সরকারি আদেশ বা জিও-তে অসাবধানতাবশত ভুলে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের জার্মানি সফর নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ সদরদপ্তর।
পুলিশের জন্য বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম ক্রয় একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সরকারি ক্রয় নীতিমালা অর্থ্যাৎ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুল (পিপিআর) অনুসরণ করেই এ ধরনের কেনাকাটা সম্পন্ন করা হয়ে থাকে।
এসব ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রয়কারী কর্তৃক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং উৎপাদনের সংশ্লিষ্ট কাঁচামাল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে বলে দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (জনসংযোগ) মো. কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘এ সফরকে কেন্দ্র করে যে সরকারি আদেশ বা জিও জারি হয়েছিল তাতে অসাবধানতাবশত ভুল রয়েছে।’
এআইজি কামরুজ্জামান বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে জিওটি পড়লে বোঝা যাবে, আইজিপি এক লাখ বিছানার চাদর ও বালিশের কভার কিনতেই জার্মানি যাচ্ছেন। অথচ বিষয়টি তা নয়। চাদর ও বালিশের কাভার কোনোটিই বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে না। জিওর শব্দগত বিন্যাসের কারণেই এ ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জার্মানি থেকে চাদর আমদানি করা হবে না। বাংলাদেশে যেহেতু ভালো মানের রং তৈরি হয় না, সেহেতু রং যেন ইউরোপীয় মানের হয় সেটা দরপত্রে উল্লেখ ছিল। সেটা দেখতেই পুলিশ মহাপরিদর্শকের এই সফরে যাওয়ার কথা। এর আগের আইজিপিও একই সফর করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, সরকারি আদেশের ভুল সংশোধন না হলে পুলিশ মহাপরিদর্শক জার্মানি সফরে যাবেন না। এ বিষয়ে রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেবে সদর দপ্তর।
অবশ্য আজই বিষয়টি সংশোধন হওয়ার কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে জানা গেছে।