জনপ্রিয় রসালো ফলের একটি কাঁঠাল। প্রায় বিশ্বজুড়ে সব জাগাতেই কাঁঠাল পাওয়া যায়। আজকের এই দিনটা কাঁঠালের। কারণ, প্রতি বছরের ৪ জুলাই পালিত হয় কাঁঠাল দিবস। জনপ্রিয় এই ফলটি বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার জাতীয় ফল। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন কাঁঠাল চাষ করা হয়। কাঁচা কিংবা পাকা উভয় অবস্থাতেই কাঁঠাল খাওয়া যায়। পাকা কাঁঠালের বিচিও অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।
জি নিউজের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দিবসটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১৬ সালে। কাঁঠালের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানাতে এবং সচেতনতা বাড়াতে এই দিবসের প্রচলন করে। উদ্ভিদবিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁঠালের উৎপত্তি দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে। যদিও ১৮৮৮ সালের দিকে হাওয়াইতে কাঁঠাল চাষের চেষ্টা করা হয়।
কাঁঠাল শব্দটি পর্তুগিজ। ১৫৬৩ সালে পর্তুগিজ প্রকৃতিবিদ ও পণ্ডিত গার্সিয়া দ্য ওর্টা তার লেখা একটি বইয়ে ইংরেজি শব্দ ‘জ্যাকফ্রুট’ বা ‘কাঁঠাল’ ব্যবহার শুরু করেন।
কাঁঠালের পুষ্টিগুণ : কাঁঠাল একটি পুষ্টিকর ফল। এক কাপ কাঁঠালে ১৫৭ ক্যালোরি, ৩৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৪০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ২ গ্রাম ফ্যাট, ৩ গ্রাম ফাইবার এবং ৩ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়া ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, কপার ও ম্যাংগানিজেরও উৎস কাঁঠাল। রয়েছে থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, আয়রন, সোডিয়াম, জিংক, নায়াসিনসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান। কাঁঠালে বিচিতেও কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, সালফার, জিংক, কপার ইত্যাদির ভালো উৎস বলছেন পুষ্টিবিদ।