আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আবারও বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারে আলজাজিরা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল ২০21 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ এপ্রিল ২০21 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
২০০৯ সালের পর থেকেই বাংলাদেশের নানা ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার করে চলেছে আলজাজিরা। ওই বছর তিন ব্যক্তির গুম হওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা ও সামরিক কর্মকর্তার যোগসাজশ নিয়ে বিতর্কিত প্রতিবেদন করে তারা

আবারও বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে নেমেছে কাতারভিত্তিক মিডিয়া নেটওয়ার্ক আলজাজিরা। ভাসানচরে প্রত্যাবাসন করা রোহিঙ্গাদের নিয়ে সম্প্রতি একটি নেতিবাচক প্রতিবেদন প্রচার করে চ্যানেলটি। তবে বাস্তব চিত্র হলো, কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাওয়া রোহিঙ্গারা সেখানে আগের তুলনায় অনেক ভালো পরিবেশে রয়েছেন। ভাসানচরে প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে দেশি-বিদেশি অনেক গণমাধ্যমে সেখানকার সঠিক তথ্য তুলে ধরা হলেও আলজাজিরা তাদের প্রতিবেদনে অনেক তথ্য গোপন করেছে।

শুধু প্রত্যাবাসিত রোহিঙ্গারাই নয়, জাতিসংঘের টেকনিক্যাল টিম এবং ১০টি দেশের কূটনৈতিক দলও ভাসানচর পরিদর্শন করে তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে। ঠিক সেই মুহূর্তে আলজাজিরার ভাসানচর নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার নতুন ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মনে করছেন অনেকে। এর আগেও বিভিন্ন সময় ভুয়া তথ্য দিয়ে উস্কানিমূলক সংবাদ প্রচার করে সমালোচনার মুখে পড়েছে চ্যানেলটি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিরাপত্তা বিশ্নেষক এয়ার কমডোর (অব.) ইশফাক এলাহী চৌধুরী বলেন, ভাসানচর নিয়ে আলজাজিরা যা প্রচার করেছে, এটা স্রেফ অপসাংবাদিকতা। এর আগেও নানা ইস্যুতে ভুল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করে তারা বিতর্ক তৈরি করে। হলুদ সাংবাদিকতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশ চ্যানেলটি প্রত্যাখ্যান করেছে। পশ্চিমা মিডিয়ার বিকল্প প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দাঁড়াতে গিয়ে তারা অনেক ক্ষেত্রেই নৈতিক মানদণ্ড বজায় রাখছে না।

ইশফাক এলাহী বলেন, ভাসানচরে যেসব রোহিঙ্গাকে নেওয়া হয়েছে, তারা আগের তুলনায় সব দিক থেকে ভালো রয়েছেন। বাংলাদেশ যেভাবে ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আবাসস্থল তৈরি করেছে, তা এক অনন্য উদাহরণ। অনেক পরিচ্ছন্ন পরিবেশে তাদের রাখা হয়েছে। বিশ্বের বহু দেশে শরণার্থী শিবিরের করুণ দশা। আলজাজিরা ভাসানচর নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছে, এটা শেষ পর্যন্ত কেউ বিশ্বাস করবে না। কারণ সবাই দেখেছেন, সেখানে রোহিঙ্গারা কেমন পরিবেশে জীবনযাপন করছে।

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, শুরু থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক শক্তি ও মানবতাবিরোধীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে আলজাজিরা। বিশ্ববাসী দেখেছে, কীভাবে বিভিন্ন সময় চ্যানেলটি আইএস ও আল কায়দার মুখপত্র হিসেবে কাজ করেছে। এটিকে গণমাধ্যম বলতে রাজি নই আমি। সরকারকে আরও সতর্ক হতে হবে। আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়েও তারা যে অপপ্রচার চালিয়েছে, তা জঘন্য।

অনেকে বলছেন, সম্প্রতি সরকার ও সেনাবাহিনীকে নিয়ে মিথ্যাচার করে আলজাজিরা। হেফাজতের পক্ষেও তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে সংবাদ প্রচার করে আসছে। আলজাজিরা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষেও তাদের অবস্থান ব্যক্ত করে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করেছে।

সম্প্রতি আলজাজিরায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনে অন্যতম প্রধান চরিত্র হিসেবে বাংলাদেশি নাগরিক সামিউল আহমেদ খান ওরফে সামিকে উপস্থাপন করা হয়। ওই প্রতিবেদন প্রচারের পর সামিউলের নাম আবার সামনে আসে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা তার ব্যাপারে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অনেক আগে থেকেই নানা ধরনের অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছিলেন সামিউল। র‌্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে আর্থিক প্রতারণায় জড়িত থাকার ঘটনায় ২০০৬ সালে গ্রেপ্তারও হন তিনি। এ ছাড়া ২০২০ সালের মে মাসে র‌্যাবের একজন কর্মকর্তা ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে রমনা থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার ১১ আসামির মধ্যে ৬ নম্বর আসামি ছিলেন সামি। অপকর্মের জন্য তিনি সেনানিবাসে নিষিদ্ধও ছিলেন। তবে আলজাজিরা তাদের প্রতিবেদনে তার অতীত সব অপকর্ম চেপে যায়।

অভিযোগ আছে, ২০০৯ সালের পর থেকেই বাংলাদেশের নানা ঘটনা নিয়ে অপপ্রচার করে চলেছে আলজাজিরা। ওই বছর তিন ব্যক্তির গুম হওয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা ও সামরিক কর্মকর্তার যোগসাজশ নিয়ে বিতর্কিত প্রতিবেদন করে তারা। এতে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের পক্ষেও প্রচার চালায় চ্যানেলটি। মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মো. কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত রায়ের পর 'বাংলাদেশ পার্টি চিফ টু হ্যাং ফর ওয়ার ক্রাইমস' শিরোনামে এক প্রতিবেদনে ৩০ লাখ মানুষের শহীদ হওয়ার বিষয়টি নিয়ে ব্যঙ্গ করে বলা হয়, ইতিহাসবিদদের হিসাবে মুক্তিযুদ্ধে তিন থেকে পাঁচ লাখ মানুষ মারা গেছে।

ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আলজাজিরা নিউজ চ্যানেলের প্রচারিত প্রতিবেদনটি মিথ্যা ও মানহানিকর। এটি বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিভ্রান্তিকর, যা উগ্রবাদী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কুখ্যাত ব্যক্তিদের যোগসাজশে রাজনৈতিক মদদপুষ্ট অপপ্রচার বলে স্পষ্ট। বাংলাদেশের প্রগতিশীল এবং ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরোধিতা করছে চ্যানেলটি।'


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ৩৫ হাজার মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রধান জামাতে ৩৫ হাজার মুসল্লির অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, এই জামাতে নারীদের নামাজের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএসসিসি মেয়র। জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।

মেয়র তাপস বলেন, ঈদুল ফিতরের নামাজের প্রায় সব প্রস্তুতি আমরা সম্পন্ন করেছি। আর যে একদিন আছে এর মধ্যে আমরা বাকি কাজগুলো সম্পন্ন করব। গত দুই বছরের মতো ঢাকাবাসীকে আমরা আমন্ত্রণ জানাতে চাই, পরিবার-পরিজন নিয়ে এই জামাতে অংশগ্রহণ করার জন্য এবং ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার জন্য।

তিনি বলেন, এখানে ৩৫ হাজার মুসল্লির জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। আমরা আশা করছি কোনো ধরনের বৃষ্টিপাত হবে না। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে আমরা সে ধরনের তথ্য পেয়েছি। কালবৈশাখী ঝড় অথবা প্রবল বৃষ্টিপাত হলেও এখানে যেন সুষ্ঠুভাবে জামাত অনুষ্ঠিত করা যায়, সেই ব্যবস্থা আমরা করেছি। পুরোটা অংশ আমরা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। যেন পানি পড়তে না পারে এবং কোনো দুর্ভোগ না হয়।

তিনি আরও বলেন, এখানে আমাদের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থাকবে এবং সব স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা থাকবে। যাতে করে কোনো মুসল্লির কোনো সমস্যা না হয়। জামাতে প্রবেশের জন্য ৪টি প্রবেশ পথ তৈরি করা হয়েছে। নারীদের জন্য আলাদা প্রবেশ পথ রয়েছে। এছাড়া জামাত শেষে বেরোনোর জন্য আরও তিনটি ফটক আমরা রেখেছি। যাতে কর দ্রুত সবাই বের হয়ে যেতে পারে।

মেয়র বলেন, মুসল্লিরা জায়নামাজ এবং ছাতা জামাতে আনতে পারবেন। তবে দেয়াশলাইসহ আগুন জালানোর কোনো সরঞ্জাম নিয়ে কাউকে জামাতে প্রবেশ না করতে সবাইকে অনুরোধ জানাচ্ছি।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় ঈদগাহ

আরও খবর



অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন দানি আলভেজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ধর্ষণের অভিযোগে প্রায় ১৪ মাস কারাগারে আটক থাকার পর অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন ব্রাজিলের সাবেক তারকা ফুটবলার দানি আলভেজ। বার্সেলোনার আদালত গত বুধবার আলভেজকে জামিন দিলেও জামিনের শর্ত হিসেবে আদালত যে ১০ লাখ ইউরো জমা দিতে বলেছিলেন সেটি দিতে পারছিলেন না ব্রাজিলের এই ফুটবলার। অবশেষে, জামিনের অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে মুক্তি পেয়েছেন আলভেজ।

গত বছরের জানুয়ারিতে বার্সেলোনার নৈশ ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক হন আলভেজ। তদন্তের পর গত ২২ ফেব্রুয়ারি সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। জামিনের জন্য নির্ধারিত অর্থের সঙ্গে ব্রাজিল ও স্পেনের পাসপোর্ট জমা দিয়ে বার্সেলোনাতেই অবস্থান করার নির্দেশ দেন আদালত। এ ছাড়া ভুক্তভোগীর এক হাজার মিটারের মধ্যে যাওয়ার ব্যাপারেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এই ফুটবলারকে।

জামিন পেলেও জামানতের অর্থ জোগাড় করতে না পারার কারণেই মূলত কারাগার থেকে মুক্তি পাচ্ছিলেন না আলভেজ। ফুটবল ক্যারিয়ারে বিপুল অর্থ আয় করা ব্রাজিলের এই ফুটবলারের জামিনের অর্থ পরিশোধ করতে না পারা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন অনেকে। আলভেজের আইনজীবী জানান, স্পেনে তার দুটি অ্যাকাউন্ট আছে যার একটিতে নেই কোনো অর্থ। অন্যটিতে ৫১ হাজার ইউরো থাকলেও সেটি আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হয়। তাছাড়া এটি জামিনের নির্ধারিত অর্থের তুলনায় খুব সামান্যও ছিলো। শেষ পর্যন্ত আলভেজের মা ও ভাই ধারে জামিনের অর্থ জোগাড় করে তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: দানি আলভেজ

আরও খবর
আচমকা অবসরে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




চট্টগ্রামে তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা, ২ জনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. কামাল হোসেন সিকদার এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবুল কাশেম প্রকাশ ওরফে জামাই কাশেম ও মো. ইউসুফ ওরফে বাইট্যা কাশেম।

২০ বছর আগে নগরের বালুছড়া এলাকায় সম্পত্তির জন্য আপন তিন ভাই-বোনকে গুলি করে হত্যা করেন দণ্ডিতরা। রায়ের বিষয়টি বৃহস্পতিবার বিকালে দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী আল আমিন।

জানা গেছে, ২০০৪ সালের ৩০ জুন আসামিরা বালুছড়ার বাসায় গিয়ে আপন তিন ভাইবোন সাইফুল ইসলাম, আলমগীর ও মিনু বেগমকে গুলি করে হত্যা করে দণ্ডিতরা। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলামের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি এম এ ফয়েজ বলেন, এই মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি আবুল কাশেম ও  মো. ইউসুফকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন। একই সাথে তাদের দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

একই মামলার অপর দুই আসামি গিট্টু নাসির ও ফয়েজ মুন্না র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।


আরও খবর



চার মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নানা জল্পনা কল্পনার পর শেষ পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেনের রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর ফলে ট্রেনের ভাড়া কিছুটা বাড়বে। যা আগামী চার মে থেকে কার্যকর হবে। সোমবার (২২ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ রেলওয়ে।

তবে এখন পর্যন্ত নতুন ভাড়ার হার নির্ধারণ করেনি রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগ। যা চলতি সপ্তাহেই চূড়ান্ত হবে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি দেওয়া হয়। ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত রহিত করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত বলবৎ থাকে। সম্প্রতি যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে ভাড়া বৃদ্ধি না করে শুধু বিদ্যমান দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ৪ মে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেয়াত প্রত্যাহারের মাধ্যমে আগামী ৪ মে থেকে ট্রেনের ভাড়া সমন্বয় করা হবে। ট্রেনের ভাড়া কী হারে বাড়ছে, এ প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, এটা রেলওয়ের বাণিজ্যিক শাখা নির্ধারণ করবে।

রেলওয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, ১০১-১৫০ কিলোমিটার ভ্রমণে ২০ শতাংশ, ১৫১-৪০০ কিলোমিটার ২৫ শতাংশ আর ৪০০ কিলোমিটারের বেশি পথ ভ্রমণে ৩০ শতাংশ রেয়াত সুবিধা পান যাত্রীরা। এই সুবিধাটি এখন বাতিল করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলের এই প্রস্তাব সম্প্রতি অনুমোদন করেছেন। যা চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী রেলের ভাড়া বাড়ানো হবে বলে কয়েকটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন। তখন রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম জানিয়েছিলেন ভাড়া বৃদ্ধির কোনো পরিকল্পনা নেই। এখন রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের মাধ্যমে ঠিকই যাত্রীদের কাঁধে বাড়তি ভাড়া চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, কোনো যাত্রী ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বে গেলে তার ভাড়ার ক্ষেত্রে এতদিন ধরে ছাড় (রেয়াত) দিয়ে আসছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। সূত্রটি জানিয়েছে, ৪ মে থেকে যদি একজন যাত্রী ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ কারণে, তাহলে বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে।

এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১২ সালের অক্টোবরে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফায় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ। এর প্রায় সাত বছর পর ২০২৩ সালের শেষার্ধে রেলওয়ের বিভিন্ন সেতু ও ভায়াডাক্টে পন্টেজ চার্জ আরোপের মাধ্যমে আয় বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা চালু হয়েছিল ১৯৯২ সালে। এর মধ্যে সেকশনভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহার করা হয় ২০১২ সালে। দূরত্বভিত্তিক রেয়াত সুবিধার কারণে দূরপাল্লার ভ্রমণে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ হয় দূরত্বের তুলনায় কম।


আরও খবর



ঈদে ঘুরতে যাচ্ছেন? খরচ বাঁচানোর উপায় জেনে নিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

রহমতের মাস মাহে রমজানের পর কড়া নাড়ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদ মানেই আনন্দ ও খুশির জোয়ার। সবাই চায় এই সময়টাতে পরিবার পরিজনের সাথে খুশির সময়টা ভাগাভাগি করতে। আর তাই ঈদকে সামনে রেখে সবাই নাড়ীর টানে বাড়ি ফিরা শুরু করেছেন রাজধানীবাসী। আবার অনেকে ঈদের এই ছুটিতে বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশে বা দেশের বাহিরে বিভিন্ন পর্যটন স্থানে যাবে ঘুরতে। এই ঘোরাঘুরিতে খরচ তো থাকবেই। তবে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে পারলে বাজেটের মধ্যে ঘোরাঘুরি সারা সম্ভব। চলুন জেনে নেই কয়েকটি বিষয়।

যাতায়াতে মিতব্যয়ী হোন : ভ্রমণে প্রথমধাপে যেই খরচটা হয় তা হচ্ছে যাতায়াতের খরচ। তাই যাতায়াতে মিতব্যয়ী হতে হবে। কোনো কোনো দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি তুলনামূলক কম ব্যস্ত বিমানবন্দর বেছে নেয়ার সুযোগ পাবেন, আর সেখান থেকে আপনার গন্তব্য শহরটিতে যাওয়ার জন্য মানসম্মত গণপরিবহনও পাওয়া যেতে পারে। কম ব্যস্ত বা কম জনপ্রিয় বিমানবন্দরে যেতে খরচটা একটু কম পড়বে। আর গণপরিবহনের খরচ তো কমই। তাই কোথাও যাওয়ার আগে সেখানকার যাতায়াত ব্যবস্থা এবং খরচ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিন। বেঁচে যাবে অনাকাঙ্ক্ষিত খরচ। দেশে বেড়ানোর ক্ষেত্রেও ভাড়া গাড়ির চেয়ে স্থানীয় পরিবহন ব্যবহার করুন।

বুঝেশুনে প্যাকেজ অফার নিন : কাঙ্ক্ষিত স্থানে যাওয়ার পর থাকা খাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করতে হয়। এর জন্য রিসোর্টে থাকা এবং খাওয়াদাওয়ার সুবিধা নিয়ে থাকলেও কিন্তু আপনি শেষমেশ বাড়তি খরচের চাপে পড়তে পারেন। যেমন খাবার খরচসহ থাকার জায়গা বুকিং দিয়েছেন। কিন্তু ওখানে গিয়ে স্থানীয়দের অন্য ধাঁচের কোনো মজাদার খাবার দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলেন না। খরচ করে খেয়ে নিলেন সেই খাবার। ওদিকে রিসোর্টে ওই বেলার খাবার খরচটাও কিন্তু আপনাকে ঠিকই দিতে হচ্ছে। ফলে শুধুমাত্র থাকার জন্য রিসোর্ট বুকিং দিয়ে খাবারের খরচটা বাহিরে করলে হোটেলের বিল কম আসবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন ছাড়া কম খরচের হোটলেরুম বা রিসোর্টে উঠতে পারেন।

সাথে শুকনো খাবার রাখুন : ভ্রমণের সময় লাগেজে কিছু শুকনা খাবার রাখুন। বিদেশে গেলে ভিনদেশি মুদ্রায় এসব কিনতে যে বাড়তি খরচটা হতো তা অবশ্যই বেঁচে যাবে। আর হুটহাট ক্ষুধা পেলেও সঙ্গে থাকা খাবার খাওয়া যাবে। দেশেও অপ্রচলিত স্থানে গেলে সহজে খাবারটাও পেয়ে যাবেন।

উপহারে অপচয় নয় : অনেকেই ভ্রমণে গিয়ে আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের জন্য উপহার কিনে থাকেন। এতে অনেক খরচ হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দামি কিছু উপহার না দিয়ে বা মার্কেট থেকে না কিনে স্থানীয় বাজার থেকে কিছু কিনুন। এতে কম খরছে ভালো কিছু কেনা যাবে। তাছাড়া স্থানীয় মানুষের তৈরি হস্তশিল্পসামগ্রী সরাসরি তাদের কাছ থেকে কেনার সুযোগ পেলে সেটাও কাজে লাগাতে পারেন। উপহার হিসেবে এগুলো দারুণ।


আরও খবর