আজঃ বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আজ আম খাওয়ার দিন

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতীয় উপমহাদেশে এসে আম খেয়ে এর মিষ্টি স্বাদে মুগ্ধ হয়েছিলেন বিশ্বজয়ী আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট। পরে গ্রিসে ফিরে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে প্রচুর আম নিয়ে যান তিনি। চীনা পর্যটক হিউয়েন সাং বাংলাদেশ ভ্রমণে এসে আম খেয়ে মুগ্ধ হন। এমনকি ব্রিটেনের মহারানী ভিক্টোরিয়াও আমে মুগ্ধ হয়েছিলেন। কালের বিবর্তনে এখন নানা জাতের আম চাষ হয় বিশ্বজুড়ে। বাংলাদেশেও কয়েক শ জাতের আমচাষ হয়।

আম এখন সারাবছর পাওয়া গেলেও এটি মূলত গ্রীষ্মকালীন ফল। ভারতীয় উপমহাদেশে আমের মতো জনপ্রিয় ফল সম্ভবত দ্বিতীয়টি আর নেই। অনেকেই জানেন না এই আমকে উৎসর্গ করে একটি দিবসও আছে। আর আজ সেই দিন, মানে আজ ২২ জুলাই আম দিবস।

আমের জন্মস্থান নিয়ে রয়েছে নানা তর্ক-বিতর্ক। বৈজ্ঞানিক ম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা নামের এ ফল ভারতীয় অঞ্চলের কোথায় প্রথম দেখা গেছে, তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও আমাদের এ জনপদেই যে আমের আদিবাস- এ সম্পর্কে আম বিজ্ঞানীরা একমত।

জানা যায়, ভারতীয় উপমহাদেশের পর ১৩৩১ খ্রিস্টাব্দ থেকে আফ্রিকায় আম চাষ শুরু হয়। এরপর ১৬ শতাব্দীতে পারস্য উপসাগরে, ১৬৯০ সালে ইংল্যান্ডের কাচের ঘরে, ১৭ শতাব্দীতে ইয়েমেনে, ঊনবিংশ শতাব্দীতে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে, ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইতালিতে আম চাষের খবর জানা যায়। ১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মাটিতে প্রথম আমের আঁটি থেকে গাছ হয়। এভাবেই আম ফলটি বিশ্ববাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে যায়।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, মোগল সম্রাট আকবর ভারতের শাহবাগের দাঁড়ভাঙায় এক লাখ আমের চারা রোপণ করে উপমহাদেশে প্রথম একটি উন্নত জাতের আম বাগান সৃষ্টি করেন। আমের আছে বাহারি নাম বর্ণ, গন্ধ ও স্বাদ। শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জেই পাওয়া যায় প্রায় ৩০০ জাতের আম। তবে অনেকগুলো এখন বিলুপ্তপ্রায়।

বিশ্বে বছরে প্রায় ২০ মিলিয়ন টন আম উৎপাদিত হয়। আম প্রতিদিনের দরকারি ভিটামিন সি শতভাগ সরবরাহ করে। এছাড়াও পাকা আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন 'এ'।

পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, আমে প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা ফলে (আহারোপযোগী) আমিষ ১ গ্রাম, শর্করা ২০ গ্রাম, চর্বি ০ দশমিক ৭ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ০ দশমিক ৪ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম, লৌহ ১ দশমিক ৩ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ৮৩০০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন-'বি১' ০ দশমিক ১০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-'বি২' ০ দশমিক ০৭ মিলিগ্রাম, ভিটামিন-'সি' ৪১ মিলিগ্রাম এবং খাদ্যশক্তি রয়েছে ৯০ কিলোক্যালরি।

নিউজ ট্যাগ: আম দিবস

আরও খবর
আজ আন্তর্জাতিক কাঁঠাল দিবস

শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪




দক্ষিণ কোরিয়ায় সাগরে ডুবে বেলাবর দুই যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

দক্ষিণ কোরিয়ায় বুসান সমুদ্র সৈকতে সাগরের পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করেছেন বেলাবরের দুই যুবত। তারা দুজনেই সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় চাকরী করতো। গত সোমবার বিকালে কর্মস্থল বন্ধ থাকার সুবাধে বন্ধুদের নিয়ে বুসান সমুদ্র সৈকতে সহস্রাধিক পর্যটকদের সাথে তারা গোসল করতে নামে। এসময় সাগরে ডেউয়ে দ্জুনই তলিয়ে যায়। পরে দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্ধার কর্মীরা তাদের লাশ উদ্ধার করে। নিহত যুবকদের মধ্যে একজনের নাম সাকিবুর রহমান সঞ্জিব(২৩)। তিনি বেলাব উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি ২০২০ সালে সরকারিভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় পাড়ি জমান।

অন্যজনের নাম সৈকত হাসান শান্ত (২২)। তিনি বেলাব উপজেলার বেলাব টেকপাঁড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। দুজনের লাশই দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার করে। নিহত দুই যুবকের পরিবারের দাবি তাদের লাশ দ্রুযত সময়ের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগীতা চান তারা।

নিহত দুই যুবকের মধ্যে সাকিবুর রহমান সঞ্জিব (২৩) নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়নের দড়িকান্দি গ্রামের মোঃ মুজিবুর রহমানের ছেলে। তিনি ২০২০ সালে সরকারীভাবে ইপিএস এর আওতায় দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। গত কিছুদিন আগে সঞ্জিব বাড়ি থেকে ছুটি কাটিয়ে পূণরায় কর্মস্থল দক্ষিণ কোরিয়ায় যান। সোমবার দিন ছুটি থাকার সুবাধে অন্যান্য প্রবাসি বন্ধুদের নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার বুসান শহরের সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নামেন। এসময় সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে যায় সাকিবুর রহমান সঞ্জিবকে। পরে বিকাল ৩টায় দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্ধার কর্মীরা সঞ্জিবের লাশ উদ্ধার করে।

সঞ্জিবের লাশ উদ্ধার করার প্রায় ২ ঘন্টা পর বিকাল ৫টায় একই স্থান হতে উদ্ধার করে বেলাবরের আরেক তরুণ সৈকত হাসান শান্ত(২২) এর লাশ। শান্ত বেলাব উপজেলার বেলাব টেকপাঁড়া গ্রামের মোঃ বাচ্চু মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে। জানা গেছে শান্ত ৪ মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় চাকরীর জন্য আসেন। সোমবার দিন ছুটি থাকায় সঞ্জিবের মত শান্তও সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নামেন। এসময় সাগরের তীব্র ঢেউয়ের কারনে সঞ্জিবের মত সাগড়ে ভেসে যায় সৈকত হাসান শান্তও। পরে কোরিয়ার উদ্ধার কর্মীরা সাগর হতে শান্তর লাশও উদ্ধার করে।

বেলাব টেকপাঁড়া গ্রামের সৈকত হাসান শান্তর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শান্তর শোকে স্তব্দ হয়ে ঘরে বসে আছে তার পিতা বাচ্চু মিয়া। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা করছেন আহাজাড়ি।

নিহত সৈকত হাসান শান্তর বাবা মোঃ বাচ্চু মিয়া কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,সোমবার রাতে আমরা জানতে পারি আমাদের শান্ত আর নেই। মাত্র ৪ মাস আগে আমার ছেলে সরকারীভাবে দক্ষিণ কোরিয়ায় যায়। কিন্ত সুখ হয়তো তার কপালে বেশিদিন ছিলনা। আল্লাহ তাকে নিয়ে গেছে। এসময় তার ছেলের লাশটা যাতে অতি দ্রুত দেশে আনা যায় সেজন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

নিহত সাকিবুর রহমান সঞ্জিবের চাচা আতিকুর রহমান জীবন বলেন, সোমবার দুপুরে তারা জানতে পারেন সঞ্জিব বন্ধুদের সাথে সাগরে গোসল করতে নেমে হঠাৎ করে স্রোতের সাথে তলিয়ে যায়। পরে সেখানের উদ্ধার কর্মীরা তার মরদেহ উদ্ধার করে। সরকারের প্রতি দাবি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে সঞ্জিবের লাশ দেশে আনার জন্য সহযোগীতা করে।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



সুপ্রিম কোর্টে এক আইনজীবীকে আরেক আইনজীবীর ছুরিকাঘাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতিতে ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম নামে এক আইনজীবী ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছেন। আবদুল কাইয়ুম নামে অপর এক আইনজীবী তাকে হামলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১ টার দিকে আইনজীবী সমিতির শের-ই বাংলা একে ফজলুল হক ভবনের ২০০৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

রক্তাক্ত অবস্থায় ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমি আমার কক্ষে বসেছিলাম। এ অবস্থায় অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম হত্যার উদ্দেশে আমাকে ছুরিকাঘাত করেন। আমি এ হামলার বিচার চাই।

ব্যারিস্টার আশরাফের রক্তাক্ত একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা গেছে রক্তে তার পোশাক ভিজে গেছে।


আরও খবর



বন্যার পানির সাথে ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত: এ্যানি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, এই পানি প্রাকৃতিক দূর্যোগ কিংবা বৃষ্টির পানি নয়, ভারতের সীমান্তের মধ্য দিয়ে এই পানি ফেনী-লক্ষ্মীপুরে এসে মেঘনা নদীতে প্রভাহিত হচ্ছে। এটি শুধু এই অঞ্চলের পানির প্রবাহ না, এগুলো ঢলের পানি। এটার সাথে একটা ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত আছে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বিগত দিনগুলোতে ভারত থেকে বাংলাদেশের মানুষের সেন্টিমেন্ট অনুযায়ী কোন সহযোগিতা পায় নাই। তারা একটা সরকার ক্ষমতায় রাখার জন্য সহযোগিতা করেছে। আজ সেই সরকার গণ আন্দোলনের মুখে বিতাড়িত হয়েছে এবং দেশ ত্যাগ করেছে। কিন্তু এখনো ভারত ষড়যন্ত্র বন্ধ করেনি। বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে ষড়যন্ত্রের শিকার। সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে আমরা শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে যাচ্ছি। এজন্য সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

এ্যানি বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় প্রত্যেক ওয়ার্ড, ইউনিয়ন এবং পৌরসভায় বিএনপির নেতাকর্মীরা টিম অনুযায়ী কাজ করছে। এছাড়া বিএনপির বাহিরেও সাধারণ মানুষ বিভিন্নভাবে এগিয়ে আসছে। সবশ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে একটা কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। তাদের মাধ্যমে প্রত্যেক এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পৌঁছে দেয়া হবে।

এসময় বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



সাবেক মন্ত্রী আবদুল রহমানসহ ৪ জনের দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ চার জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

দুদকের এই কর্মকর্তা জানান, সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে  ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে ফরিদপুরের মধুপুরে ভবন নির্মাণ, রাজউকের পূর্বাচলসহ বিভিন্ন জায়গায় জমি কেনা, নিজ নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংকে সঞ্চয়পত্র, তার স্ত্রী মির্জা নাহিদা হোসেনের নামে শান্তা দিগন্ত টাওয়ার-২, করবী, ফ্ল্যাট নং-৩ ই, ৩/৩ এ, পরিবাগ ঢাকাসহ ৪ টি ফ্ল্যাট, এছাড়া দেশের বাইরে টাকাপাচার করে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন এবং কানাডায় একাধিক বাড়ি কেনার তথ্য দুদকের কাছে এসেছে। যে কারণে কমিশন প্রকাশ্য অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়াদ্দারের (ছেলুন) বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে চুয়াডাঙ্গা সদরে তিন তলা বিলাসবহুল জোয়াদ্দার কুটির নামে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় জমি ক্রয়, প্রায় ৮০ থেকে ১০০টি এসি-ননএসি বাসসহ ১৫-২০টি ট্রাক, স্ত্রী ও নিজ নামে সঞ্চয়পত্র, ১টি প্রাডো গাড়িসহ তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।

দিনাজপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে ঢাকার উত্তরায় (বাড়ি নং-১২, সেক্টর নং-১০, রোড নং-১২, উত্তরা মডেল টাউন) ৫ কাঠা জমির ওপর বাড়ি, ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট, ২টি গাড়ি (ঢাকা মেট্রে-গ-৩৪-৬৮৮৮ ও ঢাকা মেট্রে-ঘ-২১-৫১৬২), নিজ নামে দিনাজপুরের উথরাইল মৌজা, পুচকুর মৌজা, রামপুর মৌজা ও জালালপুর মৌজায় বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে। এছাড়া তার দেশে-বিদেশে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।

অপরদিকে, মো. সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে নিজ নামে মাগুরা জেলার জাগলায় প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে অটোব্রিকস ফিল্ডের ব্যবসা, মাগুরা জেলার চাওলিয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত নগর পদ্দবিলে প্রায় ১৫০ বিঘা জমিতে মৎস্য খামার, তার নিজ নামে ১০টি ট্রাক, শ্যালকের নামে ২টি এবং খালকুড়া নবাবের ছেলের নামে ২টি গাড়ি কেনা, ২১৯ সৈয়দ আতর আলী রোড, সদর উপজেলা, মাগুরায় তার মালিকানাধীন মনোয়ারা কমপ্লেক্স নামে বহুতল মার্কেট, মাগুরার বিভিন্ন জায়গায় তার  নামে অনেক জমি এবং নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য রয়েছে দুদকের হাতে।


আরও খবর



চাকরির আশায় ভারতে গিয়ে কিডনি খোয়ালেন ৩ বাংলাদেশি

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

চাকরির আশায় ভারতে গিয়েছিলেন তিন বাংলাদেশি নাগরিক। কিন্তু দেশটিতে পৌঁছানোর পর তারা তিনজনই পড়ে যান কিডনি পাচারকারী সিন্ডিকেটের খপ্পরে। ওই সিন্ডিকেট তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই কেড়ে নিয়েছে একটি করে কিডনি।

ভারতের আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের দাখিল করা সাম্প্রতিক অভিযোগপত্রে বাংলাদেশের ওই তিন নাগরিক তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে ভারতে পরিচালিত কিডনি পাচার চক্রের কথা ফাঁস করেছেন। সেখানেই উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং ইকোনমিক টাইমস।

সংবাদমাধ্যমগুলো ভুক্তভোগী ওই তিন ব্যক্তিরই পরিচয়ই গোপন রেখেছে তাদের প্রতিবেদনে। তাদের মধ্যে একজনের কাপড়ের ব্যবসা ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু দোকানে আগুন লেগে তার পুরো ব্যবসা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে এক এনজিও থেকে ৮ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আবারও ব্যবসা দাঁড় করানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু, ৩ লাখ টাকার বেশি ঋণ শোধ করতে পারেননি। একপর্যায়ে আর্থিক চাপের মুখে এক বন্ধুর পরামর্শ নিতে যান তিনি। আর সেই বন্ধুই তাকে দেশ ছেড়ে ভারতে গিয়ে নতুন করে জীবন শুরুর পরামর্শ দেন। সেই বন্ধুই তাকে পাসপোর্ট, মেডিকেল ভিসা এমনকি ভারতে চাকরিরও ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।

তবে, গত ১ জুন ভারতে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তি জানতে পারেন, সেখানে তার জন্য চাকরি-বাকরি কিছুই নেই। এর বদলে তাকে কিডনি বিক্রি করতে হবে। প্রথমে তিনি রাজি হননি। কিন্তু তার পাসপোর্ট এবং ভিসা কেড়ে নিয়ে ওই চক্রের সদস্যরা হুমকি দিয়েছিল, কিডনি বিক্রি না করলে তিনি আর কোনোদিন ভারত থেকে দেশে ফিরতে পারবেন না। ফলে তিনি বাধ্য হয়েছিলেন কিডনি বিক্রি করতে।

ভুক্তভোগী দ্বিতীয় ব্যক্তির বয়স ৩৫ বছর। তাকেও ভারতে চাকরির প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। তাসকিন নামে এক ব্যক্তি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে পাঠিয়েছিল দিল্লিতে। গত ২ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে পৌঁছানোর পর রাসেল ও রোকন নামে দুজন লোক তাকে যশোলার হোটেল রামপালে নিয়ে যায়। এরপর তারা তাকে বলে, সেখানকার এক হাসপাতালে চাকরি পাবেন তিনি। আর সেটির জন্য তার বেশ কিছু মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার। রক্তপরীক্ষা ও ইসিজি-সহ প্রায় ১৫-২০টি পরীক্ষা করা হয় তার। তারপর এপ্রিলের ২ তারিখে তাকে আবারও হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে এবং এক নার্স তার শরীরে একটি ইনজেকশন পুষ করতেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

এরপর ৩ এপ্রিল জ্ঞান ফিরলে তাকে আবারও ইনজেকশন দেওয়া হয় এবং তিনি আবারও অজ্ঞান হয়ে যান। এর দুদিন পর এপ্রিলের ৫ তারিখ তার জ্ঞান ফেরে। কিন্তু তিনি দেখেন তার পেটে একটি সেলাইয়ের দাগ। পরে তাকে জানানো হয় তার একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। এরপর ৬ এপ্রিল রাসেল ও তার সহযোগী সুমন ভুক্তভোগীকে যশোলার ওই হোটেলে নিয়ে যান।

এরপর রাসেল তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিশদ তথ্য জেনে নেন এবং সেখানে ৪ লাখ টাকা জমা করা হয়। তবে তার পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপরই তাকে জানানো হয়, তিনি চাকরি পাবেন না। আর তাই তাকে বাংলাদেশে ফিরে যেতে বলা হয়।

ভুক্তভোগী তৃতীয় বাংলাদেশিও একই ফাঁদে পড়েছিলেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে ফেসবুকে যোগাযোগ করে অরণ্য নামে এক ব্যক্তি ভারতে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এমনকি প্রশিক্ষণের সময় বৃত্তিও দেওয়া হবে বলেও তাকে প্রলোভন দেখিয়েছিল অরণ্য।

আর সেই প্রলোভনে পড়ে ভারতে পা দেন তিনি। পৌঁছানোর পর একইভাবে তারও বেশ কিছু মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। এরপর একইভাবে তার কিডনিও অস্ত্রোপচার করে বের করে নেওয়া হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তিনি বলেছেন, মাত্র ৬ দিনে তার শরীর থেকে ৪৯ টিউব রক্ত টানা হয়েছিল।

এদিকে ভুক্তভোগী এই তিন বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতের ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারার অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে সেদেশের পুলিশ। চার্জশিট দাখিল করে শুনানির প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যেই ভুক্তভোগী এই তিন ব্যক্তি তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন।

সম্প্রতি অঙ্গ পাচারের বেআইনি ব্যবসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারও। দেশটির ট্রান্সপ্লান্টেশন অব হিউম্যান অর্গান অ্যান্ড টিস্যুস অ্যাক্ট, ১৯৯৪-এর ১৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী, এই ধরনের অপরাধে ২০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা এবং ৫ বছর থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।


আরও খবর
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন আতিশি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪