আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

আইপিএল ফাইনাল: রিজার্ভ ডে’তেও বৃষ্টির হানা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বেরসিক বৃষ্টির বাঁধায় আইপিএলের ফাইনাল রোববার মাঠে গড়ায়নি। তবে রিজার্ভ ডে থাকায় আজ (২৯ মে) আহমেদাবাদে বৃষ্টির শঙ্কা থাকলেও ম্যাচ মাঠে গড়ানো নিয়ে আশায় ছিলেন ভক্ত সমর্থকরা। স্বাগতিক দল গুজরাট টাইটান্স পুরো ইনিংস ব্যাটিং করায় স্টেডিয়ামে উত্তেজনার পারদও ওঠে।

গুজরাট টাইটান্সের দেওয়া ২১৫ রানের বড় টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র তিন বল খেলতে পেরেছে চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটাররা। এরপরই অঝোর ধারায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফলে শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামতে পারছেন না ১০ বারের ফাইনাল খেলা মহেন্দ্র সিং ধোনির দল চেন্নাই।

ম্যাচে টস জিতে গুজরাট টাইটানসে ব্যাটিংয়ে পাঠায় চেন্নাই সুপার কিংস। ব্যাটিংয়ে নেমেই চেন্নাইয়ের বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দেন গুজরাটের দুই ওপেনার শুভমান গিল ও ঋদ্ধিমান সাহা। প্রথম দুই ওভারে মাত্র আট রান আসলেও ঝড় শুরু করেন তৃতীয় ওভার থেকে। চাহারের করা তৃতীয় ওভার থেকে আসে ১৬ রান। চতুর্থ ওভারে ১৪, পঞ্চম ওভারে ১১ রান আর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আসে ১৩ রান।

আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন হতে চেন্নাইর দরকার ২১৫ রান

তবে রবীন্দ্র জাদেজার করা সপ্তম ওভারের শেষ বলে ফিরতে হয় আসরজুড়ে আগুনে ফর্মে থাকা শুভমান গিলকে। দলীয় ৬৭ রানের মাথায় ধোনির ক্ষিপ্র স্ট্যাম্পিংয়ে অর্ধশতক তোলার আগেই ড্রেসিংরুমের পথ ধরেন গিল। যাওয়ার আগে ২০ বলে ৭ চারে ৩৯ রান করেন গুজরাটের এই ওপেনার। যদিও দ্বিতীয় ওভারেই ফিরতে পারতেন তিনি। তুষার দেশপান্ডের করা সেই ওভারে গিলের ক্যাচ ফেলেন দীপক চাহার।

গিলের আউটের পর গুজরাটের রান তোলার গতি ধীর হয়ে আসে। দলীয় ১০০ রান আসে ১১ ওভার ১ বলে। তবে দলীয় শতরান পূর্ণ হওয়ার পর খোলস ছেড়ে বের হওয়া শুরু করেন ওয়ান ডাউনে নামা সাই সুধারসন। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন তিনি।

আরও পড়ুন: রিজার্ভ ডেতে গড়াল আইপিএল ফাইনাল

হাফ সেঞ্চুরি করে ১৪তম ওভারের শেষ বলে চাহারের শিকারে পরিণত হন সাহা। যাওয়ার আগে ৩৯ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় করেন ৫৪ রান। চারে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া।

অধিনায়ককে ক্রিজে দেখে ব্যাটিং তেজ আরও বেড়ে যায় সুধারসনের। ১৫তম ওভারে মহেশ থিকসানার বল ২ বার সীমানার ওপারে আছড়ে ফেলেন। দেশপান্ডের করা ১৭তম ওভারে একটি ছক্কার সঙ্গে মারেন ৩টি চার। ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা সুধারসন শেষ পর্যন্ত আউট হন ৯৬ রান করে। ৪৭ বলের ইনিংসি ৮টি চার ৬টি ছক্কায় সাজান তিনি। পান্ডিয়া অপরাজিত ছিলেন ২১ রানে।

আজকের ফাইনালে জিতলে পঞ্চমবারের মতো আইপিএলের শিরোপা ঘরে তুলবে চেন্নাই। আর গতবারের চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটানসের সামনে সুযোগ শিরোপা ধরে রাখার। এই ম্যাচে মাঠে নেমেই একটি রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আইপিএলে এখনো পর্যন্ত ২৫০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক অর্জন করেছেন ভারতের সাবেক এই অধিনায়ক। এই মাইলফলকে পৌঁছানো প্রথম ক্রিকেটার ধোনি। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্ভবত এটাই হতে যাচ্ছে ধোনির ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ।

নিউজ ট্যাগ: আইপিএল ফাইনাল

আরও খবর



পাবনায় আজকের দর্পণের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পাবনায় আজকের দর্পণের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সিনসা পত্রিকার কার্যালয়ে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় পাবনা জেলা প্রতিনিধি মামুন হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন, ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার সভাপতি ও সহকারী অধ্যাপক এস এম মাহবুব আলম, বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন, পাবনা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবীব, পাবনা শহীদ এম মুনসর আলী কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আল আমিন, সাহিত্য ও বির্তক ক্লাবের সভাপতি ড. মো. মনছুর আলম, বাচঁতে চাই নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রব মন্টু।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, কৃষ্ণপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক খন্দকার নাসিমা, টেবুনিয়া ওয়াছিন পাঠশালার প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক, অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন, সহকারী শিক্ষক আশরাফুল ইসলাম, জীবন বীমা কর্পোরেশনের ডিও কবি আজিজা পারভীন, খালেদ আহমেদ, জুলেখা পারভীন, সুদিয়া খাতুন, হুমায়ুন রাশেদ, শিক্ষার্থী তাসফিয়া হোসেন, সুমনা সৃষ্টিসহ আরও অনেকে।

বক্তারা বলেন, আজকের দর্পণ পত্রিকা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে অতি অল্প সময়ের মধ্যে পাঠক নন্দিত হয়েছে। আগামীতেও পত্রিকাটি মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলবে এমনিটি প্রত্যাশা করেন তারা। এসময় বক্তারা, আজকের দর্পণ পত্রিকাটির সাফল্য কামনা করেন।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বিশ্ব ওজোন দিবস আজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ বিশ্ব ওজোন দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য মন্ট্রিল প্রটোকল বাস্তবায়ন করি-ওজোন স্তর রক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করি

ওজোন স্তরের ক্ষয় ও তার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা তৈরিতে প্রতিবছর ১৬ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর ক্ষয়ের জন্য দায়ী দ্রব্যগুলো ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করার জন্য ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ওজোনস্তর ধ্বংসকারী পদার্থের ওপর মন্ট্রিল প্রটোকল গৃহীত হয়। এই দিনটিতেই পালিত হয় বিশ্ব ওজোন দিবস বা আন্তর্জাতিক ওজোনস্তর রক্ষা দিবস হিসেবে। বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে এই মন্ট্রিল প্রটোকলে স্বাক্ষর করে। এরপর থেকে বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়।

বিশ্ব ওজোন দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনের রাস্তা থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হবে। অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

নিউজ ট্যাগ: বিশ্ব ওজোন দিবস

আরও খবর
বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ

বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আজ বিশ্ব স্বপ্ন দেখা দিবস

সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ৫ প্রস্তাব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে পাঁচটি প্রস্তাব তুলে ধরে মহামারী প্রতিরোধের অংশ হিসেবে একটি বৈশ্বিক সহযোগিতা কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারী আমাদের সকলের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে হাজির হয়েছে। আমরা সারা বিশ্বে অনেককে হারিয়েছি। আমরা বুঝতে পেরেছি যে মানুষের হস্তক্ষেপের জন্য প্রকৃতির নিজস্ব সীমা রয়েছে। আমরা বিশ্ব সংহতির অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতাও পেয়েছি। আমরা স্বীকার করেছি যে সবাই নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউই নিরাপদ নই।

গতকাল বুধবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মহামারী প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া (পিপিপিআর) বিষয়ে ৭৮তম ইউএনজিএ উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের অবশ্যই উত্তম চর্চা বাড়িয়ে এবং অতীতের ভুলগুলো এড়িয়ে আমাদের সম্মিলিত শিক্ষা নিতে হবে। সমতা ও সংহতি অবশ্যই আমাদের প্রচেষ্টার প্রাণভ্রমরা তৈরি করবে।

মহামারী প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী পাঁচটি অগ্রাধিকার তুলে ধরেছেন। পাঁচটির মধ্যে তিনটি অগ্রাধিকার হলো- উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য রেয়াতযোগ্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন, মহামারী নজরদারি, প্রতিরোধ, প্রস্তুতি ও বিজ্ঞান-ভিত্তিক পদ্ধতিতে মোকাবিলার জন্য সম্পদ ও দক্ষতা একত্রিত করা ; সকলের জন্য ভ্যাকসিনসহ মানসম্পন্ন, সাশ্রয়ী ও কার্যকর মহামারী পণ্যগুলোর ন্যায়সঙ্গত ও অবাধ প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা।

অবশিষ্ট দুটি অগ্রাধিকার হলো- প্রযুক্তির প্রাপ্যতা ও বাস্তব জ্ঞানের মাধ্যমে মহামারী পণ্যগুলোর উৎপাদন বৈচিত্রকরণ; এবং ডব্লিউএইচওর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে প্রাপ্যতা ও সুবিধা ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা কাঠামো তৈরি করা।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে, আমরা একটি মহামারী চুক্তি এবং আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিমালা (২০০৫) এর সংশোধনী থেকে ন্যায্য এবং সুনির্দিষ্ট ফলাফল দেখার আশা করি। বাংলাদেশ উভয় প্রক্রিয়ার সঙ্গে গঠনমূলকভাবে জড়িত থাকবে।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) থিমেটিক দূত সায়মা ওয়াজেদের উপস্থিতিতে সভায় শেখ হাসিনা বাংলাদেশ কোভিড-১৯ এর প্রভাবের বাইরে ছিলো না উল্লেখ করে বলেন, তবু আমরা কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে একটি বৈশ্বিক সূচকে পঞ্চম স্থানে রয়েছি। শুরু থেকেই, আমাদের জীবন বাঁচানো এবং জীবিকা রক্ষার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়েছিল।

প্রথম দিকে ডব্লিউএইচওর সহায়তায় একটি জাতীয় প্রস্তুতি ও পরিস্থিতি মোকাবিলা পরিকল্পনা গ্রহণ করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা গরিবদের জন্য বিনামূল্যে ওষুধ ও পিপিই সরবরাহ নিশ্চিত করি। আইসিইউ শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি করি। শূন্য থেকে ৮৮৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়। প্রায় সমস্ত হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়।

তিনি বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে প্রায় ১১,০০০ ডাক্তার ও ১৩,০০০ মেডিকেল সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগ করা হয়। মৃত্যুর হার ১.৪৬% সীমিত রাখাসহ আমাদের ফ্রন্টলাইন কর্মীরা বিস্ময়করভাবে কাজ করেছে।

তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পরিচালনার জন্যএকটি ডেডিকেটেড ডিজিটাল অ্যাপ চালু করা হয়। আমরা কমপক্ষে দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে ৯৩% ভ্যাকসিন কভার করেছি। আমি মহামারী ভ্যাকসিনগুলোকে বিশ্বব্যাপী জনসাধারণের পণ্য হিসাবে বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছি।

আওয়ামী লীগ সরকার ২৬.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের একটি প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ৪ কোটিরও বেশি নিন্ম আয়ের মানুষকে সরাসরি খাদ্য সহায়তা দিয়েছি। বাংলাদেশ অন্যান্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর পাশাপাশি বিদেশে অবস্থানরত অভিবাসী কর্মীদের দিকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।


আরও খবর



ভারতের ওড়িশায় বজ্রপাতে নিহত অন্তত ১০

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ছয় জেলায় বজ্রপাতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এতে বলা হয়, শনিবার প্রবল বৃষ্টিপাতের মধ্যে ওড়িশা রাজ্যের ছয়টি জেলায় বজ্রপাতে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যটির বিশেষ ত্রাণ কমিশনারের কার্যালয় জানিয়েছে, বজ্রপাতের কারণে খুরদা জেলায় চারজন, বোলাঙ্গিরে দুইজন এবং আঙ্গুল, বৌধ, জগৎসিংহপুর ও ঢেনকানালে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খুরদাতে আরও তিনজন ব্যক্তি বজ্রপাতে আহত হয়েছেন। 

আরও পড়ুন>> ইরাকে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬ তীর্থযাত্রী নিহত

রাজ্যের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ভুবনেশ্বর এবং কটক শহরসহ ওড়িশার উপকূলীয় অঞ্চলে বজ্রপাতের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে রাজ্যের ছয়টি জেলায় বজ্রপাতে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ভুবনেশ্বরের আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্রের পরিচালক এইচ আর বিশ্বাস বলেন, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় অবস্থান করছে ও আরেকটি ঘূর্ণিঝড় রোববার নাগাদ বঙ্গোপসাগরের উত্তরে তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর প্রভাবে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। মূলত ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালন ও সম্ভাব্য নিম্নচাপ অঞ্চলের কারণে ওড়িশায় আগামী তিন থেকে চার দিন ভারী বৃষ্টিপাত হবে।

আরও পড়ুন>> পাকিস্তানজুড়ে দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা

এদিকে, আগামী চার দিনের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন অংশে একই রকম পরিস্থিতির পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। টুইন সিটি নামে পরিচিত ভুবনেশ্বর ও কটক শহরে শনিবার বিকেলে মাত্র ৯০ মিনিটে যথাক্রমে ১২৬ মিমি এবং ৯৫ দশমিক ৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বজ্রপাতের সময় মানুষকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর
নেদারল্যান্ডসে বন্দুক হামলায় নিহত ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




শঙ্কা উড়িয়ে সাতকানিয়ায় শতভাগ আমন আবাদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জাহেদুল ইসলাম, সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম)

Image

বর্ষায় অতি বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কৃষি মাঠও প্লাবিত হয়। বন্যায় রোপা আমন এবং বীজতলা নষ্ট হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ আমন আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। ভালো ফলনের মাধ্যমে ক্ষতি পুষিয়ে লাভের মুখ দেখতে পারবেন বলে আশাবাদী কৃষকরা।  

সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে সাতকানিয়ার ১১ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিলো। বন্যার কারণে রোপা আমন এবং বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কৃষকদের উৎসাহিত করে নতুনভাবে বীজতলা তৈরি করা হয় এবং পানি নেমে যাওয়ার পর পুরোদমে কাজ করে ইতোমধ্যেই লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ চাষাবাদ সম্পন্ন হয়েছে।

সরেজমিন উপজেলার কেঁওচিয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, বিলের বিস্তৃর্ণ কৃষি মাঠ সবুজ আকার ধারণ করেছে। যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজের সমারোহ। অথচ মাসখানেক আগেও এই কৃষি মাঠঘিরে শঙ্কা ছিলো, কৃষকদের মাঝে ছিলো কষ্টের আবাদ নষ্ট হওয়ার হাহাকার। বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে শতভাগ চাষাবাদ সম্পন্ন হওয়ায় এখন কৃষকরা ভাল ফলনে আশার আলো দেখছেন।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বন্যা পরবর্তী বিভিন্ন জায়গা থেকে চারা সংগ্রহ করে কৃষকরা নতুন করে আমন ধান লাগিয়েছেন। আবার অনেক কৃষক যখন বন্যায় আক্রান্ত হয় তখন নতুন করে বীজতলা শুরু করেছিলেন। বর্তমানে নতুন জমিতে এবং নষ্ট হওয়া জমিতে ওই চারা দিয়ে আমন আবাদ করেছেন। এক্ষেত্রে সাতকানিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছেন এবং কৃষকদেরকে বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

কেঁওচিয়া এলাকার কৃষক আব্দুল মন্নান বলেন, এবার আমি ২ কানি জমিতে আমন আবাদের জন্য বীজতলা তৈরি করেছিলাম। বন্যায় পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। এখন ঋণ নিয়ে আবারও চারা লাগিয়েছি। যদি সরকারি কোনো আর্থিক সহযোগিতা পেতাম আমাদের জন্য অনেক উপকার হত।

কবির আহমদ নামে অন্য একজন কৃষক বলেন, টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় ভেসে যায় কৃষকের স্বপ্ন। বন্যার পানি নামার পর আবারও চাষাবাদ করা হয়। এখন ভাল ফলন হলে কৃষকরা অন্তত তার ক্ষতি পোষাতে পারবেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কাজ শুরু করে কৃষি বিভাগ। অল্প সময়ে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ আমন আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করছি কৃষকরা ভাল ফলন পাবে এবং তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩