আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

আজ বিশ্ব হাসি দিবস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

হাসি মানুষের যে কোনো অসুখের সবচেয়ে ভালো ওষুধ। মানবজীবনে হাসির গুরুত্ব অনেক। সময়কে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে হাসির কোনো বিকল্প নেই। আজ বিশ্ব হাসি দিবস। চিকিৎসকদের ভাষায়, সারাদিনকে প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য সকালের ১ মিনিটের হাসিই যথেষ্ট। হাসি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি মানসিক চাপ থেকেও দূরে রাখে।

বৈশ্বিক সংকটের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ দৈন্যতায় দেশে মন ভাল করার অনুষঙ্গ দিন দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। হাসি শুধু মন ভাল করে তাই না। হাসির রয়েছে শারীরিক ও সামাজিক গুরুত্ব।

একটু হাসিই পারে মানুষকে শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি আরও বেশি প্রাণবন্ত করে তুলতে। মানুষের চিন্তা কমানোর পাশাপাশি শরীরের পেশীকে আরাম দেয় প্রাণখোলা হাসি। একটু হাসি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।

১৯৯৮ সালে বিশ্ব হাসি দিবস চালু করেন ভারতীয় চিকিৎসক ডা. মদন কাটারিয়া। তিনি হাসির উপযোগিতাকে তুলে ধরেন। দীর্ঘদিন সুস্থভাবে জীবন যাপন করার জন্য হাসির কিছু বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করা দরকার।

১৯৯৮ সালে মুম্বাইতে প্রথমবার হাসি দিবস পালন করা হয়। হাসির মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ব এবং বন্ধুত্বের বিশ্বজনীন সচেতনতা সৃষ্টি বিশ্ব হাসি দিবসের উদ্দেশ্য।


আরও খবর



শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নে তদন্তের নামে আর ছাড় নয় : শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ উঠলে অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠন করে তদন্তের নামে আর কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে অভ্যন্তরীণ কমিটি করে তদন্ত হোক আর না হোক, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

রোববার (৩ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি-নিপীড়ন নিয়ে উচ্চ আদালতের স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিপীড়ন নিরোধে কমিটি করতে হবে। অনেক প্রতিষ্ঠানে সেটা আছেও। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, স্কুল-কলেজে কারও বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজে জড়ানোর অভিযোগ উঠলে অভ্যন্তরীণ কমিটি করা হয়। সেখানে তদন্ত চলছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। এ ধরনের ঘটনা হরহামেশা ঘটছে।

এরপর তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের তদন্ত কমিটি তদন্ত করুক বা না করুক, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে এখন থেকে আর কোনো বাধা বা অজুহাত চলবে না।

ডিসি সম্মেলনের প্রথম দিনের তৃতীয় অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। বিকেল সোয়া ৫টা থেকে সোয়া ৬টা পর্যন্ত এ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর অধিবেশন শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী।

মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমরা ডিসিদের জানিয়েছি, দক্ষতামূলক শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। ডিসিরা সবাই বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবকাঠামো সৃষ্টি হচ্ছে, শিক্ষার্থীরা শিক্ষা উপকরণ পাচ্ছে, তা অভূতপূর্ব। শিক্ষায় সরকারের এমন বিনিয়োগ ও প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে বড় সফলতা আসবে বলেও তারা মতামত দিয়েছেন।

অধিবেশন ও ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।


আরও খবর



জবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের ডাক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শিক্ষক ও সহপাঠীকে দায়ী করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফাইরুজ আবন্তিকা নামে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৬ মার্চ) বিকেল তিনটায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন তারা। নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে ফাইরুজ আবন্তিকার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও ক্যাম্পাসের ভিতর টায়ার জ্বালিয়ে আন্দোলন করে। এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উপাচার্যের নির্দেশে অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অব্যাহতি ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আম্মানকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রশাসন।

একই সঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম বিল্লাহ, সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন আইন কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার দাস। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সঙ্গীতের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ।

শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পরপরই উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম রাত ১টার দিকে ক্যাম্পাসে আসলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আটকে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তখন ড. সাদেকা হালিম শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় ঘোষণা দেন।

এসময় এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত কর্মদিবস সময় নিতে চাইলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করে আগামী ১২ ঘণ্টায় মধ্যে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেশ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানান। একই সঙ্গে রাতের মধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানিসহ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু প্রশাসনের গাফিলতির কারণে অভিযুক্তরা পার পেয়ে গেছেন। তাই এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত ১০টার দিকে কুমিল্লা জেলা সদরের নিজ বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ফাইরুজ অবন্তিকা। পরে তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ফাইরুজ আবন্তিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আত্মহত্যা চেষ্টার আগে ফেসবুকে দেয়া দীর্ঘ এক পোস্টে তিনি এ ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেছেন।


আরও খবর



এবার অস্কার জিতলেন ব্রিটিশ পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলান

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

৯৬তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডসকে ঘিরে গোটা বিশ্বে কৌতূহল ছিলো তুঙ্গে। সবার নজর ছিলো যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় লস অ্যাঞ্জেলেসের হলিউড অ্যান্ড হাইল্যান্ড সেন্টারের ডলবি থিয়েটারে। চলচ্চিত্র দুনিয়ার মর্যাদাসম্পন্ন পুরস্কার অস্কার এবার পেয়েছেন এই সময়ের অন্যতম নন্দিত নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান।

তার সিনেমা বক্স অফিসে ব্যবসায় সফল হয়, সমালোচকদেরও প্রশংসা কুড়ায়। কিন্তু অস্কার বরাবরই অধরা ছিল। অবশেষে প্রথম অস্কার জিতলেন ব্রিটিশ এই পরিচালক।

বাংলাদেশ সময় সোমবার (১১ মার্চ) ভোরবেলা থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে বসেছে ৯৬তম একাডেমি অ্যাওয়ার্ডসের আসর। সেখানে গত বছরের আলোচিত সিনেমা ওপেনহেইমার-এর জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতলেন নোলান।

সেরা পরিচালক বিভাগে মার্টিন স্করসেজি, জাস্টিন ত্রিয়েত, জোনাথন গ্লেজার, ইয়োর্গস লান্থিমোসের মতো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেও শেষ পর্যন্ত পুরস্কার জিতেছেন নোলান। কেবল সেরা নির্মাতাই নয়, মনে করা হচ্ছে আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে পুরস্কার জিতবে ওপেনহেইমার

প্রসঙ্গত, এবারের অস্কারে সর্বোচ্চ ১৩টি মনোনয়নও পেয়েছে আণবিক বোমার জনক রবার্ট ওপেনহেইমারকে নিয়ে নির্মিত সিনেমাটি।


আরও খবর



যৌন নিপীড়ন

এবার ঢাবি অধ্যাপক নাদিরের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন আরেক ছাত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢাবি প্রতিনিধি

Image

এবার আরেক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে। রাজধানীর আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রী এই অভিযোগ করেছেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি শিক্ষক হিসাবে ক্লাস নিতেন তিনি। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান বরাবর অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে অধ্যাপক মাকসুদুর রহমান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের একজনের কাছ থেকে ড. নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ এসেছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগগুলো মূলত উপাচার্য বরাবর দেওয়া হয় এবং প্রক্টরের কাছেও অনুলিপি পাঠানো হয়। আমি সেই অনুলিপিটা পেয়েছি।

অভিযোগপত্রে ওই শিক্ষার্থী উল্লেখ করেন, আমি যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ করেছি, সেখানে অধ্যাপক নাদির জুনাইদ একটি কোর্স পড়াতে গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসাবে এসেছিলেন। আমি ক্লাসের সিআর হওয়ার সুবাদে আমাকে তার সঙ্গে এক ধরনের যোগাযোগ রাখতে হতো। প্রথমত উনি নিয়মিত আমাকে ফোন দিতেন। বাসায় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফোন দিতেন। কিন্তু সমস্যা হলো, উনি ব্যক্তিগত অনেক তথ্য জিজ্ঞেস করতেন। আমাকে এমনও জিজ্ঞেস করেছেন, আমার বয়ফ্রেন্ড আছে কিনা-এ রকম। ব্যাপারটা এমন দাঁড়াল, উনার পড়াশোনার কাজের থেকে বেশি আগ্রহ ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। এসব নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতে চাইতেন। সাধারণত উনি রাত ১০টা বা ১২টার দিকে ফোন দিতেন। উনি আমাকে যখন এইভাবে ফোন বা ভিডিও কল দিতেন, আমি খুবই বিব্রত হতাম। আমি প্রায় উনার ফোন না ধরার চেষ্টা করতাম, কিন্তু সেটার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পরবর্তী ক্লাসে দেখা যেত। ফোন না ধরায় আমাকে ক্লাসে নানাভাবে হেনস্তা করতে চাইতেন। ক্লাসে এভাবে হেনস্তার শিকার হওয়ার পরও উনি আবারও আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতেন।

শিক্ষার্থী আরও বলেন, ক্লাসে ও ক্লাসের বাইরে উনার মুখ ও মুখোশ ছিল আলাদা। উনি ক্লাসে হেনস্তা করার পরে আবার দুঃখপ্রকাশ করে আমাকে মেসেজ দিতেন, ফোন দিতেন। পরে অনেকটা বাধ্য হয়ে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে উনার ফোন এবং ভিডিও কল রিসিভ করতাম। তখন ভিডিও কলে বলতেন, একটু তোমার চেহারাটা দেখি, তোমার চুলটা একটু দেখি, তোমার জুম পিক দেখি। আমার কয়েকবার মনে হয়েছে তখন উনি হস্তমৈথুন করেন। উনি সব সময় চাইতেন, তাকে সব আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখি। উনি অনেক হ্যান্ডসাম-এটা উনি বারবার শুনতে চাইতেন। উনি এত সুদর্শন, এত তরুণ, উনাকে দেখে আমরা আকর্ষিত বোধ কেন করছি না-এরকম বিষয় নিয়ে প্রায়ই খোঁচা দিতেন। প্রায়ই মেসেঞ্জার/হোয়াটসঅ্যাপে উনার ভিডিও বা ছবি পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করতেন, আমি দেখতে কেমন। পরে বুঝেছি, এর সবই ছিল উনার ফাঁদ পাতার কৌশল।

অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে অশ্লীল কথোপকথন চালিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টার অভিযোগ তুলে ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, উনি আমাকে শারীরিক স্পর্শ বা সেরকম কিছু করেননি। কিন্তু বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে দীর্ঘদিন কথোপকথন চালিয়ে গেছেন। উনি প্রায় অশ্লীল কথাবার্তা বলতেন। নানা রকম যৌন উত্তেজনামূলক কথা আমার সঙ্গে বলতে চাইতেন। সব সময় অন্তরঙ্গ কথা বলার প্রতি উনার বিশেষ আগ্রহ থাকত। আমার শরীরের স্পর্শকাতর জায়গা নিয়ে তিনি আমাকে প্রশ্ন করতেন।

অধ্যাপক নাদির জুনাইদ অন্য নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে এমন কাজ করেছেন উল্লেখ করে অভিযোগকারী বলেন, আমার ক্লাসের আরেকটা মেয়ের সঙ্গেও এমন করেছেন উনি। ওই মেয়েকেও উনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়েছেন। ৬ মাসের জন্য পড়াতে গিয়ে একই ক্লাসের দুজন মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন, এটাকে স্বাভাবিক মনে করার কোনো কারণ নেই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদকে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।

৭ ফেব্রুয়ারি নম্বর কম দেওয়া নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তরের ১২তম ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থীর অভিযোগের পর ১০ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে প্রক্টরের কাছে লিখিত দেন বিভাগের এক ছাত্রী। যদিও তিনি (নাদির জুনাইদ) এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এর পেছনে ভিন্ন উদ্দেশ্য আছে বলে দাবি করেন।

অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন হয়রানির এই অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ করেন বিভাগের সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তার বিভাগীয় অফিস কক্ষে তালা দেওয়ার পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের তালা সিলগালা করে দেন। দরজায় যৌন নিপীড়ক অধ্যাপক নাদির জুনাইদ ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত সংবলিত পোস্টার ঝুলিয়ে দেন। এছাড়া আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দেন।

পরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে অধ্যাপক নাদির জুনাইদকে ৩ মাসের বাধ্যতামূলক ছুটি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ছুটির চিঠিতে বলা হয়, অভিযোগের যথাযথ অনুসন্ধান ও তদন্ত করার জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় উপস্থাপন করা হবে এবং সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সর্বশেষ রাজধানীর আরেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী যৌন নিপীড়ন ও হয়রানির অভিযোগ করলেন। 


আরও খবর



অবন্তিকার আত্মহত্যা প্ররোচনার প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও শিক্ষার্থীর সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাদেরকে কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে কুমিল্লা পুলিশের চাওয়া অনুযায়ী দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদেরকে কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে তারা আমাদের ঘটনার খন্ডিত অংশ জানিয়েছে। তদন্তের আগে পূর্ণাঙ্গ অংশ বলা সম্ভব না। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে। তবে গভীরতা কতখানি বা তাদের কার দিকে কতো দায় সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন: ঢাকা মহানগর পুলিশ বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকে নজরদারিতে ছিল। কুমিল্লা জেলা পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে আমরা তাদের গ্রেপ্তার করি। গত তিন দিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছে। তারা এ সময়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল।

গতকাল শনিবার রাতে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও শিক্ষার্থীর সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে আটক করার বিষয়টি চ্যানেল আই অনলাইনকে নিশ্চিত করেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে নিজের আত্মহত্যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেন অবন্তিকা। ফেসবুকে দেওয়া ওই পোস্টের পর কুমিল্লার বাগিচাগাঁও ফায়ার সার্ভিস পুকুরপাড়ের নিজ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় অবন্তিকার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাত সোয়া ১০টার দিকে তাকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অবন্তিকা কুমিল্লা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যাপক প্রয়াত জামাল উদ্দিনের মেয়ে।


আরও খবর