দুদকের দায়ের করা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের
সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ আদালতে আত্মসমর্পণ করে
জামিন পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল
কায়েশের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আবুল কালাম আজাদ জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে
এর বিরোধিতা করা হয়। পরে শুনানি শেষে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ৬ অক্টোবর একই আদালতে আবুল কালাম
আজাদ জামিনের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সেদিন বিচারক অন্য মামলা নিয়ে ব্যস্ত থাকায়
তাকে অন্য কোনোদিন আসতে বলেন।
৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে
এম ইমরুল কায়েশের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচারক
ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারি।
চার্জশিটভুক্ত অপর পাঁচ আসামি হলেন-রিজেন্ট
হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক
পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. মো. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক
(হাসপাতাল-১) ডা. মো. শফিউর রহমান এবং গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম।
গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর পাঁচ জনকে আসামি
করে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। দীর্ঘ একবছর পর এ মামলার
তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র অনুমোদন চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর
যোগসাজশে লাইসেন্স নবায়নবিহীন বন্ধ রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে
রূপান্তর, মেমোর্যান্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের
ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন কোভিড রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করিয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, যেখান থেকে অবৈধ পারিতোষিক
বাবদ রোগীপ্রতি সাড়ে তিন হাজার টাকা হিসেবে এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা গ্রহণ
করা হয়েছে। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়
ও অন্য কর্মকর্তাদের খাবার খরচ বরাদ্দের বিষয়ে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার মাসিক
চাহিদা তুলে ধরেছেন।