আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আজ আপনার জন্মদিন হলে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ ডিসেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ আপনার জন্মদিন হলে পাশ্চাত্য জ্যোতিষে আপনি ধনু রাশির জাতক/ জাতিকা। আপনার জন্মসংখ্যা : ৩। আপনার ওপর প্রভাবকারী গ্রহ : বৃহস্পতি। আপনার শুভ সংখ্যা : ৩। শুভ বার : বৃহস্পতি। শুভ রত্ন : পোখরাজ।

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)

দিনটি খুব একটা অনুকূল না-ও থাকতে পারে। শারীরিক অসুস্থতাকে না করে যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করুন। গোপন শত্রু সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। ভ্রমণের সুযোগ পেতে পারেন। অকারণ ব্যয় পরিহার করুন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে)

রাজনীতিবিদদের জন্য দিনটি শুভ। সাংগঠনিক কাজে সুফল পাবেন। জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি পাবে। কোনও আশা পূরণ হতে পারে। আর্থিক দিক ভালো যাবে।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন)

কর্মপরিবেশ মোটামুটি অনুকূল থাকতে পারে। কর্মস্থলে নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পারবেন। কোনও উচ্চাশা পূরণ হতে পারে। নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। আর্থিক দিক ভালো যাবে।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই)

কাজকর্মে ভাগ্যের আনুকূল্য পেতে পারেন। পেশাগত দিক ভালো যাবে। ভ্রমণ ফলপ্রসূ হতে পারে। কোনও আশা পূরণ হতে পারে। উচ্চশিক্ষার্থীদের জন্য সময় অনুকূল থাকতে পারে।

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট)

অতীন্দ্রিয় শাস্ত্রাদির প্রতি আগ্রহ বোধ করতে পারেন। বিমাকর্মীদের জন্য সময় অনুকূল থাকতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ পরিহার করুন। সামাজিক সংকট এড়িয়ে চলুন। রিপুকে সংযত রাখুন।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর)

দাম্পত্য সম্পর্কে ভালো থাকবে। প্রণয় প্রস্তাবে সাড়া পেতে পারেন। কোনও ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সহযোগিতা পেতে পারেন। ব্যবসায়িক দিক ভালো যাবে। বিক্রয়-বাণিজ্যে লাভযোগ আছে।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর)

ব্যক্তিগত দায়-দায়িত্ব বৃদ্ধি পেতে পারে। কর্মপরিবেশ খুব একটা ভালো যাবে না। কর্মস্থলে সহকর্মীদের সহযোগিতা না-ও পেতে পারেন। শত্রুরা ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। সীমা লঙ্ঘন করা থেকে বিরত থাকুন।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর)

সৃজনশীল কাজে অংশ নিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সাফল্য পেতে পারেন। বিদ্যার্থীদের জন্য দিনটি শুভ। পড়াশোনায় মন বসাতে পারবেন। রোমান্টিক প্রস্তাবে সাড়া পেতে পারেন।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর)

মাতৃস্বাস্থ্য ভালো যাবে। কোনও স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করতে পারেন। মন ভালো থাকবে। মনের কোনও গোপন ইচ্ছা পূরণ হতে পারে। জ্ঞানস্পৃহা বৃদ্ধি পাবে।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি)

আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে। ব্যক্তিগত যোগাযোগে সুফল পাবেন। প্রাপ্ত তথ্যের ওপর নির্ভর করা যেতে পারে। ছোট ভাইবোনদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকতে পারে। কাজকর্মে উৎসাহ বোধ করতে পারেন।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)

আর্থিক দিক ভালো যাবে। পাওনা টাকা আদায় হতে পারে। অধীনদের কাজে লাগাতে পারবেন। মূল্যবোধ সমুন্নত থাকতে পারে। পড়াশোনায় আনন্দ পাবেন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)

আত্মপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা জোরদার করুন। সে ক্ষেত্রে সাফল্য পেতে পারেন। ভালো ব্যবহার দিয়ে কাজ আদায় করতে পারবেন। ব্যক্তিত্ব দিয়ে অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন। শরীর ভালো থাকবে।

 

নিউজ ট্যাগ: আজকের রাশিফল

আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




প্রকাশ্যে ভারতের বিরোধিতায় বিএনপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নিজেদের স্বার্থে ভারত আবারও আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে বলে দাবি করে দেশটির পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা। তবে এ জোয়ারে গাঁ ভাসায়নি বিএনপি। কিন্তু ভেতরে ভেতরে ভারতবিদ্বেষী মনোভাব দেখালেও, এবার দেশটির বিরোধিতা করে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন দলটির নেতারা। তারা বলছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে ভারতকে খুশি করে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ।

দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ অভিযোগ করেন বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী।

একই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশের গুরুত্ব থাকলেও দেশের মানুষের গুরুত্ব নেই। যারা দেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে তারা দেশের মানুষকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। নিজের দেশে গণতন্ত্র থাকলেও অন্য দেশে গণতন্ত্র থাক সেটা চায় না ভারত। তাই সেসব দেশের গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে দেশটি।

গণতান্ত্রিক বিশ্বের গণতন্ত্রের কথায় গলা ভেজে তবে তৃষ্ণা মেটে না। নিজেদের সমস্যা নিজেদের সমাধান করতে রূপরেখা থাকা দরকার। ওয়ান ইলেভেনের ষড়যন্ত্র থেকে দলকে রক্ষা করা গেলেও গণতন্ত্র এখনও ফিরিয়ে আনা যায়নি, যোগ করেন তিনি।

গয়েশ্বর অরও বলেন, বাংলাদেশের অধিকার রক্ষা না করলেও ভারতের আবদার মেটানো হচ্ছে। বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে সমকামী নির্বাচন করেছে আওয়ামী লীগ। এটি তৃতীয় লিঙ্গের সরকার। জনগণের অংশ হিসেবে দেশের মালিক বিএনপি, আওয়ামী লীগ নয়। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে ক্ষমতাসীনদের বিদায় করা জরুরি।

সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং শত ত্যাগের পরও আওয়ামী লীগের কাছে মাথা নত করবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন বিএনপি নেতারা।

নিউজ ট্যাগ: বিএনপি

আরও খবর



আজ বিশ্ব পাই দিবস

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ বিশ্ব পাই দিবস। গাণিতিক ধ্রুবক পাই (π) এর সম্মানে প্রতিবছর ১৪ মার্চ এ দিবসটি পালিত হয়। পাই-এর মান প্রায় ৩.১৪ বলে প্রতি বছর ১৪ মার্চকে সারা বিশ্বের গণিতবিদগণ পাই দিবস হিসেবে পালন করেন।

১৯৮৮ সালে পদার্থবিদ ল্যারি শ পাই দিবসের ধারণার প্রবর্তন করেন। সান ফ্রান্সিকোর বিজ্ঞান জাদুঘরের কর্মকর্তা ল্যারি শ এ দিবস পালনের উদ্যোক্তা বলে তাকে পাই-এর রাজপুত্র বলা হয়। ২০০৯ সালের ১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ মার্চকে জাতীয় পাই দিবস হিসেবে পালনের অনুমোদন দেয়।

তবে বাংলাদেশে পাই দিবস উদযাপিত হচ্ছে ২০০৬ সাল থেকে। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির উদ্যোগে দেশে এই দিবস উদযাপন শুরু হয়। দেশের বেশকিছু গণিত ক্লাব ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানা আয়োজনের মধ্যে দিবসটি পালিত হয়।

ইউক্লিডীয় সমতলীয় জ্যামিতিতে, বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাতকে পাই হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। উইলিয়াম জোনস সর্বপ্রথম ১৭০৬ সালে পাই প্রতীকটির প্রচলন করেন। তবে এ প্রতীকটিকে জনপ্রিয় করেন সুইস গণিতবিদ লিওনার্দো ইউলার।

নিউজ ট্যাগ: পাই দিবস

আরও খবর



যে ১০টি বিষয় দেখে বোঝা যাবে ভবন নিরাপদ কিনা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঢাকার বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনে আগুন লেগে প্রায় অর্ধশত মানুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছে বহু। গতবছরও ঢাকায় একাধিক বড় বড় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে ঈদের আগে আগে রাজধানীর বঙ্গবাজারের সেই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, যাতে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় এবং অনেক ব্যবসায়ী সর্বশান্ত হয়। এই ঘটনার কিছুদিন আগে পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার এবং বছর শেষে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল।

বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সারা দেশে মোট ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অর্থাৎ, প্রতিদিন গড়ে দেশে ৭৭টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে এবং তাতে কয়েকশত মানুষ আহত ও নিহত হয়েছেন।

আগুন নেভানোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমূহ কী কী বা, নিজের প্রিয়জনদের নিয়ে কোনও ভবনে প্রবেশের আগে একজন সাধারণ মানুষ কিভাবে বুঝবেন যে ভবনটি তাদের জন্য নিরাপদ কি-না; এই বিষয়গুলো সম্বন্ধে পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা শহরের অন্তত ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং আগুন নেভানোর জন্য সেসব ভবনে কোনো প্রকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। তাই, খাওয়া-দাওয়া বা ঘোরাঘুরি, যে কোনও প্রয়োজনেই কোনও ভবনে প্রবেশ করার আগে ঐ ভবনটি কতটা নিরাপদ, তা যতটা সম্ভব যাচাই করে নেয়ার পরামর্শ দেন তারা। যেসব বিষয় যাচাই করে ভবনে প্রবেশ করবেন।

১. একটা ভবন কতটা নিরাপদ সহজ বোঝার জন্য ভবনের সামনে নিরাপত্তা সনদ বা সার্টিফিকেট প্রদর্শন করা আছে কি-না, তা দেখে ওই ভবনে প্রবেশ করা।

২. কোনো জনাকীর্ণ ভবনের প্রবেশদ্বার যদি তিন মিটারের কম হয়, তাহলে সেখানে প্রবেশ করার আগে ভাবা উচিৎ। জনাকীর্ণ স্থানসমূহের মাঝে আছেরেস্টুরেন্ট, মসজিদ, গীর্জা, হাসপাতাল, এমনকি স্কুলও। এই ধরনের স্থানে একসঙ্গে অনেক মানুষ প্রবেশ করে এবং বের হয়। এছাড়া, বাণিজ্যিক ভবনে বিভিন্ন অফিস থাকায় সেসব স্থানও সবসময় লোকে লোকারণ্য থাকে।

৩. আগুন লাগার পর একটা মানুষের জীবন বাঁচানোর জন্য ভবনে মূলত দুইটা জিনিস থাকা দরকার। পর্যাপ্ত সিঁড়ি এবং অ্যালার্ম সিস্টেম। আর কিছুর দরকার নাই। কোনও শপিংমল, হাসপাতাল বা রেস্টুরেন্টে পর্যাপ্ত সিঁড়ি এবং ফায়ার অ্যালার্ম না থাকলে সেখানে যাবেন না।

৪. একটি আদর্শ ভবনে দুই ধরনের সিঁড়ি থাকে। একটি দিয়ে সবসময় চলাচল করা হয়। অন্যটি দিয়ে জরুরি অবস্থায় আত্মরক্ষার জন্য বের হওয়া যায়। সেজন্য একে বলা হয় জরুরি বহির্গমন পথ। আগুন লাগলে একে অগ্নি নির্গমন পথও বলা হয়। আবাসিক ভবন ছাড়া অন্য কিছু হলে সেই ভবনের প্রত্যেক তলায় অগ্নি নির্গমন পথ থাকতে হবে।

৫. কোনো ভবনে আগুন লেগেছে এবং সেই ভবনে পর্যাপ্ত সিঁড়ি এবং আলাদা অগ্নি নির্গমন পথও রয়েছে। কিন্তু সব থাকার পরও আগুনের মাঝে পড়লে সাধারণত মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়। তাড়াহুড়োর কারণে ঘটনাস্থল থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে পায় না। সেজন্য ভবনে আগুন লাগলে (বিদ্যুৎ থাকুক বা না থাকুক) জরুরি বহির্গমনের দিকে যাওয়ার পথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলো জ্বলে ওঠার ব্যবস্থা থাকতে হবে। অগ্নি চলাকালীন সময়ে জ্বলে উঠে, এমন এক্সিট সাইন এবং ডিরেকশন থাকতে হবে।

৬. আগুন নেভানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যে যন্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেটিকে ফায়ার এক্সটিংগুইশার বা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বলা হয়। অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলোতে উচ্চচাপে রক্ষিত তরল কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকে। আগুন লাগলে এই যন্ত্র থেকে স্প্রে আকারে কার্বন ডাই-অক্সাইড বের করে আগুন নেভানো হয়। একটি নিরাপদ ভবনে অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে বাধ্যতামূলকভাবে অগ্নি নির্বাপন সিলিণ্ডার বা ফায়ার এক্সটিংগুইশার থাকবে, সেটাই স্বাভাবিক।

৭. একই ভবনকে একাধিক কাজে ব্যবহার করাকে ভবনের মিশ্র ব্যবহার বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যেমন, একটি ভবনে যদি মানুষের বাসাবাড়ি, অফিস, এমনকি রেস্টুরেন্ট থাকে; তাহলে সেটিকে বহু কাজে ব্যবহৃত ভবন হিসেবে ধরা হয়। এসব ভবন নিরাপদ নয়।

৮. উপরের বিষয়গুলো সাদা চোখে দেখে বুঝে নেয়া যায় যে ভবনটি নিরাপদ কি-না। কিন্তু কিছু বিষয় আছে, যা সাধারণ মানুষের দৃষ্টিতে পড়বে না। কিন্তু ভবনের নিরাপত্তার জন্য সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ। অগ্নি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও ফায়ার সার্ভিসের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব) আলী আহমেদ খান বলেন, ভবনের ডাক্ট লাইন ও ক্যাবল হোল সিল করা গুরুপূর্ণ।

৯. আগুন নেভানোর জন্য একটা প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা হচ্ছে স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম। এটি একটি ভবনের পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকে। কোনো স্থানের তাপমাত্রা ৫৭ ডিগ্রির বেশি হলে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিস্ফোরিত হয়ে পানি ছিটিয়ে দেয়। ফলে আগুন নিভে যায়। সাধারণত বড় বড় বাণিজ্যিক বা কারখানা ভবনে সাধারণত এগুলো ব্যবহার করা হয়। তবে বর্তমানে কিছু কিছু আবাসিক ভবনেও এগুলোর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

ভবনে আগুন লাগার পর মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য সেখানে সিঁড়ি এবং অ্যালার্ম সিস্টেম সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু সম্পত্তি রক্ষার জন্য সেখানে পানির ব্যবস্থা থাকতে হবে বা স্প্রিঙ্কলার সিস্টেম থাকা লাগবে।

১০. কোনও ভবনে গ্লাস দিতে হলে সেটার ড্রয়িং এবং ডিজাইন পরিবর্তন করতে হবে। স্মোক এলে যেন তা অটোমেটিক্যালি বের হতে যেতে পারে। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ওই গ্লাসের জন্য ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। ধোঁয়া ভেতরে ঢুকে গেছে, আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। সেখানে কোনো ভেন্টিলেশন ছিলো না। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবনের নকশা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা একদমই আলাদা। তাই কোনো ভবনে প্রবেশের আগে তার শুরুর ইতিহাস এবং উদ্দেশ্য জেনে নেয়া গেলে নিজেকে অনেকাংশে নিরাপদে রাখা সম্ভব।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ঢামেকে র‌্যাবের অভিযান, দালাল চক্রের ৫৮ জন আটক(ভিডিও)

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা রোগীদের ভর্তিসহ বিভিন্ন কাজে হয়রানি করে টাকা নেয়া ও ব্যয়বহুল বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগে দালাল চক্রের অন্তত ৫৮ সদস্যকে আটক করেছে র‍্যাব।

এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ একমাসের সাজা দেওয়া হয়েছে। তবে রোগীর কয়েকজন স্বজনকেও আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার বেলা ১১টার পরে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন-৩ (র‍্যাব)- এর একটি দল ঢাকা মেডিকেলে অভিযান চালায়। এসময় বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ, নতুন ভবন এবং বাগান গেটের প্রশাসনিক ব্লকসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে দালাল সন্দেহে তাদের ৫৮ জনকে আটক করা হয়।

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রোগীদের ঘিরে গড়ে ওঠা দালাল চক্রের ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা রোগীদের জিম্মি করে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে পাঠাতো। এছাড়া এই হাসপাতালেই সিট দেয়ার নামে টাকা নিতো চক্রের সদস্যরা।

সব হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম কমাতে র‍্যাবের অভিযান চলমান থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢামেকের দালালদের মধ্যে চতুর্থ শ্রেণিসহ সংশ্লিষ্ট কিছু স্টাফের নাম এসেছে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ১৫০ থেকে ২০০ দালাল আছে বলেও জানান র‌্যাবের এক কর্মকর্তা।

দালালচক্রের হাতে নাজেহাল হওয়া ভুক্তভোগীদের করা অভিযোগের ভিত্তিতে, সাদা পোশাকে র‍্যাব সদস্যরা ঢাকা মেডিকেলে রেকি করে। এরপর ভ্রাম্যমাণ নিয়ে অভিযান চালানো হয়।

এর আগে গত বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর এলাকায় সরকারি চার হাসপাতালের সামনে থেকে দালাল চক্রের ৪১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ওই চার হাসপাতাল হলো- শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান এবং ঢাকা শিশু হাসপাতাল।


আরও খবর



সালাম মুর্শেদীর বাড়ি : হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর গুলশানের বাড়ি নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন চেম্বার আদালত। রোববার (২৪ মার্চ) চেম্বার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত ওই রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন।

এর আগে গত ১৯ মার্চ সালাম মুর্শেদীকে তিন মাসের মধ্যে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। জনস্বার্থে করা একটি রিট আবেদনের দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের অনুলিপি পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে বাড়িটি বুঝে পাওয়ার পর আদালতকে অবহিত করতে বলা হয়েছে রায়ে।

আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অনীক আর হক, দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আল খান, রাজউকের পক্ষে শুনানি করেন সাঈদ আহমেদ রাজা। সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী।

খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বাফুফে সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীর দখলে থাকা গুলশান-২ এর ১০৪ নম্বর সড়কের ২৯ নম্বর বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি দাবি করে তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর সেই আবেদনে দুদক, রাজউক ও গণপূর্ত বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের সেখানে বিবাদী করা হয়।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২২ সালের ১ নভেম্বর রুল জারি করে হাই কোর্টের এই বেঞ্চ। সরকারের সম্পত্তি নিজের নামে লিখে নিয়ে বাড়ি বানানোর অভিযোগে সালাম মুর্শেদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় সেখানে। সেইসঙ্গে এ সম্পত্তি সম্পর্কিত সব কাগজপত্র ১০ দিনের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে রাজউক, গণপূর্ত বিভাগ ও সালাম মুর্শেদীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বাড়িটি সম্পর্কিত কাগজপত্র হাই কোর্টে দাখিল করা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাড়িটি নিয়ে রাজউকের প্রতিবেদন হাই কোর্টে দাখিল করে বলা হয়, বাড়িটি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকায় নেই। ওই বাড়ির নকশাও (মূল লে আউট প্ল্যান) আদালতে জমা দেয় রাজউক।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রিটের পক্ষে শুনানিতে অ্যাডভোকেট অনীক আর হক ও সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছিলেন, হাই কোর্টে রাজউক ও দুদকের দাখিল করা প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে, গুলশানে সালাম মুর্শেদী যে বাড়িতে বাস করছেন সেটা রাষ্ট্রের সম্পত্তি। এই বাড়িতে তিনি এখন এক মুহূর্তও থাকতে পারেন না।

এরপর গত ৩ মার্চ মামলার শুনানি শেষে ১০ মার্চ রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে ১০ মার্চ পিছিয়ে ১৯ মার্চ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।


আরও খবর