জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ও ধূমকেতু পত্রিকার শতবর্ষ উপলক্ষ্যে
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের উদ্যোগে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) চবি
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে ‘ধূমকেতু পত্রিকার
শতবর্ষ: ফিরে দেখা’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি কলা ও মানববিদ্যা
অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল হক। সভায় চবি নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার সাঈদ সভাপতিত্ব করেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন
চবি ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
চবি বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ ও দৈনিক আজাদী সহযোগী সম্পাদক রাশেদ
রউফ।
চবি উপাচার্য বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন প্রেম, দ্রোহ, সাম্য, মৈত্রী ও মানবতার
কবি। তাঁর কাছে জাতি ভেদাভেদ ও বৈষম্যের কোন স্থান ছিল না। এ মহান কবি বাংলা সাহিত্যে
বিদ্রোহী কবি হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক,
গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, সম্পাদক, চলচ্চিত্রকার ও গায়ক। অসাম্প্রদায়িক
চেতনায় বিশ্বাসী কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর ‘ধূমকেত’ পত্রিকার
মধ্যে দিয়ে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ করে বিদ্রোহের বাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন। ‘জয় বাংলা’ তাঁর মুখে প্রথম ধ্বনিত হয়। বাংলা সাহিত্যের এমন
কোন শাখা নেই যেখানে এ কবির বিচরণ ছিল না। মাননীয় উপাচার্য প্রজন্মের সন্তানসহ সকলকে
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে চর্চা ও গবেষণায় অধিকতর মনোযোগী হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে নজরুলের গান-কবিতা-রণসঙ্গীত
বাঙালি জাতিকে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিল’। এ মহান
কবি তাঁর সৃষ্টির মাঝে যুগ যুগ ধরে বাঙালির হৃদয়ে চির জাগরুক থাকবেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন চবি সংগীত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক
মুনমুন বিনতে জলিল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি শিক্ষার্থী পার্থ প্রতীম মহাজন।