আজঃ বুধবার ০৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

আগামী বছরও থাকবে মূল্যস্ফীতির চাপ

প্রকাশিত:বুধবার ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ছয় মাস পার হয়েছে মূল্যস্ফীতির চাপে। দেশে মূল্যস্ফীতির এ চাপ আগামী বছরও অব্যাহত থাকবে। বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বিবেচনায় এমন আশঙ্কা করছে সরকার। এজন্য সরকার আগামী অর্থবছরের বাজেটে সম্ভাব্য মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ নির্ধারণের প্রাথমিক পরিকল্পনা নিয়েছে। 

একই সঙ্গে সরকারের নীতিনির্ধারকরা মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছেচলতি অর্থবছর বাজেটে রাখা লক্ষ্যমাত্রার মূল্যস্ফীতির মধ্যে দেশকে আটকে রাখা যাবে না। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবশেষ তথ্যানুযায়ী, জুলাই-নভেম্বর পর্যন্ত দেশে সার্বিক গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এটা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক বেশি। সরকার আশা করছে , বছর শেষে এটাও ৭ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখা যাবে।  অন্যদিকে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে করোনা-পরবর্তী ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব এই সময় দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি পড়েছে। এতে অভ্যন্তরীণ কৃষি, সেবা ও শিল্পের সার্বিক উৎপাদন কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। আবার রাজস্ব আয়ে প্রবৃদ্ধি থাকলেও সেটি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক কম। এসবের নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি)।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন, এর ফলে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেটে রাখা গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সূচকের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন শেষ পর্যন্ত সম্ভব হবে না। এ অবস্থায় চলতি বাজেটে নেওয়া জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার লক্ষ্যমাত্রা থেকে কমিয়ে তা ৬ দশমিক ৭ শতাংশে পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে। 

এ ছাড়া সরকারের রাজস্ব আয়ের পরিস্থিতিই বা কোন পর্যায়ে? বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বাস্তবায়ন কতটা হয়েছে? মুদ্রা বাজারে মুদ্রার সরবরাহ ও ভারসাম্য কী অবস্থায় রয়েছে? আমদানি ব্যয় কতটা নিয়ন্ত্রণেএর বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কোন স্তরে রয়েছে? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবং বাজেটের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সূচক পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে আজ অর্থনীতি মূল্যায়নের বৈঠকে বসছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা। আর্থিক, মুদ্রা ও বিনিময় হার সংক্রান্ত অর্থনৈতিক কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের এই বৈঠকে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের গত পাঁচ মাসের অর্থনীতির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, বৈঠকে দেশের অর্থনীতির সার্বিক চালচিত্রের হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরাসহ সেই আলোকে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট কেমন হতে পারে, তারও একটি সম্ভাব্য রূপরেখা অর্থমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করবেন সিনিয়র অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন। এদিকে গত চার মাসে দেশে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি আছে ১৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। সরকার রাজস্ব আয়ে এই প্রবৃদ্ধিকে সন্তোষজনক আখ্যা দিয়ে অর্থবছরের বাকি সময়ে এটা আরও বাড়বে। এমন সম্ভাব্যতা ধরে নিয়ে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রায় কোনো কাটছাঁট না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ২ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকার ব্যয় ধরা হলেও বাস্তবায়ন পর্যায়ে এসে চরম ধাক্কা খায় সরকার। দেশে বেশিরভাগ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয় আমদানি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কিন্তু বৈশ্বিক বাস্তবতায় আমদানি পণ্য ও ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে সরকারকে শেষ পর্যন্ত কৃচ্ছ্র ও ব্যয় সংকোচনের নীতি গ্রহণ করতে হয়। অনেক প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা হয়। কিছু প্রকল্পে অর্থ ছাড় কঠোর করা হয়। এভাবে বছরের প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হওয়ায় সরকার ধরেই নিয়েছে, এডিপি লক্ষ্যমাত্রার বড় অংশ অর্জিত হবে না। সে কারণে প্রস্তাবিত বাজেটে রাখা এডিপির আকারও বড় ধরনের কাটছাঁট হচ্ছে। দায়িত্বশীল সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সংশোধন পর্যায়ে এডিপির আকার কমতে পারে ২০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। একই কারণে সরকারের ঘাটতির হিসাবও কমবেশি হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেসরকারি আর্থিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, চলমান বৈশ্বিক বাস্তবতায় প্রস্তাবিত বাজেটের অনেক লক্ষ্যমাত্রাই পূরণ হবে না। সরকারের উচিত সেগুলো কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকের মাধ্যমে সঠিকভাবে তুলে এনে লক্ষ্যমাত্রাগুলোর যেখানে যেখানে সংশোধন প্রয়োজন, তা সুনির্দিষ্ট করা। কেননা, এই সংশোধনী বা অর্থনীতি মূল্যায়নের উদ্যোগ পরবর্তী বাজেটের প্রাক্কলন নির্ধারণেও সহায়ক ভূমিকা রাখে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি এবং এডিপিতে সরকারের লক্ষ্যমাত্রাগুলোর সংশোধন হওয়া প্রয়োজন। রাজস্ব আয়েও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। সেখানেও হয়তো একটা মাঝারি ঘাটতি থেকে যাবে। এ দিকটিতেও সরকারের নজর দেওয়া উচিত। যদি সেটি করে থাকে তাহলে বলব, সরকার আগামীর অর্থনীতির জন্য কার্যত সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের এই বৈঠকে দেশের রাজস্ব নীতি, মুদ্রা ও আর্থিক নীতি এবং মুদ্রা বিনিময় হার নীতি ও কৌশলের মধ্যে সমন্বয় রক্ষায় করণীয় নির্ধারণ এবং মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামোর সম্ভাব্য রূপরেখা দেওয়া হবে। এর লক্ষ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে দেশে মুদ্রা সরবরাহ পরিস্থিতি ও ব্যাংক খাত থেকে সরকারি ঋণ গ্রহণের পরিমাণ বিষয়ক তথ্যাদি উপস্থাপন করা হবে। মুদ্রা সরবরাহ ও লেনদেনের ভারসাম্যের ওপর সরকারের অর্থনৈতিক নীতি কৌশলের প্রভাব পর্যালোচনা করা হবে।

এতে সামষ্টিক অর্থনীতির ওপর কর, বাজেট এবং ঋণ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নীতির প্রভাব সম্পর্কে কাউন্সিলের নজরে আনবে অর্থ মন্ত্রণালয়। সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বাণিজ্য ও শুল্ক নীতির প্রভাব কাউন্সিলকে উপস্থাপন করবে বাণিজ্য সচিব। দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি, সরকারের ঋণ, সার্বিক আমদানি পরিস্থিতিসহ অর্থনীতির হাল অবস্থা তুলে ধরবে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিনিধি। বৈদেশিক ঋণ পরিস্থিতি পাইপলাইনসহ সার্বিক চিত্র তুলে ধরবেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব এবং পরিকল্পনায় মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সচিব তুলে ধরবেন বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) হালনাগাদ চিত্র। সবশেষে বৈঠকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, রাজস্ব, মুদ্রা ও বহিঃখাতের অর্থনীতির চলকগুলোর লক্ষ্যমাত্রা পর্যালোচনা করা হবে। এরপর ক্ষেত্রভেদে অর্থনীতির কোনো কোনো সূচকের লক্ষ্য সংশোধন বা পুনর্নির্ধারণ করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: মূল্যস্ফীতি

আরও খবর



আশুলিয়ায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শরবত বিতরণ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলামের দিক নির্দেশনায় এবং উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি, মোজাফফর হোসেন জয়ের সার্বিক সহযোগিতায়, তীব্র গরম ও তাপপ্রবাহে আশুলিয়ায় পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ করেছে সামাজিক ব্লাড ডোনার টিমের স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা।

গতকাল সোমবার দুপুরে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থানরত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে, সামাজিক ব্লাড ডোনার টিমের শেরআলী মার্কেট শাখা এই শরবত বিতরণ করেছে।

শেরআলী মার্কেট শাখা টিম লিডার ইমাম হুসাইন বলেন, আমরা পানীয় লেবুর শরবতের পাশাপাশি খাবার সেলাইন ও পানির বোতল বিতরণ করছি। সামনের দিনগুলোতেও আমাদের অন্যান্য শাখা টিম এই কাজ চলমান রাখবে যতদিন তাবদাহ থাকবে। এছাড়াও দেশের এই বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে, আমাদের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি চলমান রয়েছে, যা বাস্তবায়নে আমাদের সকল শাখা টিম একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।

সংগঠনটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ মোজাফফর হোসেন জয় এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও আজকের দর্পণের আশুলিয়া প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান খাইরুল, দৈনিক নয়া দিগন্তের আশুলিয়া প্রতিনিধি এবং আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের সদস্য মোঃ মশিউর রহমানসহ আরও অনেকে এসময় এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।

সাংবাদিক মোজাফফর হোসেন জয় জানান, কয়েকদিন ধরে বাড়ছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনসাধারণ। বিশেষ করে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষেরা পড়ছে চরম বিপাকে। রাস্তায় বেড় হলে প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণার্ত হচ্ছেন তারা। এতে করে হিটস্ট্রোকের সম্ভবনা রয়েছে। তাদের কথা ভেবেই শরীর শীতল রাখার জন্য সামাজিক ব্লাড ডোনার টিম এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি সর্বসাধারণের প্রতি অনুরোধ করে  আরও জানান, রাস্তায় বেড় হলে রোদ থেকে কিছুটা রক্ষার জন্য ছাতা ও একটি পানির বোতল সঙ্গে নিতে। যাতে হিটস্ট্রোকের মতো ঝুঁকি থেকে আমরা সকলে রেহাই পেতে পারি।

উল্লেখ্য এই সংগঠনটির উদ্যোগে এর আগেও ফ্রী ব্লাড গ্রুপিং ও রক্ত দেওয়াসহ নানা রকম সামাজিক কাজ করে আসছে।


আরও খবর



বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না : কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি এদেশের সাম্প্রদায়িকতার বিশ্বস্ত ঠিকানা, জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক বলে মন্তব্য করেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উদযাপন উপলক্ষে বাহাদুর শাহ পার্কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বাঙালি সংস্কৃতিকে সহ্য করতে পারে না।  তাদের চেতনা ও হৃদয়ে পাকিস্তান।

বিএনপি-জামায়াত বাঙালি সংস্কৃতি চেতনার, মুক্তিযুদ্ধের শত্রু উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আজকে কোনো রাখঢাক নেই, আজকে যারা সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক সে বিএনপি-জামায়াত হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতি চেতনার, মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। এই শত্রুকে আসুন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাঙালির ঐতিহ্যবাহী চেতনায় আমরা প্রতিহত করি, পরাজিত করি।

কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে শিশু আজও সমুদ্রের মুখ দেখেনি, যে শিশু অকালে ঝরে যায়, বনফুলের মতো ফুটে, বনফুলের মতো অদৃশ্য হয়ে যায়, কমলা রঙের অপরাহ্ণের রৌদ দুহাতে গালে মাখে, সে শিশুদের জন্য বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা নির্মাণ করবো।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ।


আরও খবর



১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪০৯৬ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধ পথে দেশে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে) পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৯৬ কোটি টাকার বেশি। এ হিসাবে গত ১৯ দিনে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার বা ৭৪১ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে পুরো মাস শেষে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি এপ্রিল মাসের ১৯ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। তার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৩২ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা রয়েছে ৯টি। যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

এর আগে বিদায়ী মার্চ মাসের পুরো সময়ে বৈধ পথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসটির পুরো সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গের ৭ জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের সাত জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কোথাও তাপমাত্রা উঠেছে ৪২ ডিগ্রির বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়ে। সোমবার ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।

অধিদপ্তর জানায়, পানাগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড় ছাড়াও আরও ছয় জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। মেদিনীপুরে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বর্ধমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ব্যারাকপুর ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কলাইকুণ্ডায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনের তাপমাত্রা।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুষ্ক পশ্চিমা এবং উত্তর-পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে। আগামী চার-পাঁচ দিন পশ্চিমবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে।

এছাড়া উপকূলবর্তী অঞ্চলে বাতাসে আর্দ্রতা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ থাকতে পারে।


আরও খবর



টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বরেকর্ড গড়ে জিতল পাঞ্জাব

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আইপিএলের ইতিহাসে ইডেন গার্ডেন্সে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। এক ইনিংসে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বাধিক রান। বেশ কয়েকটি রেকর্ড গড়েই স্কোরবোর্ডে ২৬১ রানের বিশাল পুঁজি গড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। তবে চার ছক্কার বৃষ্টির ম্যাচে পাহাড়সম পুঁজিও জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না কলকাতার জন্য। ৮ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে পাঞ্জাব সুপার কিংস। শুধু আইপিএল নয়, যে কোনো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সর্বোচ্চ রান তাড়ায় নজির গড়ল প্রীতি জিনতার দল।

শুক্রবার ইডেন গার্ডেন্সে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার ফিল সল্ট আর সুনীল নারিনের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করে ৬ উইকেটে ২৬১ রানের বড় পুঁজি গড়েছিল কলকাতা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে জনি বেয়ারেস্টোর দুর্দান্ত শতকে ভর করে ৮ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। ৪৮ বলে ৮ চার ও ৯ ছক্কায় ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন বেয়ারেস্টো। এ ছাড়া ২৮ বলে ৬৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন শশাঙ্ক সিং।

ভারত-বাংলাদেশসহ এশিয়ার এই অঞ্চলে কার্যত প্রবল খরা চলছে। ঝড় বৃষ্টির দেখা নেই কোথাও। তাপপ্রবাহ প্রতিদিনই রেকর্ড ভাঙছে। এর মধ্যেই কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের বাইশগজে যেন কালবৈশাখী তুফান ছোটালেন দুই দলের ব্যাটাররা। একটা পরিসংখ্যানে আরেকটু পরিস্কার করা যাক এই ম্যাচটা। কলকাতা ও পাঞ্জাব মিলে ৩৮.৪ ওভারে রান করেছে ৫২৪! উভয় দল ছক্কা মেরেছে ৪২টি! যা টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড। এ ছাড়া আজকের ম্যাচে চারের মার রয়েছে ৩৮টি! মোট চার-ছক্কা ৮০টি! শুধু ছক্কা থেকে এসেছে ২৫২ রান (প্রায় ৫০%)।

চলতি আসরে যেন উড়ছিল কলকাতা। এদিনও টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে কলকাতাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ফিল সল্ট ও সুনীল নারিন। দুজনে মিলে পাওয়ার প্লেতে যোগ করেন ৭৬ রান। ৮ ওভারেই তিন অঙ্ক ছাড়িয়ে যায় স্বাগতিকরা। ৩৭ বলে ৩৫ রান করে সল্ট সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ১৩৮ রানের উদ্বোধনী জুটি।

সল্টের মতোই তাণ্ডব চালিয়েছেন নারিনও। তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৭১ রান। এই ইনিংস খেলার পথে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে শীর্ষ দুইয়ে উঠে এসেছেন এই ক্যারবিয়ান ওপেনার। চলতি আসরেই তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছেছেন।

দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া ভিতে দাঁড়িয়ে বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। পাঁচে নেমে ১২ বলে ২৪ রান করেছেন আন্দ্রে রাসেল। শ্রেয়াস আইয়ারের ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ২৮ রান। তাছাড়া ২৩ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন ভেঙ্কেটেশ আইয়ার।

২৬২ রানের লক্ষ্য একপ্রকার অসম্ভবই ছিল পাঞ্জাবের কাছে। এমনিতেও ভালো ফর্মে নেই তারা। কিন্তু প্রথম থেকেই মারকুটে ব্যাটিং শুরু করেন প্রভসীমরন সিং আর জনি বেয়ারস্টো। প্রভসীমরনের ৫৪ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি ছয় ও চারটি চারের মার। অন্যদিকে বেয়ারস্টো তুলে নেন নিজের দ্বিতীয় আইপিএল সেঞ্চুরি। বলতে গেলে তাঁর হাতেই পরাস্ত হয় কেকেআর। মাঝে রাইলো রুশো ঝড় তোলার আভাস দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ফিরে গেছেন ১৬ বলে ২৬ রান করে। ইডেনের আলো ঝলমলে রাতে শেষের দিকে সব আলো কেড়ে নেন শশাঙ্ক সিং। ২৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে ৮টি ছয়।

কলকাতার হয়ে একমাত্র সাফল্য পেয়েছেন নারিন। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে এক উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া কেউই উইকেটের দেখা পাননি।


আরও খবর
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪