দলের চেয়ারপার্সন
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা
প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী
দল বিএনপি।
আজ (শুক্রবার)
বিকেল ৩টায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির চেয়ারপার্সনের
মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য
রাখবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এছাড়া বিএনপির বিভিন্ন
পর্যায়ের নেতারা সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
দিদার বলেন, সমাবেশের
অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী সমাবেশ হবে।
এদিকে সমাবেশ
সফল করতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি কয়েক দফায় যৌথ সভাও করেছে।
উল্লেখ্য, গতকাল
বৃহস্পতিবার ১৯টি শর্তে নয়াপল্টনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর
পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (অপারেশন্স) মো. আবু ইউসুফের স্বাক্ষর করা
এক চিঠিতে বলা হয়, বিএনপির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ শর্ত যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে
১০ মে বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হলো।
ডিএমপির শর্তগুলো
হলো—
১. এই অনুমতিপত্র
স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে
অনুমোদন নিতে হবে।
২. স্থান ব্যবহারের
অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
৩. অনুমোদিত স্থানের
মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৪. নিরাপত্তার
জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ
করতে হবে।
৫. অনুমোদিত স্থানের
বাইরে বা সড়কের পাশে মাইক/সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না।
৬. অনুমোদিত স্থানের
বাইরে বা সড়কের পাশে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।
৭. অনুমোদিত স্থানের
বাইরে রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।
৮. আযান, নামাজ
ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
৯. ধর্মীয় অনুভূতির
উপর আঘাত আনতে পারে এমন কোন বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা
যাবে না।
১০. অনুমোদিত
স্থানের আশপাশসহ রাস্তায় কোনো অবস্থাতেই সমবেত হওয়াসহ যান ও জন চলাচলে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা
সৃষ্টি করা যাবে না।
১১. সমাবেশস্থলে
পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে কোন ধরণের লাঠি-সোটা, রড ব্যবহার করা যাবে না।
১২. আইন-শৃঙ্খলা
পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
১৩. রাষ্ট্র বিরোধী
কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।
১৪. উস্কানিমূলক
কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
১৫. জন দুর্ভোগ
সৃষ্টি করে মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না।
১৬. পার্কিংয়ের
জন্য নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে
না।
১৭. সমাবেশস্থলে
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
১৮. উল্লিখিত
শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
১৯. জনস্বার্থে
কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।