার কমিশন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার বৃদ্ধাশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সম্প্রতি একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে মিল্টনের বিরুদ্ধে মানুষের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনা হয়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিরীহ মানুষকে তুলে এনে চিকিৎসার নামে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির যে অভিযোগ মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে উঠেছে তা অত্যন্ত ভীতিকর, ন্যক্কারজনক ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে না নিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানে আটকে রাখা, ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে মৃত্যুর সনদ তৈরি করা কিংবা মরদেহে কাটাছেঁড়ার যে তথ্য প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তার যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত মর্মে কমিশন মনে করে।

কমিশন চেয়ারম্যান আরও বলেন, এ অবস্থায় অভিযোগের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক দ্রুত কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্পর্কে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে মহাপরিচালক, সমাজসেবা অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।

আগামী ৩০ মের মধ্যে সংস্থাগুলোকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে কমিশন।


আরও খবর