আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

আগুন লাগা ভবনের ছাদে আটকা ৫০ জনের বেশি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে লাগা আগুনের মধ্যে অনেকে আটকা পড়েছেন। এরমধ্যে ভবনটির ছাদে আটকে আছেন প্রায় ৫০ জন।

আগুন লাগার পরই ঘটনাস্থলে আসে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। তবে এখনো ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি ৷ ওই রেস্টুরেন্টটির জানালার পাশে স্বজনদের দেখে আহাজারি করছে মানুষ।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টায় বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে আগুন লাগার পর এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, রেস্টুরেন্টের মধ্যে আগুনে আটকা পড়া একজনের স্বজন তাকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, ছাদে উইঠা যা; ছাদে ক্যারেন (উচু স্থান থেকে উদ্ধারকারী যন্ত্র) পাঠাইছে। তিনি বলেন, আমার আপন ভাই আগুনে আটকা পড়ছে ওর নাম ফয়সাল।

এদিকে ছাদ থেকে উদ্ধার হওয়া একজন বলেছেন, ছাদে অন্তত ৫০ জনের মতো আছে। পুরা ছাদ ভর্তি মানুষ। তবে এখনো সবাই ঠিক আছে।

এর আগে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে আগুন লাগার সংবাদ আসে। সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে আমাদের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, ভবনটির পাঁচতলা পর্যন্ত সব ফ্লোরে আগুন দেখা যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ভেতরে অনেক লোক আটকা পড়েছে।


আরও খবর



রমজানের পর শসার কেজি আড়াই টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুরে শসার দামে ধস নেমেছে। দিনাজপুরের খানসামায় চলতি মৌসুমে শসার ফলন ভালো হলেও হঠাৎ দাম কমাতে হতাশ হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। যেই শসা কিছু দিন আগেও পাইকাররা ক্ষেত থেকে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনেছেন এখন তারা ২ টাকা কেজি দরেও কিনতে রাজি হচ্ছেন না।

এ ছাড়াও কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। খানসামা বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে আড়াই টাকায়। দাম কমে যাওয়ায় হতাশ চাষিরা। অন্যদিকে খুশি নিম্ন আয়ের মানুষজন।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানে কম বেশি শসার সরবরাহ রয়েছে। তবে ক্রেতা না থাকায় প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে দুই টাকা পঞ্চাশ পয়সা কেজি দরে। রমজান মাসেও এই শসার কেজি ছিল ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে। তখন অনেক ক্রেতাই কিনতে পারেনি। এখন দাম কমে যাওয়ায় অনেকেই কিনছেন।

উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের ছাতিয়নগড় গ্রামে কথা হয় শসা চাষি মো. রশিদুলের সঙ্গে। তিনি বলেন, এ বছর তিনি এক একর জমিতে শসার আবাদ করেছেন। খরচ হয়েছে এক লাখ চল্লিশ হাজার টাকা। এখন যে দাম, তাতে শ্রমিকদের মজুরি খরচই উঠছে না।

বাজারে সবজি কিনতে আসা আ. সুবহান বলেন, দাম এখন হাতের নাগালেই আছে। রমজান মাসের তুলনায় অনেক দাম কম। সবজির দাম কম থাকলেও বাকি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম অনেক চড়া।

খানসামা বাজারের বিক্রেতা শাহীন বলেন, রমজান মাসে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি ছিল। এখন সরবরাহ অনেক বেশি তাই দাম কম। তবে দাম কম হলেও বাজারে শসার ক্রেতা কম। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির দামও অনেক কম। ক্রেতারা সাধ্যমতো কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

নিউজ ট্যাগ: শসা

আরও খবর
কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনে বাধা দেওয়া, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে গুরুতর ও অযৌক্তিক বাধাসহ বাংলাদেশে সরকারে আছে মারাত্মক দুর্নীতি। এছাড়া দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর আছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। সরকারের তরফ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নিষ্ঠুর নির্যাতন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ ও শাস্তি দেওয়া হয়। আছে জীবনের প্রতি হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক বন্দি ও আটক। জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি এমন অজুহাতে মিথ্যা অভিযোগসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে এসব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ওই বছরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা পুনঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সময় গত রাতে এই রিপোর্ট প্রকাশ পায়।

এতে বলা হয়েছে, ওই বছরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বাংলাদেশের হাসপাতালে।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে এতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে ২০০৮ সালের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে তাকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করে গৃহবন্দি করা হয়। রাজনৈতিক বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও দেশের ভিতরকার আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণে ঘাটতি আছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, তাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক ছক সাজানো হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রসিকিউটররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংবিধান সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়ার সদস্যসহ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারে ঘন ঘন হস্তক্ষেপ করেছে। এক্ষত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সীমাবদ্ধতা আছে। সরকারের হয়রানি অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার ভয়ে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্র মিডিয়ার সদস্যরা ও ব্লগাররা নিজেরাই সেন্সর করেছেন। এতে তুলে ধরা হয়েছে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র, বিচারের ক্ষেত্রে হয়রানি, খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারসহ নানা রকম নিষ্পেষণের কথা।

রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার করার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সেই আদালত শাস্তি দিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে মৃত্যুদণ্ড। এ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, আদালত বিশেষত বাছাই করে অভিযুক্ত করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের। এতে খেয়ালখুশিমতো ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ বেআইনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তার তদন্ত নিজেরাই করেছে। তারা এমন সব ঘটনা ঘটিয়েছে যেখানে তাদের শারীরিক মারাত্মক প্রহারে মানুষ আহত হয়েছে অথবা মারা গেছেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে কতজন মানুষ মারা গেছেন তার মোট কোনো সংখ্যা সরকার প্রকাশ করেনি। এমনকি এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তও করেনি। এই তদন্ত যারা করেছেন তাদের স্বাধীনতা ও পেশাগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা বছরেই আইন প্রয়োগকারীরা তল্লাশি বা রেইড দিয়েছে কথিত সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকাণ্ড, মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে। কোনো কোনো ঘেরাওয়ের কালে, গ্রেপ্তারকালে সন্দেজজনক কিছু মৃত্যু ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে অন্য আইন প্রয়োগকারীদের অপারেশনেও। রিপোর্টে আরও বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যায় গত বছর। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও শালিশ কেন্দ্র রিপোর্ট করেছে যে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অথবা হেফাজতে থাকা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে দুজন আইন প্রয়োগকারী এজেন্সির গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনজন নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার আগে বা হেফাজতে নেওয়ার পর শারীরিক নির্যাতনে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকার  বিরুদ্ধে প্রাপাগাণ্ডা ছড়ানোর কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সারাবছরই সরকার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আইনমন্ত্রী রিপোর্ট করেছেন যে, সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ৭০০০ মামলা মুলতবি আছে।


আরও খবর



সিডনির শপিং মলে ছুরি হামলা, নিহত ৫

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের রাজধানী সিডনির একটি শপিং মলে ছুরি হামলা হয়েছে। এতে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তাদের বেশিরভাগের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর- সিডনি মর্নিং হেরাল্ড।

শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার কিছু আগে বন্ডি জাংশন শপিং সেন্টারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারী একজন পুরুষ এবং তাকে থামাতে পুলিশকে গুলি করতে হয়েছে। সে এখনো বেঁচে আছে কি না-নিশ্চিত নয়।

শপিং মলটির অবস্থান সিডনির ওয়েস্টফিল্ড এলাকায়। হামলা ঘটার পর পুলিশ মলটির আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে।

এ ইস্যুতে আরো তথ্য জানতে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, আমাদের তদন্ত চলছে। এখন এ ব্যাপারে আর বেশি কিছু বলার সুযোগ নেই।


আরও খবর



মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বিজিপির আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমারে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘাতের জেরে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ৫ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছেন।

রবিবার (১৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের খারাংখালি পয়েন্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরে তাদেরকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবির) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাত চলছে। এ কারণে প্রায়ই টেকনাফ সীমান্তে মর্টারশেল ও গোলার শব্দ ভেসে আসে। এর মধ্যেই গতকাল রবিবার সকালে নতুন করে বিজিপির ৯ সদস্য টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে একই দিন রাত ১১টার দিকে খারাংখালি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে আরও বিজিপির ৫ সদস্য বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে তাদের বিজিবির সদস্যরা নিরস্ত্র করেন।

এর আগে উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ৩৩০ জন এবং নাইকংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৮০ জন মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আশ্রয় নিয়েছিল। পরবর্তীতে ৩৩০ জনকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। এ ছাড়া নাইকংছড়ি বিজিবি হেফাজতে রয়েছে ১৮০ জন সদস্য।


আরও খবর
কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪




জয়পুরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই সমর্থককে কুপিয়ে জখম

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের দুই সমর্থকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদারের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের বারইল নলপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, বারইল নলপুকুর গ্রামের মৃত বাদেশ সাখিদারের ছেলে পলাশ সাখিদার (৩৮) এবং একই গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে নাসির হোসেন (৩২)। তারা দুজনই চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থক।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহতদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বারইল নলপুকুর গ্রামে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুলাল মিয়া সরদারের নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে এশার নামাজ চলাকালীন সময় প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী তাইফুল ইসলাম তালুকদার ও বকুল মণ্ডলের লোকজন পটকা ফাটায়। এ নিয়ে দুলাল মিয়া সরদারের সমর্থক পলাশ তাদের নিষেধ করলে তারা পলাশকে মারধর করে। পরে পলাশ তার বাড়ির সামনে গিয়ে তাদের উপর আঘাত করতে চাইলে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে জখম করে।

এ সময় নাসির হোসেন নামে আরও একজন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দুলাল মিয়া সরদার বলেন, আমি আহতদের খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান তাইফুল ইসলাম তালুকদারকে কয়েকবার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আমি হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের খোঁজখবর নিয়ে নিজে ঘটনাস্থলে এসেছি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। তবে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।


আরও খবর
কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪

কারামুক্ত হলেন মামুনুল হক

শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪