আজঃ মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আগামী ২৪ ঘণ্টা ইসরাইলের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ

প্রকাশিত:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আগামী ২৪ ঘণ্টা ইসরাইলের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ সময় বলে দাবি করেছে ইহুদিবাদী মিডিয়াগুলো। ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলোর অনুমান, ইরান ও হিজবুল্লাহ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসরাইল সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।

দখলদার সরকারের একটি মিডিয়া রোববার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল বিশ্বাস করে যে, হিজবুল্লাহ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আক্রমণ শুরু করবে, তারপর ইরান এতে যোগ দেবে।

আরেকটি ইসরাইলি সংবাদপত্র ঘোষণা করেছে, হিজবুল্লাহ আগামী দিনে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে বদ্ধপরিকর।

গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আসন্ন আলোচনার প্রেক্ষিতে হিজবুল্লাহ তার পরিকল্পনা পরিবর্তন করবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ইসরাইলি সংবাদপত্রটির প্রতিবেদনে।

ইহুদিবাদী মিডিয়ার মতে, দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ইসরাইলি বাহীনির হামলার প্রতিক্রিয়ায় গত এপ্রিলে ইসরাইলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান।

সম্প্রতি তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলি সরকারকে শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে ইরান সরকার।

ইসরাইলি সূত্রগুলো জানিয়েছে, হানিয়াকে হত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে লেবাননের বৈরুতে হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরকেও হত্যা করে ইসরাইল। এতেই উদ্বেগ আতংক আরও তীব্র হয়েছে।

এদিকে সিমা কাদমন নামে এক ইসরাইলি বিশ্লেষক বলেছেন, ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার এ ভয় ইসরাইলিদের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করছে।

ইসরাইলি ইয়েদিওথ আহরোনোথ পত্রিকার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন, ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার ভয়ে ইসরাইলিরা তাদের ঘরেও ঘুমাতে পারছে না।

তিনি বলেন, একটি গবেষণায় দেখা গেছে, তেলআবিবের ৪৪ শতাংশ বাসিন্দা পারস্য উপসাগরে যুদ্ধের সময় তাদের বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি। যদি এখনও সমীক্ষা করা হয়, তাতে দেখা যাবে, ইরানের আক্রমণের ভয়ে ঘুমাতে পারছে না এমন ইসরাইলি জনগণের সংখ্যা ৪৪ শতাংশের বেশি হবে।

ইসরাইলি এ বিশ্লেষক এমন সময়ে এ মন্তব্য করলেন, যখন ইরান হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ইরান ও হিজবুল্লাহর হামলার তীব্র আশংকা করছে ইসরাইলি মিডিয়াগুলোও।


আরও খবর



আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সিলেটের কৃষকরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

আগাম শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন সিলেটের কৃষকরা। এরমধ্যে চারাসহ জমি প্রস্তুতের কাজ চলছে পুরোদমে। আগাম সবজি চাষে বেশি টাকা আয় করা সম্ভব সেই দিক বিবেচনা করে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আর এসব সবজি চাষে আগ্রহ বাড়ছে নতুন করে অনেক কৃষকের।

জানা যায়, গত কয়েক বছর থেকে সিলেট অঞ্চলে বেড়েছে আগাম শীতকালীন সবজির চাষ। আর এসব চাষাবাদ করে বাড়তি টাকাও আয় করা সম্ভব হচ্ছে। তাছাড়া আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা থেকেই বেশি আবাদ করা সম্ভব। গত বছরের মতো আবহাওয়া থাকলে এ বছরেও লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশি অর্জিত হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে চলতি মৌসুমে বন্যায় এ অঞ্চলের কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সেসব কাটিয়ে উঠতে জেলার গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোলাপগঞ্জ, জৈন্তাপুরসহ বেশ কিছু এলাকার কৃষকরা আগাম সবজি চাষ করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছেন। প্রতিদিন এসব জমিতে পরিচর্যা করছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাও এলাকায় গেলে কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হয়। তারা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগাম জাতের সবজির উৎপাদন ভালো হবে। এসব জমি প্রস্তুত করা হচ্ছে টমেটো, ফুলকপি, বাঁধা কপিসহ শীতকালীন শাকসবজি রোপণের জন্য। শীতের আগেই যদি এসব সবজি আবাদ করা যায় তাহলে বাজারের দর বেশি পাওয়া যায়। সেই চিন্তা মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছেন কৃষকরা।

গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাও এলাকার কৃষক হাসনাত ইসলাম বলেন, গত বছর চার বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছিলাম। প্রতি বিঘা জমির সবজি বিক্রি করে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। তাই এ বছর আরও দুই বিঘা বেশি জমিতে চাষাবাদ করব। প্রতি বিঘা জমিতে টমেটোর চারা থেকে শুরু করতে ফসল আসার আগ পর্যন্ত ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়। আগাম সবজি চাষ করতে তুলনামূলক একটু বেশি খরচ হয় বলে তিনি জানান।

আরেক কৃষক জামাল আহমেদ বলেন, আগাম সবজি চাষ করলে বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়। এজন্যে গত কয়েক বছর থেকে প্রতিনিয়ত এ অঞ্চলের কৃষকরা আগাম সবজি চাষে ঝুকছেন। এতে লাভবান হচ্ছেন অনেকে। এসব সবজি চাষে যত্ন অনেক বেশি নিতে হয়। তাছাড়া এসব সবজিত চারা, গাছ বিভিন্ন রোগ আক্রান্ত হয়, সেসময় বিভিন্ন কীটনাশক সবজিতে দিতে হয়। সেক্ষেত্রে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা তাদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে থাকেন বলে তিনি জানান।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের অতিরিক্ত উপপরিচালক মোহাম্মদ আনিছুজ্জামান বলেন, এ বছর সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়নি, এ সপ্তাহের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হবে। তবে গত বছরের মতোই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর শাক-সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১ হাজার ৫২০ হেক্টর আর আবাদ হয় ৫৪ হাজার ২৭৩ হেক্টরে।

তিন দফা বন্যায় সিলেটের কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কোন প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, মৌসুমের রোপা আমনের ৪ হাজার ৮শ জন কৃষককে প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক মোহাম্মদ খয়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন, সিলেটের কৃষকরা আগাম সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। গত বছর টমেটো, ফুলকপি, আলুসহ শীতকালীন শাক-সবজি চাষ করে অনেকে লাভবান হয়েছেন, ফলে কৃষকরা এসব চাষে ঝুঁকছেন। আমরাও মাঠ পর্যায়ে সার্বক্ষণিক কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি মাঠে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সকল উপজেলার মাঠ পর্যায় কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে তারা যেন এসব চাষাবাদ নজরদারি করেন। তাদের সুবিধা-অসুবিধা দেখার জন্য। কোনো সবজি যেন রোগাক্রান্ত না হয়। আমরা জেলা কর্মকর্তারাও নিয়মিত এসব কার্যক্রম তদারকি করছি।

তিনি বলেন, বন্যার মতো বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষকরা আগাম সবজি চাষে লাভবান হবেন। গত বছরের ন্যায় এ বছরও আমাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আশা করছি।

নিউজ ট্যাগ: শীতকালীন সবজি

আরও খবর



হেফাজতের সমাবেশে গুলি: শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের নামে মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মতিঝিল শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত ইসলামের সমাবেশে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী-আল ফারাবীর আদালতে এ মামলা করেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারী। এর আগে জাকী-আল ফারাবীর আদালতে মামলার আবেদন করেন এই রাজনীতিবিদ।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামরিক উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ফজলে নূর তাপস, সাবেক সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, হাসান মাহাবুব খন্দকার, র‌্যাবের সাবেক প্রধান এ কে এম শহিদুল হক, এনএসআইয়ের সাবেক প্রধান জিয়াউল হাসান, মতিঝিল বিভাগের সাবেক ডিসি বিপ্লব কুমার সরদার, মতিঝিল থানার সাবেক ওসি ওমর ফারুক, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মুনসুর আহমেদ, তৎকালীন মতিঝিল থানার ছাত্রলীগ সভাপতি মাহাবুবুল হক হিরন, ইমরান, আওয়ামী লীগ নেত্রী মমতাজ পারভীন, মতিঝিল থানার সাবেক ওসি ফরমান আলী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন সালু, মতিঝিলের সাবেক ডিসি নাজমুল আলম, হামদাদ গ্রুপের অবসরপ্রাপ্ত ডাইরেক্টর মেজর ইকবাল ও আশরাফুজ্জামান।

ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পদত্যাগের পর ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তার বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা হত্যায় ঢাকাসহ সারাদেশে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের চারদিন পর গত ৮ আগস্ট রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।


আরও খবর



আল-আকসা প্রাঙ্গণে ইহুদি উপাসনালয় নির্মাণ করব: ইসরায়েলি মন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের ডানপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামর বেন-গভিরের মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। তিনি বলেছেন, পশ্চিম জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে সুযোগ পেলে ইহুদি উপাসনালয় নির্মাণ করবেন। তার এমন বক্তব্যের পর মুসলিম দেশগুলো কড়া সমালোচনা করছে। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনলাইন প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার আর্মি রেডিওকে ইসরায়েলি এই মন্ত্রী বলেছেন, সম্ভব হলে তিনি আল-আকসা প্রাঙ্গণে সিনাগগ (ইহুদিদের উপাসনালয়) নির্মাণ করবেন। সাক্ষাৎকারে বেন-গভীর আরও বলেন, আমার চাওয়া অনুযায়ী যদি সবকিছু করতে পারতাম তাহলে ওই জায়গায় একটি ইসরায়েলি পতাকা লাগাতাম।

ইসরায়েলি মন্ত্রী এসব মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে, জর্ডান, সৌদি আরবসহ আরও অনেকে। এনিয়ে ইসরায়েল সরকারের নীতিমালা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

আল-আকসা প্রাঙ্গণ ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম জায়গা এবং ফিলিস্তিনিদের জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক। মিডল ইস্ট মনিটরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক একটি দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি অনুযায়ী ইহুদিদের আল-আকসায় প্রার্থনা করার অনুমতি নেই।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসায় পর আল-আকসায় অন্তত ছয়বার যান বেন-গভির। এই নিয়ে তীব্র নিন্দার কবলে পড়েন তিনি।


আরও খবর



ভোর থেকে ঢাকায় মুষলধারে বৃষ্টি, মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে অঝর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছে। এরপর নগরীর একাধিক জায়গায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। দুর্ভোগ বেড়েছে শ্রমিক, দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও।

সকাল ৭টার দিকে গ্রিন রোডে সিএনজিচালিত কয়েকটি অটোরিকশা পানিতে আটকে থাকতে দেখা যায়। কারওয়ান বাজারে রিকশার আসন পর্যন্ত পানি উঠতে দেখা গেছে।

এ ছাড়া মহাখালী, সাতরাস্তা, আদাবর, নূরজাহান রোড, ধানমন্ডি, কলাবাগানের বশিরউদ্দিন রোড, কাঁঠালবাগান, শেওড়াপাড়া, মালিবাগ, পশ্চিম তেজতুরী বাজার, বংশাল, বকশীবাজার, সাতরাস্তা, তেজগাঁও, তেজকুনিপাড়া, মিরপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর, ধানমণ্ডি, গুলশান, বারিধারা, বিমানবন্দরসহ আশপাশের এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। এ সময় থেমে থেমে বজ্রপাতও হয়েছে।

কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউতে মূল সড়কের একাংশ পানিতে ডুবে থাকতে দেখা গেছে। ফলে গাড়িগুলোকে রাস্তার একপাশ দিয়ে চলতে দেখা গেছে। এতে যানজট হয়েছে।

এর আগে আবহাওয়া পূর্বাভাসে মঙ্গলবার সারাদেশে বৃষ্টির কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এদিকে সবশেষ ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ উড়িষ্যা এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বর্তমানে ছত্তিশগড় এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, স্থল নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল, উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে- রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।


আরও খবর



রংপুর কারাগারে কয়েদিদের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি

Image

রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কারাগারে একজন কয়েদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার সকাল থেকে কারাগারের ভেতরে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে কারাগারের ভেতর থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। এসময় মানুষজন ছুটোছুটি করছিল। সবার মধ্যে একটা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দেয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কারাগারের ভেতরের গাছ  থেকে আমড়া পেড়ে খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুজন কয়েদির মধ্যে ঝগড়া বাধে। এই দুই কয়েদি হলেন বাহার ও রফিকুল। বিবাদের একপর্যায়ে রফিকুল বাহারকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। কারাগারের নার্স এসে বাহারের শরীরের পালস পাচ্ছিলেন না। তাকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক বাহারকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আরও বলেন, কয়েদির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপুরে কারাগারের ভেতরের কয়েদিরা প্রধান ফটক ধাক্কাধাক্কি করার চেষ্টা করলে কারারক্ষীরা ফাঁকা গুলি ছোড়েন।

বর্তমানে সেনা সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।


আরও খবর