আজঃ সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আজ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। ৯ আগস্ট দিবসটি আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বিশ্বব্যাপী পালন করে আসছে দিবসটি।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে আদিবাসী শব্দ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, সম্প্রদায় বা উপজাতি হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে এসব গোষ্ঠীগুলোর অনেকেই নিজেদের আদিবাসী হিসেবে দাবি করে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী আদিবাসী শব্দ ব্যবহার না করে বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানে উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বা নৃগোষ্ঠী শব্দ ব্যবহার করতে।

বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন ছোট ছোট সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীকে উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা বা নৃগোষ্ঠী বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ অবস্থায় ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত টক শোতে অংশগ্রহণকারী সরকারের নীতিনির্ধারক, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের সম্পাদকসহ সুশীল সমাজের অন্য ব্যক্তিদের আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার না করার বিষয়ে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা বিষয়ে সচেতন থাকার কথা বলা হয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে।

আদিবাসী শব্দটি ব্যবহার না করতে উচ্চ আদালতেরও নির্দেশনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের অবস্থান হচ্ছে, এখানকার মানুষের ইতিহাস ও সংস্কৃতি চার হাজার বছরের পুরনো। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা সেটিই প্রমাণ করে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবারত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ মিয়ানমার ও কম্বোডিয়া থেকে এসে বসতি স্থাপন করে। সে জন্য তারা এখানকার আদিবাসী নয়।

তবে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলো আজ বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালন করবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



বাউফলে সেনা কর্মকর্তাদের সাথে সুশীল সমাজের মতবিনিময়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

সরকার পরিবর্তনের পর সার্বিক বিষয় নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সুশীল সমাজের সাথে মতবিনিময় করেছেন জিওসি ৭ পদাতিক ডিভিশন ও বরিশাল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল  মো. আব্দুল কাইয়ুম মোল্লা। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কনফারেন্স রুমে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় সেনাবাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম, পুলিশ সুপার মো. আবদুস ছালাম পিপিএম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.বশির গাজী এবং উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সমসাময়িক বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন, বাউফল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক অতুল চন্দ্র পাল,বাউফল প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুজ্জামান বাচ্চু, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সোহাগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত  কুমার সাহা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. নাজমুল হক, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি মুনতাসির তাসরিফ ও সামিয়া আক্তার।

মতবিনিময়ে জিওসি পদাতিক ডিভিশন ও বরিশাল এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল মো. আব্দুল কাইয়ু মোল্লা বলেন,  ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার পরিবর্তন হওয়ায় দেশের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। পুলিশ বিভাগের কর্মবিরতীর কারণে তারাও মাঠে থাকতে পারেননি। এখন ধীরে ধীরে সব ঠিক হয়ে আসছে। সংখ্যালঘু ও তাদের উপাসনালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, জমিদখল নিয়ন্ত্রণে আসছে। চাঁদাবাজি,  ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং হাট-ঘাট দখল করলে সাথে সাথে সেনাবাহিনী কিংবা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দেবেন। একাজে আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। জন্মাষ্টমী ও দুর্গা পূজায় সকল ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। 

এসময় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশকে আপনারাই এগিয়ে নিয়ে যাবেন। নিয়মতান্ত্রিকভাবে জনগণকে সেবা দিয়ে দেশ গঠনে সহায়তা করুন। 

নিউজ ট্যাগ: বাউফল

আরও খবর



এলপি গ্যাসের দাম বাড়বে না কমবে, সিদ্ধান্ত আজ

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

চলতি সেপ্টেম্বর মাসের জন্য তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নতুন দাম ঘোষণা করা হবে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর)।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত সেপ্টেম্বর (২০২৪) মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী এই মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা সোমবার বিকেল ৩ টায় ঘোষণা করা হবে।

এর আগে, গত ৪ আগস্ট ভোক্তা পর্যায়ে আগস্ট মাসের জন্য ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম জুলাই মাসের তুলনায় ১১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর আগের মাসে এই দাম বাড়ানো হয়েছিল ৩ টাকা। সেসময় ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১ হাজার ৩৬৬ টাকা।

গত জুন ও মে মাসে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম যথাক্রমে ৩০ টাকা ও ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা ও ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এছাড়া গত এপ্রিলেও প্রতিটি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম কমানো হয়েছিল ৪০ টাকা। প্রতিটি ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার ওই মাসে বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার ৪৪২ টাকায়। এর আগে টানা ৮ মাস বাড়ানো হয়েছিল এলপিজির দাম।

এদিকে, গত আগস্ট মাসে এলপিজির পাশাপাশি অটোগ্যাসের দামও বাড়িয়েছিল বিইআরসি। আগস্টে অটোগ্যাসের দাম জুলাইয়ের তুলনায় মূসকসহ ৫১ পয়সা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৬৩ টাকা ২১ পয়সা। আর জুলাইতে অটোগ্যাসের দাম জুনের তুলনায় মূসকসহ ১৭ পয়সা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬২ টাকা ৭০ পয়সা।

তবে জুন, মে ও এপ্রিলে অটোগ্যাসের দাম কমিয়েছিল সংস্থাটি। জুন, মে ও এপ্রিলে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার যথাক্রমে ৬২ টাকা ৫৩ পয়সা, ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা ও ৬৬ টাকা ২১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। বিপরীতে বেড়েছে ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।


আরও খবর



বিসিবির কাছে জেলা ক্রিকেটারদের ১৭ দফা দাবি

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সামনে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাজির হয়েছিলেন দেশের ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল বোর্ডের নতুন নেতৃত্বের কাছে তাদের ১৭ দফা দাবি পেশ করা। এসব দাবি মূলত তারা জেলা ক্রিকেটের উন্নয়ন ও ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য করছেন।

সম্প্রতি বিসিবির সভাপতি হিসেবে সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ এবং পরিচালক হিসেবে নাজমুল আবেদীন ফাহিম দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটারসহ ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট অনেকেই তাদের দাবি তুলে ধরেছেন।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে একাডেমি ভবনের সামনে ৬৪ জেলার এই ক্রিকেটাররা ব্যানার নিয়ে অবস্থান নেন। তাদের মূল দাবিগুলোর মধ্যে ছিল- জেলা পর্যায়ে ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি বৃদ্ধি, ঢাকার প্রথম শ্রেণির লিগে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণেই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা এবং প্রত্যেক জেলার ক্রিকেটারদের জন্য আধুনিক অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। পাঠকের সুবিধার জন্য তাদের মূল দাবির কয়েকটি দেওয়া হলো।

১. জেলা পর্যায়ে ক্রিকেট লিগের জন্য স্থায়ী বাজেট বরাদ্দ করতে হবে এবং খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রিকেটারদের আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। এতে করে ক্রিকেটারদের আর্থিক সমস্যা কমবে এবং তাদের পারফরম্যান্সের মান বৃদ্ধি পাবে।

২. ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) প্রথম শ্রেণির, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিতিন সংস্করণের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে। এর মাধ্যমে খেলোয়াড়দের সব ফরম্যাটে খেলার সুযোগ তৈরি করা হবে এবং তাদের পারফরম্যান্স উন্নত হবে।

৩. প্রতিটি বিভাগে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ তৈরি করতে হবে এবং ঢাকার বাইরেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার আয়োজন নিশ্চিত করতে হবে। এতে করে দেশের অন্যান্য জেলার ক্রিকেটারদের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

৪. প্রতিটি জেলায় ক্রিকেটারদের অনুশীলনের জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে মাঠ, নেট প্র্যাকটিস এবং কোচিং সুবিধা বৃদ্ধি করা জরুরি।

৫. কোয়াব স্বাধীনভাবে পরিচালিত হতে হবে, যেন এটি খেলোয়াড়দের সঠিকভাবে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে।

৬. ঢাকার প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ এবং তৃতীয় বিভাগের ক্রিকেট লিগে টেস্ট, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণেই খেলার ব্যবস্থা করতে হবে।

৭. জাতীয় ক্রিকেটারদের জন্য টিভি সম্প্রচার এবং ডিজিটাল মিডিয়ায় আরও ম্যাচ প্রচার করতে হবে, যাতে দর্শকদের মধ্যে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়।

৮. ঢাকার দ্বিতীয় বিভাগ এবং তৃতীয় বিভাগে নিয়মিত টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে, যা তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

৯. সব জেলায় ক্রিকেট একাডেমি তৈরি করতে হবে এবং সেখানকার ক্রিকেটারদের উন্নত প্রশিক্ষণ ও কোচিং দেওয়া হবে, যাতে তাদের দক্ষতা আরও উন্নত হয়।

১০. জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটারদের জন্য উন্নত ম্যাচ ফি নিশ্চিত করতে হবে এবং এই ফি পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি করতে হবে, যেন তারা আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হতে পারে।

১১. প্রত্যেক বিভাগে স্থায়ীভাবে অনুশীলনের সুবিধা বাড়াতে হবে এবং সেই সঙ্গে কোচদের সংখ্যা বাড়াতে হবে। এতে তরুণ ক্রিকেটাররা পেশাদার স্তরে পৌঁছাতে পারবে।

১২. ঢাকায় ক্রিকেট একাডেমির পাশাপাশি জেলাতেও অনুশীলন ও কোচিং সুবিধা উন্নত করতে হবে।

১৩. বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আয়োজনে বিভিন্ন স্থানে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে এবং বাংলাদেশের স্থানীয় খেলোয়াড়দের সেসব টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ দিতে হবে।

১৪. জেলাভিত্তিক এবং বিভাগভিত্তিক টুর্নামেন্টে পুরস্কারের ব্যবস্থা করতে হবে, যা তরুণ ক্রিকেটারদের মনোবল বাড়াবে এবং তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করবে।

১৫. বিসিবির রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের মাধ্যমে সব ক্রিকেটারদের সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, যাতে তাদের দক্ষতা ও কার্যক্রম মূল্যায়ন করা যায়।

১৬. বিপিএল এবং অন্যান্য ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে স্থানীয় ক্রিকেটারদের আরও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং তাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

১৭. সব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের আওতায় স্থানীয় ক্রিকেট উন্নয়নের জন্য বিশেষ প্রোগ্রাম চালু করতে হবে, যাতে দেশের ক্রিকেট অবকাঠামো আরও উন্নত হয়।

পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ক্রিকেটাররা জানান তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিসিবি, অনেক দিন ধরেই অনিয়ম হয়ে আসছে। যদি বিসিবি আশাবাদ ব্যক্ত করে, তাহলে আমরা আশা করছি দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।

ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াব পুনর্গঠনের দাবি জানান তারা, আমরা চাই কোয়াবকে নতুন করে পুনর্গঠন করা হোক। এই কোয়াব আসলে ক্রিকেটারদের অনেক কিছুই জানে না। আমাদের সঙ্গে কখনো কথাও বলেনি। আমরা যখন আমাদের সমস্যাগুলো কোয়াবকে জানিয়ে এসেছি, তারা কোনো উদ্যোগ নিত না। আমরা ৬৪ জেলার যারা এসেছি, সবার একই দাবি, কোয়াব পুনর্গঠন করা হোক।

বিসিবির নতুন পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, যিনি নিজেও একজন বরেণ্য কোচ ও ক্রিকেট সংগঠক, ক্রিকেটারদের ফুলেল শুভেচ্ছা গ্রহণ করে তাদের দাবি মনোযোগ সহকারে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

ফাহিমের আশ্বাসে ৬৪ জেলার ক্রিকেটাররা আশাবাদী যে, তাদের দাবি পূরণ হলে দেশের ক্রিকেটের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটবে এবং জেলা পর্যায়ে ক্রিকেটারদের যথাযথ মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হবে।

নিউজ ট্যাগ: বিসিবি

আরও খবর



গুম হওয়া আব্দুল গাফফার পিয়াসের সন্ধানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জুবায়ের খান প্রিন্স, পাবনা

Image

২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর বেলা আড়াইটায় লাইব্রেরী বাজার দোকান থেকে আব্দুল গাফফার পিয়াসকে সাদা পোষাকে তুলে নিয়ে গুম করে দেওয়া হয়। দীর্ঘ ৮ বছর যাবত গুমকৃত আব্দুল গাফফার পিয়াসের এর সন্ধানের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।

সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাব অডিটোরিয়ামে এ সংবাদ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মৌখিক বক্তব্য পাঠ করেন নিখোঁজ আব্দুল গাফফারের বড় ভাই আব্দুল হামিদ, মৌখিক বক্তব্য বলেন, ৮ বছর আগে আমার দোকান থেকে আমার ছোট ভাই আব্দুল গাফফার পিয়াসকে সাদা পোষাক ও সাদা মাইক্রো বাসে করে তুলে নিয়ে যায়। তারপরে অনেক চেষ্টা করেও তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা থানায় নিখোঁজ ডায়রি করতে গেলে সে সময়ের পাবনা সদর থানার ওসি আব্দু: রাজ্জাক ডায়রি নেয়নি। সে কোন অপরাধের সাথে জড়িত ছিল কিনা সে বিষয়ে কেউ কিচ্ছু জানায়নি। সে অবৈধ কোন সংগঠন বা অপরাধের সাথে জড়িত কিনা তা আমরাও জানি না। তার বিরুদ্ধে কোন মামলা আছে কি না সে বিষয়ে কেউ কিচ্ছু জানায়নি। অথচ এভাবে দীর্ঘ আট বছর তাঁকে গুম করে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, যদি সে কোনো অন্যায় বা অপরাধের সাথে জড়িত থাকে দেশীয় আইন অনুযায়ী তার যে শাস্তি হয় আমরা মেনে নিবো। তবুও সে বেঁচে আছে কিনা বা গুম সংক্রান্ত বিষয়টি খোলাসা হোক। এসময় গুম হওয়া আব্দুল গাফফার পিয়াসকে ফিরিয়ে দেবার আকুতি জানান তার পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গুম হওয়া আব্দুল গাফফার পিয়াসের মা সালেহা খাতুন, ভাবী সুরাইয়া খাতুন, বড় বোন সম্পা খাতুন, ছোট বোন সুমাইয়া মিম প্রমুখ।

নিউজ ট্যাগ: পাবনা

আরও খবর



থাইল্যান্ডে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, সবার নিহতের শঙ্কা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৩ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের কাছে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে ৯ আরোহী ছিলেন। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুর্ঘটনার পর সারা রাত অভিযান চালিয়েও কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, আরোহী সবাই নিহত হয়েছেন।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানটির দুর্ঘটনাস্থল ম্যানগ্রোভ গাছের ঘন বনে আচ্ছাদিত। কাদা মাটি পেরিয়ে উদ্ধারকর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে সক্ষম হন। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছে।

চাচোয়েংসাও প্রাদেশিক কার্যালয় জানিয়েছে, ছোট বিমানটি দুপুর ২টা ৪৬ মিনিটে ব্যাংককের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়। দেশের পূর্বে ট্রাট বিমানবন্দরের দিকে সেটি যাচ্ছিল। ১০ মিনিটের মতো উড়ার পর রাডারের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে উদ্ধারকর্মীরা বিমানটির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পান। বিমানটিতে থাকা চারজন থাইল্যান্ডের এবং বাকিরা চীনের নাগরিক। উদ্ধারকর্মীরা কারও মৃত্যু নিশ্চিত করতে পারেনি।

চাচোয়েংসাও-এর ব্যাংপাকং জেলার বাসিন্দারা বিমানটিকে আকাশ থেকে পড়তে দেখেন। তারা ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। বিমান কিছু ধ্বংসাবশেষ ছুটে এসে আশেপাশের বাড়িগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।

এক বাসিন্দা বলেন, আমি আমার বাসার সামনে বসে ছিলাম। বিকট ইঞ্জিনের শব্দে বিমানটি আমার বাড়ির ওপর দিয়ে উড়ে গেল। এর মাত্র কয়েক সেকেন্ড পরে এটি এখানেই বিধ্বস্ত হয়।

এদিকে দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে এখনও এর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হয়নি।

নিউজ ট্যাগ: বিমান বিধ্বস্ত

আরও খবর