লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের দেয়া ১৫৫ রানের
লক্ষ্যে শেষ ওভারে রাজস্থানের প্রয়োজন ছিল ১৯ রান। বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ওভারটিতে দুর্দান্ত
ছিলেন লক্ষ্ণৌ ফাস্ট বোলার আবেশ খান। রয়্যালসের সেট ব্যাটার দেবদূত পাদিক্কালের উইকেট
শিকারের পরের বলেও নেন আরেকটি উইকেট। ৮ রান খরচ করে দুই উইকেট নিয়ে সুপার জায়ান্টসদের
জয় নিশ্চিত করেন ১০ রানে।
জয়পুরে টস হেরে আগে ব্যাট করে লক্ষ্ণৌ।
নির্ধারিত ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেন ১৫৪ রান। জবাবে ব্যাটে নেমে ৬ উইকেটে
১৪৪ রান সংগ্রহ করে রাজস্থান রয়্যালস। এ নিয়ে ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে টেবিলের দুইয়ে লোকেশ রাহুলের
দল। সমান ম্যাচ ও পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষেই থাকল রাজস্থান।
আরও পড়ুন : লখনৌকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছেরাজস্থান
আগে ব্যাটে নেমে দুর্দান্ত শুরু পায় লক্ষ্ণৌ।
প্রথম উইকেট জুটিতে আসে ৮২ রান। ১০.৪ ওভারে হোল্ডারের শিকারে পরিণত হন অধিনায়ক লোকেশ
রাহুল। ৩২ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। পরের ওভারেই দ্বিতীয় উইকেট হারায় সুপার জায়ান্টসরা।
৪ বলে ১ রান করে ফেরেন আয়ুশ বাদোনি।
৯৯ ও ১০৪ রানে আরও দুই উইকেট হারায় লক্ষ্ণৌ।
দিপক হুদা ফেরেন ৪ বলে দুই রান করে। ৪২ বলে ৫১ রান করে অশ্বীনের শিকার হন কাইল মায়ার্স।
৫ম উইকেটের পতন ঘটে শেষ ওভারে ১৪৯ রানে। একই ওভারে আরও রান আউটের শিকার হন আরও দুই
ব্যাটার। শেষ অবধি লক্ষ্ণৌর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৫৪ রান। তিন ব্যাটারের মাঝে উল্লেখযোগ্য
রান করেন মার্কোস স্টোনিস (১৬ বলে ২১) ও নিকোলাস পুরান (২০ বলে ২৯)।
আরও পড়ুন : বিমানবন্দর থেকে দিল্লি ক্যাপিটালসেরক্রিকেটারদের সরঞ্জাম চুরি
রাজস্থানের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন
অশ্বিন। একটি করে নিয়েছেন টেন্ট বোল্ট, সন্দীপ শর্মা ও জেসন হোল্ডার।
জবাবে ব্যাটে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও
হয় দুর্দান্ত। ৮৭ রানে পতন হয় প্রথম উইকেটের। ১১.৩ ওভারে যশস্বী জয়সওয়াল ফেরেন ৩৫
বলে ৪৪ রান করে। ৯৩ থেকে ১০৪ রানে আরও ৩ উইকেট হারায় সাঞ্জু স্যামসনের দল। তিন ব্যাটারের
মাঝে উল্লেখযোগ্য রান করেছিলেন জজ বাটলার। ৪১ বলে ৪০ রান করে স্টোনিসের শিকার হন তিনি।
এরপর শেষ ওভারে রাজস্থানের দুই উইকেট তুলে
নেন আভেশ খান। লক্ষ্ণৌ থেকে মাত্র ১১ রান দূরে থাকতে শেষ হয় রয়্যালসদের ইনিংস।
সুপার জায়ান্টসদের সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট
নিয়েছেন আভেশ খান। স্টোনিস নিয়েছেন দুটি।