আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

আদানির প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রর একটি ইউনিট উৎপাদনে এসেছে৷ আজ সোমবার ভোরে একটি ইউনিট চালু হয়৷ এতে প্রথমে সকাল ১০টায় ৫১০, পরে ১১টা থেকে ৭০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় বলে জানা গেছে।

এর আগে গত শুক্রবার কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ঝাড়খণ্ডে নির্মিত এই কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হয়। কয়েক দিন থেকে কেন্দ্রটিতে আংশিক উৎপাদন হচ্ছিল।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঈদের ছুটিতে কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটির উৎপাদন বন্ধ করা হয়। এটি ৫ জুলাই উৎপাদনে ফিরতে পারে।

কারিগরি ত্রুটির কারণে ২৫ জুন থেকে দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছিল। ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টায় উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

দেশের কয়েকটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন কমে যাওয়ায় এবং প্রচন্ড গ্যাস সংকটের কারণে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় দেশে প্রচন্ড লোডশেডিং চলছে। দেশীয় উৎপাদিত গ্যাসের সঙ্গে বিদেশ থেকে এলএনজি আমদানি করে গ্যাসের যোগান মেটানো হয়। তবে সামিট গ্রুপের ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল বিকল হয়ে প্রায় এলএনজি সরবরাহ অর্থেকে নেমে আসে। ফলে গ্যাস সংকট চলছে।


আরও খবর



নেত্রকোনায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

Image

নেত্রকোনার সদর উপজেলায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ। উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ভাষাপাড়া গ্রামে প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নানের বাড়িটি পুলিশ দুপুর ২টা থেকে ঘিরে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দুই বছর ধরে তিন জন পুরুষ ও দুই জন নারী বাড়িটি ভাড়া নিয়ে সেখানে বসবাস করে আসছেন। বাড়িটি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নানের।

জেলা পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুরে প্রাথমিক অভিযান চালিয়ে ওই বাড়ি থেকে একটি ভারতীয় পিস্তল ও ১৭ রাউন্ড তাজা গুলি এবং প্রশিক্ষণের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য এখনও চূড়ান্ত অভিযান চালানো হয়নি।

তিনি জানান, পুলিশের কাউন্টার এন্টিটরোরিজম ইউনিট ও বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা আসলে চূড়ান্ত অভিযান চালানো হবে।


আরও খবর



এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশের এলিজা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার সময়ের সঙ্গে বাড়ছে। এআইয়ের প্রম্পট থেকে কৃত্রিম ছবি তৈরি করা যায়। আর তাই নিজেদের কল্পনা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের ছবি তৈরি করেন অনেকেই। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি নারীদের ছবি নিয়ে ভার্চ্যুয়াল সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন শুরু হয়েছিল গত মাসে। ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ইতিমধ্যে এর আয়োজকেরা সেরা ১০ প্রতিযোগীর নাম ঘোষণা করেছেন, যার মধ্যে আছে বাংলাদেশের প্রথম ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার এলিজা খান।

তবে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এআই কনটেন্টনির্ভর ওয়েবসাইট ফ্যানভ্যু আয়োজন করেছে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা মিস এআই। বাংলাদেশের প্রথম ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার এলিজা খান এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে।

চূড়ান্ত পর্বে থাকা দশ এআই সুন্দরীর মধ্যে বাংলাদেশের প্রথম ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার এলিজা খান। তার ক্রিয়েটর ফ্যাশন ও রেসিং প্রোডাক্ট রিটেইল শপ অনিক্স হাব। এলিজা খান একজন জেনজি ফ্যাশনিস্তা, যে ভ্রমণ করতে পছন্দ করে। তার ক্রিয়েটর ফ্যাশন ও রেসিং প্রোডাক্ট রিটেইল শপ অনিক্স হাব।

মিস এআই প্রতিযোগিতার আয়োজকদের একজন ফ্যানভ্যুর সহপ্রতিষ্ঠাতা উইল মোনানাজ। এআই প্রতিযোগিতাটি নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে এইআই ক্রিয়েটরদের সম্মান জানাতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতে এই প্রতিযোগিতা এআই প্রযুক্তি খাতে অস্কারের সমমর্যাদা পাবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ১ হাজার ৫০০এর বেশি আবেদন জমা পড়ে। সম্প্রতি সেখান থেকে বাছাই করে ১০ জন ফাইনালিস্টের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই এআই সুন্দরীদের নির্বাচন করেছে বিশেষ বিচারক প্যানেল। এই প্রতিযোগিতায় বিচারকদের মধ্যে দুজন মানুষ এবং দুজন এআই ইনফ্লুয়েন্সার।

এআই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সুন্দরীদের তিনটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে বিচার করা হচ্ছে। সেগুলো হলো সৌন্দর্য, প্রযুক্তি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে এআই মডেলের রূপ, তার ডিজাইন, পোশাকইত্যাদি দেখা হবে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দেখা হবে ক্রিয়েটরের দক্ষতা এবং কোন টুলের মাধ্যমে ক্রিয়েটর এ মডেল বানিয়েছেন।


আরও খবর



নেত্রকোণায় পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে শিশুসহ নিহত ৪

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

Image

নেত্রকোণা পৃথক ঘটনায় পুকুর ও নদীর পানিতে ডুবে শিশু ও গৃহবধূসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার জেলার পূর্বধলা ও দুর্গাপুরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের পাঁচমারকেন্ডা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে ৮ বছরের শিশু মো. নোমান মিয়া, সদর উপজেলার সাতপাই উল্লাবাড়ি এলাকার মো. আল মামুনের সাত বছরের ছেলে মো. তাসকিন মিয়া। নোমান আর তাসকিন একে অপরের খালাত ভাই।

গৃহবধূ সালমা আক্তার (২১) পূর্বধলার আগিয়া ইউনিয়নের টিকুরিয়া গ্রামের নওয়াব আলীর মেয়ে ও বিশকাকুনী গ্রামের মফিজুল ইসলামের স্ত্রী। এ ছাড়া ৫ বছরের শিশু জাহাঙ্গীর ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার কুল্লাতলী গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে।

স্থানীয়দের বরাতে পূর্বধলা থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম জানান, তাসকিন গতকাল শনিবার বিকেলে মা-বাবার সঙ্গে পাঁচমারগেন্ডা গ্রামে নানাবাড়ি বেড়াতে যায়। পরে তাসকিন তার খালাত ভাই নোমানকে নিয়ে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। বেশ কিছু সময় পেরিয়ে গেলেও তারা বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আজ রোববার সকাল সোয়া ১০টার দিকে বাড়ির পাশে কংস নদের শাখা দেইড়াগাঙয়ে  তাদের ভাসমান মরদেহ দেখতে পান বাড়ির লোকজন। পরে তাসকিন ও নোমানের মরদেহ উদ্ধার করেন তারা।

দুর্গাপুর থানার ওসি উত্তম চন্দ্র দেব জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া সালমা আক্তার বাড়ির সামনে পুকুরে হাতমুখ ধোয়ার সময় পানিতে পড়ে তলিয়ে যান। বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি করে পৌনে ১১টার দিকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সালমাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুই শিশু ও গৃহবধূর পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার বিষয়ে থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।

এদিকে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলায় দাদির বাড়িতে বেড়াতে এসে সমবয়সী শিশুদের সঙ্গে নদীতে গোসল করতে বের হয়। দুর্গাপুর পৌর শহরের তেরী বাজার এলাকার সোমেশ্বরী নদীতে গোসল করার সময় জাহাঙ্গীর পানির নিচে তলিয়ে যায়। সঙ্গে থাকা অন্য দুই শিশু বাড়ি ফিরে জাহাঙ্গীর নদীতে ডুবে যাওয়ার বিষয়টি জানালে পরিবারের লোকজন নদী থেকে জাহাঙ্গীরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে  কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর



শরীয়তপুরে ১০ লাখ টাকার কারেন্টজালসহ চায়না দুয়ারি ধ্বংস

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি

Image

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় ১০ লাখ টাকার নিষিদ্ধ কারেন্ট ও চায়না দুয়ারি জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। দেশীয় প্রজাতির মাছের উৎপাদন বাড়াতে এ অভিযান পরিচালনা করে মৎস্য বিভাগ।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার দাসের জঙ্গল বাজারে অভিযান পরিচালনা করে জালগুলো জব্দ করে মৎস্য বিভাগ।

মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারি জাল দিয়ে মাছ শিকার করলে দেশীয় মাছসহ মাছের পোনা হুমকিতে পড়ে। শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোসাইরহাট উপজেলা মৎস্য বিভাগ অভিযান পরিচালনা করে দাসের জঙ্গল বাজারে। বাজারের ৩ টি গোডাউন থেকে ৩ লাখ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ২২০ পিচ চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করে। জালগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে মৎস্য বিভাগ। জব্দকৃত জালগুলো গোসাইরহাটের পট্টি ব্রিজ সংলগ্ন নদীর পাড়ে নিয়ে স্থানীয়দের সম্মুখে পুড়িয়ে দিয়েছে মৎস্য বিভাগ। জালগুলো যেসব গোডাউন থেকে জব্দ করা হয়েছে, ওই সকল গোডাউন মালিকের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

গোসাইরহাট উপজেলা মৎস্য অফিসার হাসিবুল হক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে কারেন্ট জালসহ চায়না দুয়ারি জাল জব্দ করে পুড়িয়ে দিয়েছি। মে থেকে পরবর্তী পাঁচ মাস দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা উৎপাদন হয়। এ সময় চায়না দুয়ারিসহ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছগুলো মেরে ফেলে এক শ্রেণির জেলেরা। দেশীয় মাছের পোনা রক্ষাসহ মৎস্য আইন অনুযায়ী অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



ফের আদালতে ধাক্কা খেলেন কেজরিওয়াল, জামিন স্থগিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আদালতে বড় ধাক্কা খেলেন ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লির হাইকোর্ট তার জামিনে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এতে করে নিম্ন আদালতে জামিন পেয়েও আপাতত জেল থেকে বের হওয়া হচ্ছে না তার। শুক্রবার (২১ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মদ নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দেয়। শুক্রবার দিল্লির তিহাড় জেল থেকে তার মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু তার আগেই জামিনের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আর সেখানেই আপাতত নিম্ন আদালতের জামিনের রায়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, নিম্ন আদালতে কেজরিওয়ালের জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শুক্রবার দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিচারপতি সুধীর কুমার জৈন ও বিচারপতি রবীন্দর দুদেজার ভ্য়াকেশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে ট্রায়াল কোর্টের জামিনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।

আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়, যতক্ষণ পর্যন্ত হাইকোর্টে মামলার শুনানি না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই রায়ে (জামিন) স্থগিতাদেশ থাকবে।

হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত আদালতের কাছে রিলিজ অর্ডার এসে পৌঁছয়নি। কোন শর্তে কেজরিওয়াল জামিন পেয়েছেন, তাও জানা নেই।

এদিকে ইডির পক্ষ থেরকও এদিন আদালতে দাবি করা হয়েছে, রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে শুনানির সময় ইডির আইনজীবী বা সলিসিটর জেনারেলকে গতকাল বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। ইডির পক্ষ থেকে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে দাবি করা হয়েছিল, অন্তত ৪৮ ঘণ্টার জন্য জামিনে স্থগিতাদেশ দেওয়া হোক। তবে সেই আবেদন মানেনি আদালত।

অন্যদিকে কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির দাবি, এর আগে এই মামলার শুনানি হয়েছে। ৭ ঘণ্টা ধরে শুনানি চলেছে। তখন বক্তব্য রাখার সুযোগ পেয়েছিলেন ইডির আইনজীবীরা। তবে যাই হোক, দিল্লি হাইকোর্টে শুনানি না হওয়া পর্যন্ত কেজরিওয়ালের জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। ফলে নিম্ন আদালতে জামিন পেলেও, জেল থেকে আপাতত মুক্তি পাচ্ছেন না দিল্লির এই মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে দিল্লির সরকার একটি মদ নীতি গ্রহণ করে। এরমাধ্যমে শহরটিতে মদ বিক্রি আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে পরবর্তীতে অভিযোগ উঠে এই নীতি ব্যবহার করে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আর এই অভিযোগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কিন্তু লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন ১০ মে কেজরিওয়ালকে অন্তবর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়। ওই সময় জেল থেকে বেরিয়ে তিনি দিল্লিতে দলের জন্য নির্বাচনী প্রচারণা চালান। তবে লোকসভায় তার দলের কোনও প্রার্থীই জয় পাননি।


আরও খবর